10 Minute School
Log in

প্রাণীজগৎ

প্রাণী

পর্ব   উদাহরণ বৈজ্ঞানিক নাম
Protozoa (বর্তমানে Protista-র Sub-Kingdom-এর অন্তর্ভুক্ত)  অ্যামিবা Amoeba proteus 
Porifera  স্পঞ্জিলা Spongilla fragilis
Cnidaria (Coelenterata) হাইড্রা Hydra vulgaris
Platyhelminthes  ফিতাকৃমি Taenia solium
Nematoda গোলকৃমি  Ascaris lumbricoides
Annelida  কেঁচো Pheretima posthuma
Arthropoda  মাছি Musca domestica
Mollusca শামুক Pila globosa
Echinodermata  সমুদ্র তারা Asterias rubens
Cordata ব্যাঙ Bufo melanostictus

ক্যামিলিওন:

ছোট থেকে মাঝারি আকারের Chamaeleonidae গোত্রের প্রায় ১৫০টিরও বেশি টিকটিকি জাতীয় সরীসৃপ প্রজাতির সাধারণ নাম হলো ক্যামিলিওন। এরা প্রধানত আফ্রিকায় বাস করে।

লিমুলাস বা রাজকাঁকড়া নামক সন্ধিপদী প্রাণী, স্ফেনোডন নামক সরীসৃপ প্রাণী, প্লাটিপাস নামক স্তন্যপায়ী প্রাণী ইত্যাদি এবং ইকুইজিটাম, নিটাম এবং গিঙ্কো বাইলোবা নামের উদ্ভিদগুলো জীবন্ত জীবাশ্মের উদাহরণ।

পরজীবী

ম্যালেরিয়ার জীবাণু আবিষ্কারক

ভারতে কর্মরত ইংরেজ ডাক্তার মেজর রোনাল্ড রস ১৮৯৭ সালে ম্যালেরিয়ার জীবাণুর জীবনচক্রের উপর গবেষণা করে বলেন যে স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়ার জীবাণু বহন করে। এ আবিষ্কারের জন্য তিনি নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। বিজ্ঞানী Torti সর্বপ্রথম ম্যালেরিয়া শব্দটি ব্যবহার করেন। 

ম্যালেরিয়ার সুপ্তাবস্থা

মানবদেহে ম্যালেরিয়ার জীবাণু প্রবেশ করার পর থেকে ম্যালেরিয়া রোগের লক্ষণ প্রকাশ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সময়কে ম্যালেরিয়ার সুপ্তাবস্থা বলে।

  • ম্যালেরিয়া শব্দের অর্থ – দূষিত বাতাস।

 ম্যালেরিয়া জীবাণুর চারটি প্রজাতি আছে। ম্যালেরিয়ার পরজীবীর নাম:

  • Plasmodium falciparum 
  • Plasmodium malariae
  • Plasmodium vivax
  • Plasmodium ovale

ফ্যালেরিয়া ওয়ার্ম

এটি দেখতে সুতার মত এক প্রকার কৃমি। এরা মানুষের রক্তে বাস করে। স্ত্রী কিউলেক্স মশা এ কৃমির বিস্তারে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। বৃহত্তর দিনাজপুর অঞ্চলে এর প্রকোপ দেখা যায়। এটি মানুষের গোদ রোগ সৃষ্টি করে। আক্রান্ত মানুষের দেহে জ্বর, মাথাব্যথা দেখা দেয়। কোনো কোনো সময় হাত, পা, স্তন, অণ্ডকোষ ফুলে যায় ।

অমেরুদণ্ডী প্রাণী

শামুক ও ঝিনুক মলাস্কা পর্বের অমেরুদণ্ডী প্রাণী।

  • এদের দেহ কোমল, খণ্ডকবিহীন, দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসম। 
  • এদের মস্তক সুস্পষ্ট ও জ্ঞানেন্দ্রিয়সম্পন্ন। 
  • অধিকাংশ প্রাণীর দেহ ক্যালসিয়াম কার্বনেট নির্মিত খোলকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ঢাকা থাকে। 
  • দেহের আন্তঃঅঙ্গ পেশীযুক্ত আবরক বা ম্যান্টল দিয়ে ঢাকা থাকে। 
  • এদের গমন অঙ্গ হলো অঙ্কীয় মাংসল পদ অথবা মস্তক অংশে অবস্থিত কর্ষিকা।

প্রবাল হচ্ছে প্রবাল কীট নামক আঠালো এক প্রকার সামুদ্রিক প্রাণীর কঙ্কাল।

  • চুনের মত পদার্থ প্রবাল কীট নিঃসরণ করে যা হতে কঙ্কাল তৈরি হয়। 
  • প্রবাল কীট নিজ দেহের সাথে অসংখ্য প্রবাল কীটের সংযোগ ঘটায়। এভাবে লক্ষ লক্ষ প্রবালের একটি বসতি গড়ে ওঠে। সমুদ্রে স্তরের পর স্তর সজ্জিত হয়ে তৈরি হয় প্রবাল প্রাচীর (Coral Reef) বা প্রবাল দ্বীপ। বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন একটি প্রবাল দ্বীপ।

