10 Minute School
Log in

কম্পিউটার পেরিফেরালস (Output Device) ও কম্পিউটার আর্কিটেকচার (পর্ব-২)

আউটপুট ডিভাইস(Output Device) 

ব্যবহারকারীর দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী প্রক্রিয়াকরণের কাজ সম্পন্ন হলে তার ফল পাওয়া যায়, একে বলে আউটপুট। প্রক্রিয়াকরণের পর যে সকল যন্ত্রের সাহায্যে ফল পাওয়া যায় তাদেরকে বলা হয় আউটপুট ডিভাইস(Output Device)।

মনিটর

  • মনিটর এক ধরনের আউটপুট ডিভাইস(Output Device) যার মাধ্যমে টেলিভিশনের মতো লেখা বা ছবি দেখা যায়।
  • মনিটর সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে:

সিআরটি মনিটর( Cathode Ray Tube): আকারে অপেক্ষাকৃত বড় এবং বিদ্যুৎ খরচ বেশি হওয়ায় মনিটরগুলোর ব্যবহার দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।

এলসিডি(Liquid Crystal Display): ক্যালকুলেটর, ডিজিটাল ঘড়ি, ল্যাপটপ কিংবা নোটবুকে এ ধরনের মনিটর ব্যবহৃত হয়। 

এলইডি(Light Emitting Diode): এর ডিসপ্লের কোয়ালিটি ভালো মানের এবং বিদ্যুৎ খরচ ৪০% কম।

প্রিন্টার

  • যে যন্ত্রের সাহায্যে কম্পিউটারে প্রাপ্ত ফলাফল কাগজে ছাপানো যায় তাকে প্রিন্টার বলা হয়।
  • ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার: যে প্রিন্টারে প্রিন্টহেড যে কাগজে ছাপা হয় তাকে স্পর্শ করে, তাকে ইম্প্যাক্ট প্রিন্টার বলা হয়।
  • প্রকারভেদ: লাইন প্রিন্টার ও সিরিয়াল প্রিন্টার
  • সিরিয়াল প্রিন্টারকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়- ডট মেট্রিক্স প্রিন্টার ও ডেইজি হুইল প্রিন্টার।
  • নন ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার: যে প্রিন্টারে প্রিন্টহেড যে কাগজে ছাপা হয় তাকে স্পর্শ করে না তাকে নন-ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার বলা হয়। যেমন- ইংকজেট প্রিন্টার, লেজার প্রিন্টার।

অন্যান্য আউটপুট ডিভাইস(Output Device):

  • স্পিকার: সাউন্ডকার্ড হতে সৃষ্ট বৈদ্যুতিক তরঙ্গ শব্দ তরঙ্গের রূপান্তরিত করে।
  • হেডফোন: কানের কাছাকাছি নিয়ে শব্দ শোনার যন্ত্র।
  • মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর: এটা কম্পিউটার/ অন্য কোনো উৎস থেকে নেয়া ডেটাকে ইমেজে পরিণত করে। এই ইমেজ লেন্সের সাহায্যে দূরবর্তী  সাদা স্ক্রিনে বা দেয়ালে ফেলা হয়।
  • প্লটার: বড় বড় ছবি, ব্যানার, পোস্টার ইত্যাদি ছাপানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।
  • সাউন্ড কার্ড: কম্পিউটারে মানসম্পন্ন সাউন্ড তৈরিতে কম্পিউটারের ভেতরে এটাকে ইন্সটল করা হয়।

অন্যান্য ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস(Other input and output devices):

  • সাউন্ড কার্ড: আউটপুট সিগনালগুলোকে একটি অ্যামপ্লিফায়ারের সাথে যুক্ত করে হেডফোন বা স্পিকারের সাহায্যে শব্দ শোনা যায়। বাইরে থেকে মাইক্রোফোন বা অন্য কোনো ইনপুট যন্ত্র দিয়ে শব্দ এলে সাউন্ড কার্ড তা প্রসেসরে পাঠায় এবং প্রসেসর সেই ইনপুটকে প্রক্রিয়া করে আবার সাউন্ডকার্ডে পাঠায়, সেখান থেকে হেডফোন বা স্পিকারের মাধ্যমে আমরা শুনতে পাই।
  • গ্রাফিক্স কার্ড: গ্রাফিক্স কার্ডে ইনপুট ও আউটপুট কানেক্টেড থাকে।
  • টাচ স্ক্রিন মনিটর/ ডিসপ্লে মডেম: ডাউনলোড এবং আপলোড উভয়ই করে।

মেমোরি এবং স্টোরেজ ডিভাইস:

  • বিট: বাইনারি নাম্বার পদ্ধতিতে ব্যবহৃত ০ এবং ১ এর অংক দুটির প্রত্যেকটিকে একটি বিট বলা হয়। 
  • বাইট: আটটি বিট দিয়ে গঠিত শব্দ কে বাইট বলা হয়।
  • শব্দ দৈর্ঘ্য: কোন শব্দে যতগুলো বিট থাকে সেই সংখ্যাকে বলে শব্দ দৈর্ঘ্য।
  • মেমোরির ধারণ ক্ষমতা: কম্পিউটার মেমোরিতে ডেটা সংরক্ষণের পরিমাণকে মেমোরির ধারণক্ষমতা বলে। একে প্রকাশ করা হয় বাইট, কিলোবাইট, মেগাবাইট, গিগাবাইট ইত্যাদি দ্বারা।
  • মেমোরি অ্যাড্রেস: ডেটা রাখার জন্য মেমোরিতে অনেকগুলা সুনির্দিষ্ট স্থান বা সেল থাকে এবং সেগুলো শনাক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকে। একে মেমরি এড্রেস বলে। মেমোরি দুই প্রকার- প্রধান মেমোরি ও সহকারি মেমোরি।
  • প্রধান মেমোরি: যে মেমোরি সিপিইউ এর গাণিতিক ও যুক্তি অংশের সাথে সংযুক্ত তাকে প্রধান মেমোরি বলা হয়। প্রকারভেদ: র‍্যাম (Random Access) ও রম (Read Only)
  • RAM: মাদারবোর্ডের সাথে সরাসরি সংযুক্ত যে মেমোরিতে Read এবং Write দুটি কাজই সম্পন্ন করা যায়, সে মেমোরিকে RAM (Random Access Memory) বলা হয়। এটা একটি অস্থায়ী মেমোরি। বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে RAM তার সমস্ত তথ্য মুছে ফেলে।
  • ROM: স্থায়ী প্রকৃতির প্রধান মেমোরি। রমের স্মৃতিতে রক্ষিত তথ্যসমূহ কেবল ব্যবহার করা যায় কিন্তু সংযোজন, সংশোধন বা পরিবর্তন করা যায় না। প্রকারভেদ: MROM, PROM, EPROM, EEPROM, EAPROM.
  • Secondary memory devices: কম্পিউটারের যে মেমোরির সিপিইউ অংশের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ থাকে না তাকে সহায়ক মেমোরি বলে।
  • হার্ডডিস্ক:
    • তথ্য সংরক্ষণের প্রধান যন্ত্র
    • প্রতিটি সেক্টরের ধারণক্ষমতা ৫১২ বাইট
    • হার্ডডিস্ক মাপার একক গিগাবাইট বা টেরাবাইট।
    • হার্ডডিস্ক দুই ধরনের -Internal HDD ও External HDD
  • CD/DVD:
    • এদের নিচের দিকে পাতলা অ্যালুমিনিয়ামের পাত থাকে যা দুই পাশে পলিকার্বনেট প্লাস্টিক দ্বারা সুরক্ষিত থাকে।
    • সিডি বা ডিভিডিতে তথ্য রাখা বা পাঠ করতে লেজার রশ্মি ব্যবহার করা হয়
  • ফ্ল্যাশ ড্রাইভ: একটি পোর্টেবল স্টোরেজ ডিভাইস যাতে একটি পোর্ট থাকে অর্থাৎ কম্পিউটারে সংযুক্ত করার জন্য আলাদা কোনো ক্যাবল এর দরকার হয় না। যেমন- পেনড্রাইভ,  থাম্বড্রাইভ, জাম্পড্রাইভ। 
  • Worm: এতে একবারই মাত্র রেকর্ড করা সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ CD-R disc এতে একবার ডেটা সেভ করলে এই সিডি নষ্ট না হওয়া পর্যন্ত ওই তথ্যের কোনো পরিবর্তন বা ডিলিট করা সম্ভব নয়।
  • ক্যাশ(Cache) মেমোরি: মাইক্রোপ্রসেসর ও প্রথম প্রধান স্মৃতির মাঝে যে অতি উচ্চ গতির এবং কম ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন মেমোরি ব্যবহার করা হয় তাকে ক্যাশ মেমোরি বলে।
    • যে মেমোরি বিদ্যুৎ চলে গেলে মুছে যায় তাকে Volatile memory বলে।
    • যে মেমোরি বিদ্যুৎ চলে গেলে মুছে যায় না তাকে Non-volatile memory বলে।
  • কম্পিউটার বাস:
    • কম্পিউটার হার্ডওয়্যারগুলোর তথ্য পরিবাহী যোগাযোগ রক্ষার জন্য এক ধরনের ধাতব পরিবাহী লাইন বা তার ব্যবহৃত হয়, এগুলো বাস। প্রকারভেদ: সিস্টেম বাস ও এক্সপানশন বাস। 
    • সিস্টেম বাস: এই বাস সিপিইউ বা মাইক্রোপ্রসেসরের সাথে কম্পিউটারের অন্যান্য অংশকে সরাসরি সংযুক্ত করে। ডেটা বাস, অ্যাড্রেস বাস, কন্ট্রোল বাস এর বিভিন্ন অংশ।
    • এক্সপ্যানশন বাস: সিপিইউ এক্সপ্যানশন বাস এর সাহায্যে কম্পিউটারের ইনপুট-আউটপুট ও অন্যান্য পেরিফেরাল ডিভাইসের সাথে যোগাযোগ করে। মাদারবোর্ডের প্রসেসর থেকে এসকল এক্সপ্যানশন বাস দ্বারা সংযোগ করা থাকে। উল্লেখযোগ্য এক্সপ্যানশন বাস- লোকাল বাস, ইউএসবি বাস, ফায়ারওয়্যার, এজিপি, আইএসএ বাস, EISA বাস।