বজ্রপাত ও N ফিক্সেশন
বজ্রপাত ও N ফিক্সেশন (Lightning and N-Fixation)
প্রশ্ন-৫ : নাইট্রোজেন সংবদ্ধকরণ বলতে কি বুঝ ?
উত্তর : যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলে মুক্ত যৌগে পরিণত এবং ব্যবহার উপযোগী করে আবদ্ধ করে রাখা হয় সে প্রক্রিয়াকে N–Fixation বা সংবদ্ধকরণ বলা হয়।
নিম্নোক্ত ২টি পদ্ধতিতে সংবদ্ধকরণ করা হয়-
(১) প্রাকৃতিক পদ্ধতি :
(ক) বজ্রপাতের সময় মিলে NO গ্যাসে পরিণত হয় যা অতিরিক্ত এবং পানির সাথে বিক্রিয়া করে নাইট্রিক এসিডে পরিণত হয় যা ভূপৃষ্ঠে Ca লবণের সাথে বিক্রিয়া করে এ পরিণত হয়ে নাইট্রেট লবণ হিসেবে আবদ্ধ থাকে।
(খ) কতিপয় উদ্ভিদের শিকড়ের গুটিতে এক ধরণের সিমবায়োটিক জীবাণু অবস্থান করে যা বায়ুর গ্যাসকে শোষণ করে উদ্ভিদের Protean উৎপাদনে সাহায্য করে।
২) কৃত্রিম পদ্ধতি :
(ক) হেবার পদ্ধতিতে শিল্পোৎপাদনের ক্ষেত্রে বায়ুর কে বিভিন্ন শর্তাধীনে বিক্রিয়ার মাধ্যমে হিসেবে আবদ্ধ করা হয়।
(খ) এর শিল্প উৎপাদনশীলকালে বৈদ্যতিক চুল্লীতে প্রায় 3000℃ তাপমাত্রায় এর বিক্রিয়ার মাধ্যমে NO গ্যাস তৈরী করা হয় যা নিম্নরূপ বিক্রিয়ার মাধ্যমে এ পরিণত হয়।
প্রশ্ন-৬ : বজ্রপাতের সময় বায়ুমণ্ডলের সংঘটিত বিক্রিয়া।
উত্তর : সাধারণ তাপমাত্রায় এবং বিক্রিয়া করে না। কে অ্যাজোট বা নিস্ক্রিয় মৌল বলা হয়। বৃষ্টির সময় মেঘে মেঘে প্রচণ্ড গতিতে সংঘর্ষ হলে বজ্রপাতের সময় ঐ স্থানের এই তাপমাত্রা হয় প্রায় 3000℃। এই তাপমাত্রায় বায়ুস্থ এর মধ্যে বিক্রিয়া করে প্রথমে NO, পরে এটি বায়ুর অক্সিজেন দ্বারা জারিত হয়ে এ পরিণত হয়। সর্বশেষ বায়ুর অক্সিজেন এবং বৃষ্টির পানির সাথে বিক্রিয়া করে এ পরিণত হয়।
প্রশ্ন-৭ : সংঘবদ্ধ বায়ুস্থ কীভাবে বায়ুমণ্ডলে ফিরে যায় ?
উত্তর : উদ্ভিদ ও প্রাণীর মৃত্যুর পর বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া দ্বারা জীবদেহের পচন ঘটে। ফলে জীবদেহের প্রোটিন নাইট্রোসোফাইং জীবাণুর প্রভাবে বিয়োজিত হয়ে গ্যাস পরিণত হয়। এই গ্যাস নাইট্রোসোমোনাস জীবাণুর প্রভাবে জারিত হয়ে গঠন করে, যা পরে লবণ তৈরি করে এবং বাকি অংশ ডি- নাইট্রিফাইং জীবাণুর প্রভাবে বিয়োজিত হয়ে গ্যাসে পরিণত হয়ে বায়ুমণ্ডল ফিরে যায়। এতে বায়ুমণ্ডলের এর পরিমাণ (প্রায় 78% আয়তনে) স্থির থাকে।