10 Minute School
Log in

ক্লোরোফর্ম

ক্লোরোফর্ম (Chloroform)

প্রশ্নঃ ক্লোরোফর্মের বিশুদ্ধতা কিরূপে নির্ণয় করা যায়। (Purity of chloroform)

উত্তরঃ চেতনা নাশকরূপে ব্যবহৃত CHCl3 বিশুদ্ধ হতে হয়। যেহেতু ইহা সহজেই আলোর উপস্থিতিতে বায়ুর অক্সিজেন দ্বারা জারিত হয়ে

বিষাক্ত ফসজিন গ্যাস উৎপন্ন করে তাই এর বিশুদ্ধতা নির্ণয় করা প্রয়োজন। বিশুদ্ধ ক্লোরোফর্ম সিলভার নাইট্রেট দ্রবণের সাথে কোন অধঃক্ষেপ দেয় না। অর্থাৎ

বিশুদ্ধ CHCl3 + AgNO3 → কোন বিক্রিয়া হয় না। 

কিন্তু যদি CHCl3 বায়ুর অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে ফসজিন গ্যাস (COCl2) ও হাইড্রোজেন ক্লোরাইড উৎপন্ন করে তাহলে এর সাথে AgNO3 দ্রবণ যোগ করলে AgCl এর সাদা বর্ণের অধঃক্ষেপ উৎপন্ন করে। যা উক্ত মিশ্রণে HCl এর উপস্থিতি প্রমাণ করে। ইহা পরোক্ষভাবে ফসজিন গ্যাসের উপস্থিতিতে প্রমাণ করে। অবিশুদ্ধ ক্লোরোফর্মের ক্ষেত্রে নিমরূপে বিক্রিয়া ঘটে।

আলোতেঃ

2CHCl3+ O2আলো→ 2COCl2+ 2HCl

HCl + AgNO3 → AgCl + HNO3 

এভাবে CHCl3এর বিশুদ্ধতা নির্ণয় করা যায়।

প্রশ্নঃ কিরূপে ক্লোরোফর্মের বিশুদ্ধতা সংরক্ষণ করা যায়? (Preserving the purity of chloroform)

উত্তরঃ চেতনানাশকরূপে ব্যবহৃত ক্লোরোফর্ম যাতে বিষাক্ত ফসজিন গ্যাসে পরিণত হতে না পারে। সেজন্য-

১. ক্লোরোফর্মকে অস্বচ্ছ বাদামী বর্ণের বোতলে এর মূখ পর্যন্ত পূর্ণ করে ভালভাবে কর্ক লাগিয়ে দেয়া হয়। এতে আলো ও বায়ু বোতলে ঢুকতে পারে না। 

২. CHCl3 এ সামান্য (1%) ইথানল যোগ করা হয়। যদি ক্লোরোফর্ম জারিত হয়ে ফসজিন গ্যাস উৎপন্ন হয় তবে তা অ্যালকোহলের সাথে বিক্রিয়া করে অক্ষতিকারক ইথাইল কার্বনেটে পরিণত হয়। ফলে ক্লোরোফর্ম বিপদমুক্ত থাকে-

2CHCl3+ O2আলো→ 2COCl2+ 2HCl

COCl2+2CH3CH2OH → CH3CH22CO3+ 2HCl

ফসজিন গ্যাস ইথাইল কার্বনেট

প্রশ্নঃ ক্লোরোফর্মকে বাদামী বর্ণের বোতলে রাখা হয় কেন? (Chloroform is kept in brown bottles)

উত্তরঃ আলোর উপস্থিতিতে বায়ুর অক্সিজেন দ্বারা ক্লোরোফর্ম CHCl3 জারিত হয়ে বিষাক্ত ফসজিন COCl2 গ্যাস এ পরিণত হয়।

2CHCl3+ O2আলো→ 2COCl2+ 2HCl

 ক্লোরোফর্ম সূর্যালোকে বিদ্যমান অতিবেগুণী রশ্মির প্রভাবে যাতে বায়ুর O2 দ্বারা জারিত হয়ে COCl2  এ পরিণত হতে না পারে সেজন্য ক্লোরোফর্ম অতিবেগুণী রশ্মি প্রতিরোধকারী বাদামী রং এর বোতলে এবং বোতলের মূখে পর্যন্ত CHCI3  পূর্ণ করে কর্কযুক্ত করে রাখা হয়। ফলে বোতলে বায়ু ও আলো প্রবেশ করতে পারে না। তখন ক্লোরোফর্ম বিশুদ্ধ অবস্থায় থাকে। তাই ক্লোরোফর্মকে বাদামী বর্ণের বোতলে রাখা হয়। 

প্রশ্নঃ ক্লোরোফর্ম হতে মিথেন কিরূপে পাওয়া যায়? (Chloroform to Methane)

