10 Minute School
Log in

উপাঙ্গীয় কঙ্কাল এবং নিম্নাঙ্গের অস্থিসমূহ

উপাঙ্গীয় কঙ্কাল (Appendicular Skeleton)

ঊর্ধ্বাঙ্গ (দুই বাহু ও বক্ষ-অস্থিচক্র) ও নিম্নাঙ্গ (দুই পা ও শ্রোণি-অস্থিচক্র)-এর অস্থিগুলোকে একত্রে উপাঙ্গীয় কঙ্কাল বলে। 

  • ঊর্ধ্বাঙ্গের অস্থিসমূহ (The bones of the upper limbs)

বক্ষ-অস্থিচক্র ও দু-বাহু নিয়ে ঊর্ধ্বাঙ্গ গঠিত । দেহের উভয় পাশের ৩২টি করে মোট ৬৪টি অস্থি ঊর্ধ্বাঙ্গের অন্তর্গত। 

ক. বক্ষ অস্থিচক্র (Pectoral Girdle)

মানুষের বক্ষ-অস্থিচক্র ২ জোড়া অস্থি নিয়ে গঠিত, যথা-একজোড়া ক্ল্যাভিকল (clavicle) ও একজোড়া স্ক্যাপুলা (scapula) ।

  1. ক্ল্যাভিকল : দেখতে ইটালিক ‘f’ এর মতো বাঁকা অস্থি। এটি একটি দেহ ও দুটি প্রান্ত, যথা স্টার্নাল (স্টার্নামের ম্যানুব্রিয়ামে যুক্ত থাকে) এবং অ্যাক্রোমিয়াল প্রসেস (স্ক্যাপুলায় যুক্ত থাকে) নিয়ে গঠিত।
  2. স্কাপুলা : দেখতে চাপা ও ত্রিকোণা অস্থি । এর একটি সম্মুখ কোস্টাল তল (costal surface), একটি পশ্চাৎ তল বা কোরাকয়েড প্রসেস (coracoid process), একটি অ্যাক্রোমিয়াল প্রসেস (acromial process) এবং গ্লিনয়েড গহ্বর (glenoid) Cavity) নামে একটি সংযোগী অবতল আছে। সম্মুখ তল পরশুকাগুলোর দিকে মুখ করে থাকে। এতে সাবস্ক্যাপুলার ফসা (subscapular fossa) নামে একটি অবতল অংশ আছে। গ্লেনয়েড গহ্বরে হিউমেরাসের মস্তক আটকানো থাকে।

 

 

                       চিত্র-৫ : স্ক্যাপুলা

 

  • বাহুর অস্থি (The bones of the arm)

বাহুকে ৩টি অঞ্চলে ভাগ করা যায়, যথা উর্ধ্ববাহু, সম্মুখবাহু এবং হাতের অস্থি।

  1. ঊর্ধ্ববাহুর অস্থি বা হিউমেরাস (Humerus) : ঊর্ধ্ববাহু হিউমেরাস নামে একটি লম্বা, নলাকার হাড়ে গঠিত। এর ঊর্ধ্বপ্রান্তে রয়েছে মসৃণ, গোল মস্তক যা স্ক্যাপুলার গ্লেনয়েড গহ্বরে প্রবিষ্ট থাকে। তা ছাড়াও আছে ছোট ও বড় টিউবার্কল এবং এর মাঝখানে অ্যানাটমিকাল গ্রীবা (anatomical neck) নামে একটি খাঁজ। টিউবার্কলের নিচে যে সরু অংশ থেকে হিউমেরাসের মূল দেহ গঠিত হয় তাকে সার্জিকাল গ্রীবা (surgical neck) বলে (কারণ, দুর্ঘটনায় এ অংশেই সচরাচর ফাটল ধরে) । মূল দেহের মধ্যভাগে পেশি সংযুক্তির জন্য  খসখসে  ডেলটয়েড রিজ  (deltoid ridge)  রয়েছে।  দেহেরকিনারা নিম্নপ্রান্তে এসে এপিকন্ডাইল (epicondyle) গঠন করে। এপিকন্ডাইলের নিচে কন্ডাইল (condyle) থাকে যা ক্যাপিচুলাম (capitulum) ও ট্রকলিয়া (trochlea)-য় বিভক্ত।

