10 Minute School
Log in

Porifera (পরিফেরা) বা ছিদ্রাল প্রাণী

Phylam-1 : Porifera (পরিফেরা) বা ছিদ্রাল প্রাণী

[ ল্যাটিন, porus = pore, ছিদ্র + fer= to bear, বহনকারী ]

পর্ব Porifera-র বৈশিষ্ট্য 

  1. দেহ অসংখ্য কোষ নির্মিত হলেও কোষগুলো সুবিন্যস্ত হয়ে টিস্যু (tissue) গঠন করে না অর্থাৎ এরা কোষীয় মাত্রার গঠন বিশিষ্ট প্রাণী। Porifera
  2. দেহপ্রাচীর অস্টিয়া (ostia) নামক অসংখ্য ছিদ্রযুক্ত।
  3. দেহে সংবহনতন্ত্রের বিকল্প হিসেবে পানি প্রবাহের জন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ নালিতন্ত্র (canal system) দেখা যায়। অস্ট্রিয়াপথে নালিকার মধ্য দিয়ে পানির স্রোতের মাধ্যমে খাদ্য, অক্সিজেন ও শুক্রাণু প্রবেশ করে
  4. স্পিকিউল (spicule) নামক অসংখ্য চুনময় ক্ষুদ্র কাটা অথবা স্পঞ্জিন নামক এক ধরনের জৈব দেহের কাঠামো গঠন করে।

    Porifera

  5. অন্তঃপ্রাচীরে কোয়ানোসাইট (choanocyte) নামে বিশেষ ফ্লাজেলাযুক্ত কষে পরিবেষ্টিত এক বা একাধিক প্রকোষ্ঠ রয়েছে।
  6. নালিতন্ত্র দেহের ভিতর অবস্থিত স্পঞ্জশীল (spongoceol) নামে একটি প্রশস্ত গহবর মিলিত হয়, এবং শীর্ষ প্রান্তে অসক্যুলাম (osculum) নামে একটি বড় প্রান্তিক ছিদ্রপথে দেহের বাইরে উন্মুক্ত হয়। 
  7. পূর্ণাঙ্গ প্রাণীরা নিশ্চল (sessile); অর্থাৎ কোন বস্তুর সাথে স্থায়ীভাবে যুক্ত থাকে।
  8. জীবনচক্রে সঞ্চরণশীল Amphiblastula অথবা লার্ভা parenchyma বিদ্যমান।

Porifera পর্বকে ৩টি (শ্রেণী)তে ভাগ করা হয়েছে :  

Class-1 : calcarea (যেমন- মটকা স্পঞ্জ)

Class-2 : Hexactinellida (যেমন- দড়ি স্পঞ্জ)

Class-3 : Demospongiae (যেমন-মিঠা পানির স্পঞ্জ)