উত্তরঃ ক্লোরোফর্মকে জিংক চূর্ণ এবং পানির মিশ্রণে তাপ দিলে, জিংক এবং পানির বিক্রিয়ায় উৎপন্ন জায়মান হাইড্রোজেন ক্লোরোফর্মকে বিজারিত করে মিথেন ও HCI গ্যাসে পরিণত হয়।

Zn + 2H2O → ZnOH2 + 2H

CHCl3 + 6[H] → CH4+ 3HCI

প্রশ্নঃ ক্লোরোফর্ম হতে ক্লোরোপিকরিন কিরুপে পাওয়া যায়? (Chloroform to Chloropicrin)

উত্তরঃ উত্তপ্ত অবস্থায় গাঢ় HNO3 এবং CHCl3 এর বিক্রিয়ায় CHCl3 এর H পরমাণু নাইট্রোমূলক দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়ে ক্লোরোপিক্রিন বা নাইট্রোক্লোরোফর্ম বা কাঁদুনে গ্যাস উৎপন্ন করে।

প্রশ্নঃ ক্লোরোফর্ম হতে স্যালিসাইলডিহাইড কিরূপে পাওয়া যায়? (Chloroform to Salicylaldehyde)

উত্তরঃ ক্লোরোফর্মকে ফেনল ও পানিতে কষ্টিক সোডা দ্রবণের সাথে মিশ্রিত করে ৬০°C তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করলে বিক্রিয়ার মাধ্যমে স্যালিসাইলডিহাইড উৎপন্ন হয়। এ বিক্রিয়াকে রাইমার-টাইম্যান বিক্রিয়া বলে।

প্রশ্নঃ ক্লোরোফর্ম হতে কিভাবে ফিনাইল আইসো সায়ানাইড বা কাৰ্বিল অ্যামিন পাওয়া যায়? (Chloroform to Phenyl isocyanide or Carbylamine)

উত্তরঃ CHCl3 কে অ্যানিলিন (C6H5 – NH2) ও অ্যালকোহলীয় কষ্টিক পটাশ দ্রবণের সাথে উত্তপ্ত করলে অত্যন্ত গন্ধযুক্ত কাৰ্বিল অ্যামিন বা ফিনাইল সায়ানাইড ও পানি উৎপন্ন করে।

প্রশ্নঃ ক্লোরোফর্ম হতে কিরূপে ইথাইন পাওয়া যায়? (Chloroform to Ethyne)

উত্তরঃ ক্লোরোফর্মকে ধাতব সিলভার পাউডারের সাথে 600°C তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করলে ইথাইন পাওয়া যায়।

2CHCl3 + 6Ag600°C→ HC  CH + 6AgCl 

প্রশ্নঃ কিরূপে ক্লোরোফর্ম সনাক্ত করা যায়? (Way to identify chloroform)

উত্তরঃ CHCl3কে অ্যানিলিন (C6H5-NH2) ও অ্যালকোহলীয় কষ্টিক পটাশ দ্রবণের সাথে উত্তপ্ত করলে অত্যন্ত ও গন্ধযুক্ত কার্বিল অ্যামিন বা ফিনাইল আইসো সায়ানাইড ও পানি উৎপন্ন করে। এ বিক্রিয়াকে কার্বিল এমিন বিক্রিয়া বলে।

এই বিক্রিয়ার সাহায্যে ক্লোরোফর্ম সনাক্ত করা যায়। বা 10 অ্যামিন ও সনাক্ত করা যায়। 

অ্যালকাইল ও অ্যারাইল হ্যালাইড

(Alkyl and Aryl Halide)

প্রশ্নঃ হ্যালো বেনজিন প্রস্তুতির দুটি পদ্ধতি লিখ। (Preparation of Halo Benzene)

উত্তরঃ বেনজিন ও অনার্দ্র AlCl3 এর উপস্থিতিতে হ্যালোজেন ও বেনজিনের বিক্রিয়ায় ফিনাইল ক্লোরাইড বা ফিনাইল ব্রোমাইড পাওয়া যায়।

Ar – H +X2অনার্দ্র AlCl3→ Ar-X + HX

উদাহরণঃ

(২) বেনজিন ডায়াজোনিয়াম লবণের সাথে HCl এবং কিউপ্রাস ক্লোরাইড (Cu2Cl2) অথবা HBr এবং কিউপ্রাস ব্রোমাইডের বিক্রিয়ায় যথাক্রমে ফিনাইল ক্লোরাইড বা ফিনাইল ব্রোমাইড পাওয়া যায়।

নিমরূপ বিক্রিয়ার মাধ্যমে আয়োডো বেনজিন পাওয়া যায়।

প্রশ্নঃ ক্লোরো বেনজিন হতে কিরূপে ফেনল পাওয়া যায়? (Chlorobenzene to Phenol)

