10 Minute School
Log in

ভৌতজগৎ ও পরিমাপের প্রাথমিক ধারণা | Physical World and Measurement

ভৌতজগতের প্রকৃতি (Nature of physical world):

জগতের শ্রেণিবিভাগ দু’টি—একটি ভৌত জগৎ, অপরটি জীব জগৎ। ভৌত জগৎ মূলত চারটি উপাদানের সমন্বয়ে তৈরি। সেগুলো হলো :

(১) স্থান (Place)
(২) কাল (Time)
(৩) ভর (Mass)
(৪) শক্তি (Energy)

ভৌত জগতের বৈচিত্র্য উপলদ্ধি করার দু’টি চমৎকার উপায় রয়েছে। এক, ভৌত জগৎকে ক্ষুদ্র হতে ক্ষুদ্রতরভাবে দেখা; দুই, ভৌত জগৎকে বৃহৎ হতে বৃহত্তরভাবে দেখা।

ক্ষুদ্র হতে ক্ষুদ্রতরভাবে দেখার অর্থ হলো— কোনো বস্তুকে ভেঙ্গে পাওয়া যায় অণু (Molecule), অণুকে ভেঙ্গে পাওয়া যায় পরমাণু (Atom)। আবার পরমাণুকে ভেঙ্গে পাওয়া যায় স্থায়ী ও অস্থায়ী কণিকা, কণিকাকে ভেঙ্গে কোয়ার্ক, কোয়ার্ককে ভেঙ্গে শক্তিগুচ্ছ আরও কত কী !

বৃহৎ হতে বৃহত্তরভাবে দেখার অর্থ হলো— উপগ্রহ, গ্রহ, সৌর জগতের (Solar System) মত জগৎ, ছায়াপথ বা গ্যালাক্সি (Galaxy), আরও বৃহত্তর কত কী! ভৌত জগতে আরও রয়েছে ব্ল্যাকহোল (Black hole) যা হতে আলোক পর্যন্ত বের হয়ে আসতে পারে না। অনুমান করা হয় এক বৃহৎ ব্ল্যাকহোলকে কেন্দ্র করে বৃহৎ ছায়াপথগুলো ঘুরছে। ভৌত জগতের নানা বিষয়ের বিশেষ জ্ঞানের আলোচনাই ভৌত বিজ্ঞান।

 

ভৌতজগৎ ও পরিমাপ

অনুমান করা হয় মানুষ জানতে পেরেছে মাত্র 4%। বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের জীব সম্পদ ছাড়া সব কিছুই ভৌত বিজ্ঞানের দুর্ভেদ্য ভিত।

পদার্থবিজ্ঞানের পরিসর (Scope of physics):

পড়ার সুবিধার জন্য এবং বিশদভাবে আলোচনার জন্য পদার্থবিজ্ঞানকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছে, যথা—

  • সাধারণ পদার্থবিজ্ঞান (General Physics)
  • তাপবিজ্ঞান (Heat)
  • শব্দবিজ্ঞান (Sound)
  • আলোকবিজ্ঞান (Light)
  • চুম্বকবিজ্ঞান (Magnetism)
  • তড়িৎ বা বিদ্যুৎবিজ্ঞান (Electricity)
  • ইলেকট্রনিক্স (Electronics)
  • পারমাণবিক বিজ্ঞান (Atomic Physics) ইত্যাদি।

সাধারণ পদার্থবিজ্ঞানকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে, যথা—

(১) বলবিদ্যা (Mechanics)
(২) পদার্থের ধর্ম (Properties of matter)

চ্যাপ্টার সম্পর্কিত টপিক