10 Minute School
Log in

বাংলাদেশের ইতিহাস (ভাষা আন্দোলন- মুক্তিযুদ্ধ)

ভাষা আন্দোলন এর পটভূমি (Background of the Language Movement)

  • পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কী হবে এই নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিলে চৌধুরী খালেকুজ্জামান ও আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জিয়াউদ্দিন আহমদ উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার জন্য প্রস্তাব করেন।
  • তাদের এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান ভাষাবিজ্ঞানী ড: মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, ড: এনামুল হক সহ আরো বেশ কিছু বুদ্ধিজীবী।
  • তমদ্দুন মজলিশ: ১৯৪৭ সালের ১লা সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেমের নেতৃত্বে এই সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার দাবি উত্থাপন করে এই প্রতিষ্ঠানটি।
  • ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি গঠিত হয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ
  • ১৯৪৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পূর্ব বাংলার গণপরিষদের সদস্য কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবি উত্থাপন করেন।
  • ১৯৪৮ সালের ২ মার্চ কামরুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে গঠন করা হয় ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’।
  • পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ ১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে এবং ২৪ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে ঘোষণা দেন যে “উর্দু এবং একমাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা”। সমবেত ছাত্র-জনতা এর প্রতিবাদ জানায় উভয় স্থানেই।
  • ১৯৫২ সালের ২৬ জানুয়ারি পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমউদ্দিন ঢাকায় ঘোষণা দেন যে উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা।
  • খাজা নাজিমউদ্দিনের ঘোষণার প্রতিবাদে একই দিনে কাজী গোলাম মাহবুবকে আহ্বায়ক করে গঠন করা হয় সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটি’।
  • পরবর্তীতে ১৯৫২ সালের ৩১ জানুয়ারি সকল রাজনৈতিক- সাংস্কৃতিক দলকে নিয়ে গঠন করা হয় “সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ”। কাজী গোলাম মাহবুব হন এর আহ্বায়ক।
  • সংগ্রাম পরিষদ ২১ ফেব্রুয়ারি দিনটিতে ‘রাষ্ট্রভাষা দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং সারাদেশে হরতাল আহ্বান করে।
  • ২১ ফেব্রুয়ারিতে নুরুল আমিন সরকার ১৪৪ ধারা জারি করে।
  • ২১ ফেব্রুয়ারির দিন (৮ ফাল্গুন, ১৩৫৮ বঙ্গাব্দ,বৃহস্পতিবার) বর্তমান ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গনে ছাত্র-জনতা সমবেত হয়ে স্লোগান দিয়ে মিছিল শুরু করলে পুলিশ গুলিবর্ষণ করে।

ভাষা শহিদদের পরিচয়

শহিদ রফিক উদ্দিন আহমেদ

পেশায় ছিলেন কমার্শিয়াল প্রেসের পরিচালক। ২১ ফেব্রুয়ারির দিন মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তৎক্ষণাৎ মৃত্যুবরণ করেন।

শহিদ আবুল বরকত

তার ডাকনাম আবাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলিবিদ্ধ হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং ঐদিন রাত আটটায় মৃত্যুবরণ করেন।

শহিদ আব্দুল জব্বার

আবদুল জব্বার চাকরিসূত্রে দীর্ঘদিন মিয়ানমারে অবস্থান করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি আনসার বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে তিনি মিছিলে অবস্থানকালে গুলিবিদ্ধ হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। রাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

শহিদ আবদুস সালাম

আবদুস সালাম পাকিস্তান ডিরেক্টর অব ইন্ডাস্ট্রিজ বিভাগের পিয়ন হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ১৯৫২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারিতে গুলিবিদ্ধ হন এবং ৭ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন।

শহিদ শফিউর রহমান

শহিদ শফিউর কর্মরত ছিলেন ঢাকা হাইকোর্টের হিসাবরক্ষণ শাখার কেরানি। ২১ ফেব্রুয়ারিতে ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে পরদিন ২২ ফেব্রুয়ারিতে মিছিল বের হলে সেখানেও পুলিশ গুলিবর্ষণ করে। এই মিছিলে শফিউর রহমান গুলিবিদ্ধ হন।