উত্তরঃ ৪০০°C তাপমাত্রায় ও ১৫০ বায়ুচাপে ক্লোরোবেনজিন ও কষ্টিক সোডা দ্রবণের বিক্রিয়ায় সোডিয়াম ফিনেট উৎপন্ন হয়। উৎপন্ন সোডিয়াম ফিনেট এসিড যোগে আর্দ্র বিশ্লেষণ করলে ফেনল উৎপন্ন হয়।

প্রশ্নঃ ক্লোরোবেনজিন হতে অ্যানিলিন কিভাবে পাওয়া যায়? (Chlorobenzene to Aniline)

উত্তরঃ     

প্রশ্নঃ অ্যারাইল হ্যালাইডের হ্যালোজেন পরমাণু অ্যালকাইল হ্যালাইডের হ্যালোজনে পরমাণু অপেক্ষা কম সক্রিয় ব্যাখ্যা কর। অথবা, 

অ্যারাইল হ্যালাইড অ্যালকাইল হ্যালাইডের ন্যায় সহজে কেন্দ্রাকর্ষী প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া দেয় না কেন? (The Halogen atom of Aryl Halide is less active than the atom of alkyl Halide)

উত্তরঃ অ্যারাইল হ্যালাইড এর হ্যালোজেন পরমাণু অ্যালকাইল হ্যালাইড এর হ্যালোজেন পরমাণু অপেক্ষা কম সক্রিয়।

কারণ

১. হ্যালোজেন পরমাণুর সাথে যুক্ত কার্বন পরমাণুর সংকরণের পার্থক্যের কারণে ঃ অ্যারাইল হ্যালাইডের (Ar-X) হ্যালোজেনের সাথে যুক্ত কার্বন পরমাণু SP2এবং অ্যালকাইল হ্যালাইড (যেমন- CH3Cl) হ্যালোজেনের সাথে যুক্ত কার্বন পরমাণু SP3 সংকরিত। সংকরিত অরবিটালে s এর পরিমাণ অংশ যত বৃদ্ধি পায় নিউক্লিয়াসের আকর্ষণ ও বন্ধন ইলেকট্রনের প্রতি তত বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ বন্ধন শক্তিশালী হয়। ফলে অ্যারাইল হ্যালাইডে SP2 সংকরিত অরবিটাল দ্বারা গঠিত C-X বন্ধন, অ্যালকাইল হ্যালাইডে SP3 সংকরিত অরবিটাল দ্বারা গঠিত C-X বন্ধন থেকে অধিক শক্তিশালী হয়। 

২. অনুরননের কারণেঃ হ্যালোজেন পরমাণু মুক্ত জোড় ইলেকট্রন বেনজিন বলয়ের সঞ্চরণশীল ইলেকট্রনের সাথে অনুরণনে অংশগ্রহণ করে। C – X বন্ধনটিতে দ্বি-বন্ধন চরিত্রের উদ্ভব ঘটে যা অ্যালকাইল হ্যালাইডের C – X বন্ধন হতে অ্যারাইল হ্যালাইডের C – X বন্ধনকে অধিক শক্তিশালী করে তোলে। যেমন-

(অপেক্ষাকৃত দুর্বল বন্ধন ক্লোরোবেনজিন)

উপরিউক্ত দুটি কারণে বেনজিন বলয়ের সাথে হ্যালোজেন পরমাণু নিউক্লিওফিলিক বিকারক দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা কষ্টসাধ্য।

টীকা লিখ

ডি.ডি. টি (D.D.T)  

ডি.ডি.টি এর পূর্ণ নাম হলো- প্যারা প্যারা ডাইক্লোরো ডাইফিনাইল ট্রাইক্লোরো ইথেন । 

প্গাঢ় H2SO4 এর উপস্থিতিতে ক্লোরো বেনজিনকে ক্লোরাল বা ট্রাই ক্লোরো এসিটালডিহাইডের সাথে উত্তপ্ত করা হলে ডি.ডি. টি পাওয়া যায়। 

ধর্মঃ ১) এটি একটি কঠিন পদার্থ।

২) এর গলনাঙ্ক−১০৯°C-১১০°C

ব্যবহারঃ শক্তিশালী জীবাণুনাশক ও কীটনাশক হিসেবে ডি.ডি.টি প্রচুর ব্যবহৃত হয়।

উইলিয়ামসন ইথার সংশ্লেষণ বিক্রিয়াঃ (Williamson ether synthesis)

অ্যালকোহল দ্রবীভূত অ্যালকাইল হ্যালাইড (R – X) এবং সোডিয়াম অ্যালকক্সাইড (R – ONa) একত্রে উত্তপ্ত করলে অ্যালকাইল হ্যালাইডের হ্যালোজেন পরমাণু অ্যালকক্সিল (-OR) মূলক দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়ে ইথার উৎপন্ন হয়। আবিষ্কারকের নামানুসারে এই বিক্রিয়াকে উইলিয়ামসন ইথার সংশ্লেষণ বিক্রিয়া বলে। 

