কোষ বিভাজনের বিভিন্ন পার্থক্য সমূহ (Differences in cell division)
কোষ বিভাজনের বিভিন্ন পার্থক্য সমূহ (Differences in cell division)
ইন্টারফেজ (Interphase) এবং M. phase এর মধ্যে পার্থক্য
ইন্টারফেজ | M. phase |
১। এটি কোষ বিভাজনের প্রস্তুতি দশা। | ১। এটি কোষের প্রকৃত বিভাজন দশা। |
২। কোষচক্রের ৯০-৯৫% সময় এখানে ব্যয় হয়। | ২। কোষ চক্রের ৫-১০% সময় এখানে ব্যয় হয়। |
৩। এ দশায় কোষীয় সংগঠনের বৃদ্ধি এবং সংখ্যাগত বৃদ্ধি ঘটে। | ৩। এ দশায় কোষীয় সংগঠনের বিস্তার ও বিভাজন ঘটে। |
৪। এ দশায় বংশগতীয় বস্তু ক্রোমাটিন হিসেবে থাকে। | ৪। এ দশায় বংশগতীয় বস্তু ক্রোমোসোম হিসেবে থাকে। |
ক্যারিওকাইনেসিস (Karyokinesis) ও সাইটোকাইনেসিস (Cytokinesis) এর মধ্যে পার্থক্য
ক্যারিওকাইনেসিস | সাইটোকাইনেসিস |
১। এ পদ্ধতিতে কোষের নিউক্লিয়াসের বিভাজন ঘটে। | ১। এ পদ্ধতিতে কোষের সাইটোপ্লাজমের বিভাজন ঘটে |
২। জটিল পদ্ধতি এবং দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন। | ২। অপেক্ষাকৃত সরল পদ্ধতি এবং কম সময়ের প্রয়োজন। |
৩। সমগ্র প্রক্রিয়াটি পাঁচটি দশা, যথা-প্রোফেজ, প্রো-মেটাফেজ, মেটাফেজ, অ্যানাফেজ এবং টেলোফেজ-এ বিভক্ত। | ৩। একে কোনো পর্যায়ে বিভক্ত করা হয় না। |
৪। নিউক্লিয়াস বিভাজিত হয়ে দুটি অপত্য নিউক্লিয়াসে পরিণত হয়। | ৪। সাইটোপ্লাজম সমান দুটি ভাগে বিভক্ত হয়। |
৫। নিউক্লিয়াসের সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটে। | ৫। কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটে। |
৬। ক্যারিওকাইনেসিস সাইটোকাইনেসিসের আগে ঘটে। | ৬। সাইটোকাইনেসিস ক্যারিওকাইনেসিসের পরে ঘটে। |
অ্যামাইটোসিস (Amitosis) ও মাইটোসিসের (Mitosis) মধ্যে পার্থক্য
পার্থক্যের বিষয় | অ্যামাইটোসিস | মাইটোসিস |
১। দশা বা পর্যায় | এটি সরল প্রকৃতির। কোষ বিভাজনে-এর কোনো দশা বা পর্যায় নেই। | এটি তুলনামূলকভাবে জটিল ও ধারাবাহিক গতিশীল প্রক্রিয়া। এর বিভিন্ন দশা রয়েছে। |
২। নিউক্লিয়াসের বিভাজন | এ বিভাজনে নিউক্লিয়াস সরাসরি বিভাজিত হয়। | এ বিভাজনে নিউক্লিয়াস বিভিন্ন দশার মাধ্যমে বিভাজিত হয়। |
৩। বিভাজন প্রক্রিয়া | এক্ষেত্রে নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম একত্রে বিভাজিত হয়। | এক্ষেত্রে প্রথমে নিউক্লিয়াসের (ক্যারিওকাইনেসিস) এবং পরে সাইটোপ্লাজমের (সাইটোকাইনে-সিস) বিভাজন ঘটে। |
৪। ফলাফল | এর মাধ্যমে এককোষী জীবেরা বংশবিস্তার ঘটায়, দৈহিক বৃদ্ধিতে এর কোনো ভূমিকা নেই। | এর মাধ্যমে এককোষী জীবদের বংশবিস্তার এবং বহুকোষী জীবদেহে বৃদ্ধি, ক্ষয়পূরণ প্রভৃতি ঘটে। |
