প্রাণীবৈচিত্র্য । Animal Diversity
প্রাণীর মধ্যে যে জিনগত, প্রজাতিগত ও বাস্তুসংস্থানগত, বিভিন্নতা দেখা যায় সেটিই হচ্ছে প্রাণীর বিভিন্নতা বা প্রাণীবৈচিত্র্য(animal diversity)।
প্রাণীবৈচিত্র্য ( animal diversity) ৩ প্রকার :
- জিনগত বৈচিত্র্য
- প্রজাতি বৈচিত্র্য
- বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য
১. জিনগত বৈচিত্র্য (Genetic diversity) :
জিনগত বৈচিত্র্য বলতে নির্দিষ্ট বাস্তুতন্ত্রে কোনো নির্দিষ্ট প্রজাতির সদস্যদের মধ্যে জিনগত উপাদানের বৈষম্যের মাত্রাকে বোঝায়। সকল মানুষ Homo sapiens নামক প্রজাতির সদস্য হলেও একজন আফ্রিকান কৃষ্ণাঙ্গ ও অস্ট্রেলিয়ান শ্বেতাঙ্গ মানুষের দেহের আকৃতি, গায়ের ও চুলের রঙ ইত্যাদিতে পরস্পর থেকে সুস্পষ্ট পৃথক।
২. প্রজাতি বৈচিত্র্য (Species diversity) :
বিভিন্ন প্রজাতির সংখ্যা যা একটি নির্দিষ্ট সময়ে ও অঞ্চলে একসঙ্গে বসবাস করে এবং একটি বাস্তুতান্ত্রিক সম্প্রদায় গড়ে তোলে তাকে প্রজাতি বৈচিত্র্য বলে। যে অঞ্চলে প্রজাতি বৈচিত্র্য বেশি সে অঞ্চল সাধারণভাবে জীববৈচিত্র্যের হটস্পট (Biodiversity Hotspot) হিসেবে পরিচিত।
৩. বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য (Ecosystem diversity) :
বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র বলতে বিভিন্ন বাস্তুতন্ত্রে শক্তিপ্রবাহ ও পুষ্টিচক্রের মাধ্যমে সংযুক্ত বিভিন্ন জীবসম্প্রদায়ভুক্ত প্রজাতির মধ্যে ভিন্নতাকে (জিনগত ও প্রজাতি বৈচিত্র্য) বোঝায়। যেমন; তৃণভূমি, বনভূমি, মরুভূমি, জলাভূমি ইত্যাদি।
গ্রিক অ্যারিস্টটলকে (Aristotle) ‘প্রাণীবিদ্যার জনক’ বলা হয়।