মেরুদণ্ডী ও অমেরুদণ্ডী প্রাণীর উল্লেখযোগ্য পার্থক্য (Significant differences between vertebrates and invertebrates)
আলোচ্য বিষয় | মেরুদণ্ডী প্রাণী | অমেরুদণ্ডী প্রাণী |
১. মেরুদণ্ড | পৃষ্ঠ মধ্যরেখা বরাবর থাকে এবং কশেরুকাযুক্ত। | অনুপস্থিত। |
২. স্নায়ুরজ্জু | ফাঁপা, দেহের পৃষ্ঠদেশে অবস্থিত। | নিরেট, দেহের অঙ্কীয়দেশে অবস্থিত। |
৩. প্রতিসাম্য | দ্বিপার্শ্বীয়। | অপ্রতিসম, অরীয় বা দ্বিপার্শ্বীয়। |
৪. হৃদপিণ্ড | দেহের অঙ্কীয়দেশ। | যদি থাকে তবে পৃষ্ঠদেশে। |
৫. হিমোগ্লোবিন | সব সময় লোহিত কণিকার অভ্যন্তরে। | যদি থাকে তবে রক্তরসে দ্রবীভূত অবস্থায়। |
৬. মস্তিষ্ক | সবসময়ই থাকে এবং করোটির অভ্যন্তরে সুরক্ষিত। | যদি থাকে, তবে তা কটি দিয়ে আবৃত নয়। |
৭. অন্তকঙ্কাল | অস্থি ও তরুণাস্থি নিয়ে গঠিত। | থাকে না, থাকলেও অস্থি ও তরুণাস্থি দিয়ে তৈরি নয়। |
সকল মেরুদণ্ডী প্রাণীই কর্ডেট, কিন্তু সকল কর্ডেট মেরুদণ্ডী নয় (All vertebrates are chordates, but not all chordates are vertebrates)
- কর্ডেট প্রাণীর তিনটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে স্থিতিস্থাপক নটোকর্ড, পৃষ্ঠীয় ফাঁপা স্নায়ুরজ্জু এবং গলবিলীয় ফুলকা রন্ধ্র।
- Vertebrata উপপর্বের ক্ষেত্রে ভ্রুণাবস্থায় নটোকর্ড থাকলেও পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় তা কশেরুকা নির্মিত মেরুদন্ড দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়। সেজন্য এদের মেরুদন্ডী প্রাণী বলে। তাছাড়া স্নায়ুরজ্জুটি মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ড দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়; ফুলকা রন্ধ্র বন্ধ হয়ে যায় এবং ফুলকা বা ফুসফুসের আবির্ভাব ঘটে।