10 Minute School
Log in

বাংলাদেশ পরিচিতি (Introduction to Bangladesh)

এক নজরে বাংলাদেশ (Bangladesh at a Glance)

  • বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ (ইংরেজিতে The People’s Republic of Bangladesh)
  • রাজধানী: ঢাকা
  • বাণিজ্যিক রাজধানী: চট্টগ্রাম।
  • স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস: ২৬-শে মার্চ

Introduction to Bangladesh | বাংলাদেশ পরিচিতি

বাংলাদেশের সীমান্ত ও ছিটমহল

  • বাংলাদেশের ভূখণ্ডগত বা রাজনৈতিক সমুদ্রসীমা ১২ নটিক্যাল মাইল (২২.২২ কিমি) এবং উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল (৩৭০.৪০ কিমি) পর্যন্ত হলো অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা
  • বাংলাদেশের সাথে মিয়ানমারের Maritime boundary বিদ্যমান রয়েছে।
  • বাংলাদেশের সাথে ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্য ৫টি। তন্মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ বাদে বাকি রাজ্যগুলো সেভেন সিস্টার্সের অন্তর্গত। সেভেন সিস্টার্স হলো ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ৭টি রাজ্য।
  • ভারত ও মিয়ানমারের যৌথ সীমানা আছে রাঙ্গামাটি জেলার সাথে।
  • মিয়ানমারের সাথে সীমান্তবর্তী জেলা- রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার।
  • বাংলাদেশের সাথে ভারতের অমীমাংসিত সীমান্ত হলো ফেনীর মুহুরির চরের ২ কি.মি.।
  • ভারতের সাথে সীমান্ত যোগাযোগ নেই বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের।

সেভেন সিস্টার্স সহজে মনে রাখার কৌশল

“আমেত্রিঅমিনাম”

আ- আসাম , মে- মেঘালয়, ত্রি- ত্রিপুরা, অ- অরুণাচল, মি- মিজোরাম, না- নাগাল্যান্ড, ম- মণিপুর 

ছিটমহল

  • বাংলাদেশ ও ভারতের মোট ছিটমহল ১৬২টি।
  • ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ছিটমহল ৫১টি এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের ১১১টি ছিটমহল।
  • তিন বিঘা করিডোর: তিন বিঘা করিডোর লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর তীরে অবস্থিত। এর ক্ষেত্রফল ১৭৮মি. X ৮৫ মি.।
  • ভারতের অধিকাংশ ছিটমহল আছে লালমনিরহাটে- ৫৯ টি।

বাংলাদেশের বিভাগ ও জেলা

বাংলাদেশের প্রশাসনিক বিভাগ ৮টি। সর্বশেষ বিভাগ ময়মনসিংহ যা ২০১৫ সালের ১৩ অক্টোবর শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের জেলা রয়েছে ৬৪টি।

বিভিন্ন জেলার পূর্বনাম

বর্তমান নাম পূর্ব নাম বর্তমান নাম পূর্ব নাম
বরিশাল চন্দ্রদ্বীপ/ বাকলা যশোর খলিফাতাবাদ
নোয়াখালী ভুলুয়া/ সুধারাম খুলনা জাহানাবাদ
কুমিল্লা ত্রিপুরা বাগেরহাট খলিফাবাদ
ময়মনসিংহ নাসিরাবাদ দিনাজপুর গন্ডোয়ানাল্যান্ড
গাজীপুর ভাওয়াল কুষ্টিয়া নদীয়া
ভোলা শাহবাজপুর সিলেট জালালাবাদ/ শ্রীহট্ট

বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু

বাংলাদেশের জলবায়ু ক্রান্তীয় মৌসুমি ধরণের। 

উষ্ণতম জেলা রাজশাহী সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত শ্রীমঙ্গলের লালখানে
উষ্ণতম মাস এপ্রিল সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাত নাটোরের লালপুর
শীতলতম জেলা সিলেট সর্বোচ্চ গড় বৃষ্টিপাত ৩৮৮ সে.মি.
শীতলতম মাস জানুয়ারি বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ২৬.৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস
বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ২০৩ সে.মি. সর্বনিম্ন গড় বৃষ্টিপাত ১৫৪ সে.মি.