 

 

            চিত্র-৬ : বাহুর অস্থিসমূহ

 

  1. সম্মুখবাহুর অস্থি বা রেডিয়াস-আলনা (Radius-Ulna) : সম্মুখবাহু দুটি লম্বা, নলাকার ও ঘনসংলগ্ন অস্থি নিয়ে গঠিত, যথা—আলনা, রেডিয়াস । অন্তর্ভাগের অস্থিটি আলনা। এর ঊর্ধ্বপ্রান্তে করনয়েড প্রসেস ওলেক্রেনন প্রসেস, একটি ট্রকলিয়ার নচ্ ও একটি টিউবারোসিটি (অর্বুদ) অবস্থিত। নিম্নপ্রান্ত মাথাস্টাইলয়েড প্রসেস-এ বিভক্ত। রেডিয়াসের ঊর্ধ্বপ্রান্তে রয়েছে একটি খাজসহ মাথা, গ্রীবা ও অর্বুদ এবং নিম্নপ্রান্তে কার্পাল অস্থির সংযোগী তল ও একটি স্টাইলয়েড প্রসেস । ঊর্ধ্বপ্রান্তে রেডিয়াস ও আলনা অ্যানুলার পেশিতে এবং বাকি অংশ অ্যান্টিব্রাকিয়াল ঝিল্লি দিয়ে যুক্ত থাকে।

 

চিত্র-৭ : হিউমেরাস

 

  • হিউমেরাস (Humorous)
  1. এটি লম্বা, নলাকার অস্থি এবং দুটি প্রান্ত নিয়ে গঠিত।
  2. ঊর্ধ্বপ্রান্তে রয়েছে মসৃণ, গোল, তরুণাস্থি নির্মিত মস্তক।
  3. মস্তকের পাশে ছোট ও বড় টিউবার্কল নামক স্ফীত অংশ আছে।
  4. মস্তকের ঠিক নিচে অ্যানাটমিক গ্রীবা নামে একটি খাঁজ আছে।
  5. মূলদেহের মধ্যভাগে ডেল্টয়েড রিজ নামক উঁচু অঞ্চল রয়েছে।

 

  

চিত্র-৮ : রেডিয়াস-আলনা

 

  • রেডিয়াস-আলনা (Radius-Ulna)
  1. রেডিয়াস ও আলনা নামক পৃথক অথচ পরস্পরের সাথে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ দুটি অস্থি নিয়ে গঠিত।
  2. রেডিয়াসের উপরে মস্তক-এর নিচে সংকুচিত গ্রীবা এবং একটু পরেই একটি উঁচু টিউবারোসিটি বিদ্যমান।
  3. এর নিচের অংশটি চ্যাপ্টা এবং স্টাইলয়েড প্রসেস নামক উঁচু অংশ আছে।
  4. আলনার উর্ধ্বপ্রান্তে অবতল ট্রকলিয়ার নচ্ পাওয়া যায়।
  5. আলনার অগ্রাংশে উচু ওলেক্রেনন প্রসেস ও করনয়েড প্রসেস বিদ্যমান।
  6. হাতের অস্থি : কব্জি, করতল ও আঙ্গুল নিয়ে হাত গঠিত।
  • কব্জি: দুসারিতে ৪টি করে মোট ৮টি ছোট ছোট বিভিন্ন আকৃতির কার্পাল (carpal) অস্থিতে কব্জি গঠিত। গোড়ার দিকের সারিতে থাকে স্ক্যাফয়েড (নেভিকুলার), লুনেট, ট্রাইকুয়েট্রাল ও পিসিফর্ম অস্থি, এবং প্রান্তের দিকে থাকে ট্র্যাপেজিয়াম, ট্র্যাপেজয়েড, ক্যাপিটেট ও হ্যামেট অস্থি।
  • করতল : করতলের ৫টি অস্থিকে মেটাকার্পাল (metacarpal) বলে। এগুলো লম্বা ও নলাকার এবং একটি গোড়া, শ্যাফট ও মাথা নিয়ে গঠিত ।

