কম্পিউটার প্রোগ্রামিং (Computer Programming)
প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ(Programming language)
- কম্পিউটার দিয়ে সহজে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য কম্পিউটারকে তার নিজস্ব বোধগম্য ভাষায় নির্দেশ প্রদান করতে হয়। প্রোগ্রামে ব্যবহৃত বর্ণ, শব্দ, সংকেত ইত্যাদি নির্দিষ্ট গঠনে তৈরি হয় প্রোগ্রামের ভাষা।
- প্রোগ্রাম: কম্পিউটারের নিজস্ব ও বোধগম্য ভাষায় নির্দেশ প্রদানের জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী শব্দ, বর্ণ, সংকেত ইত্যাদির সুনির্দিষ্ট বিন্যাস হচ্ছে প্রোগ্রাম।
প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের স্তর(Level of programming language)
- ১৯৪৫ সাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত কয়েকশত প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ বা ভাষা আবিষ্কৃত হয়েছে।
এ সকল ভাষাকে বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী পাচঁটি স্তর (Level) বা প্রজন্মে (Generation) ভাগ করা যায় । যথা :
- প্রথম প্রজন্ম বা ফার্স্ট জেনারেশন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ (১৯৪৫) : মেশিন ভাষা
- দ্বিতীয় প্রজন্ম বা সেকেন্ড জেনারেশন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ (১৯৫০) : অ্যাসেম্বলি ভাষা
- তৃতীয় প্রজন্ম বা থার্ড জেনারেশন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ (১৯৬০) : উচ্চতর বা হাই লেভেল ভাষা
- চতুর্থ প্রজন্ম বা ফোর্থ জেনারেশন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ (১৯৭০) : অতি উচ্চতর বা ভেরি হাই লেভেল ভাষা
- পঞ্চম প্রজন্ম বা ফিফথ জেনারেশন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ (১৯৮০) : স্বাভাবিক বা ন্যাচারাল ভাষা।
- কম্পিউটারের নিচুস্তরের প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ বলতে মেশিনের ভাষা ও এসেম্বলি ভাষা— এই দুই স্তরের ভাষাকে বোঝায়
মেশিন ভাষা
- বিদ্যুতের হাই ভোল্টেজকে bit 1 এবং লো ভোল্টেজকে bit 0 ধরে নিয়ে কম্পিউটারকে নির্দেশ দিতে যে ভাষার উদ্ভব হয়েছে, তাই মেশিন ভাষা।
- এ ভাষায় লেখা প্রোগ্রামের সাহায্যে কম্পিউটারের ভেতরে অবস্থিত সার্কিটের সাথে সংযোগ স্থাপন করা যায়।
অ্যাসেম্বলি ভাষা
- এই ভাষায় মেশিন ভাষার প্রতিটি নির্দেশের বাইনারি সংখ্যাটির বিপরীতে একটি বিশেষ শব্দকে কমান্ড হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এগুলোকে বলে নেমোনিক।
উঁচুস্তরের ভাষা
- মাইক্রো কম্পিউটারের উঁচুস্তরের ভাষা মেশিন নির্ভর নয়। অর্থাৎ উঁচুস্তরের ভাষায় লিখিত প্রোগ্রাম বিভিন্ন প্রকার কম্পিউটারে ব্যবহার করা সম্ভব।
4GL (Fourth Generation Language)
- কম্পিউটারে ব্যবহৃত বিশেষ কয়েকটি ভাষাকে 4GL বলে।
স্বাভাবিক বা ন্যাচারাল (Natural) ভাষা 2 প্রকার
বুদ্ধিমান বা ইনটেলিজেন্ট কম্পাইলার
- ভাষায় রূপান্তরের জন্য ব্যবহৃত অনুবাদককে বুদ্ধিমান বা ইনটেলিজেন্ট কম্পাইলার বলা হয় ।
- এটি মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের একটি ক্ষেত্র।
অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার
- ব্যবহারিক সমস্যা সমাধান বা ডেটা প্রক্রিয়াকরণের জন্য ব্যবহৃত প্রোগ্রামকে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার বা ব্যবহারিক সফটওয়্যার বলা হয়। ব্যবহারিক প্রোগ্রামকে সাধারণত প্যাকেজ প্রোগ্রামও বলা হয়।
অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার দুই ভাগে বিভক্ত :
