10 Minute School
Log in

এনিম্যাল টিস্যু,অর্গান এবং অর্গান সিস্টেম | Animal Tissues, Organs and Organ Systems

প্রাণি টিস্যুর প্রকারভেদ ও বর্ণনা

একই ভ্রূণীয় কোষস্তর থেকে উৎপন্ন হয়ে এক বা একাধিক ধরনের কিছু সংখ্যক কোষ জীবদেহের কোনো নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করে সমষ্টিগতভাবে একটি সাধারণ কাজে নিয়োজিত থাকলে ঐ কোষ সমষ্টি এবং তাদের নিঃসৃত অন্তঃকোষীয় পদার্থ বা মাতৃকাকে একত্রে টিস্যু বলে।

মানুষসহ উন্নততর প্রাণিদেহে প্রধানত চার প্রকারের টিস্যু বা কলা থাকে। 

১। আবরণী কলা বা এপিথেলিয়াম টিস্যু

২। যোজক কলা বা কানেকটিভ টিস্যু

৩। পেশি কলা বা মাসকুলার টিস্যু

৪। স্নায়ু কলা বা নার্ভাস টিস্যু

আবরণী টিস্যুর তিনটি প্রকারভেদ রয়েছে, সেগুলো হলো: স্কোয়ামাস, কলামনার এবং কিউবয়ডাল। 

যোজক কলা গঠন ও কাজের ভিত্তিতে ৩ প্রকারের হয়। যথা- 

১। ফাইব্রাস যোজক টিস্যু 

২। স্কেলিটাল যোজক টিস্যু 

৩। তরল যোজক টিস্যু 

রক্ত এক ধরনের ক্ষারীয়, ঈষৎ লবণাক্ত এবং লাল বর্ণের তরল যোজক টিস্যু। রক্তের উপাদান দুটি- রক্তরস এবং রক্ত কণিকা। এর প্রায়  ৯০-৯২% অংশ পানি এবং ৮-১০% অংশ জৈব ও অজৈব পদার্থ।

রক্ত কণিকা তিন ধরনের-

১। লোহিত রক্তকণিকা

২। শ্বেত রক্তকণিকা 

৩। অণুচক্রিকা 

লোহিত রক্ত কণিকায় থাকা হিমোগ্লোবিন অক্সিজেনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি অক্সিহিমোগ্লোবিন যৌগ গঠন করে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে অক্সিজেন পরিবহন করে।

শ্বেত রক্ত কণিকা ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় বহিরাগত জীবাণু ধ্বংস করে।\

প্রকৃত যোজক কলা ৪ প্রকার-

১। অ্যারিওলার কলা

২। শ্বেত-তন্তুময় যোজক কলা

৩। পীত-তন্তুময় যোজক কলা

৪। মেদ কলা

অবস্থান ভেদে তরুণাস্থি:

১। স্বচ্ছ বা হায়ালিন তরুণাস্থি

২। স্থিতিস্থাপক বা পীত তন্তুময় তরুণাস্থি

৩। শ্বেত তন্তুময় তরুণাস্থি

৪। চুনময় বা ক্যালসিফাইড তরুণাস্থি

পেশি কলা ৩ প্রকার। 

১। ঐচ্ছিক

২। অনৈচ্ছিক

৩। হৃৎপেশি

নিউরনের সাইটোপ্লাজমে সক্রিয় সেন্ট্রিওল থাকে না বলে নিউরন বিভাজিত হয় না।

অঙ্গ ও অঙ্গ তন্ত্র

এক বা একাধিক টিস্যু দিয়ে তৈরি এবং নির্দিষ্ট কাজ করতে সক্ষম প্রাণিদেহের অংশবিশেষকে অঙ্গ বা অর্গান বলে। 

দেহের অঙ্গসমূহ নিয়ে জীববিজ্ঞানের Morphology শাখায় আলোচনা করা হয়। 

মানুষের দেহে দুই ধরনের অঙ্গ আছে – অন্তঃঅঙ্গ ও বহিঃঅঙ্গ। 

বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কাজ করার জন্য প্রাণিদেহে কতগুলো অঙ্গের সমন্বয়ে বিভিন্ন তন্ত্র (Organ System) গঠিত হয়।

মানুষের শরীরে ১১টি স্বতন্ত্র অঙ্গ সংগঠন রয়েছে , যা শারীরবৃত্তীয় ভিত্তি তৈরি করে।

১। শ্বসন তন্ত্র

২। পরিপাকতন্ত্র

৩। রক্ত সংবহন তন্ত্র

৪। রেচনতন্ত্র

৫। ত্বক তন্ত্র বা আচ্ছাদন তন্ত্র

৬। কঙ্কাল তন্ত্র

৭। পেশি তন্ত্র

৮। অন্তঃক্ষরা গ্রন্থিতন্ত্র

৯। লসিকা তন্ত্ৰ

১০। স্নায়ু তন্ত্র

১১। প্রজননতন্ত্র