 

নিম্নাঙ্গের অস্থিসমূহ (The bones of the lower limbs)

 

শ্রোণি-অস্থিচক্র ও দু’পা নিয়ে নিম্নাঙ্গ ‘গঠিত। দেহের উভয় পাশের ৩১টি করে মোট ৬২টি অস্থি নিম্নাঙ্গের অন্তর্গত। নিচে এদের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয়া হলো।

  1. শ্রোণি-অস্থিচক্র (Pelvic Girdle) : এটি ইলিয়াম (ilium), ইশ্চিয়াম (ischium) ও পিউবিস (pubis) অস্থি নিয়ে গঠিত। প্রাপ্ত বয়স্ক মানবে এ অস্থিগুলো একত্রিত হয়ে নিতম্বাস্থি (hip bone) গঠন করে। দুটি নিতম্বাস্থি একত্রে মিলে গঠিত হয় শ্ৰোণি-অস্থিচক্র।
  • ইলিয়াম : ইলিয়ামটি দেহ ও ডানায় বিভক্ত। ডানার কিনারাকে ইলিয়াক ঝুঁটি (ক্রেস্ট) বলে। কিনারা দুটি উঁচু অংশে সমাপ্ত হয়েছে, এদের সম্মুখ সুপিরিয়র ও পশ্চাৎ সুপিরিয়র কাঁটা বলে। এদের নিচে থাকে সম্মুখ ইনফিরিয়র ও পশ্চাৎ ইনফিরিয়র কাঁটা। তা ছাড়াও ইলিয়ামে আর্কুয়েট রেখা, ইলিয়াক ফসা, গ্লুটিয়াল রেখা ও একটি অরিকলার সংযোগী তল থাকে।
  • পিউবিস : পিউবিসটি দেহ ও দুটি শাখায় বিভক্ত। শাখা দুটিকে ঊর্ধ্ব ও নিম্ন র‌্যামি (একবচনে-র‌্যামাস) বলে। ঊর্ধ্ব র‌্যামাসে একটি পিউবিক অর্বুদ (টিউবারোসিটি) এবং একটি পিউবিক ঝুঁটি থাকে ।

 

 

চিত্র-৯ : শ্রোণি-অস্থিচক্র

 

  • ইশ্চিয়াম : ইশ্চিয়ামটি দেহ, ঊর্ধ্ব ও নিম্ন র‌্যামি, ইশ্চিয়াল অর্বুদ এবং ইশ্চিয়াল কাঁটা নিয়ে গঠিত। কাঁটাটি বড় ইশ্চিয়াল খাজকে ছোটটি থেকে পৃথক করেছে। পিউবিক ও ইশ্চিয়াল র‌্যামি অবটুরেটর ছিদ্রকে বেষ্টন করে রাখে। ছিদ্রটি প্রায় সম্পূর্ণরূপে যোজক টিস্যুর ঝিল্লিতে আবৃত। ইলিয়াম, ইশ্চিয়াম ও পিউবিসের সংযোগস্থলে অ্যাসিটাবুলাম (acetabulum) নামে একটি অগভীর অংশ রয়েছে। এতে ফিমারের মস্তক আটকানো থাকে।
IIium ও IIeum এর মধ্যে পার্থক্য
IIium IIeum
১. মেরুদণ্ডী প্রাণিদের শ্রোণিচক্রের একটি বিশেষ অস্থি। ১. সকল মেরুদণ্ডী ও কিছু অমেরুদণ্ডী প্রাণিদের পৌষ্টিকনালির ক্ষুদ্রান্ত্রের একটি অংশ।
২. ডানার মতো আকার। ২. সরু নালি বিশেষ।
৩. অস্থি নির্মিত। ৩. বিভিন্ন পেশিস্তরে গঠিত।
৪. ফিমারকে মেরুদণ্ডের সাথে যুক্ত রাখে। ৪. খাদ্য পরিপাক ও শোষণে সাহায্য করে।