- কাস্টমাইজড (ব্যবহারকারীর লিখিত) প্রোগ্রাম
- প্যাকেজ সফটওয়্যার
কাস্টমাইজড সফটওয়্যার
- ব্যবহারকারীর প্রয়োজন বা সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে যে প্রোগ্রাম তৈরি হয় সেটি কাস্টমাইজড প্রোগ্রাম
প্যাকেজ সফটওয়্যার
- বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য যে সব প্রোগ্রাম বাজারে কিনতে পাওয়া যায় সেগুলো প্যাকেজ সফটওয়্যার।
ফ্রিওয়্যার ও শেয়ারওয়্যার
ফ্রিওয়্যার ও শেয়ারওয়্যার দুই ধরনের ব্যবহারিক সফটওয়্যার
- ফ্রিওয়্যারের জন্য কোন খরচ দিতে হয় না।
- সামান্য রেজিস্ট্রেশন ফি এর বিনিময়ে শেয়ারওয়্যার ব্যবহার করা যায়
ফায়ারওয়াল
- ফায়ারওয়াল এক ধরনের নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি সিস্টেম।
- বিপজ্জনক ফাইল প্রবেশ করতে বাধা প্রদান করে কোনো নেটওয়ার্ককে সুরক্ষিত রাখে।
ওয়ার্ড প্রসেসিং
- ওয়ার্ড প্রসেসিং হলো একধরনের সফটওয়্যার সিস্টেম।
- ওয়ার্ড প্রসেসিংয়ের বাংলা অর্থ হচ্ছে শব্দ প্রক্রিয়াকরণ, তাই ওয়ার্ড প্রসেসিংকে সহজভাবে বলা যায় লেখালেখির কাজ।
MS Word (এম.এস. ওয়ার্ড)
- মাইক্রোসফট ওয়ার্ডকে সংক্ষেপে এমএস ওয়ার্ড বলে।
- মাইক্রোসফট ওয়ার্ড হলো আমেরিকার বিখ্যাত মাইক্রোসফট কোম্পানির তৈরি ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার।
- এ সফটওয়্যারের মাধ্যমে কম্পিউটারে লেখালেখির কাজ করা যায়।
টাইটেল বার (Title Bar)
- কোন ফাইল ওপেন করলে কিংবা কোন ডকুমেন্ট তৈরি করলে ডকুমেন্ট ফাইলটির নাম যে বারে দেখা যায়, তাকেই টাইটেল বার (Title Bar) বলে।
মেনু বার (Menu Bar):
- File, Edit, View, Insert, Format, Tools, Table, Window & Help ইত্যাদি যে বারে থাকে তাকে মেনু বার বলে।
- Alt কী চেপে ধরে আন্ডার লাইন স্কোর চাপলে মেনু ওপেন হবে।
ফরমেটিং টুলবার (Formatting Toolbar)
- স্ট্যান্ডার্ড টুলবারের নিচের সারিতে প্রদর্শিত বারটিকে ফরমেটিং টুলবার বলে। এতে অনেকগুলো বাটন রয়েছে। এগুলো ব্যবহার করে লেখাকে বিভিন্ন ভাবে সাজানো হয়ে থাকে
রুলার (Ruler):
- ফরমেটিং টুলবারের নিচে প্রদর্শিত স্কেলের ন্যায় থাকা বারটিকেই রুলার বলে।
স্টেটাস বার (Status Bar):
- Current page number, total pages, number of words ইত্যাদি যে বারে থাকে তাই স্টেটাস বার।
শব্দ (Word)
- কয়েকটি বর্ণের সমন্বয়ে গঠিত অংশকে শব্দ (Word) বলে
ডকুমেন্ট (Document)
- সাধারণভাবে ডকুমেন্ট হলো কোনো ঘটনার, বিষয়ে বা কাজের রেকর্ডকৃত বর্ণনা যার তথ্যাবলি নষ্ট হবে না।
কপি (Copy)
- যে কোনো অবজেক্ট যথাস্থানে রেখে অন্য স্থানে আরও একটি নকল বা প্রতিকৃতি অবজেক্ট তৈরিই হচ্ছে কপি।
কাট (Cut)
- যে কোনো অবজেক্টের নকল বা প্রতিকৃতি যথাস্থান থেকে মুছে ফেলাকেই (স্থায়ীভাবে না মুছে) কাট বলে।
Undo
- কোনো অবজেক্টকে মুছে ফেলার পর মনে হলো যে অবজেক্টিকে পুনরায় প্রয়োজন অথবা কোনো অবজেক্ট প্রয়োগ করার পর মনে হলো তা প্রয়োজন নেই – এমন অবস্থা থেকে পূর্বের স্থানে ফিরে আসাকে Undo বলে ।
পেস্ট (Paste)
- কপি বা কাট করা অবজেক্টিকে অন্য স্থানে ব্যবহার করার কৌশলকে পেস্ট বলে।
সাধারণত তিন ভাবে পেস্ট করা যায়-
- কী-বোর্ডের কী দ্বারা
- টুলবার থেকে
- মেনুবার থেকে
MS Excel (এম.এস. এক্সেল)
- গ্রাফ কাগজের ন্যায় X অক্ষ এবং Y অক্ষ বরাবর আয়তাকৃতির অনেক ঘর সম্বলিত বড় শিটকে স্প্রেডশিট বলে।
ওয়ার্কশিট (Worksheet)