শহিদ অহিউল্লাহ

রাজমিস্ত্রি হাবিবুর রহমানের আট/নয় বছরের সন্তান। ভাষা আন্দোলনের সর্বকনিষ্ঠ শহীদ১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার নবাবপুর রোডে পুলিশের গুলিতে মৃত্যুবরণ করে। পুলিশ তার লাশ গুম করে ফেলে।

ভাষা আন্দোলনের পরবর্তী কিছু বিষয়

  • ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারিতে প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এক রাতের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়। শহীদ শফিউরের পিতা এই শহীদ মিনারটি উদ্বোধন করেন।
  • ১৯৫৪ সালে পাকিস্তানের গণপরিষদে বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
  • বাংলাকে সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হয় ১৯৫৬ সালে

 

প্রথম কবিতা “কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি”

রচয়িতা: মাহবুব উল আলম চৌধুরী

প্রথম গান “ভুলব না, ভুলব না, একুশে ফেব্রুয়ারি ভুলব না” 

রচয়িতা: ভাষা সৈনিক গাজীউল হক

প্রথম উপন্যাস “আরেক ফাল্গুন”, রচয়িতা: জহির রায়হান
প্রথম নাটক “কবর”, রচয়িতা: মুনীর চৌধুরী (প্রথম মঞ্চস্থ হয় ১৯৫৩ সালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে)
প্রথম চলচ্চিত্র “জীবন থেকে নেওয়া”, পরিচালক: জহির রায়হান
প্রথম সংকলন “একুশে ফেব্রুয়ারি”, রচয়িতা: হাসান হাফিজুর রহমান
  • “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি” গানটির রচয়িতা আব্দুল গাফফার চৌধুরী। প্রথম সুরকার- আব্দুল লতিফ এবং প্রচলিত সুরের সুরকার- আলতাফ মাহমুদ। 

পাকিস্তান আমল

যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৪

নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫৪ সালের ৮ থেকে ১২ মার্চ। নির্বাচনে মুসলিম আসন ২৩৭টির মধ্যে ২২৩ টি আসনে বিজয়ী হয় যুক্তফ্রন্ট (মোট আসন ছিল ৩০৯)। নির্বাচনের পর শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্টের সরকার গঠিত হয়।

কাগমারি সম্মেলন, ১৯৫৭

টাঙ্গাইল জেলার কাগমারিতে ১৯৫৭ সালের ৭-১০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন ও সাংস্কৃতিক সম্মেলন। কাগমারি সাংস্কৃতিক সম্মেলনে ভাসানী পাকিস্তানি শাসকদের হুঁশিয়ার করে বলেন, যদি পূর্ব পাকিস্তানে শোষণ অব্যাহত থাকে তবে তিনি পশ্চিম পাকিস্তানকে “আসসালামু আলাইকুম” জানাতে বাধ্য হবেন।

সামরিক শাসন ১৯৫৮ সাল

১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্জা, ফিরোজ খান নুনের সরকারকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে সামরিক শাসন জারি করেন। ১৯৫৮ সালের ২৭ অক্টোবর জেনারেল আইয়ুব খান প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্জাকে পদচ্যুত করে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হন।

ছয় দফা ১৯৬৬

ছয় দফা দাবি পেশ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সম্মেলনে। ছয় দফা দিবস ৭ জুন।

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ১৯৬৮

মামলাটির প্রকৃত নাম ছিল ‘রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিব এবং অন্যান্য’। ১৯৬৮ সালে শেখ মুজিবুর রহমানসহ ৩৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করেছিল।

ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান

সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় ১৯৬৯ সালের ৪ জানুয়ারি। আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদ শহীদ হন ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি। “আসাদের শার্ট” কবিতাটি রচনা করেন শামসুর রাহমান। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. শামসুজ্জোহা শহীদ হন ১৮ ফেব্রুয়ারিতে, ১৯৬৯।

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করা হয় ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯। শেখ মুজিবর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করেন তোফায়েল আহমেদ ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি। আইয়ুব খান পদত্যাগ করেন ২৫ মার্চ, ১৯৬৯।

