Chordata (কর্ডাটা)
Phylum – 9 : Chordata (কর্ডাটা)
ল্যাটিন, chorda = cord, রজ্জু + গ্রিক ata = to bear, বহন করা
পর্ব Chordata-র বৈশিষ্ট্য:
- নটোকর্ড : ভ্রণাবস্থায় অথবা আজীবন কর্ডেটের পৃষ্ঠ-মধ্যরেখা বরাবর দন্ডাকার ও স্থিতিস্থাপক নিরেট নটোকর্ড (notochord: গ্রিক, notun = back, পিঠ + ল্যাটিন, chorda = cord, রজ্জু) থাকে। উন্নত প্রাণীদের পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় এটি মেরুদণ্ড (vertebral column) দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়। এসব প্রাণীকে তখন মেরুদন্ডী প্রাণী (vertebrates) নামে অভিহিত করা হয়।
- স্নায়ুরজ্জু : নটোকর্ডের ঠিক উপরে লম্ব অক্ষ বরাবর নলাকার স্নায়ুরজ্জু (spinal cord) গঠন করে।
- গলবিলীয় ফুলকা রন্ধ্র: জীবনের যে কোনো দশায় যা আজীবন কর্ডেটে গলবিলের দুপাশে কয়েক জোড়া ফুলকা রন্ধ্র (gill slits) থাকে (উন্নত কর্ডেটে ফুলকা রন্ধ্রের বিলোপ ঘটে)।
- এন্ডোস্টাইল : গলবিলের নিচে এন্ডোস্টাইল(endostyle) নামক অঙ্গ থাকে, এটি পরবর্তীতে থাইরয়েড গ্রন্থিতে রূপান্তরিত হয়।
- রক্ত সংবহন তন্ত্র : কর্ডেটের রক্ত সংবহনতন্ত্র বন্ধ ধরনের; অর্থাৎ রক্ত সর্বদাই রক্ত বাহিকা ও হৃদযন্ত্রের ভিতর আবদ্ধ থেকেই প্রবাহিত হয়, কখনোই দেহগহব্বরে মুক্ত হয় না। রক্তের লোহিত কণিকায় হিমোগ্লোবিন থাকে। এদের সংবহনতন্ত্রে পোর্টালতন্ত্র বিদ্যামান।
- হৃদপিণ্ডের অবস্থান : কর্ডেটে হৃদপিণ্ড অঙ্কীয়দেশে অবস্থান করে।
- পার্শ্বপদ : মেরুদন্ডীদের দুজোড়া পার্শ্বপদ থাকে যা অন্তঃকালে অবলম্বিত।
- লেজ : ভ্রুণ দশায় পায়ুর পশ্চাতে পেশল স্থিতিস্থাপক লেজ (post-anal tail) থাকে। অনেক ক্ষেত্রে এটিই পরবর্তীতে বিলীন হয়ে যায়।
- খন্ডকায়ন : কার্ডেটের খন্ডকায়ন দেহপ্রাচীর, মস্তিষ্ক ও লেজে সীমাবদ্ধ থাকে, সিলোম পর্যন্ত পৌঁছায় না।