৫। বিভাজনের প্রকৃতি | এ বিভাজনকে প্রত্যক্ষ বিভাজন বলে। | এ বিভাজনকে (পরোক্ষ) বিভাজন বলে। |
৬। উদাহরণ | অ্যামাইটোসিস | মাইটোসিস ও মায়োসিস |
মাইটোসিস (Mitosis) ও মায়োসিসের (Meiosis) মধ্যে পার্থক্য
পার্থক্যের বিষয় | মাইটোসিস | মায়োসিস |
১। সংঘটন স্থান | জীবের দেহকোষে সংঘটিত হয়। ফলে দেহের বৃদ্ধি ঘটে। | জীবের জনন মাতৃকোষে সংঘটিত হয়। ফলে গ্যামিট তৈরি হয়। |
২। অপত্য কোষের সংখ্যা | মাতৃকোষটি বিভাজিত হয়ে দুটি অপত্য কোষের সৃষ্টি হয়। | মাতৃকোষটি বিভাজিত হয়ে চারটি অপত্য কোষের সৃষ্টি হয়। |
৩। অপত্যকোষের ক্রোমোসোম সংখ্যা | এ বিভাজনে উৎপন্ন অপত্য কোষের ক্রোমোসোম সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রোমোসোম সংখ্যার সমান থাকে। | অপত্য কোষের ক্রোমোসোম সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রোমোসোম সংখ্যার অর্ধেক হয়। |
৪। ইন্টারফেজ পর্যায় | মাইটোসিসের পূর্বের ইন্টারফেজ পর্যায়টি দীর্ঘস্থায়ী। | মায়োসিসের পূর্বের ইন্টারফেজ পর্যায়টি ক্ষণস্থায়ী। |
৫। সিন্যাপসিস ও বাইভেলেন্ট | সমসংস্থ (হোমোলোগাস) ক্রোমোসোমগুলোর মধ্যে আকর্ষণ না থাকার ফলে সিন্যাপসিস ঘটে না। ফলে বাইভেলেন্ট তৈরি হয় না। | সমসংস্থ ক্রোমোসোমগুলোর পারস্পরিক আকর্ষণের কারণে সিন্যাপসিস ঘটে এবং বাইভেলেন্ট তৈরি হয়। |
৬। ক্রসিং ওভার | ক্রসিং ওভার ঘটে না। ফলে জিনের সজ্জাবিন্যাসের কোন পরিবর্তন ঘটে না। | ক্রসিং ওভার ঘটে। ফলে জিনের সজ্জাবিন্যাসেরও পরিবর্তন ঘটে। |
৭। বিবর্তন ও জনুক্রম | বিবর্তন ও জনুক্রমের সাথে মাইটোসিসের কোনো সম্পর্ক নেই। | ক্রসিং ওভারের ফলে জীবের মধ্যে নতুন বৈশিষ্ট্যের সৃষ্টি হয়, যা বিবর্তন ও জনুক্রমের পথকে সুগম করে। |
৮। ক্রোমোমিয়ার | সাধারণত প্রোফেজ ক্রোমোসোমে ক্রোমোমিয়ার দেখা যায় না। | সাধারণত প্রোফেজ ক্রোমোসোমে ক্রোমোমিয়ার দেখা যায়। |
৯। পর্যায় মধ্যক দশা | নিউক্লিয়াসের পর্যায় মধ্যক দশা দীর্ঘস্থায়ী। | নিউক্লিয়াসের পর্যায় মধ্যক দশা স্বল্পস্থায়ী। |
১০। সেন্ট্রোমিয়ার | মেটাফেজে সেন্ট্রোমিয়ারসহ ক্রোমোসোম অনুদৈর্ঘ্যে বিভক্ত হয়। | মেটাফেজ-১ এ সেন্ট্রোমিয়ার অবিভক্ত থাকে। |
১১। DNA রেপ্লিকেশন | DNA রেপ্লিকেশন ইন্টারফেজ দশায় সম্পন্ন হয়। | DNA রেপ্লিকেশন প্রোফেজ দশায় ঘটে। |
১২। নিউক্লিয়াস ও ক্রোমোসোম এর বিভাজন | নিউক্লিয়াস ও ক্রোমোসোম একবার বিভক্ত হয়। | নিউক্লিয়াস দু’বার ও ক্রোমেসোম একবার বিভক্ত হয়। |