সাধারণ বিক্রিয়াঃ 

R-X + R ONa → R-O– R + NaX

ইথার

উদাহরণঃ

i অ্যালকোহলে দ্রবীভূত CH3l কে সোডিয়াম মিথোক্সাইডের সাথে উত্তপ্ত করা হলে সরল ইথার ডাই  মিথাইল ইথার উৎপন্ন।  

CH3-O – Na + CH3I → CH3-O- CH3 + Nal

ডাইমিথাইল ইথার

(ii) অ্যালকোহলে দ্রবীভূত CH3l কে সোডিয়াম ইথোক্সাইডের সাথে উত্তপ্ত করা হলে মিশ্র ইথার ইথাইল মিথাইল ইথার পাওয়া যায়।

C2H5-O – Na + CH3I → CH3-O-C2H5+Nal 

এই বিক্রিয়াটি সরল ও মিশ্র ইথার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্নঃ কিরূপে অ্যালকাইল হ্যালাইড শনাক্ত করা যায় (Ways to identify Alkyl halide)

উত্তরঃ ১. AgNO3 দ্রবণের সাহায্যেঃ জৈব নমুনা নিয়ে এর মধ্যে ২-১ ফোটা NaOH বা KOH দ্রবণ যোগ করার পর AgNO3 দ্রবণ যোগ করা হলে AgX এর বৈশিষ্ট্যপূর্ণ বর্ণের অধঃক্ষেপ তৈরী হয়।

R-X + NaOHaq+R – OH + NaX

NaX + AgNO3 → AgX + NaNO3

অধঃক্ষেপ 

২. জৈব নমুনা নিয়ে এর মধ্যে সামান্য AgCN যোগ করে উত্তপ্ত করলে যদি দুর্গন্ধযুক্ত কাৰ্বিল অ্যামিন উৎপন্ন হয় তাহলে নমুনটি অ্যালকাইল হ্যালাইড হিসেবে চিহ্নিত হয়।

R-X+ AgCN → R- NC + AgX

গ্রিগনার্ড বিকারকঃ (Grignard reagent)

উত্তরঃ শুষ্ক ইথারে দ্রবীভূত অ্যালকিল বা অ্যালকাইল হ্যালাইড (R – X) বা অ্যারাইল (Ar -x) এর মধ্যে শুষ্ক ধাতব Mg-গুড়া যোগ করা হলে উভয়ের মধ্যে প্রবল সংযোজন বিক্রিয়ায় যুত যৌগ অ্যালকিল ম্যাগনেসিয়াম হ্যালাইড (R-MgX) বা অ্যারাইল ম্যাগনেসিয়াম হ্যালাইড (Ar-MgX) এর ইথারীয় দ্রবণ পাওয়া যায়। এই যৌগকে আবিষ্কারকের নামানুসারে গ্রিগনার্ড বিকারক বলে। 

সাধারণ বিক্রিয়াঃ

iR-X + Mgশুষ্ক  →ইথার R-Mg – X 

উদাহরণঃ            CH3 – I + Mg শুষ্ক  →ইথার CH3 – Mg – I 

অনুরুপে,

iiAr – X + Mgশুষ্ক  →ইথার Ar – Mg – X 

উদাহরণঃ                    C6H5-I + Mg শুষ্ক  →ইথারC6H5- Mg -I

                                                            ফিনাইল ম্যাগনেসিয়াম আয়োডাইড

ব্যবহারঃ বিভিন্ন সমগোত্রীয় শ্রেণীর যৌগ গ্রিগনার্ড বিকারক হতে তৈরি করা যায়। যেমন- 

১° অ্যালকোহল, ইথানল প্রস্তুতি ঃ গ্রিগনার্ড বিকারকের সাথে মিথান্যাল বা ফরমালডিহাইডের বিক্রিয়ার ফলে প্রথমে একটি যুত যৌগ তৈরি হয়। যাকে আর্দ্র বিশ্লেষিত করলে প্রাইমারি অ্যালকোহল পাওয়া যায়। 

উদাহরণঃ

প্রশ্নঃ গ্রিগনার্ড বিকারকের সাহায্যে বিভিন্ন সমগোত্রীয় শ্রেণীর চারটি ভিন্ন যৌগের প্রস্তুতি লিখ। (Preparation of four different compounds of different homologous classes with the help of Grignard reagent)

উত্তরঃ 

(i) মিথেন প্রস্তুতিঃ (Methyl Preparation)

গ্রিগনার্ড বিকারককে পানির সংস্পর্শে আদ্র বিশ্লেষিত করলে অ্যালকেন পাওয়া যায়।

RMgX + HO-H→R -H+ Mg(OH)X

  অ্যালকেন ক্ষারীয় ম্যাগনেশিয়াম হ্যালাইড

উদাহরণঃ

CH3MgI + HO – H → CH4 + Mg(OH)I

মিথেন ক্ষারীয় ম্যাগনেশিয়াম আয়োডাইড

(ii) ১° অ্যালকোহল, ইথানল প্রস্তুতিঃ (1° Alcohol, Ethanol Preparation)