- একটি স্প্রেডশিট উলম্ব এবং অনুভূমিকভাবে অনেকগুলো রেখার সাহায্যে ভাগ করা থাকে। উলম্ব রেখার সাহায্যে যে ভাগ করা হয়, তাকে কলাম বলা হয় এবং অনুভূমিক রেখার সাহায্যে যে ভাগগুলো করা হয়, তাকে বলা হয় সারি/ Row।
সারি (Row):
- সারি বাম দিক থেকে ডানদিকে পাশাপাশি অবস্থিত ঘরের সমষ্টি। প্রত্যেকটি সারিকে ইংরেজিতে সংখ্যা দিয়ে চিহ্নিত করা যায়। যেমন- 1, 2, 3 ইত্যাদি।
কলাম (Column):
- কলাম হচ্ছে উপর থেকে নিচের দিকে নেমে আসা ঘরের সমষ্টি। প্রত্যেক কলামকে একটি করে ইংরেজি বর্ণ দিয়ে চিহ্নিত করা যায়। যেমন- A, B, C ইত্যাদি।
সেল (Cell):
- ওয়ার্কশিটের প্রতিটি আয়তাকার অংশই একটি সেল বা ঘর হিসেবে পরিচিত।
রেঞ্জ নাম (Range Name)
- ওয়ার্কশিটের পাশাপাশি আয়তাকার ক্ষেত্রের কতগুলো সেলকে একসাথে একটি রেঞ্জ বলা হয়।
ফর্মুলা (Formula):
- ফর্মুলা হলো ইকুয়েশন যা ওয়ার্কশিটের ভ্যালুর ক্যালকুলেশন করে।
ফাংশন (Function)
- কোনো ফর্মুলা গঠন করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিশেষ কোনো কাজ করা বা পরিগণনা করাকে ফাংশন বলে।
SUM ফাংশন
- অঙ্কের এ সূত্রটি দ্বারা কোনো নিদিষ্ট রেঞ্জের সেলের সংখ্যাসমূহের যোগফল নির্ণয় করা হয়। SUM ফাংশনের গঠন হলো- = SUM (Range) or SUM(List)
MAX ফাংশন :
- অঙ্কের এ সূত্রটি দ্বারা কোনো
- নির্দিষ্ট রেঞ্জের সেলের সংখ্যাসমূহের সর্ববৃহৎ সংখ্যাটি নির্ণয় করা হয়। MAX ফাংশনের গঠন- = MAX(Range) or MAX(List)
MIN ফাংশন
- অঙ্কের এ সূত্রটি দ্বারা কোন নির্দিষ্ট রেঞ্জের সেলের সংখ্যাসমূহের সর্বনিম্ন সংখ্যাটি নির্ণয় করা হয়। MIN ফাংশনের গঠন হলো- = MIN(Range) or MIN(List)
IF ফাংশন :
এ সূত্রটির সাহায্যে কোন শর্তারোপ করে শর্তের ভিত্তিতে ফলাফল প্রদর্শন করা যায়।
MOD ফাংশন :
এই ফাংশনের সাহায্যে ভাগশেষ নির্ণয় করা যায় ।
MS PowerPoint (এম.এস. পাওয়ারপয়েন্ট)
- মাইক্রোসফট কর্পোরেশনের পাওয়ার পয়েন্টের সাহায্যে অতি সহজে কোন প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার রিপোর্ট, প্রজেক্ট স্যাটাস, প্রোডাক্ট ওভারভিউ বা প্রয়োজনীয় অন্য যে কোন বিষয়ের প্রেজেন্টেশন তৈরি করে বড় স্ক্রিনে শো করা যায়।
স্লাইড (Slide)
- একটি ফাইলে যেমন অনেকগুলো পৃষ্ঠা থাকতে পারে তেমনি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজন্টেশনে অনেকগুলো পৃষ্ঠা থাকতে পারে। প্রেজেন্টেশনের এক একটি পৃষ্ঠাকে স্লাইড বলা হয়।
নতুন স্লাইড তৈরি করা (Create a new slide):
- একটি প্রেজেন্টেশনে অনেকগুলো স্লাইড থাকতে পারে। প্রয়োজনে নতুন স্লাইড সন্নিবেশিত করা যায়। সেজন্য Insert মেনুতে ক্লিক করে New Slide এ ক্লিক করলে অথবা কী-বোর্ডে Ctrl + M চাপলে নতুন স্লাইড তৈরি হবে।
স্লাইড প্রদর্শন (Slide Show):
- তৈরিকৃত স্লাইড মনিটরের পুরো পর্দা জুড়ে প্রদর্শনের জন্য Slide show এ ক্লিক করতে হবে।
স্লাইড প্রদর্শন বন্ধ করা (End Slide Show):
- প্রদর্শিত স্লাইড বন্ধ করার জন্য স্লাইড শো স্ক্রিনে থাকাবস্থায় মাউসের ডান বোতাম চেপে প্রাপ্ত পপ-আপ মেনু থেকে End Slide Show তে ক্লিক করতে হবে।
কম্পিউটার ভাইরাস
- কম্পিউটার ভাইরাস এক ধরনের বিপজ্জনক ও অনিষ্টকর প্রোগ্রাম। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্বাহ, সংক্রমণ ও সংখ্যা বৃদ্ধি করে।
- ১৯৭১ সালে প্রথম ভাইরাস প্রোগ্রাম তৈরি করেন বব থমাস, ভাইরাসটির নাম ক্রিপার ভাইরাস।
- ১৯৮৩ সালে Fred Cohen সর্বপ্রথম কম্পিউটার ভাইরাস সম্পর্কে উপযুক্ত ব্যাখ্যা দেন ।
- VIRUS শব্দের পূর্ণ অভিব্যক্তি Vital Information Resources Under Siege.
