- স্কুল-কলেজ ও ইউনিভার্সিটিতে পড়ুয়া যেকোনো ডিপার্টমেন্ট/গ্রুপের ছাত্রছাত্রী
- চাকরি বা ব্যবসার পাশাপাশি যারা Graphic Design শিখে Extra টাকা ইনকাম করতে চান
- যারা গ্রাফিক ডিজাইন শিখতে আগ্রহী কিংবা এই ইন্ডাস্ট্রিতে ক্যারিয়ার গড়তে চান
- চাকরি সন্ধানী এবং যারা একটি আয়ের মাধ্যম খুঁজছেন
- যেকোনো বয়স-শ্রেণি-পেশার মানুষ, যারা ডিজাইন শিখে চাকরি বা ফ্রিল্যান্সিং করতে আগ্রহী

- বেসিক টু প্রফেশনাল লেভেল
- অর্থাৎ, শূন্য থেকে শুরু করে প্রফেশনাল গ্রাফিক ডিজাইনার হওয়ার গাইডলাইন

- গ্রাফিক ডিজাইন এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে কীভাবে টাকা আয় করতে হয়, তা শিখবেন
- অ্যাডোবি ফটোশপের বিভিন্ন টুলস ও ডিজাইন থিওরি শিখে প্রফেশনালভাবে Photo Edit, Retouch, Image Manipulation ও প্রফেশনাল ডিজাইন করতে পারবেন
- অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটরের বিভিন্ন টুলস ও ডিজাইনের থিওরি শিখে প্রফেশনাল লেভেলের শত শত ডিজিটাল এবং প্রিন্ট এলিমেন্ট ডিজাইন করতে পারবেন
- অ্যাডোবি ইনডিজাইনের বিভিন্ন টুল শিখে ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোজেক্ট ডিজাইন করতে পারবেন
- দেশি-বিদেশি যেকোনো কোম্পানির জন্য গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে পারবেন

১। ভিডিও সংখ্যাঃ ৭৯টি ভিডিও
২। অ্যাসাইনমেন্ট সাবমিশন ও ফিডব্যাকঃ
ক। পুরো কোর্সে ৩টি প্রোজেক্ট সাবমিট করার সুযোগ থাকবে। 
- প্রথমটি Adobe Photoshop-চ্যাপ্টারের পরে 
- দ্বিতীয়টি Adobe Illustrator এর পরে 
- তৃতীয়টি হবে সর্বশেষ চ্যাপ্টার শেষ হবার পরে।
খ। অ্যাসাইনমেন্ট এর বিস্তারিত বিষয় এবং তা সাবমিট করার প্রক্রিয়া বর্ণনা করা থাকবে কোর্সের অভ্যন্তরে এবং এক্সক্লুসিভ ফেসবুক গ্রুপে। 
গ। অ্যাসাইনমেন্ট সাবমিট করার ৫ (পাঁচ) কর্মদিবসের মধ্যে তার উপর ফিডব্যাক বা কমেন্ট প্রদান করা হবে। 

৩। ফেসবুক সাপোর্ট গ্রুপ
যারা এই কোর্সে ভর্তি হচ্ছেন, তাদের জন্য থাকবে একটি সিক্রেট ফেসবুক সাপোর্ট গ্রুপ। এই গ্রুপে যে সব এক্টিভিটি চলবে তা হলো-

• শিক্ষার্থীদের সাধারণ প্রশ্ন-উত্তর
• শিক্ষার্থীদের রেগুলার ডিজাইন সাবমিশন
• লাইভ প্রবলেম সলভিং ক্লাস (প্রতি মাসে দুইটি)
• কোর্সের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের ডিজাইন দেখা, কমেন্ট করা ও নেটওয়ার্কিং
• প্রতিমাসে একটি করে ক্যারিয়ার গাইডলাইন সেশন

