জেনেটিকস | Genetics
জেনেটিক্স (Genetics) বা বংশগতি কী?
Genetics বা বংশগতি হলো বাবা-মা হতে সন্তান-সন্ততিতে জিনগত বৈশিষ্ট্য স্থানান্তরিত হওয়া যার মাধ্যমে বাবা-মায়ের সাথে সন্তানের অনেক সামঞ্জস্যতা দেখা যায়। জীবের বংশগতি নিয়ে যে শাখায় আলোচনা করা হয় তাকে বলা হয় জেনেটিক্স (Genetics) বা বংশগতিবিদ্যা।
বংশগতির ধারক ও বাহক সমূহ ব্যাখ্যা
বিজ্ঞানী স্ট্রাসবুরগার ১৮৭৫ সালে সর্বপ্রথম ক্রোমোজোম আবিষ্কার করেন।
মানুষের দেহে ৪৬টি ক্রোমোজোম পাওয়া যায় যার মধ্যে ৪৪টি অটোসোম এবং বাকি ২টি সেক্স ক্রোমোজোম।
DNA পাঁচ কার্বন বিশিষ্ট শর্করা, নাইট্রোজেন বেস, ও অজৈব ফসফেট দ্বারা গঠিত।
নাইট্রোজেন বেস ২ প্রকার, পিউরিন ও পাইরিমিডিন।
এডেনিন(A) ও গুয়ানিন(G) বেস হলো পিউরিন; থায়ামিন(T) ও সাইটোসিন(C) হল পাইরিমিডিন। RNA এর ক্ষেত্রে এই থায়ামিন এর পরিবর্তে ইউরাসিল থাকে।
ডি.এন.এ অনুলিপন (DNA Replication) প্রক্রিয়ায় একটি DNA অণু থেকে আর একটি নতুন DNA অণু অর্ধ-রক্ষণশীল পদ্ধতিতে অনুলিপিত হয়। মাতৃ DNA এর একটি সূত্রের সাথে নতুন একটি সূত্র যুক্ত হয়ে নতুন দ্বি-সূত্রক DNA তৈরি হয় বলে একে অর্ধ-রক্ষণশীল বলে।
১৯৫৬ সালে ওয়াটসন ও ক্রিক এ ধরনের ডি.এন.এ অনুলিপন পদ্ধতি বর্ণনা করেন।
সাধারণত RNA ভাইরাসগুলো হলো একসূত্রক RNA দিয়ে গঠিত, কিন্তু কিছু ব্যতিক্রম ভাইরাস যেমন- TMV, Yellow Mosaic Virus, Influenza Virus হলো দ্বিসূত্রক।
জীবের সকল বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণকারী এককের নাম জিন। একই প্রজাতির সকল জীবে সাধারণত জিন সংখ্যা সমান থাকে।
মানুষের জিনোমে প্রোটিন তৈরি করে এমন জিনের সংখ্যা ২০,০০০-২৫,০০০। এছাড়া রয়েছে নন কোডিং জিন যা প্রোটিন তৈরি করে না কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কাজের সাথে যুক্ত।
১৯০৯ সালে ডব্লিউ জোহান্সন সর্বপ্রথম ‘জিন’ শব্দটি ব্যবহার করেন।
মেন্ডেলের সূত্র
মাতাপিতা থেকে প্রথম জেনারেশনে (F1) যে বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায় তাকে প্রকট (Dominant) বৈশিষ্ট্য এবং এই বৈশিষ্ট্য প্রকাশে দায়ী জিনকে প্রকট জিন বলে। তবে ২য় জেনারেশনে (F2) এক চতুর্থাংশ জীবে প্রচ্ছন্ন (Recessive) বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায়।
ক্রোমোসোমে একটি জিনের অবস্থানকে লোকাস বলে।
দুইটি ক্রোমোসোমের একই লোকাসে অবস্থানকারী জিনগুলোকে পরস্পরের অ্যালিল বলা হয়।
জিনগুলোর একত্রে অবস্থান করাকে অ্যালিলোমর্ফ বলে।
মেন্ডেলের বংশগতির প্রথম সূত্রটি সংকর জনন থেকে প্রাপ্ত এবং দ্বিতীয় সূত্রটি দ্বিসংকর জনন থেকে প্রাপ্ত।
মেন্ডেলের প্রথম সূত্রটি ‘পৃথকীভবনের সূত্র (Law of Segregation) নামে পরিচিত। প্রথম সূত্রে অনুপাত – ৩:১
মেন্ডেলের দ্বিতীয় সূত্রটি ‘স্বাধীন বণ্টনের সূত্র’ (Law of Independent Assortment) নামে পরিচিত। দ্বিতীয় সূত্রে অনুপাত – ৯ : ৩ : ৩ : ১
জেনেটিক ইনফরমেশনের অনুলিপনকে জেনেটিক কোড বলে।
ড. হরগোবিন্দ খোরানা জেনেটিক কোড ব্যবহার করে কৃত্রিম জিন আবিষ্কার করেন।
উদ্ভিদ টিস্যুকালচার বলতে উদ্ভিদের যেকোনো বিভাজনক্ষম অঙ্গ (যেমন- শীর্ষমুকুল, কক্ষমুকুল, কচিপাতা) থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো টিস্যু সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত মিডিয়ামে কালচার করে সম্পূর্ণ মাতৃ উদ্ভিদের অনুরূপ বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন নতুন উদ্ভিদ উৎপন্ন করাকে বোঝায়। এটি একটি অযৌন জনন প্রক্রিয়া।
কোনো জীব থেকে সম্পূর্ণ অযৌন প্রক্রিয়ায় হুবহু নতুন জীব সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে ক্লোনিং বলে।
ডক্টর ইয়ান উইলমুট এর গবেষণায় ক্লোনিং এর মাধ্যমে প্রথম যুক্তরাজ্যে ডলি নামের একটি ভেড়ার জন্ম হয় (৫ জুলাই ১৯৯৬)। আর্থাইটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৩ এ ডলি মারা যায়।
প্রথম ক্লোন বানরের নাম টেট্রা।
২৬ ডিসেম্বর ২০০২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্লোনিং এর মাধ্যমে প্রথম ইভ নামে মানব কন্যা শিশুর জন্ম হয়।
টেস্ট টিউব পদ্ধতির জনক রবার্ট এডওয়ার্ডস।
বিশ্বের প্রথম টেস্ট টিউব শিশু লুইস ব্রাউন ইংল্যান্ডের ওল্ডহোম শহরে ১৯৭৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশে ২০০১ সালে প্রথম টেস্ট টিউব শিশুত্রয় “হিরা, মণি ও মুক্তা” জন্ম লাভ করেন।