বাংলাদেশ অর্থনীতি ও বাণিজ্য
Bangladesh Economy and Trade
অর্থনীতি বিষয়ক কিছু তথ্য
অর্থনীতির প্রধান আলোচ্য বিষয়– সীমিত সম্পদ দ্বারা অসীম অভাব পূরণের চেষ্টা।
- ধ্রুপদী অর্থনীতির জনক হিসেবে খ্যাত- পল স্যামুয়েলসন।
- অর্থনীতিকে “অপ্রাচুর্যের বিজ্ঞান” অভিহিত করেছেন এল রবিন্স।
- অর্থনীতিকে “সম্পদের বিজ্ঞান” অভিহিত করেছেন এডাম স্মিথ।
- আধুনিক অর্থশাস্ত্রের জনক এডাম স্মিথ।
- অর্থনীতি ২ প্রকার – ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক।
- সামষ্টিক অর্থনীতির জনক – জন মাইনার্ড কেইন্স।
বাজেট
- বাজেট হলো নির্দিষ্ট সময়ে (সরকারের এক বছরের) সম্ভাব্য আয় ব্যয়ের বিস্তারিত হিসাব।
- বাংলাদেশের অর্থবছর – জুলাই থেকে জুন।
- বাংলাদেশের প্রথম অর্থমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী।
- ১৯৭২ সালের ৩০ জুন বাংলাদেশের প্রথম বাজেট পেশ করেন – তাজউদ্দিন আহমেদ
জাতীয় আয় ও ব্যয়
- বাংলাদেশের জাতীয় আয় গণনায় দেশের অর্থনীতিকে ভাগ করা হয় ১৫টি খাতে।
- বাংলাদেশে ভ্যাট ব্যবস্থা চালু হয় ১৯৯১ সালে।
- TIN এর পূর্ণরূপ- Taxpayer’s Identification Number
- TIN এর ১০ ডিজিট থাকে এবং ইলেকট্রনিক TIN এর ১২ ডিজিট থাকে।
- শিল্পকে উৎসাহিত করতে সাময়িকভাবে মওকুফকৃত ট্যাক্স হচ্ছে ট্যাক্স হলিডে।
অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও উন্নয়ন পরিকল্পনা
- পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার প্রবর্তক – সোভিয়েত ইউনিয়ন।
- বাংলাদেশে প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয় ১৯৭৩-৭৮ সালে।
- বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত পঞ্চবার্ষিকী প্রণয়ন করা হয়েছে ৭ বার।
- ADP এর মাধ্যমে বার্ষিক উন্নয়ন বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয়।
- ECNEC এর পূর্ণরুপ হলো Executive Committee of National Economic Council. ECNEC এর চেয়ারম্যান বা সভাপতি হলেন প্রধানমন্ত্রী।
আমদানি- রপ্তানি
- বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি পণ্য রপ্তানি করে – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।
- বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন – FBCCI
- দেশের প্রথম ও একমাত্র বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র (WTC) অবস্থিত চট্টগ্রামে।
ব্যাংকিং ব্যবস্থা, বীমা ও মুদ্রাব্যবস্থা
- বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রথম গভর্নর ছিলেন এ এন হামিদুল্লাহ।
- বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা অফিস ১০টি।
- বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতির মেয়াদ – ৬ মাস।
- বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সদস্য গঠিত ৯ জন সদস্য নিয়ে (১ জন চেয়ারম্যান ও ৮ জন পরিচালক)।
- বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রথম নারী পরিচালক অধ্যাপিকা হান্নানা বেগম।
- বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রথম নারী ডেপুটি গভর্নর নাজনীন সুলতানা।
- বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ – মুদ্রানীতি ও ঋণনীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, মুদ্রা (ধাতব ও কাগজের মুদ্রা) ইস্যু করা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণ।
ব্যাংক বিষয়ক কিছু আইনের শিরোনাম
- বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশ, ১৯৭২ (রাষ্ট্রপতির আদেশ)।
- ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন (সংশোধন) আইন, ২০১৫।
- ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন আইন, ১৯৯৩।
- মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথোরিটি আইন, ২০০৬।
- মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২।
- মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংক
বাংলাদেশে ৬টি রাষ্ট্রয়াত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে যেগুলোর শতভাগ অথবা প্রায় শতভাগ মালিকানা বাংলাদেশ সরকারের।
১. সোনালী ব্যাংক লিমিটেড
২. রূপালী ব্যাংক লিমিটেড
৩. অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড
৪. জনতা ব্যাংক লিমিটেড
৫. বেসিক ব্যাংক লিমিটেড
৬. বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড
বাংলাদেশের ব্যাংক সম্পর্কিত আরো কিছু তথ্য
- বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৩ সালে।
- শিল্প ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭২ সালে।
- প্রথম মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করে- ডাচ বাংলা ব্যাংক ২০১১ সালে।
- বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত ব্যাংক হলো ট্রাস্ট ব্যাংক।
- বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৩ সালে।
- শিল্প ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭২ সালে।
বীমা
- বীমা খাত অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে (পূর্বে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছিল)।
- বাংলাদেশে রাষ্ট্রায়াত্ত বীমা প্রতিষ্ঠান ২টি।
- বর্তমানে দেশে বীমা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৭৯টি।
- জীবন বীমা ৩৩টি, সাধারণ বীমা ৪৬টি।
বাংলাদেশের মুদ্রা ব্যবস্থা
- বাংলাদেশে টাকা ছাপানোর প্রেস- দ্য সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন (গাজীপুর-১৯৮৯)।
- সরকারি মুদ্রা- ১, ২, ৫ টাকার নোট।
- ব্যাংক নোট- ১০, ২০, ৫০, ১০০, ২০০, ৫০০, ১০০০ টাকার নোট।
- স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মুদ্রার ডিজাইনার কে জি মোস্তফা।
- বাংলাদেশের প্রথম কাগুজে মুদ্রা প্রবর্তন করা হয় ৪ মার্চ ১৯৭২ সালে।
- বাংলাদেশে ধাতব মুদ্রা চালু হয় ৪ জানুয়ারি, ১৯৭৩ সালে।
নোটের মান | মন্তব্য |
৫ টাকা | নওগাঁর কুসুম্বা মসজিদের ছবি রয়েছে |
১০ টাকা | বায়তুল মোকাররম মসজিদের ছবি রয়েছে। |
২০ টাকা | ষাট গম্বুজ মসজিদের ছবি রয়েছে। |
৫০ টাকা | জয়নুল আবেদিনের চিত্রকর্ম ‘মই দেয়া’ এর ছবি রয়েছে। |
১০০ টাকা | তারা মসজিদের ছবি রয়েছে। |
২০০ টাকা | বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২০০ টাকার নোট ছাপানো হয়। |
৫০০ টাকা | বাংলাদেশের কৃষির ছবি রয়েছে। |
১০০০ টাকা | জাতীয় সংসদের ছবি রয়েছে। |
বেসরকারি সংস্থা
- বর্তমান বিশ্বের সর্ববৃহৎ এনজিও হলো ব্র্যাক।
- বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ক্ষুদ্র ঋণ দানকারী সংস্থা – আশা (ASA)।
- যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এনজিও CARE এর পূর্ণরূপ Cooperative American Relief Everywhere।
শিল্প কারখানা
- বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ে শীর্ষে আছে রেডিমেড গার্মেন্টস শিল্প (RMG)।
- বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ওষুধ রপ্তানি করে মিয়ানমারে।
- ২০০৫ সালে প্রথম কোম্পানি হিসেবে লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয় বেক্সিমকো ফার্মা।
- দেশে প্রথম ওষুধ পার্ক স্থাপিত হয় মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায়।
- বাংলাদেশে বৃহত্তম সার কারখানা – যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড, জামালপুর।
- বাংলাদেশের প্রথম ও বৃহত্তম কাগজকল কর্ণফুলী পেপার মিলস।
- বাংলাদেশের বৃহত্তম জাহাজ নির্মাণ ও মেরামত কারখানা হলো খুলনা শিপইয়ার্ড।
- বাংলাদেশ থেকে রপ্তানিকৃত প্রথম জাহাজ – স্টেলা মরিস।
বাংলাদেশের ইপিজেডসমূহ
- বাংলাদেশে মোট ইপিজেডের সংখ্যা ৮টি।
- বাংলাদেশের কৃষিভিত্তিক ইপিজেড হচ্ছে উত্তরা ইপিজেড (নীলফামারি)।
- দেশের প্রথম বেসরকারি ইপিজেড ‘আরইপিজেড’।
- সবচেয়ে বড় এবং প্রথম ইপিজেড হচ্ছে চট্টগ্রামে (১৯৮৩)।
- BEPZA এর পূর্ণরূপ Bangladesh Export Processing Zone Authority।
বাংলাদেশের ইপিজেডসমূহ | ||
ইপিজেড | অবস্থান | কার্যক্রম |
চট্টগ্রাম | হালিশহর, চট্টগ্রাম | ১৯৮৩ |
ঢাকা | সাভার, ঢাকা | ১৯৯৩ |
মংলা | মংলা, বাগেরহাট | ১৯৯৮ |
ঈশ্বরদী | পাকশী, পাবনা | ১৯৯৮ |
উত্তরা | সঙ্গলশী, নীলফামারি | ১৯৯৯ |
কুমিল্লা | বিমান বন্দর, কুমিল্লা | ২০০০ |
আদমজী | সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ | ২০০৬ |
কর্ণফুলী | পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম | ২০০৬ |