10 Minute School
Log in

মেরুদণ্ডী ও অমেরুদণ্ডী প্রাণীর উল্লেখযোগ্য পার্থক্য (Significant differences between vertebrates and invertebrates)

আলোচ্য বিষয়        মেরুদণ্ডী প্রাণী        অমেরুদণ্ডী প্রাণী 
১. মেরুদণ্ড পৃষ্ঠ মধ্যরেখা বরাবর থাকে এবং কশেরুকাযুক্ত। অনুপস্থিত।
২. স্নায়ুরজ্জু ফাঁপা, দেহের পৃষ্ঠদেশে অবস্থিত। নিরেট, দেহের অঙ্কীয়দেশে অবস্থিত।
৩. প্রতিসাম্য দ্বিপার্শ্বীয়। অপ্রতিসম, অরীয় বা দ্বিপার্শ্বীয়।
৪. হৃদপিণ্ড দেহের অঙ্কীয়দেশ। যদি থাকে তবে পৃষ্ঠদেশে।
৫. হিমোগ্লোবিন সব সময় লোহিত কণিকার অভ্যন্তরে। যদি থাকে তবে রক্তরসে দ্রবীভূত অবস্থায়।
৬. মস্তিষ্ক সবসময়ই থাকে এবং করোটির অভ্যন্তরে সুরক্ষিত। যদি থাকে, তবে তা কটি দিয়ে আবৃত নয়।
৭. অন্তকঙ্কাল অস্থি ও তরুণাস্থি নিয়ে গঠিত। থাকে না,  থাকলেও অস্থি ও তরুণাস্থি দিয়ে তৈরি নয়।
মেরুদণ্ডী ও অমেরুদণ্ডী প্রাণীর উল্লেখযোগ্য পার্থক্য

সকল মেরুদণ্ডী প্রাণীই কর্ডেট,  কিন্তু সকল কর্ডেট মেরুদণ্ডী নয় (All vertebrates are chordates, but not all chordates are vertebrates)

  • কর্ডেট প্রাণীর তিনটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে স্থিতিস্থাপক নটোকর্ড, পৃষ্ঠীয় ফাঁপা স্নায়ুরজ্জু এবং গলবিলীয় ফুলকা রন্ধ্র।
  • Vertebrata উপপর্বের ক্ষেত্রে ভ্রুণাবস্থায় নটোকর্ড থাকলেও পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় তা কশেরুকা নির্মিত মেরুদন্ড দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়। সেজন্য এদের মেরুদন্ডী প্রাণী বলে। তাছাড়া স্নায়ুরজ্জুটি মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ড দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়; ফুলকা রন্ধ্র বন্ধ হয়ে যায় এবং ফুলকা বা ফুসফুসের আবির্ভাব ঘটে।