10 Minute School
Log in

পরিবেশ এবং জলবায়ু | Environment and Climate

গ্রিন হাউজ 

  • ১৮৯৬ সালে ‘গ্রিন হাউজ’ শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন সুইডিশ রসায়নবিদ সোভনটে আরহেনিয়াস।
  • গ্রিন হাউজ ইফেক্টের জন্য মূলত দায়ী কার্বন ডাই অক্সাইড (CO_2)ও CFC, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড, কার্বন মনোঅক্সাইড প্রভৃতি।
  • গ্রিন হাউজ ইফেক্টের ফলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে গিয়ে বাংলাদেশের নিম্নভূমি নিমজ্জিত হবে।
  • গ্রিন হাউজ প্রতিক্রিয়ার ফলে বরফ গলে গেলে লাভবান হবে— পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক অংশ।
  • গ্রিন হাউজ – এক ধরনের কাচের ঘর।
  • বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে – মানুষের।
  • অতিবেগুনি রশ্মি আসে – সূর্য থেকে।
  • গাড়ির কালো ধোঁয়ায় থাকে- কার্বন মনোঅক্সাইড।
  • রেফ্রিজারেটরের কম্প্রেসারে থাকে- ফ্রেয়ন নামক তরল।
  • বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তরে ফাটলের জন্য দায়ী- ক্লোরোফ্লোরো-কার্বন (CFC)।

এসিড বৃষ্টি

  • সালফার ও নাইট্রোজেন অক্সাইডসমূহ বায়ুমণ্ডলে সালফিউরিক এসিড ও নাইট্রিক এসিডে পরিণত হয়ে বৃষ্টির সঙ্গে ভূ-পৃষ্ঠে নেমে আসাকে এসিড বৃষ্টি বলে।
  • এসিড বৃষ্টির জন্য দায়ী মূলত সালফার ডাই অক্সাইড।

সবুজ অর্থনীতি

  • পরিবেশ সংরক্ষণ করে অর্থনৈতিকপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিতকরণে যে অর্থনীতি কাজ করে তাকে সবুজ অর্থনীতি বলে।
  • পরিবেশ বিপর্যয় রোধে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য সমুদ্রের নিচে মিটিংয়ের আয়োজন করে মালদ্বীপ।
  • সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে হিমালয়ের পর্বতমালায় মন্ত্রিপরিষদের মিটিং করে বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিলো নেপাল।

বাংলাদেশের জলবায়ু

  • বাংলাদেশের জলবায়ু সাধারণভাবে ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু নামে পরিচিত।
  • তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত, বায়ুচাপ ও আর্দ্রতার বিশ্লেষণ জলবায়ুর তারতম্যের উপর ভিত্তি করে ক্রান্তীয় জলবায়ু অঞ্চলের অন্তর্গত বাংলাদেশের জলবায়ুকে যে কতকগুলি শ্রেণিতে বিভক্ত করা যেতে পারে সেগুলি হচ্ছে- 
  1. ক্রান্তীয়-
  2. উপক্রান্তীয় শুষ্কপ্রায়  
  3. ক্রান্তীয়-উপক্রান্তীয় 
  4. আর্দ্রপ্রায় ক্রান্তীয়-
  5. উপক্রান্তীয় আর্দ্র ক্রান্তীয় 
  6. সামুদ্রিক ক্রান্তীয় 
  7. বৃষ্টিবহুল উপক্রান্তীয় 
  8. বৃষ্টিবহুল ।
  • পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় একটি দেশে মোট ভূমির ২৫% বনভূমি থাকা প্রয়োজন।
  • বাংলাদেশে মোট আয়তনের ২৫ ভাগ বনভূমি থাকার প্রয়োজনীয়তা থাকলেও আছে মাত্র ১৭.৬২%।
  • সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান—দশম।
  • ৫০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকা প্লাবিত হবে যদি—সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা ৩ ফুট বৃদ্ধি পায়।
  • বিশ্বব্যাংক জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সাহায্য প্রদান করবে—৩০%।
  • বাংলাদেশের জনগণের উপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে—সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি।
  • বাংলাদেশের উষ্ণতম মাস এপ্রিল।
  • শীতলতম মাস জানুয়ারি।
  • বাংলাদেশে ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র ৪টি 
    1. রাঙ্গামাটি, 
    2. গাজীপুর, 
    3. মহাখালী ও 
    4. সিলেট
  • বাংলাদেশে ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র ৪টি 
    1. চট্টগ্রাম, 
    2. ঢাকা,
    3. রংপুর ও 
    4. সিলেট
  • বাপা – বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন ; প্রতিষ্ঠিত হয় – ২০০০ খ্রিস্টাব্দে
  • বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি –বেলা (BELA)
  • BELA– Bangladesh Environmental Lawyers Association;
  • প্রতিষ্ঠিত হয় – ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে
  • বাংলাদেশের পরিবেশ আদালত ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে অবস্থিত।
  • বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পরিবেশ নীতি হয় ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে।