৪। প্রবলেম সলভিং ক্লাস

প্রতি মাসে ফেসবুক সাপোর্ট গ্রুপে প্রবলেম সলভিং ক্লাস করানো হবে। ক্লাসের পূর্বেই স্টুডেন্টদের প্রশ্ন/সমস্যা জেনে নেওয়া হবে। ঐ সমস্যাগুলোর ভিত্তিতে এবং প্রাসঙ্গিক টপিকের উপর ক্লাস সংঘটিত হবে।

৫। গ্রাফিক ডিজাইন কন্টেন্ট লাইব্রেরি

এই কোর্সের সকল শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে একটি ফ্রি ডিজাইন কন্টেন্ট লাইব্রেরি। শিক্ষার্থীরা তাদের প্র্যাকটিসের জন্য এই কন্টেন্টগুলো ফ্রি-তে ব্যবহার করতে পারবে। ডিজাইন কন্টেন্ট লাইব্রেরিতে যা যা থাকবে-

• ফ্রি ফন্ট (.ttf অথবা .otf)
• ফ্রি আইকন সেট (.png অথবা .eps)
• বিভিন্ন রকম ইলাস্ট্রেশন (.ai অথবা .eps)
• ডিজাইন করা PSD ফাইল
• ডিজাইন করা Ai ফাইল
• কন্টেন্ট স্পেসিফিক Mock up (.psd)

বাংলাদেশে বর্তমানে বেকারের সংখ্যা প্রায় ২৭ লক্ষ। বাংলাদেশে প্রতি বছর ৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ অনার্স বা সমমানের ডিগ্রি পাশ করেন। কিন্তু, সে অনুযায়ী বাংলাদেশে সম্ভাব্য ছোট-বড় চাকরির সংখ্যা ২ লক্ষেরও কম। এই কারণে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেড়েই চলছে। বেকারত্ব বৃদ্ধি পাওয়ার আরও একটি বড় কারণ হচ্ছে- প্রত্যাশা অনুযায়ী চাকরি না পাওয়া এবং বেতনের অসামঞ্জস্যতা। এই সকল সমস্যার একটি উত্তম সমাধান হচ্ছে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করা। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে বেকার সমস্যা যেমন সমাধান হতে পারে, তেমনি প্রত্যাশা অনুযায়ী আয়ও বৃদ্ধি করা যেতে পারে।

২০২২ সালে গ্রাফিক ডিজাইন ইন্ডাস্ট্রির গ্লোবাল জব মার্কেট সাইজ ছিল ৪৮০০ কোটি মার্কিন ডলার। প্রতি বছর যে হারে এই মার্কেট সাইজ বড় হচ্ছে, সেই হারে গ্রাফিক ডিজাইনারদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ্রাফিক ডিজাইনারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু গ্রাফিক ডিজাইনের নানারকম টুল, থিউরি এবং অ্যাপ্লিকেশন জানেন ও পারেন, এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। তাই, যারা গ্রাফিক ডিজাইন শিখতে আগ্রহী; যারা গ্রাফিক ডিজাইন শিখে চাকরি বা ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করতে চায়; কিংবা ডিজাইন জগতে নিজেকে যুগের সাথে আপডেটেড রাখতে চায়, তাদের জন্য প্রফেশনালভাবে গ্রাফিক ডিজাইন শেখা অত্যাবশ্যক। এই কোর্সে গ্রাফিক ডিজাইনের বেসিক বিষয়গুলো থেকে শুরু করে অ্যাডভান্সড বিষয়গুলো শেখানো হয়েছে ধাপে ধাপে, প্রোজেক্ট করার মাধ্যমে। পাশাপাশি, ফ্রিল্যান্সিং জগতে নিয়ে বিস্তারিতভাবে শেখা যাবে এই কোর্সে, যেমন- ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট তৈরি করা, প্রফেশনালভাবে প্রোফাইল সেটআপ করা, পোর্টফোলিও তৈরি করা, গিগ-প্রোজেক্ট তৈরি করা, ক্লায়েন্ট কমিউনিকেশন করা, ডলার আয় করে তা দেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা ইত্যাদি। তাই যারা নিজেকে বেকারত্ব থেকে বাঁচিয়ে উন্নত আর্থিক অবস্থানে পৌঁছাতে চায়, তাদের জন্য গ্রাফিক ডিজাইন শিখে ফ্রিল্যান্সিং করা কিংবা দেশি-বিদেশি কোম্পানিতে চাকরি করা একটি চমৎকার সমাধান হতে পারে।

