টমাস ইয়ং (Thomas Young, 1773–1829)
টমাস ইয়ং (Thomas Young) একজন ব্রিটিশ চিকিৎসক ও পদার্থবিজ্ঞানী। নিউটনের কণিকা তত্ত্ব আলোর অনেক ঘটনা ব্যাখ্যা করতে পারে। তবে আলোর ব্যতিচার, অপবর্তন, সমবর্তন ইত্যাদির কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যা কণিকা তত্ত্বে পাওয়া যায় না। স্যার আইজাক নিউটনের সমসাময়িক ডাচ বিজ্ঞানী হাইগেন্স (Huygens) 1678 খ্রিস্টাব্দে আলাের তরঙ্গ তত্ত্ব প্রদান করেন। পরে টমাস ইয়ং, ফ্রেনেলসহ আরও অনেকে এই তত্ত্বকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
টমাস ইয়ং বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। তিনি পেশায় একজন চিকিৎসক হওয়া সত্ত্বেও পদার্থবিজ্ঞানে তার অবদান অপরিসীম। তাঁর সবচেয়ে বেশি আগ্রহ ছিল আলোকবিজ্ঞানে। 1801 খ্রিস্টাব্দে তিনি আলোকের ব্যতিচার আবিষ্কার করেন। দুটি উৎস হতে সমান কম্পাঙ্ক ও বিস্তারের দুটি আলোক তরঙ্গের উপরিপাতনের ফলে কখনও কখনও আলো খুব উজ্জ্বল এবং কখনও কখনও অন্ধকার দেখায়। আলোকের এ ঘটনাকে ব্যতিচার বলে।
1807 খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী ইয়ং আলোকের ব্যতিচার প্রদর্শনের নিমিত্তে একটি পরীক্ষা সম্পাদন করেন। তাঁর নামানুসারে এই পরীক্ষাকে ইয়ং-এর পরীক্ষা বলে। এই পরীক্ষার ফলে আলোকের তরঙ্গ তত্ত্ব সুদৃঢ় হয় পদার্থের স্থিতিস্থাপকতার ওপরও তিনি একটি সূত্র প্রদান করেন। স্থিতিস্থাপকতার দৈর্ঘ্য গুণাঙ্ক ইয়ং-এর গুণাঙ্ক নামে পরিচিত। মানব চোখে বিভিন্ন আলোর সংবেদনশীলতা সম্বন্ধে তিনি সর্বপ্রথম ব্যাখ্যা প্রদান করেন।