 

শ্রোণি-অস্থিচক্রের কাজ: বস্তিকোটর, মূত্রাশয়, অন্ত্রের নিম্নাংশ প্রভৃতি অঙ্গে অবলম্বন দান করা, ভার বহন করা এবং সুরক্ষা করা শ্রোণিচক্রের কাজ। ফিমারের মস্তক অ্যাসিটাবুলাম-এ যুক্ত থাকে। 

 

পুরুষ ও মহিলার শ্রোণিচক্রের পার্থক্য
তুলনীয় বিষয় পুরুষের শ্রোণিচক্র  মহিলার শ্রোণিচক্র
১. অস্থির গঠন ভারী এবং আকারে বড়। হালকা ও আকারে ছোট।
২. পেলভিসের ছিদ্র  অপেক্ষাকৃত ছোট। অধিকতর বড় ।
৩. স্যাক্রাম সরু। খাটো, প্রশস্ত ও চ্যাপ্টা।
৪. পিউবিক সিমফাইসিস অগভীর। গভীরতর।
৫. অ্যাসিটাবুলাম বড়, পার্শ্ব অভিমুখী। ছোট, সম্মুখ অভিমুখী।

 

  1. পা-এর অস্থি (Bones of Lower limb) : মানুষের পা ঊর্ধ্ব পা, নিম্ন পা ও চরণ নিয়ে গঠিত।
  • ঊর্ধ্ব পা-এর অস্থি বা ফিমার (Femur): ঊর্ধ্ব পা-এর অস্থিকে ফিমার বলে। এটি মানবদেহের সবচেয়ে দীর্ঘ অস্থিএর ঊর্ধ্বপ্রান্তে একটি গোল মস্তক, গ্রীবা এবং ছোট ও বড় ট্রোক্যান্টার অবস্থিত দেহটি শক্ত ও নলাকার। এর পশ্চাৎতল একটি অমসৃণ আলযুক্ত। নিম্নপ্রাস্ত দুটি কন্ডাইলবিশিষ্ট। দুই কন্ডাইলের মাঝখানে থাকে আন্তঃকন্ডাইলার ছিদ্র, প্যাটেলার সংযোগী তল এবং দুপাশে একটি করে এপিকন্ডাইল নামে সামান্য উঁচু জায়গা। ফিমারের প্রান্তে প্যাটেলা (patella) নামে একটি প্রায় ত্রিকোণাকার অস্থি অবস্থিত। প্যাটেলা একটি সিসাময়েড অস্থি (sesamoid bone), কারণ এর উৎপত্তি পেশির টেনডন থেকে প্যাটেলার পশ্চাৎভাগের ঊর্ধ্বাংশ ফিমারের সাথে এবং নিম্নাংশ টিবিয়ার সাথে সংযুক্ত।
  • নিম্ন পা-এর অস্থি বা টিবিয়া-ফিবুলা (Tibia-fibula) : নিম্ন পা-এ দুটি অস্থি থাকে, যথা—টিবিয়াফিবুলাটিবিয়া বেশি মোটা। এর উর্ধ্বপ্রান্ত দুটি কন্ডাইল, একটি আন্তঃকন্ডাইলার স্ফীতি, ফিমারের সাথে সংযুক্ত হওয়ার জন্য দুটি সংযোগী তল এবং পেশি সংযোজনের জন্য একটি টিউবারোসিটি বহন করে। টিবিয়ার দেহ ত্রিধারবিশিষ্ট। এর সম্মুখ কিনারা ঝুঁটি নামে পরিচিত। টিবিয়ার নিম্নপ্রান্তে ম্যালিওলাস নামে দুপাশে উঁচু অংশ থাকে। এতে ট্যালাস (টার্সাল অস্থি)-এর  সাথে যুক্ত হওয়ার  জন্য সংযোগী  তলও রয়েছে। ফিবুলা দেখতে একটি দীর্ঘ যষ্টির মতো। এর মস্তক চোখা ধরনের। ঊর্ধ্বপ্রান্তে টিবিয়ার সংযোগের জন্য একটি সংযোগী তল থাকে। নিচের প্রান্তে থাকে ম্যালিওলাস।