সাপ উপাঙ্গবিহীন, সরু, লম্বা দেহযুক্ত এবং আঁকা-বাঁকা চলনসম্পন্ন সরীসৃপ। 

  • এদের কর্ণপটহ বা টিমপেনাম ও চোখের পাতা নেই। 
  • দ্বিখণ্ডিত লিকলিকে জিহ্বা ঘ্রাণ ইন্দ্রিয়ের কাজ করে। 
  • মাটিতে শব্দ বা কম্পন সৃষ্টি হলে সাপের ত্বক তা স্নায়ু সাহায্যে অনুভব করে। এভাবেই সাপ শোনার কাজ করে।

উড়ন্ত সাপ হলো যে সাপ উড়ে এক স্থান হতে অন্য স্থানে বা এক গাছ থেকে অন্য গাছে যেতে পারে। ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়াতে কিছু সাপ আছে যেগুলো দেহকে রিবনের মত করে চ্যাপ্টা করে ফেলতে পারে।

পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা ও ভারী সাপ হলো অ্যানাকোন্ডা। এরা শিকারকে পেঁচিয়ে মেরে ফেলে গলাধঃকরণ করে থাকে। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত সবচেয়ে বড় অ্যানাকোন্ডার দৈর্ঘ্য সোয়া দশ মিটার। মজার বিষয় হলো, অ্যানাকোন্ডা কিন্তু বিষাক্ত নয়।

শীতলরক্তের প্রাণীদের গ্রীষ্মকালীন নিষ্ক্রিয় জীবন-যাপন করাকে গ্রীষ্মনিদ্রা বা অ্যাসটিভেশন বলে। উদাহরণস্বরূপ: গ্রীষ্মকালে ফুসফুসবিশিষ্ট মাছ বা লাং ফিস (Lung Fish) নিষ্ক্রিয় জীবনযাপন করে।

শীতলরক্তের প্রাণীদের শীতকালীন নিষ্ক্রিয় জীবন-যাপন করাকে শীতনিদ্রা বা হাইবারনেশন বলে। উভচর ব্যতীত কিছু কিছু মাছ এবং সরীসৃপও শীতনিদ্রা গমন করে।

উভচর প্রাণী

ব্যাঙের লার্ভাকে ব্যাঙাচি বলে। ব্যাঙের ডিম্ব নিষেকের প্রায় ১৫ দিন পর নিষিক্ত ডিম্ব প্রস্ফুটিত হয়ে একটি ক্ষুদ্রাকার কালো বর্ণের লার্ভা বের হয়ে আসে। ব্যাঙাচির তিন জোড়া ফুলকা থাকে। ব্যাঙাচি বহিঃফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়।

Metamorphosis এর অর্থ আকৃতি পরিবর্তনের প্রক্রিয়া। যে প্রক্রিয়ায় একটি প্রাণী ভ্রূণ হতে পূর্ণাঙ্গ প্রাণীতে পরিণত হয়ে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক আকার-আকৃতি পরিবর্তন করে থাকে, তাকে রূপান্তর বলে। 

‘ম্যাড ক্র্যাব’ – এটি এক ধরনের কাঁকড়া। এ জাতীয় কাঁকড়া বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের লোনা পানিতে জন্মে থাকে। বাংলাদেশ থেকে বিদেশে ম্যাড ক্র্যাব রপ্তানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। বাগদা চিংড়ির সাথে এটির একই পরিবেশে এর চাষ সম্ভব।

শুশুক বা ডলফিন

  • শুশুক বা ডলফিন এবং তিমি স্তন্যপায়ী প্রাণী। এদের ফুলকা নেই। 
  • এরা তরুণাস্থিময় বলে এদের মাথার উপর অবস্থিত আড়াআড়ি ছিদ্রের মাধ্যমে অক্সিজেন গ্রহণ করে। তাই শুশুক এবং নীল তিমি পানিতে বাস করলেও তারা মাঝে মাঝে উপরে উঠে এসে বাতাসে নিঃশ্বাস নেয়। 
  • তিমি একবার নিঃশ্বাস নিয়ে গড়ে ৬০ মিনিট পর্যন্ত পানির নিচে থাকতে পারে।

মাছ

Sailfish হচ্ছে সবচেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন মাছ। এদের গড় গতিবেগ ৭১ মাইল/ঘণ্টা। 

মাছের দেহে জোড় বিজোড় পাখনা থাকে যা দিয়ে মাছ সাঁতার কাটে। মাছ ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায় এবং সব মাছই ডিম পাড়ে।

মাছকে শীতল রক্তবিশিষ্ট প্রাণী বলা হয় কারণ পরিবেশের তাপের সঙ্গে খাপ খাইয়ে এদের দেহের তাপ উঠানামা করে। 

ইলিশ মাছের বৈজ্ঞানিক নাম Tenualosa ilisha

সামুদ্রিক মাছে আয়োডিন থাকে। কড এবং হাঙ্গর মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন A, D ও ক্যালসিয়াম থাকে।

মাছ তার শ্বসনকার্যের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন গ্রহণ করে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন হতে। মাছ ফুলকার সাহায্যে এ অক্সিজেন গ্রহণ করে।

চিংড়ির দেহ কাইটিন নামক শক্ত খোলস দ্বারা আবৃত থাকে।