10 Minute School
Log in

মানব সংবেদী অঙ্গ: চোখ (Human Sensory Organs: Eye)

প্রত্যেক জীব নিজ পরিবেশ সম্বন্ধে সচেতন। সতর্ক না হলে নিজের এবং নিজ প্রজাতির অস্তিত্ব রক্ষা । প্রক্রিয়া স্থবির হয়ে যাবে। নিচুতম জীব থেকে উচ্চতম জীব মানুষ পর্যন্ত সবাই পরিবেশ সম্বন্ধে সজাগ । সংবেদ মাধ্যমে জীব পরিবেশগত অবস্থার পরিবর্তন বুঝতে পারে। উচ্চতর মেরুদন্ডী প্রাণীতে সংবেদন শক্তি বেশি সুগঠিত। কারণ এদের রয়েছে উন্নত স্নায়ুতন্ত্র ও সংজ্ঞাবহ ইন্দ্রিয় এবং অন্তঃক্ষরা গ্রন্থিতন্ত্র। সংবেদী অঙ্গের মাধ্যমে বাহ্যজগত অনুভব করতে পারি । চোখ, কান, নাক, জিহ্বা ও ত্বক-এ পাঁচটি হচ্ছে মানুষের সংবেদী অঙ্গ। সাধারণ ভাষায় এগুলো পঞ্চ-ইন্দ্রিয় নামে পরিচিত। উন্নত স্নায়ুতন্ত্র, অন্তঃক্ষরা গ্রন্থিতন্ত্র, সংবেদী অঙ্গ নিয়ে মানুষ সর্বোতভাবে পৃথিবীর সেরা জীবের আসনে আসীন হয়েছে।

 

চোখ – দর্শনেন্দ্রিয় (Eye – Organ of Vision)

চোখ এমন এক সংবেদী অঙ্গ যা আলোকের মাধ্যমে দৃষ্টি সঞ্চার করে। মানুষের চোখদুটি মাথার দুপাশে বহিঃকর্ণ ও নাসারন্ধ্রের প্রায় মধ্যবর্তী অংশে অবস্থিত চোখ গোল অক্ষিগোলক-এ গঠিত কয়েকটি আনুষঙ্গিক অঙ্গও চোখের সাথে জড়িত (চোখের মাত্র ১/৬ অংশ বাইরে উন্মোচিত, বাকি ৫/৬ অংশই কোটরের ভিতরে অবস্থান করে চোখের পর্দায় অবস্থিত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত রসে চোখ সিক্ত থাকে।

মানুষের চোখের বিভিন্ন অংশকে দুটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়, যেমন- অক্ষিগোলক (eye ball) ও আনুষঙ্গিক অংশ (accessory parts) ।

Eye

 

অক্ষিগোলক (Eye ball)

মানুষের চোখ দেখতে গোল বলের মতো হওয়ায় অক্ষিগোলক নামে পরিচিত। প্রত্যেক গোলক তিনটি প্রধান অংশ নিয়ে গঠিত ̶ A. অক্ষিগোলকের স্তর, B. লেন্স ও C. প্রকোষ্ঠ ।

 

অক্ষিগোলকের স্তর (Layers of Eye ball)

স্ক্লেরা (Sclera) বা স্ক্লেরোটিক স্তর (Sclerotic layer) : এটি অক্ষিগোলকের বাইরের সাদা, অস্বচ্ছ ও তন্তুময় এটি অস্বচ্ছ হলেও চোখের সামনের দিকে খুব পাতলা ও স্বচ্ছ পর্দায় পরিণত হয়েছে। স্বচ্ছ পর্দাটির  নাম কর্নিয়া।  কর্নিয়ায়  রক্ত  সরবরাহ  নেই । এটি  অ্যাকুয়াস  হিউমার থেকে  পুষ্টি  গ্রহণ করে। আইরিশের উপরের অংশ ছাড়া স্ক্লেরার সম্মুখের সাদা অংশ একটি পাতলা স্বচ্ছ পর্দা বা কনজাংক্টিভ (conjunctiva)-য় আবৃত। পর্দাটি স্ক্লেরাকে স্ক্লেরা কর্নিয়ার সংযোগস্থল (sclero-corneal junction) পর্যন্ত আবৃত করে এবং চোখের পাতার ভিতরেও বিস্তৃত থাকে। কনজাংক্টিভ কর্নিয়াকে আবৃত করে না।