গ্রিগনার্ড বিকারকের সাথে মিথান্যাল বা ফরমালডিহাইডের কেন্দ্রাকর্ষীযুত বিক্রিয়ার ফলে প্রথমে একটি যুত যৌগ তৈরি হয়। যাকে আর্দ্র বিশ্লেষিত করলে প্রাইমারী অ্যালকোহল পাওয়া যায়।

উদাহরণঃ

(iii)° অ্যালকোহল প্রস্তুতিঃ (2° Alcohol Preparation): গ্রিগনার্ড বিকারককে ইথান্যাল এর সাথে বিক্রিয়া করানো হলে একটি যুত যৌগ তৈরি হয় যাকে আর্দ্র . বিশ্লেষিত করলে ২° অ্যালকোহল পাওয়া যায় ।

উদাহরণঃ

(iv)° অ্যালকোহল প্রস্তুতিঃ (3° Alcohol Preparation):  গ্রিগনার্ড বিকারকের সাথে প্রোপানোনের বিক্রিয়ায় একটি যুত যৌগ উৎপন্ন হয় যাতে আদ্র বিশ্লেষিত করলে ৩° অ্যালকোহল পাওয়া যায়।

(v) জৈব এসিড প্রস্তুতিঃ (Preparation of Organic acid):  অনাদ্র কঠিন কার্বন ডাই অক্সাইডের উপর গ্রিগনার্ড বিকারক চালনা করা হলে একটি যুত যৌগ উৎপন্ন হয়। যাকে আর্দ্র বিশ্লেষিত করলে জৈব এসিড পাওয়া যায়।

           RMgX+O=C=O R-CO -OMgX      H2O  →H+          R-CO-OH+Mg(OH)X

(জৈব এসিড)

CH3MgI+O= C = O→ CH3 –CO – OMgI H2O  →H+ CH3 – CO – OH + Mg(OH)I

     ইথানয়িক এসিড

অ্যালকোহল, ফেনল, ইথার (Alcohol, phenol, ether)

অ্যালকোহল (Alcohol)

প্রশ্নঃ প্রাইমারী অ্যালকোহল প্রস্তুতির তিনটি পদ্ধতি উল্লেখ কর। (Three methods of preparation of primary alcohol)

উত্তরঃ 

(ক) অ্যালকাইল হ্যালাইড হতে ১° অ্যালকোহলঃ (Alkyl Halide to 1° Alcohol) অ্যালকাইল হ্যালাইড (R-x) কে কষ্টিক সোডার (NaOHI) জলীয় দ্রবণে উত্তপ্ত করা হলে বিক্রিয়ার মাধ্যমে অ্যালকোহল উৎপন্ন হয়।

R-X + NaOH (aq) + R-OH + NaX

উদাহরণঃ CH3 – CH2Br + NaOH aq∆→ CH3-CH2-OH + NaBr

  ইথাইল ব্রোমাইড ইথানল

(খ) অ্যালকিন হতে অ্যালকোহল প্রস্তুতিঃ (Alkene to Alcohol Preparation) অ্যালকিন যেমন ইথিন গাঢ় H2SO4 এসিডের যুত বিক্রিয়ায় ইথাইল হাইড্রোজেন সালফেট উৎপন্ন হয়। প্রাপ্ত যৌগকে পানিসহ উত্তপ্ত করা হলে তা আর্দ বিশ্লেষিত হয়ে ইথানল উৎপন্ন করে।

CH2 = CH2 + H2SO4→ CH3 – CH2 – SO4H

CH3-CH2 – SO4H + H2O→ CH3 – CH2 -OH + H2SO4

(গ) গ্রিগনার্ড বিকারক হতে অ্যালকোহল প্রস্তুতিঃ (Grignard Reagent to Alcohol preparation) গ্রিগনাউ বিকারক অর্থাৎ অ্যালকাইল ম্যাগনেসিয়াম হ্যালাইডের সাথে ফরমালডিহাইড বা মিথ্যান্যাল এর বিক্রিয়ায় উৎপন্ন যুত যৌগকে এসিড মাধ্যমে আর্দ্র বিশ্লেষণ করলে ১° অ্যালকোহল পাওয়া যায়।

যেমন-

(ঘ) অ্যালডিহাইডের বিজারণ দ্বারাঃ (Aldehyde as Reducing agent) অ্যালডিহাইড যেমন- এসিটালডিহাইড বা ইথান্যালকে বিজারক পদার্থ লিথিয়াম অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রাইড (LiAlH4) দ্বারা বিজারিত করা হলে ইথানল পাওয়া যায়। 