 

চিত্র-১০ : ফিমার

 

  • ফিমার (Femur)
  1. শক্ত, নলাকার ও দেহের  বৃহত্তম অস্থি
  2. ঊর্ধ্বপ্রান্তে মস্তক, গ্রীবা, বড় ও ছোট ট্রোক্যান্টার অবস্থিত।
  3. অস্থির পশ্চাৎতল অমসৃণ আলযুক্ত।
  4. নিম্নপ্রান্তটি প্রসারিত হয়ে দুটি কন্ডাইল (মিডিয়াল ও ল্যাটারাল) গঠন করে।
  5. দুই কন্ডাইলের মাঝখানে আন্তঃকন্ডাইলার নচ নামক গর্ত রয়েছে।

 

  • টিবিয়া-ফিবুলা (Tibia-Fibula)
  1. টিবিয়া ও ফিবুলা নামক পাশাপাশি অবস্থিত দুটি লম্বা অসম রডের মতো অস্থি।
  2. টিবিয়া লম্বা মোটা ও সুগঠিত ।
  3. টিবিয়ার অগ্রপ্রান্তে মিডিয়াল ও ল্যাটারাল কন্ডাইল, টিউবারোসিটি এবং নিম্নপ্রাপ্তে মিডিয়াল ম্যালিওলাস নামক উঁচু অংশ আছে।
  4. ফিবুলা সরু এবং দীর্ঘ অস্থি; এর অগ্রপ্রান্তে একটি মস্তক ও নিম্ন প্রান্তে সূঁচালো একটি ল্যাটারাল ম্যালিওলাস থাকে ।

চরণ : গোড়ালি, পদতল ও আঙ্গুল নিয়ে চরণ গঠিত । গোড়ালি ও পদতলের পৃষ্ঠভাগ গঠিত হয় ৭টি বিভিন্ন আকৃতির টার্সাল (tarsal) অস্থি দিয়ে [একটি করে ক্যালকেনিয়াস, ট্যালাস, কিউবয়েড, নেভিকুলার ও ৩টি কুনিফর্ম]। মেটাটার্সাল-এর সংখ্যা ৫। এগুলো নলাকার ও সামান্য লম্বা এবং পদতলগঠন করে। পায়ের আঙ্গুলের অস্থিগুলো ফ্যালাঞ্জেস (phalanges)। এগুলো হাতের আঙ্গুল অপেক্ষা খাটো। বৃদ্ধাঙ্গুল ২টি এবং বাকি আঙ্গুলগুলো ৩টি করে ফ্যালাঞ্জেসে গঠিত। পা-এর অস্থিগুলো পরস্পরের সাথে সন্ধির মাধ্যমে যুক্ত। এদের ভিতর নিতম্ব সন্ধি, হাঁটু সন্ধি ও গোড়ালি সন্ধি সবচেয়ে বড়।

  1. পায়ের কাজ : পা দুটি প্রত্যক্ষভাবে ভারবহন করে ও গমনের সাথে জড়িত।