কাজ : 

  • স্লেরা চোখের আকৃতি বজায় রাখে, চোখকে সংরক্ষণ করে ও পেশি সংযুক্ত রাখে।
  • কর্নিয়ার মধ্য দিয়ে চোখের ভিতর আলো প্রবেশ করে।

কনজাংক্টিভা-

  • চোখের সম্মুখতল আর্দ্র ও পিচ্ছিল রাখে,
  • অক্ষিপল্লবের ভিতরের তল সিক্ত ও পিচ্ছিল রাখে এবং
  • চোখকে ধূলাবালি ও জীবাণু থেকে রক্ষা করে।
  1. কোরয়েড (Choroid) :এটি স্ক্লেরার নিচে অবস্থিত রক্তবাহিকাসমৃদ্ধ ও মেলানিন (melanin) রঞ্জকে রঞ্জিত স্তর। মেলানিন রঞ্জক থাকায় এটি কালো দেখায়।

কোরয়েড নিচে বর্ণিত অংশগুলো নিয়ে গঠিত-

 

আইরিশ (Iris) :

কর্নিয়ার ঠিক পিছনে চোখের উন্মুক্ত অংশে কোরয়েড স্তরটি স্ক্লেরা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একটি বৃত্তাকার থালার মতো যে অংশ গঠন করে সেটি আইরিশ। দু’ধরনের অনৈচ্ছিক পেশি দিয়ে আইরিশ গঠিত।

কাজ :

  • লেন্সে পরিমিত আলো প্রবেশের জন্য আইরিশ পেশির সঙ্কোচন-প্রসারণ ঘটিয়ে পিউপিলকে ছোট-বড় করে।

চোখ

চোখ ২

 

সিলিয়ারি বডি (Ciliary body) :

এটি একটি স্কুল বলয়াকার অংশ এবং আইরিশ ও কোরয়েডের সংযোগ স্থলে অবস্থিত। সিলিয়ারি বলয়, সিলিয় প্রবর্ধক ও সিলিয়ারি পেশি নিয়ে এটি গঠিত।

কাজ :

সিলিয়ারি পেশিগুলো লেন্সের আকৃতি পরিবর্তন করে উপযোজন ক্রিয়ায় অংশ লে অ্যাকুয়াস হিউমার উৎপন্ন করে।

 

সাসপেন্সরি লিগামেন্ট (Suspensory ligament):

লেন্সের চতুর্দিক বেষ্টনকারী লিগামেন্টকে (ফিতাসদৃশ দৃঢ় ও নমনীয় তম্ভময় যোজক টিস্যু) সাসপেন্সরি লিগামেন্ট বলে এর অপর প্রান্ত সিলিয়ারি বডির সাথে যুক্ত থাকে।

কাজ : সাসপেন্সরি লিগামেন্টের সাহায্যে লেন্সটি যথাস্থানে অবস্থান করে এবং সিলিয়ারি বডির সাথে সংযুক্ত থাকে।

 

পিউপিল (Pupil) :

পিউপিল হচ্ছে আইরিশের কেন্দ্রে অবস্থিত এবং বৃত্তাকার ও অরীয় পেশিতে বেষ্টিত একটি ছোট ছিদ্রবিশেষ। আলোকের তীব্রতা অনুযায়ী আহরণের অরীয় ও বৃত্তাকার পেশির সংকোচন-প্রসারণের মাধ্যমে পিউপিলটি প্রয়োজন মতো ছোট বড় করা যায়। অরীয় পেশি সংকুচিত হলে পিউপিল প্রসারিত হয়, বৃত্তাকার পেশি সংকুচিত হলে পিউপিল সংকুচিত হয়।