সেচ প্রকল্প, বাঁধ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ  

  • বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সেচ প্রকল্প – তিস্তা সেচ প্রকল্প। 
  • বাংলাদেশের প্রথম সেচ প্রকল্প – (G-K Project) গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প।  
  • ডিএনডি প্রকল্প বলতে বুঝানো হয় – ঢাকা-নারায়নগঞ্জ-ডেমরা বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ।
  • ফারাক্কা বাঁধ গঙ্গা নদীর উপর নির্মাণ করা হয়েছে। 
  • ভারত টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ করেছে বরাক নদীর উপর। 
  • বাকল্যান্ড বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে। 

বাংলাদেশের নদ-নদী

  • বাংলাদেশের আন্তঃসীমান্ত নদীর সংখ্যা- ৫৭টি
  • বাংলাদেশ ও ভারতের অভিন্ন নদীর সংখ্যা- ৫৪টি
  • বাংলাদেশ ও মায়ানমারের অভিন্ন নদীর সংখ্যা ৩টি (নাফ, মাতামুহুরী, সাঙ্গু)

বাংলাদেশের প্রধানতম নদ-নদী

পদ্মা
  • পদ্মার উৎপত্তিস্থল হিমালয় পর্বতের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে।
  • ভারতের গঙ্গা নদী বাংলাদেশে রাজশাহী জেলা দিয়ে প্রবেশ করে পদ্মা নাম ধারণ করে।
  • পদ্মা যমুনার সাথে মিলিত হয় গোয়ালন্দে। পদ্মা মেঘনার সাথে মিলিত হয় চাঁদপুরে।
  • পদ্মা নদীর পূর্বনাম কীর্তিনাশা।
ব্রহ্মপুত্র নদ ও যমুনা নদী
  • ব্রহ্মপুত্র নদের উৎপত্তিস্থল তিব্বতের হিমালয়ের কৈলাশের মানস সরোবরে।
  • ব্রহ্মপুত্র নদ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে কুড়িগ্রাম দিয়ে।
  • ব্রহ্মপুত্র নদের পূর্বনাম লৌহিত্য
  • ১৭৮৭ সালে ভূমিকম্পের ফলে ব্রহ্মপুত্র নদের তলদেশ উত্থিত হয়ে দিক পরিবর্তন করে যমুনা নদীর উৎপত্তি হয়।
  • যমুনা নদীর পূর্ব নাম জোনাই নদী। 
মেঘনা
  • মেঘনার উৎপত্তি হয়েছে আসামের বরাক নদী থেকে।
  • আসামের বরাক নদী বিভক্ত হয়েছে সুরমা ও কুশিয়ারা দুটি শাখা নদীতে।সুরমা ও কুশিয়ারার মিলিত রূপ হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে কালনী নদী নাম ধারণ করে। কালনী দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে মেঘনা নদী নাম ধারণ করে।
  • মেঘনা নদী পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের সাথে মিলিত হয়েছে কিশোরগঞ্জের ভৈরববাজারে.
কর্ণফুলী
  • কর্ণফুলী নদীর উৎপত্তি মিজোরাম রাজ্যের লুসাই পাহাড়।
  • বাংলাদেশের সবচেয়ে খরস্রোতা নদী হচ্ছে কর্ণফুলী।
সাঙ্গু
  • সাঙ্গু নদীর উৎপত্তিস্থল আরাকান পর্বত∙সাঙ্গু নদী চট্টগ্রাম ও আরাকান রাজ্যের মধ্যে সীমান্তরেখা নির্ধারণ করেছে। 

শাখানদী

(১) পদ্মা – মাথাভাঙা, কুমার, বড়াল, ভৈরব, মধুমতি, আড়িয়াল খাঁ, কপোতাক্ষ নদ

(২) যমুনা – ধলেশ্বরী

(৩) ব্রহ্মপুত্র – বংশী, শীতলক্ষ্যা, বানার, শ্রীকালী, সাতিয়া

উপনদী

(১) মেঘনা – ধনু, সোমেশ্বরী, কংস, গোমতী

(২) ব্রহ্মপুত্র – তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, করতোয়া, আত্রাই

(৩) কর্ণফুলী – হালদা, সাহনী, কাসালঙ, বোয়ালখালী

(৪) যমুনা – করতোয়া, ধরলা, তিস্তা, সুবর্ণশ্রী

(৫) পদ্মা- মহানন্দা, পুনর্ভবা

দীর্ঘতম ও প্রশস্ততম  নদ-নদী

  • বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদী- মেঘনা
  • বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদ- ব্রহ্মপুত্র
  • বাংলাদেশের প্রশস্ততম নদী- মেঘনা
  • বাংলাদেশের গভীরতম নদী- মেঘনা
  • দীর্ঘতম পথ অতিক্রমকারী নদ/নদী- ব্রহ্মপুত্র

জাতীয় প্রতীক ও রাষ্ট্রীয় মনোগ্রাম

  • বর্তমান জাতীয় পতাকার রূপকার: কামরুল হাসান
  • মানচিত্র খচিত প্রথম পতাকার ডিজাইনার: শিব নারায়ণ দাস  
  • জাতীয় সংগীত: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “আমার সোনার বাংলা” গানের প্রথম ১০ চরণ