তড়িৎ ক্ষেত্রের প্রাবল্য (electric field intensity)
আধানবল
[MLT−3I1]
NC−1 বা, Vm−1
ক্রমিকনম্বর
প্রাকৃতিকরাশি
সম্পর্ক
মাত্রা
এস.আই. একক
৫০।
তড়িৎ রোধ (electric resistance)
(প্রবাহমাত্রা)2ক্ষমতা
ML2T−3I−2
Ohm(Ω)
৫১।
তড়িৎ রোধাঙ্ক (electrical resistivity)
দৈর্ঘ্যতড়িৎরোধ×প্রস্থচ্ছেদ
[ML3T−3I−2]
Ohm-m
৫২।
তড়িৎ দ্বিমেরু ভ্রামক (electric dipole moment)
আধান ×দূরত্ব
[ITL]
C-m
৫৩।
ধারকত্ব (capacitance)
বিভবপার্থক্যআধান
[M−1L−2T4I2]
Farad (F)
৫৪।
স্টিফান ধ্রুবক (Stefan’s constant)
ক্ষেত্রফল×সময়×(উষ্ণতা)4বিকীর্ণতাপ
MLT−3θ−4
Wm−2K−4
৫৫।
চৌম্বক মেরুশক্তি (magnetic pole strength)
দৈর্ঘ্যচৌম্বকভ্রামক
[IL−1]
A-m
৫৬।
স্বাবেশাঙ্ক (self inductance)
প্রবাহমাত্রাপরিবর্তনেরহারবিভবপার্থক্য
[ML2T−2I−2]
Henry (H)
৫৭।
চৌম্বক দ্বিমেরু ভ্রামক (magnetic dipole moment)
চৌম্বকদৈর্ঘ্য×মেরুশক্তিপ্রবাহমাত্রা×ক্ষেত্রফল
[IL2]
A-m2
৫৮।
চৌম্বক প্রবাহ ঘনত্ব (magnetic flux density)
প্রবাহমাত্রা×দৈর্ঘ্যবল
[MT2I−1]
mathrmWbm−2
৫৯।
চৌম্বক ফ্লাক্স (magnetic flux)
চৌম্বক প্রবাহ ঘনত্ব×ক্ষেত্রফল
[ML2T−2I−1]
Wb
৬০।
কৌণিক বেগ (angular velocity)
(i)
[T−1]
Rads−1
৬১।
কৌণিক ত্বরণ (angular acceleration)
α
[T−2]
rads−2
৬২।
পৃষ্ঠ শক্তি (surface energy)
E
[MT−2]
Jm−2 বা, Nm−1
৬৩।
তরঙ্গের তীব্রতা (intensity of wave)
শক্তি ঘনত্ব ×তরঙ্গ বেগ
[MLT−3]
Jm−2s−1বা,Wm−2
পরিমাপের মূলনীতি (Basic principle of measurements) :
আমরা জানি কোনো কিছুর মাপ-জোখের নাম পরিমাপ। পরিমাপ ছাড়া কোনো রাশি সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান লাভ করা সম্ভব নয়। প্রকৃত প্রস্তাবে পদার্থবিজ্ঞানের মূল ভিত্তি হলো বিভিন্ন রাশির পরিমাপ গ্রহণ। এজন্য পদার্থবিজ্ঞানকে পরিমাপবিজ্ঞান বলে।
কোনো রাশি সম্বন্ধে আমরা দু’ভাবে জ্ঞান লাভ করতে পারি—একটি গুণগত ও অন্যটি পরিমাণগত। বস্তু ও শক্তির বৈশিষ্ট্যকে আমরা ইন্দ্রিয়াদির সাহায্যে অনুভব করতে পারি ও ভাষায় প্রকাশ করতে পারি। বস্তু ও শক্তি সম্বন্ধে এটাই আমাদের গুণগত জ্ঞান। কিন্তু এদের সম্বন্ধে পরিমাণগত জ্ঞান লাভ করতে হলেই পরিমাপের একান্ত প্রয়োজন এবং এই পরিমাপের জন্য মাপকাঠির আবশ্যক।
কোনো একটি প্রাকৃতিক রাশি পরিমাপ করতে হলে তার একটি নির্দিষ্ট ও সুবিধাজনক অংশ বা খণ্ডকে আদর্শ (Standard) হিসেবে ধরে নিয়ে সেই রাশির পরিমাপ করা হয় এবং সর্বত্র ওই নির্দিষ্ট অংশেরই প্রচলন করা হয়। পরিমাপের এই আদর্শকে ওই রাশির একক বা মাপকাঠি বলে।
যদি বলা হয় একটি কামরা 20 মিটার লম্বা, তবে আমরা বুঝি যে মিটার নামক একটি নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যকে আদর্শ হিসেবে ধরে নেয়া হয়েছে, যার তুলনায় কামরাটি 20 গুণ লম্বা। আবার যদি বলা হয় একটি বস্তুর ভর 10 কিলোগ্রাম, তবে বুঝতে হবে যে, কিলোগ্রাম নামক একটি নির্দিষ্ট ভরকে আদর্শ হিসেবে ধরে নেয়া হয়েছে যার তুলনায় বস্তুর মােট ভর 10 গুণ।
সুতরাং একটি রাশির মধ্যে তার একক যতবার থাকবে সেই সংখ্যাই হবে ওই রাশির মাপ নির্দেশক এবং যে কোনো রাশির পরিমাপ নিতে হলে দুটি জিনিসের প্রয়োজন। একটি হলো সংখ্যা, অপরটি হলো একক। একটি ছাড়া অপরটি অর্থহীন। যেমন রেশন ব্যাগে 10 কিলোগ্রাম চাউল আছে। এখানে ভর একটি রাশি, ’10’ একটি সংখ্যা এবং ‘কিলােগ্রাম’ একক। কিন্তু যদি বলা যায় রেশন ব্যাগে চাউলের ভর 10, তবে তার কোনো অর্থ হয় না। শুধু সংখ্যা দ্বারা রাশি প্রকাশ করা যায় না, এককও বলতে হয়।
সুতরাং রাশির মাপ = সংখ্যা x একক। এটিই হলো পরিমাপের মূলনীতি।