১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচন

সমগ্র পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদে আসন সংখ্যা ছিল ৩১৩টি। সংরক্ষিত মহিলা আসন ছিল ১৩টি। পূর্ব পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের আসন ছিল ১৬৯টি (৭টি সংরক্ষিত) ও পশ্চিম পাকিস্তানে ছিল ১৪৪টি (৬টি সংরক্ষিত)। আওয়ামী লীগ সংরক্ষিত আসনসহ জয়লাভ করে ১৬৭টি আসনে।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা

১৯৭১ সালের পর্যায়ক্রমিক কিছু ঘটনা

তারিখ             উল্লেখযোগ্য ঘটনা
২ মার্চ
  • বাংলাদেশের পতাকা প্রথমবারের মতো উত্তোলন করেন ডাকসু ভিপি আ.স.ম. আব্দুর রব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায়।
৩ মার্চ
  • পল্টন ময়দানে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকার উত্তোলন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর সামনে পাঠ করা হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইশতেহার। ইশতেহার পাঠ করেন শাহজাহান সিরাজ
  • বঙ্গবন্ধুকে “জাতির জনক” উপাধি দেওয়া হয়।
৭ মার্চ
  • রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ সম্পন্ন হয়।
১২ মার্চ
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে আয়োজিত এক সভায় পটুয়া কামরুল হাসানের আহবানে শাপলাকে বাংলাদেশের জাতীয় ফুল নির্বাচনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
১৪ মার্চ
  • শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন পাকিস্তানি শাসকদের দেয়া সকল খেতাব বর্জন করেন।
১৯ মার্চ
  • গাজীপুরের জয়দেবপুরে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলে “ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট”।
২৩ মার্চ
  • পাকিস্তান দিবসে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকার পরিবর্তে পূর্ব পাকিস্তানের অফিস আদালতসহ সর্বত্র বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করা হয়।
২৫ মার্চ
  • অপারেশন সার্চলাইট: প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান “অপারেশন সার্চলাইট” স্বাক্ষর করে পাকিস্তানে চলে যান। ঐদিন রাত ১১টায় ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে প্রথম সেনা অভিযান শুরু হয়। প্রথম আক্রমণের শিকার হয় রাজারবাগ পুলিশ লাইন, ইপিআর পিলখানা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
  • রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতার হন।  
২৬ মার্চ
  • গ্রেফতারের পূর্বে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে এম.এ হান্নান কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করা হয়। 
২৭ মার্চ
  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে চট্টগ্রামস্থ কালুরঘাট স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা।
৪ এপ্রিল
  • হবিগঞ্জের চা বাগানে কর্নেল এম.এ.জি ওসমানীর নেতৃত্বে মুক্তিফৌজ গঠন।
১০ এপ্রিল
  • মুজিবনগরে অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয় (মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায়)।
১৭ এপ্রিল
  • মুজিবনগরে আওয়ামী লীগের গণপ্রতিনিধিদের নিয়ে অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহণ সম্পন্ন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আব্দুল মান্নান এবং শপথবাক্য পাঠ করান অধ্যাপক ইউসুফ আলী। এদিন স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রও গৃহীত হয়।
১৮ এপ্রিল
  • কলকাতাস্থ পাকিস্তান হাই কমিশনের ডেপুটি হাই কমিশনার এম হোসেন আলী তাঁর মিশনের ৬৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের আনুগত্য ঘোষণা করেন। তিনি কলকাতার হাইকমিশন ভবনের শীর্ষে বাংলাদেশের পতাকা উড়ান। বিদেশের মাটিতে প্রথম পতাকা উত্তোলনের ঘটনা।
১৫ আগস্ট
  • বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নৌ কমান্ডো কর্তৃক “অপারেশন জ্যাকপট” পরিচালিত হয়। চট্টগ্রাম, মংলা সমুদ্র বন্দর এবং চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জের নদীবন্দরে।
২৮সেপ্টেম্বর
  • বাংলাদেশ বিমানবাহিনী অপারেশন কিলো-ফ্লাইট পরিচালনা করে। 
২১ নভেম্বর
  • বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ বাহিনী গঠন। বাংলাদেশের তিন বাহিনী একযোগে আক্রমণ শুরু করে।
৬ ডিসেম্বর
  • ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। প্রথম শত্রুমুক্ত হয় যশোর জেলা।
১৪ ডিসেম্বর
  • পাকিস্তানি সেনাবাহিনী, রাজাকার ও আল বদররা পরিকল্পিতভাবে দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।
১৬ ডিসেম্বর
  • রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ পূর্ণাঙ্গ স্বাধীন দেশে পরিণত হয়।

মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বসূচক খেতাবসমূহ

বীরশ্রেষ্ঠ ৭জন
বীর উত্তম ৬৮জন
বীর বিক্রম ১৭৫জন
বীর প্রতীক ৪২৬জন
মোট খেতাবপ্রাপ্ত ৬৭৬ জন

খেতাব সম্পর্কিত আরো কিছু তথ্য

১) মুক্তিযুদ্ধে প্রথম বীর উত্তম খেতাব পান লে. কর্নেল আব্দুর রব

২) সর্বশেষ (৬৯তম) বীর উত্তম খেতাব অর্জন করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমেদ ২০১০ সালে।  

৩) একমাত্র “ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর” বীরবিক্রম হলেন- উইকে চিন [মারমা উপজাতি; ৮ নং সেক্টর]

৪) নারী বীর প্রতীক ক্যাপ্টেন সিতারা বেগম (২নং সেক্টর) ও তারামন বিবি (১১নং সেক্টর)। তারামন বিবিকে খেতাব দেওয়া হয় ১৯৯৫ সালের ১৯ ডিসেম্বর।

৫) সর্বকনিষ্ঠ খেতাবধারী মুক্তিযোদ্ধা– শহীদুল ইসলাম, বীর প্রতীক (ডাক নাম লালু)

৬) একমাত্র বিদেশি খেতাবধারী হলেন ডব্লিউ এ এস ওডারল্যান্ড, বীর প্রতীক (১ ও ২ নং সেক্টর)

৭) বাংলাদেশের বেসামরিক বীরউত্তম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৫জন

স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি

প্রথম দেশ ভারত (৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১)
দ্বিতীয় দেশ ভুটান (৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১)
প্রথম আরব দেশ ইরাক (৮ জুলাই, ১৯৭২)
প্রথম মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরাক (৮ জুলাই, ১৯৭২)
প্রথম মুসলিম দেশ সেনেগাল (১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭২)
প্রথম অনারব মুসলিম দেশ মালয়েশিয়া (২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭২)
প্রথম আফ্রিকান দেশ সেনেগাল (১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭২)
প্রথম ইউরোপীয় দেশ পূর্ব জার্মানি (১১ জানুয়ারি, ১৯৭২)
প্রথম সমাজতান্ত্রিক দেশ পূর্ব জার্মানি (১১ জানুয়ারি, ১৯৭২)
প্রথম উত্তর আমেরিকার দেশ বার্বাডোস (২০ জানুয়ারি, ১৯৭২)
প্রথম দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনিজুয়েলা ও কলম্বিয়া (২ মে, ১৯৭২
প্রথম ওশেনিয়া দেশ টোঙ্গা (২৫ জানুয়ারি, ১৯৭২)

বাংলাদেশের ভাস্কর্যসমূহ

ভাস্কর্য ভাস্কর্যের স্থপতি(ভাস্কর) ও অবস্থান
অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর: সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ

অবস্থান: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

জাতীয় স্মৃতিসৌধ স্থপতি: সৈয়দ মাইনুল হোসেন

অবস্থান: সাভার

বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ  স্থপতি: ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, মোঃ জামে- আল-শফি 

অবস্থান: রায়েরবাজার, মোহাম্মদপুর

সংশপ্তক ভাস্কর: হামিদুজ্জামান খান

অবস্থান: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ স্থপতি: তানভীর কবির

অবস্থান: মেহেরপুর

সাবাস বাংলাদেশ ভাস্কর: নিতুন কুণ্ডু

অবস্থান: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়