গ্যালিলিও | Galileo (1564–1642)
1589 খ্রিস্টাব্দে ইতালীর গণিতবিদ ও পদার্থবিজ্ঞানী গ্যালিলিও (Galileo) মুক্তভাবে পড়ন্ত বস্তুর বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে তিনটি সূত্র আবিষ্কার করেন। এগুলোকে পড়ন্ত বস্তুর সূত্র বলা হয়। তিনি স্থিতিবিদ্যা ও গতিবিদ্যার ওপর যথেষ্ট অবদান রাখেন। তাঁর হাত ধরেই আধুনিক বিজ্ঞানের সূচনা হয়।
1610 খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী গ্যালিলিও যৌগিক অণুবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কার করেন। এই যন্ত্রের সাহায্যে অতি ক্ষুদ্র বস্তুকে বহুগুণে বিবর্ধিত করে দেখা যায়। এটি সরল অণুবীক্ষণ যন্ত্র অপেক্ষা অধিক বিবর্ধন ক্ষমতার অধিকারী। গ্যালিলিও দূরবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কার করেন। 1610 খ্রিস্টাব্দে তিনি নব আবিষ্কৃত দূরবীক্ষণ যন্ত্র (Telescope) ব্যবহার করে বৃহস্পতি গ্রহের ৪টি উপগ্রহ আবিষ্কার করেন। তিনি পানি উত্তোলনের যন্ত্র, উদস্থিতি নিক্তি, বায়ু থার্মোস্কোপ আবিষ্কার করেন।
সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন গ্যালিলিওকে আধুনিক বিজ্ঞানের চমক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি সরণ, গতি, ত্বরণ, সময়ের সংজ্ঞা প্রদানসহ পড়ন্ত বস্তুর সূত্র আবিষ্কার করেন। তিনি পড়ন্ত বস্তুর সূত্র প্রদান করেন এবং দেখান যে পড়ন্ত বস্তুর গতি এর ভরের ওপর নির্ভরশীল নয়। তিনি সৃতিবিদ্যার (Kinematics) ভিত্তি স্থাপন করেন।