আবহাওয়া

  • কোনো স্থানের বাতাসের তাপ, উষ্ণতা, চাপ, আর্দ্রতা, মেঘ, বৃষ্টি, জলীয়বাষ্পের পরিমাণ, বায়ু প্রবাহ প্রভৃতির দৈনন্দিন অবস্থা।

জলবায়ু

  • কোনো স্থানের ৩০-৪০ বছরের আবহাওয়ার গড়।

বায়ুর আর্দ্রতা

  • বাতাসে জলীয়বাষ্পের উপস্থিতিকে বায়ুর আর্দ্রতা বলে।

দ্রাঘিমা রেখা

  • নিয়ামকটি একটি অঞ্চল বা দেশের জলবায়ু নির্ধারণ করে না।

বিবিধ

  • সূর্য সারা বছর লম্বভাবে কিরণ দেয় নিরক্ষরেখার উপর।
  • সমুদ্র সমতল হতে প্রতি ১০০০ মিটার উচ্চতায় তাপমাত্রা হ্রাস পায় ৬° সেলসিয়াস।
  • বায়ু প্রবাহিত হয় – উচ্চ চাপের স্থান থেকে নিম্নচাপের দিকে।
  • সমুদ্রপৃষ্ঠে বায়ুর স্বাভাবিক চাপ ৭৬০ মিলিমিটার পারদ-স্তম্ভের সমান।
  • বায়ুচাপ মাপা হয় ব্যারোমিটার দ্বারা।
  • বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বাড়লে বায়ুর চাপ কমে যায়।
  • ভূপৃষ্ঠ থেকে উপরের দিকে বায়ুচাপ ক্রমশ কমতে থাকে।
  • উত্তর গোলার্ধে সবচেয়ে বড় দিন ও ছোট রাত্রি ২১ জুন।
  • উত্তর গোলার্ধে সবচেয়ে ছোট দিন ও বড় রাত্রি ২২ ডিসেম্বর।

অভিবাসন

  • অভিবাসনস্থান পরিবর্তনের জন্য আবাসস্থল পরিবর্তনকে বলা হয় অভিবাসন।

উদ্বাস্তু (Refugee)

  • বলপূর্বক অভিগমনের ফলে যে সমস্ত ব্যক্তি কোনো স্থানে আগমন করে ও স্থায়ীভাবে আবাস স্থাপন করে তাদেরকে বলে উদ্বাস্তু (Refugee)।

শরণার্থী (Immigrant)

  • যারা সাময়িকভাবে আশ্রয় গ্রহণ করে এবং সুযোগমত স্বদেশ প্রত্যাবর্তনেরঅপেক্ষায় থাকে তাদের বলা হয় শরণার্থী (Immigrant)।

 অভিযোজন (Adaptation)

  • প্রকৃতির পরিবর্তনশীল অবস্থার সাথে জীব জগতকে খাপ খাইয়ে নেয়া।

GreenPeace:

  • একটি পরিবেশ আন্দোলন গ্রুপ (নেদারল্যান্ড, ১৯৭১)

IUCN

  • বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে কাজ করে (গ্লান্ড, সুইজারল্যান্ড, ১৯৪৮)

NATIONAL & INTERNATIONAL CLIMATE ACTION INITIATIVES (জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ পদক্ষেপ)

বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের কৌশল ও এ্যাকশন ২০০৯ (Bangladesh Climate Change Strategy and Action Plan 2009)

  • ৫ জুনকে বিশ্ব পরিবেশ দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
  • ইউএনইপি (United Nation Environment Programme-UNEP) সদর দপ্তর কেনিয়ার নাইরোবিতে।

মন্ট্রিল প্রটোকল

  • ওজোনস্তর রক্ষা বা ওজোনস্তর ক্ষয়কারী বস্তুসামগ্রী ফেজ আউট করার উদ্দেশ্যে জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির উদ্যেগে ১৯৮৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর কানাডার মন্ট্রিলে স্বাক্ষরিত হয় মন্ট্রিল প্রটোকল।
  • প্রটোকলটি স্বাক্ষরের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে জাতিসংঘ ১৬ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক ওজোন দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে।