কাজ : পিউপিলের মধ্য দিয়ে চোখে আলো প্রবেশ করে। মৃদু আলোতে পিউপিল বড় এবং উজ্জ্বল বা তীব্র আলোতে পিউপিল ছোট হয়।

Pupil

 

রেটিনা (Retina)

রেটিনা হচ্ছে অক্ষিগোলকের প্রাচীরের সর্বাপেক্ষা ভিতরের স্তর এবং একমাত্র আলোক সংবেদী অংশ। এটি ১০টি উপস্তরে গঠিত। বাইরের কোরয়েড সংলগ্ন স্তরটি রঞ্জক পদার্থবিশিষ্ট আলোক সংবেদী কোষস্তরে নির্মিত। চোখের সামনের দিকে রেটিনা সিলিয়ারি অঙ্গ পর্যন্ত  বিস্তৃত । রেটিনার একটি স্থানে অপটিক স্নায়ু প্রবেশ করে। রেটিনায় দুধরনের আলো-সংবেদী কোষ আছে, যথা-রড় (rod) ও কোণ (cone) কোষ। রডকোষগুলোর বাইরের খণ্ড রড আকৃতির। এতে রডোপসিন নামক আলোক সংবেদী রঞ্জক পদার্থ উপস্থিত। সংবেদী রঞ্জক পদার্থ ও ভিটামিন A থাকে। কোণকোষগুলোর বাইরের খন্ড কোণাকার ও এতে আয়োডপসিন (iodopsin) নামক প্রোটিন সমৃদ্ধ। চোখে রডকোষের সংখ্যা ১২ কোটি থেকে ১২ কোটি ৫০ লক্ষ, অন্যদিকে কোণকোষের সংখ্যা ৬০ থেকে ৭০ কোষগুলো উজ্জ্বল আলো ও রঙিন বস্তু দর্শনের জন্য এবং ছবির সঠিক বিশ্লেষণের জন্য উপযোগী। রডকোষগুলো অনুজ্জ্বল আলোতে (dim light) দর্শনের উপযোগী। উভয় কোষের ভিতরের খন্ডে প্রচুর পরিমাণ মাইটোকন্ড্রিয়া থাকে। কোষের প্রান্তীয় সিন্যাপটিকাল অংশ স্ফীত হয়ে বাল্ব (bulb) গঠন করে যা দ্বিমেরু নিউরনের সাথে সিন্যাপস গঠন করে ।

তিন ধরনের কোণকোষ আছে বলে মনে করা হয়। প্রথম ধরনের কোণকোষ লাল রং, দ্বিতীয় ধরন সবুজ রং এবং তৃতীয় ধরণ নীল রঙের জন্য। তিন ধরনের কোষের সবই সমানভাবে উদ্দীপ্ত হলে সাদা রং দৃষ্ট হয়।

Retina

রডকোষ ও কোণকোষের মধ্যে পার্থক্য পার্থক্যের বিষয় (Diference between Rod cell and Cone cell)

পার্থক্যের বিষয় রডকোষ কোণকোষ
১. আকার-আকৃতি লম্বা ও সরু; ২ মাইক্রোমিটার পুরু এবং ৫০ মাইক্রোমিটার লম্বা। খাটো ও প্রশস্ত; ৩-৫ মাইক্রোমিটার পুরু ও ৪০ মাইক্রোমিটার লম্বা।
২. গঠন বাইরের খন্ড রড আকৃতির এবং রডোপসিন নামক রঞ্জক পদার্থ সমৃদ্ধ। বাইরের খন্ড কোণ আকৃতির এবং আয়োডপসিন নামক রঞ্জক পদার্থসমৃদ্ধ।
৩. সংখ্যা প্রতি চোখে ১২ কোটি থেকে ১২ কোটি ৫০ লক্ষ। প্রতি চোখে ৬০ থেকে ৭০ লক্ষ।
৪. সংবেদনশীলতা আলোর প্রতি অধিক সংবেদনশীল, তাই রাতের দর্শনে ব্যবহৃত হয়। আলোর প্রতি কম সংবেদনশীল, তাই দিনের দর্শনে ব্যবহৃত হয়।
৫. প্রতিবিম্ব বস্তুর সাদাকালো প্রতিবিম্ব  তৈরি করে। বস্তুর রঙিন প্রতিবিম্ব তৈরি করে।