CH3CHO + 2HLiAlH4→ CH3 – CH2 – OH

ইথান্যাল শুষ্ক ইথার ইথানল

প্রশ্নঃ সেকেন্ডারী (২°) অ্যালকোহল প্রস্তুতির কয়েকটি পদ্ধতি লিখ। (Preparation of Secondary (2°) Alcohol)

উত্তরঃ 

(ক) অ্যালকিন হতে ২° অ্যালকোহলঃ (Alkene to 2° to Alcohol)

অ্যালকিন যেমন প্রোপিন ও HBr যুত বিক্রিয়ায় উৎপন্ন যৌগকে NaOH উত্তপ্ত করা হলে তা ২‘অ্যালকোহল প্রোপানল-২ উৎপন্ন করে। 

(খ) গ্রিগনার্ড বিকারক হতে ২° অ্যালকোহলঃ (Grignard Reagent to 2° to Alcohol)

গ্রিগনার্ড বিকারক বা অ্যালকাইল ম্যাগনেসিয়াম হ্যালাইডের সাথে ইথান্যালের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন যৌগকে এসিড মাধ্যমে আর্দ্র বিশ্লেষিত করা হলে ২° অ্যালকোহল পাওয়া যায়।

CH3-CO- H + RMgX → CH3-COMgXR- HH2O→CH3-COHR – H + Mg(OH)X

যেমন-

CH3 -CO- H + CH3MgBr→CH3-COMgX CH3 – HH2O→CH3-COH CH3  – H + Mg(OH)X

ইথান্যাল প্রোপানল-২

(গ) কিটোনকে বিজারণের মাধ্যমেঃ (Ketone as Reducing agent) কিটোন যেমন- এসিটোন বা প্রাপানোনকে বিজারক লিথিয়াম অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রাইড দ্বারা বিজারিত করা হলে প্রোপানল-২ পাওয়া যায়।

CH3COCH3 +2 H→ CH3 -CHOH |  – CH3

প্রোপানোন প্রোপানল-২

প্রশ্নঃ টারশিয়ারী (৩°) অ্যালকোহল প্রস্তুতি বর্ণনা কর। (Preparation of tertiary (3°) Alcohol)

উত্তরঃ

(ক) অ্যালকিন (Alkene): যেমন ২-মিথাইল প্রোপিন ও HBr এর বিক্রিয়ায় উৎপন্ন যৌগকে NaOH এর সাথে বিক্রিয়া করালে ৩° অ্যালকোহল ২মিথাইল প্রোপানল-২ পাওয়া যায়।

(খ) গ্রিগনার্ড বিকারক হতে ৩° অ্যালকোহলঃ (Grignard Reagent to 3° to Alcohol) গ্রিগনার্ড বিকারক যেমন- মিথাইল ম্যাগনেসিয়াম ব্রোমাইড ও এসিটোনের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন যুত যৌগকে এসিড যোগে আদ্রবিশ্লেষণ করা হলে ৩° অ্যালকোহল ২-মিথাইল প্রোপানল-২ পাওয়া যায় ।

CH3 -CO- CH3 + CH3MgBr→CH3-C|OMgBr|CH3-CH3- H2O→CH3-COH|CH3 – CH3 

  ২-মিথাইল প্রোপানল-২

                 + Mg(OH)Br

১। শ্বেতসারকে মল্টোজে রূপান্তরকরণঃ (Conversion of starch to maltose) শ্বেতসার বা স্টার্চের উৎস আলুকে পাতলা করে কেটে উচ্চতাপে (১৪০-১৫০°C) ও চাপে ষ্টীম দ্বারা উত্তপ্ত করা হলে স্টার্চের কোষ প্রাচীর ভেঙ্গে আঠালো পদার্থ উৎপন্ন হয় একে ‘ম্যাশ’ (mash) বলা হয়। এখন ম্যাশের সাথে এনজাইমের উৎস মন্টগুড়া ও পানি মিশিয়ে ৪০-৫০°C তাপমাত্রায় প্রায় একঘন্টা রেখে দেওয়া হয়। তখন মন্টের মধ্যস্থ ডায়াসটেস এনজাইম স্টার্চকে আর্দ্রবিশ্লেষিত করে মল্টোজ নামক সুগারে পরিণত করে। এই মল্টোজ দ্রবণকে ওয়ার্ট বলা হয়।

2C6H1OO5+nH2O ডায়াসটেস→৪০-৫০°CnC12H22O11 

মল্টোজ

২। মল্টোজকে অ্যালকোহলে রূপান্তরঃ (Conversion of maltose to Alcohol) উৎপন্ন মল্টোজ দ্রবণে পানি যোগে ১০% লঘু দ্রবণ তৈরী করা হয় এবং ২০-২৫°C তাপমাত্রায় ঈষ্ট যোগ করা হয়। ঈষ্টে দুই ধরনের এনজাইম যেমন- ম্যালটোস ও জাইমেস নিঃসৃত করে। ম্যালটোস মল্টোজকে গ্লুকোজে এবং জাইমেস গুকোজকে ইথানলে পরিণত করে। 