ভাইরাসের কিছু প্রকার :
ম্যাক্রো ভাইরাস :
- যেসব ভাইরাস গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ্লিকেশন যেমন মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ও এক্সেলরূপে কম্পিউটারে থাকে। উদাহরণ : Relax, Bablas, Melissa ইত্যাদি।
মেমোরিতে বসবাসকারী ভাইরাস :
- এসব ভাইরাস RAM-এ অবস্থান করে এবং অপারেটিং সিস্টেম যখনই চালু হয় তখনই তারা সচল হয়ে ওঠে। উদাহরণ : CMJ, Meve, Randex, Mrklunky।
ওভাররাইট ভাইরাস :
- এসব ভাইরাস তথ্য মুছে ফেলতে পারে। উদাহরণ : Trj. Reboot, Way, Trivial 88D
ডিরেক্টরি ভাইরাস :
- এসব ভাইরাস কম্পিউটার ফাইলের অবস্থান পরিবর্তন করে দিতে পারে। উদাহরণ : dir-2 virus
ওয়েব স্ক্রিপ্টিং ভাইরাস :
- এসব ভাইরাস সাধারণত সংক্রমিত ওয়েবপেজ থেকে উৎপন্ন হয়। উদাহরণ : JS. Fortnight (এটি ই-মেইল-এর মাধ্যমে বিস্তার ঘটায়)।
কম্পিউটার ওর্ম ( Computer Worm) :
- এটি ভাইরাসের মতই প্রতিলিপি গঠন করে কম্পিউটারকে আক্রান্ত করে।
- কিন্তু ভাইরাসের সাথে এর পার্থক্য হলো যে, এটির বিস্তারে ব্যবহারকারীর হস্তক্ষেপ লাগে না, অর্থাৎ এটি নিজে নিজে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ট্রোজান হর্স :
- এসব ভাইরাস কম্পিউটারে উপকারী কোনো ফাইলের ছদ্মবেশে থেকে কম্পিউটারের ক্ষতিসাধন করে। তবে এরা অন্যান্য ভাইরাসের মত প্রতিলিপি তৈরি করে না।
সি আই এইচ ভাইরাস :
- CIH কে মাদার অব অল ভাইরাস বলা হয়।
- এটি হার্ডডিস্ক ও ফ্লাশ বায়োস উভয় ডিভাইসকেই অচল করে দেয়।
- এ ভাইরাস EXE ফাইলে ইফেক্ট করার মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে।
- ১৯৮৬ সালের ২৬ এপ্রিল এ ভাইরাস আঘাত করেছিল একবার, এই তারিখে চেরনোবিলে মর্মান্তিক তেজস্ক্রিয় দুর্ঘটনা ঘটেছিল।
- এজন্য এ তারিখে আঘাতকারী CIH কে চেরনোবিল ভাইরাস বলে।
- ১৯৯১ সালের ২৬ এপ্রিল বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ কম্পিউটার CIH ভাইরাসের আক্রমণে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়।
Anti – Virus
- এন্টিভাইরাস এক ধরনের সিস্টেম সফটওয়্যার যা কম্পিউটার ভাইরাস, ওর্ম ও অন্যান্য ম্যালওয়্যার সনাক্ত করে, তাদের কম্পিউটারে প্রবেশে বাধা দেয় এবং তাদের দূর করে।
কম্পিউটারের নিরাপত্তার জন্য কতগুলো বিষয় খেয়াল রাখতে হয়।
- অ্যান্টিভাইরাস আপডেট করা; ডাউনলোডে সতর্ক হওয়া;
- USB, Bluetooth ব্যবহারে সতর্ক হওয়া;
- ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহার করা