 

 

রেটিনায় নিচে বর্ণিত অংশগুলো পাওয়া যায়-

  • অপটিক ডিস্ক (Optic disc) : অক্ষিগোলকের যে বিন্দুতে নিউরনের অ্যাক্সনগুলো মিলিত হয়ে অপটিক স্নায়ু গঠন করে তার নাম অপটিক ডিস্ক। এখানে কোন রড ও কোণকোষ না থাকায় এটি আলোক সংবেদী নয়। তাই একে অন্ধবিন্দু (blind spot)-ও বলা হয়।
  • ম্যাকুলা লুটিয়া (Macula lutea) : অপটিক ডিস্কের উপর দিকে একটি ডিম্বাকার ও হলদে অঞ্চল থাকে। একে ম্যাকুলা লুটিয়া বলে। এর কেন্দ্রে ছোট একটি গর্ত (pit) থাকে যার নাম ফোবিয়া সেন্ট্রালিস (fovea centralis) বা পীতবিন্দু। এ অংশে কিছু সংখ্যক রডকোষ কিন্তু প্রচুর কোণকোষ দেখা যায়।
  • অপটিক স্নায়ু (Optic nerve)   : রেটিনা স্তরে গ্যাংলিয়নসমৃদ্ধ নিউরনের অ্যাক্সনগুলো একত্রিত হয়ে অপটিক স্নায়ু গঠন করে। রেটিনায় সৃষ্ট প্রতিবিম্ব অপটিক স্নায়র মাধ্যমে মস্তিষ্কে পৌছায়।

 

অন্ধ বিন্দু ও পীত বিন্দু বা ফোবিয়া সেন্ট্রালিস এর পার্থক্য (Diference between Blind spot and Yellow spot)

তুলনীয় বৈশিষ্ট্য অন্ধ বিন্দু (Blind spot) পীত বিন্দু (Yellow spot)
১. অবস্থান চোখের পিছনে কর্নিয়ার বিপরীত দিকে যেখান থেকে অপটিক স্নায়ু রেটিনা ত্যাগ করে। চোখের পিছনে কর্নিয়ার বিপরীত দিকে রেটিনায় যেখানে স্বাভাবিক অবস্থায় আলোক রশ্মি ফোকাস হয়।
২. রড ও কোণ কোষ রড কোষ ও কোণ কোষ উভয়েই অনুপস্থিত। অধিক সংখ্যক কোণ কোষ ও অল্প কিছু রড কোষ থাকে।
৩. কাজ এখানে বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠিত হয় না। বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠিত হয় এবং প্রতিবিম্বটি এখানে সর্বাধিক স্পষ্ট।

রেটিনার কাজ (Functions of Retina)

রেটিনায় বস্তুর প্রতিবিম্ব সৃষ্টি হয়। এর কোণকোষগুলো তীব্র আলোয় ও রডকোষগুলো কম আলোয় প্রতিবিম্ব সৃষ্টি করে। পীতবিন্দুতে দর্শনীয় বস্তুর সুস্পষ্ট প্রতিবিম্ব সৃষ্টি হয় ।

 

লেন্স (Lens)