C12H22H2O+H2Oম্যালটেস → 2C6H12O6

গ্লুকোজ

C6H12O6 জাহমেস→  2CH3 – CH2 – OH + 2CO2

ইথানল

এ পদ্ধতিতে উৎপন্ন লঘু ইথানল (১৫-১৮%) এর সাথে ভেজালরূপে গ্লিসারিন, ইথানাল, এসিটোন ইত্যাদি উৎপন্ন হয়। এ মিশ্রণকে আংশিক পাতন করে রেকটিফাইড স্পিরিট (৯৫.৬% ইথানল ও ৪.৪% পানি) পাওয়া যায়। একে চুন যোগে পাতন করা হলে অনার্দ্র বিশুদ্ধ অ্যালকোহল ইথানল পাওয়া যায়। 

অ্যালকোহল, ফেনল, ইথার (Alcohol, phenol, ether)

ইথার (Ether)

চিটাগুড় হতে ইথানলের শিল্পোৎপাদন পদ্ধতি বর্ণনা কর। (Method of industrial production of ethanol from Molasses)

চিটাগুড়ঃ চিনি শিল্পের একটি প্রধান উপজাত হল চিটাগুড় । ইক্ষুরস হতে চিনির কেলাস তৈরী করার পর ঘন সিরাপের ন্যায় মাতৃদ্রবণকে চিটাগুড় বলে। এতে প্রায় ৩০% চিনি ও ৩২% ইনভার্ট চিনি থাকে। ইনভার্ট চিনি হল গুকোজ ও ফ্রকটোজের সম আণবিক মিশ্রণ। ফারমেন্টেশন পদ্ধতিতে নিমরূপে চিটাগুড় হতে ইথানল তৈরি করা যায় । 

চিটাগুড়কে পানি দ্বারা লঘু করে ১০% চিনির দ্রবণে পরিণত করা হয়। উৎপন্ন দ্রবণে ৩০°C তাপমাত্রায় ঈষ্ট যোগ করে মিশ্রণটিকে ২ বা ৩ দিন রেখে দেওয়া হয়। ঈষ্ট দু’ধরনের এনজাইম নিঃসৃত করে। যেমন- ইনভারটেস ও জাইমেস। ফলে গাঁজন প্রক্রিয়া শুরু হয় । ইনভারটেজ চিনিকে আর্দ্র বিশ্লেষিত করে গুকোজ ও ফ্রুকটোজে পরিণত করে এবং জাইমেস গুকোজ ও ফ্রুকটোজকে বিয়োজিত করে ইথানল ও CO2উৎপন্ন করে।

C12H22 O6+H2O ইনভারটেস→C6H12O6+C6H12O6 

চিনি গ্লুকোজ ফুকটোজ

C6H12O6জাইমেস→ 2C2H5 – OH + 2CO2

ইথানল এরূপে গাঁজনকৃত তরলে ৮% ইথানল থাকে। এই তরলকে অতঃপর আংশিক পাতন করা হলে রেকটিফাইড স্পিরিট (৯৫.৬% ইথানল এবং 44% পানি) পাওয়া যায়।

ইথানল হতে কিরূপে ব্রোমো ইথেন বা ইথাইল ব্রোমাইড পাওয়া যায়? (Bromo ethane or ethyl bromide is obtained from ethanol)

উত্তরঃ লোহিত ফসফরাস ও ব্রোমিনের মিশ্রণে ইথানল চালনা করা হলে ফসফরাস ও ব্রোমিনের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন ফসফরাস ট্রাই-ব্রোমাইড (PBr3) ইথানলের সাথে বিক্রিয়া করে ব্রোমো ইথেন উৎপন্ন করে ঃ 

2P + 3Br2→ 2PBr3 

3CH3CH2-OH + PBr3→3CH3CH2 – Br + H3PO3

অনুরূপে, 

3CH3CH2 – OH + PCl3 → 3CH3 – CH2-Cl + H3PO3

ক্লোরোইথেন

অ্যালকোহল (Alcohol)

অ্যালকোহলের জারণ বিক্রিয়া লিখ। (Oxidation of Alcohol)

উত্তরঃ 

(ক) ১° বা প্রাইমারী অ্যালকোহলের জারণঃ (1° or Primary Alcohol Oxidation): ১° অ্যালকোহল যেমন- ইথানল ক্ষারীয় KMnO4 বা H2SO4 যুক্ত K2Cr2O7 দ্বারা জারিত হয়ে প্রথমে ইথানল এবং পরে ইথানল এর জারণের ফলে ইথানয়িক এসিড উৎপন্ন হয়। এক্ষেত্রে অ্যালকোহল ও উৎপন্ন এসিডের কার্বন সংখ্যা সমান থাকেঃ 