ধরিত্রী সম্মেলন ১৯৯২

  • ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে প্রথম ধরিত্রী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯২ সালে।
  • এখানে ১৭৮টি দেশের সাড়ে তিন হাজার প্রতিনিধি অংশ নেন।

কিয়োটো সম্মেলন ১৯৯৭

  • পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি প্রতিরোধ বিষয়ক বিশ্ব সম্মেলন ১১ ডিসেম্বর ‘৯৭ জাপানের প্রাচীন রাজধানী কিয়োটোতে অনুষ্ঠিত হয়।

কোপেনহেগেন সম্মেলন ২০০৯

  • ২০০৯ সালের ৭-১৮ ডিসেম্বর ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত ১৫তম সম্মেলন।

রিও+২০ সম্মেলন ২০১২

  • ১৯৯২ সালের পরে ২০ জুন, ২০১২ সালে পুনরায় ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে অনুষ্ঠিত হয়।

NATURAL DISASTER AND DISASTER MANAGEMENT (প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং দুর্যোগ মোকাবিলা) 

  • পৃথিবীতে যে প্রাকৃতিক দুর্যোগটি সবচেয়ে বেশি আঘাত হানে- বন্যা (Flooding)

ঘূর্ণিঝড়

  • ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে প্রশান্ত মহাসাগর, উত্তর ও দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগর এবং ভারত মহাসাগর অঞ্চলে।
  • ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয় নিরক্ষরেখার কাছাকাছি উষ্ণ ও শীতল বায়ুর বিপরীতমুখী প্রবাহ থেকে।
  • বাংলাদেশে বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটায় ১৯৭০ সালে সংঘটিত ঘূর্ণিঝড়।
  • ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে দুর্যোগের সৃষ্টি হলেও এটি পৃথিবীতে তাপের ভারসাম্য রক্ষা করে।
  • সাইক্লোন সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে নিম্নচাপ ও উচ্চ তাপমাত্রা।
  • আটলান্টিক মহাসাগর এলাকা তথা আমেরিকার আশেপাশে ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতিবেগ যখন ঘণ্টায় ১১৯ কি.মি. এর বেশি হয় তখন জনগণকে এর ভয়াবহতা বুঝাতে হ্যারিকেন শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
অঞ্চল ঘূর্ণিঝড়ের নাম 
বাংলাদেশ ও ভারতীয় অঞ্চলে সাইক্লোন
জাপান ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে টাইফুন
ফিলিপাইনে বাগুইড বা বোগিও
অস্ট্রেলিয়ায় উইলী উইলী
আমেরিকা ও আটলান্টিক মহাসাগরীয় অঞ্চলে হ্যারিকেন

খরা

  • বিশ্বের সর্বত্র খরা নামক প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানে।
  • তবে আফ্রিকার দেশসমূহে এর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি।
  • খরার প্রভাবে অগ্নিকাণ্ডের উপদ্রব বেড়ে যায়।

ভূমিকম্প

  • বিশ্বে এ যাবৎকালের সর্বাপেক্ষা ভয়াবহ ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে পর্তুগালের লিসবনে ১৭৫৫ সালে।
  • রিখটার স্কেলে এর কম্পন মাত্রা ছিল ৮.৪।
  • ভূমিকম্প পরিমাপক যন্ত্রের নাম সিসমোগ্রাফ।
  • ভূ-অভ্যন্তরে যেখানে শক্তি বিমুক্ত হয় তাকে বলে ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র (Epicenter)।
  • বাংলাদেশে ভূমিকম্পের ফলে বদলে গিয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদের গতিপথ।
  • বাংলাদেশকে ভূমিকম্পীয় অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে ৩টি।
    1. উত্তর ও উত্তর-পূর্ব অঞ্চল (মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল)
    2. মধ্য অঞ্চল (মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল)
    3. দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল (কম ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল)

সুনামি

  • সমুদ্র তলদেশে ভূ-কম্পনের ফলে উপরের জলভাগে প্রবল ঢেউয়ের সৃষ্টিকে সুনামি বলে।
  • ‘সুনামি’ জাপানি শব্দ, এর অর্থ – পোতাশ্রয়ের ঢেউ।
  • সাম্প্রতিককালে ভয়াবহ সুনামি হয় ২০০৪ সালে।
  • ২০০৪ সালের সুনামির উৎপত্তি স্থল ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা

  1. পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে দুর্যোগ প্রতিরোধ
  2. দুর্যোগ প্রস্তুতি
  3. দুর্যোগে সাড়াদান
  4. পুনরুদ্ধার কার্যক্রম