পিউপিলের পিছনে অবস্থিত ও সিলিয়ারি বডির সাথে সাসপেন্সরি লিগামেন্টযুক্ত হয়ে ঝুলে থাকা একটি স্বল্প স্থিতিস্থাপক ও দ্বিউত্তল চাকতির মতো অংশকে লেন্স বলে লেন্সের পিছনের চেয়ে সামনের দিক বেশি চাপা, নরম ও কিছুটা হলুদ। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এটি আরও চাপা, হলদে ও দৃঢ় হয়, ফলে এর স্থিতিস্থাপকতা কমে যায়। লেন্সে রক্ত সরবরাহ নেই। সিলিয় পেশির সংকোচন-প্রসারণে লেন্সও সংকুচিত-প্রসারিত হয় লেন্সের সাহায্যে আলোক রশ্মি বক্রতা প্রাপ্ত হয়ে রেটিনায় নিক্ষিপ্ত হয়। বস্তু থেকে আগত আলোক রশ্মি লেন্সের মাধ্যমে রেটিনার নির্দিষ্ট অংশে প্রতিফলিত হয় ।

 

অক্ষিগোলকের গহ্বর বা প্রকোষ্ঠ (Chambers of Eye ball)

অক্ষিগোলকে তরল পদার্থ পূর্ণ তিনটি গহ্বর বা প্রকোষ্ঠ আছে।

  • অগ্রপ্রকোষ্ঠ (Anterior chamber) : এটি কর্নিয়া ও আইরিশের মধ্যবর্তী প্রকোষ্ঠ । অ্যাকুয়াস হিউমার (aquous humour) নামক পানির মতো তরল পদার্থ দিয়ে প্রকোষ্ঠটি পূর্ণ থাকে।
  • পশ্চাৎপ্রকোষ্ঠ (Posterior chamber) : এটিও অ্যাকুয়াস হিউমারে পূর্ণ এবং আইরিশ ও লেন্সের মধ্যবর্তীস্থানে অবস্থিত প্রকোষ্ঠ ।
  • ভিট্রিয়াস প্রকোষ্ঠ (Vitreous chamber) : এটি লেন্স ও রেটিনার মধ্যবর্তী বড় প্রকোষ্ঠ যা ভিট্রিয়াস হিউমার (vitreous humour) নামক জেলির মতো স্বচ্ছ চটচটে পদার্থে পূর্ণ ।

অ্যাকুয়াস হিউমার আলোর প্রতিসরণে সাহায্য করে, চোখের সম্মুখ অংশের আকতি ঠিক রাখে এবং লেন্স ও কর্নিয়ায় পুষ্টি জোগাক্ট। ভিডিয়াস হিউমার প্রকৃতপক্ষে ডিমের সাদা অংশের মতো ঘন কিন্তু স্বচ্ছ। ৯৯% পানি এবং ১%, কোলাজেন ও হায়াল্যুরেনিক এসিড (hyaluronic acid)-এ ভিট্রিয়াস হিউমার গঠিত । ভিট্রিয়াস হিউমার রেটিনার দিকে আলোর প্রতিসরণে সাহায্য করে এবং অক্ষিগোলকের আকৃতি বজায় রাখে।

 


নতুন কারিকুলামে ৬ষ্ঠ-৯ম শ্রেণির পড়ালেখা নতুন উদ্যমে শুরু করতে টেন মিনিট স্কুল নতুনরূপে নিয়ে এসেছে ‘অনলাইন ব্যাচ ২০২৪’:


৬ষ্ঠ-৯ম শ্রেণির ‘পোস্টার প্রেজেন্টেশনের দারুন সব টিপস অ্যান্ড ট্রিক্স শিখতে এখনই ভিজিট করুন এই ফ্রি কোর্সটিতেঃ 


ইংরেজিতে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে আজই ভিজিট ১০ মিনিট স্কুলের এই কোর্সগুলোঃ


এছাড়াও ১০মিনিট স্কুলের অন্যান্য কোর্স গুলো দেখতে ভিজিট করোঃ www.10minuteschool.com