CH3 – CH2 – OH + [O] KMnO4→H2SO4 CH3COH + H2O

  ইথান্যাল

CH3COH + O→ CH3COOH 

(খ) ২° বা সেকেন্ডারী অ্যালকোহলের জারণঃ (2° or Secondary Alcohol Oxidation): ২° অ্যালকোহল যেমন-প্রোপানল-২ H2SO4 যুক্ত K2Cr2O7 দ্বারা জারিত হয়ে প্রোপানোন উৎপন্ন করে। পরে উচ্চ তাপমাত্রায় প্রোপানোন জারিত হয়ে ইথানয়িক এসিড CO2 ও H2O উৎপন্ন করে। এক্ষেত্রে অ্যালকোহল হতে উৎপন্ন জৈব এসিডে কার্বনের সংখ্যা হ্রাস পায়ঃ

CH3COH + O→ CH3COOHKMnO4→H2SO4 CH3COCH3 + H2O

প্রোপানল-২ প্রোপানোন

      CH3COCH3 + 4[O] – →CH3COCH3 +CO2+ H2O

 (গ) ৩° বা টারশিয়ারী অ্যালকোহলের জারণঃ (3° or Tertiary Alcohol Oxidation): ৩ অ্যালকোহল যেমন ২-মিথাইল প্রোপানল-২ উত্তপ্ত অবস্থায় শক্তিশালী জারক যেমন H2SO4 যুক্ত K2Cr2O7 দ্বারা জারিত করা হলে প্রথমে অ্যালকোহলের নিরুদন ঘটে ২-মিথাইল প্রোপিন উৎপন্ন হয়। যা জারিত হয়ে প্রথমে প্রোপানোন এবং শেষে ইথানয়িক এসিড উৎপন্ন করে। এক্ষেত্রে উৎপন্ন এসিডে 2টি পরমাণুর সংস্পর দাহন ঘটে।

CH3 –C|CH3|CH3 – OH∆→CH3-C|CH3=CH2+H2O

    ২-মিথাইল প্রোপানল-২ ২-মিথাইল প্রোপিন

CH3 -C|CH3 = CH2 +4OK2Cr2O7→H2SO4CH3COCH3 + CO2 + H2O

প্রোপানোন

CH3COCH3 – 4OCH3COCH3 + CO2 + H2O

(ঘ) প্রভাবকীয় হাইড্রেজেন অপসারণ পদ্ধতিঃ অ্যালকোহল বাষ্পকে উত্তপ্ত কপার প্রভাবকের উপর দিয়ে চালনা করলে (১) প্রাইমারি অ্যালকোহল অ্যালডিহাইড ও H2 গ্যাস উৎপন্ন করে; (২) সেকেন্ডারি অ্যালকোহল কিটোন ও H2গ্যাস উৎপন্ন করে। কিন্তু (৩) । টারসিয়ারি অ্যালকোহল অ্যালকিন ও পানি বাষ্প উৎপন্ন করে। যেমন, 

1° অ্যালকোহলঃ প্রায় 300°C তাপমাত্রায় উত্তপ্ত কপার প্রভাবকের উপস্থিতিতে ইথানল নামক প্রাইমারি (1°) অ্যালকোহল বাষ্প থেকে হাইড্রোজেন অপসারণের ফলে অ্যাসিট্যালডিহাইড বা ইথান্যাল ও H2 উৎপন্ন হয়।

CH3 -CH2OHlCu300°C→  CH3 – CHO(g) + H2(g) 

  ইথানল (1°) অ্যাসিট্যালডিহাইড বা ইথান্যাল

2° অ্যালকোহলঃ উত্তপ্ত কপার প্রভাবকের উপস্থিতিতে প্রোপানল-২ নামক সেকেন্ডারি (2°) অ্যালকোহল বাষ্প থেকে হাইড্রোজেন অপসারণের ফলে প্রোপানোন বা অ্যাসিটোন নামক কিটোন ও H2 উৎপন্ন হয়।

CH32CH-OH+CH3lCu300°C→  CH3 – COg+ CH3l+H2g

2 প্রোপানল (2°) প্রোপানোন বা অ্যাটিটোন

3° অ্যালকোহলঃ উত্তপ্ত কপার প্রভাবকের উপস্থিতিতে 2-মিথাইল-2 প্রোপানল নামক টারসিয়ারি (3°) অ্যালকোহল বাষ্প থেকে পানি বাষ্প অপসারণের ফলে 2-মিথাইল প্রোপিন ও পানি উৎপন্ন হয়।

CH3-          C(OH)|CH3-CH3(l) Cu300°C→CH3-C|CH3= CH2(g) + H2O(g)

  2-মিথাইল প্রোপানল (3°) 2-মিথাইল প্রোপিন