‘Graphic Design করে Freelancing Course’ এর কারিকুলাম, লেসন, নোট, কুইজ ও অ্যাসাইনমেন্টগুলো Pedagogical Hierarchy বজায় রেখে তৈরি করা হয়েছে। বেসিক লেসন থেকে শুরু করে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে ডিজাইন করার পূর্ণাঙ্গ বিষয়াদি শেখানো হয়েছে এই কোর্সে। একজন স্কুল পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রী থেকে শুরু করে চাকরি সন্ধানী বা চাকরিজীবী কিংবা টেকনিক্যাল স্কিল নেই, এমন যে কেউই “Graphic Design Course” যথাযথভাবে সম্পন্ন করে, নিজেকে একজন প্রফেশনাল গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন এবং অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে প্রত্যাশা অনুযায়ী আয় করতে পারবেন।

ক্যারিয়ার ট্র্যাক এর ভিন্নতার প্রেক্ষিতে, ‘Graphic Design Course’-এ বাংলাদেশের ২ জন স্বনামধন্য ডিজাইনার গ্রাফিক ডিজাইন শিখিয়েছেন। তারা হলেন- এ এস এম আরিফ এবং কামরুজ্জামান শিশির।

ইন্সট্রাক্টর ১: এ এস এম আরিফ (ASM Arif)

এ এস এম আরিফ গ্রাফিক ডিজাইন জগতে ৯ বছরেরও বেশি সময় ধরে চাকরি করছেন। ৩টি ভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে বর্তমানে তিনি র‍্যাংকন বাংলাদেশে ক্রিয়েটিভ ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন। এখন পর্যন্ত ১০০০ এরও বেশি শিক্ষার্থীকে তিনি গ্রাফিক ডিজাইন শিখিয়েছেন।

ইন্সট্রাক্টর ২: কামরুজ্জামান শিশির (Kamruzzaman Shishir)

কামরুজ্জামান শিশির গ্রাফিক ডিজাইন নিয়ে গত ৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করছেন। আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে, বর্তমানে তিনি ফাইভার মার্কেটপ্লেসে একজন টপ-রেটেড ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করছেন। তিনি এখন পর্যন্ত ১২০০ এর বেশি শিক্ষার্থীকে গ্রাফিক ডিজাইন শিখিয়েছেন।

ফ্রিল্যান্সিং কিংবা চাকরি, ক্যারিয়ারের লক্ষ্য যা-ই হউক না কেনো উদ্দেশ্য একটাই- ঐ স্কিলের মাধ্যমে টাকা আয় করা। তাই, একটি স্কিল এমনভাবে যোগ্য মেন্টরের কাছে শেখা উচিৎ, যেন তা আপনাকে দক্ষ বা উপার্জনক্ষম করে গড়ে তোলে। আমাদের এই কোর্সে আছে ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্ট ইন্সট্রাক্টর। এই কোর্সটি যথাযথভাবে নিয়মানুযায়ী সম্পন্ন করতে পারলে, আপনি হয়ে উঠবেন একজন দক্ষ ও প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্স গ্রাফিক ডিজাইনার। তাই, নিজের প্রতিভাকে মেলে ধরতে, ভবিষ্যতে ভালো আয় করার লক্ষ্যে এখনই ভর্তি হয়ে যান টেন মিনিট স্কুলের ‘Graphic Design Course’ -এ।