কম্পিউটার পেরিফেরালস ও কম্পিউটার আর্কিটেকচার (পর্ব-১)
কম্পিউটার পেরিফেরাল( Computer Peripheral)
- যে সকল হার্ডওয়ার কম্পিউটারের সাথে যুক্ত থেকে কম্পিউটারের কার্যাবলীকে সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে সাহায্য করে ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে তাকে কম্পিউটার পেরিফেরাল বলে।
- কম্পিউটার পেরিফেরালকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়-
Input Peripheral: কীবোর্ড, মাউস, জয়স্টিক, মাইক্রোফোন ইত্যাদি।
Output Peripheral: মনিটর, প্রিন্টার।
Storage Peripheral: CD ROM, DVD drives।
এ পর্বে আমরা জানবো কম্পিউটার পেরিফেরাল এর input device সম্পর্কে ।
ইনপুট ডিভাইস( Input Device)
কম্পিউটারে ইনপুট প্রদানের জন্য বিভিন্ন ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। এসকল যন্ত্রকে বলা হয় ইনপুট ডিভাইস (Input Device)। যেমন: কীবোর্ড, মাউস, স্ক্যানার ইত্যাদি। নিম্নে কিছু input device এর উদাহরণ দেয়া হলো।
কীবোর্ড
- একটি টাইপরাইটার যন্ত্রবিশেষ।
- বর্তমানে প্রচলিত কীবোর্ডগুলোতে ১০১-১১০টি কী থাকে।
- কীবোর্ডে বিভিন্ন রকমের ধরনের কী থাকে।
ফাংশন কী: F1-F12 পর্যন্ত মোট ১২টি ফাংশন কী রয়েছে।
টাইপিং কী: কীবোর্ডে আলফাবেট(a-z), নম্বর(0-9), বিরাম চিহ্ন এবং বিভিন্ন রকম symbol দিয়ে সাজানো কী।
নিউমেরিক কী প্যাড: 0-9 এবং যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ ইত্যাদি চিহ্নিত ১৭টি নিউমেরিক কী রয়েছে।
কন্ট্রোল কী: এই কী-গুলো একা বা অন্য কোনো কী-এর সাথে মিলে কাজ সম্পাদন করতে পারে যেমন- Shift, Ctrl, Alt, Esc.
নেভিগেশন কী: এগুলোর সাহায্যে যেকোনো ডকুমেন্টে ঘুরে বেড়ানো যায়, কার্সরকে পরিচালনা করা যায়। নেভিগেশন কী এর মধ্যে রয়েছে: Arrow keys, Home key, Delete, insert etc.
- কীবোর্ড বিন্যাস: কীবোর্ডের বাম প্রান্তের উপরের ৬টি বর্ণের ক্রম দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কীবোর্ডের লে আউট-এর নামকরণ করা হয়। যেমন: QWERTY layout, QWERTZ layout, AZERTY layout.
- অভ্র কীবোর্ড: অভ্র কীবোর্ড হলো বাংলা লেখার একটি মুক্ত সফটওয়্যার। এর উদ্ভাবন করেন মেহেদী হাসান।
মাউস:
- মাউস একটি ইনপুট ডিভাইস, এর মাধ্যমে মনিটরের বা প্রোগ্রামের যেকোনো স্থানে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা সম্ভব। ১৯৬৩ সালে স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডগলাস এঙ্গেলবার্ট সর্বপ্রথম মাউস আবিষ্কার করেন।
- মাউস এর পার্টস: left and right buttons, circuit board, mouse wheel, wire cable.
- মাউসের কাজ: পয়েন্টিং, ক্লিক, ডাবল ক্লিক, ড্রাগ এন্ড ড্রপ, hovering, সিলেক্ট।
ওসিআর:
- শুধু দাগই বোঝে না, বিভিন্ন বর্ণের পার্থক্যও বুঝতে পারে।
- চিঠির পিনকোড, ইলেকট্রিক বিল, ইনস্যুরেন্স প্রিমিয়াম, নোটিশ ইত্যাদি পড়ার জন্য এটি ব্যবহৃত হয়।
মাইক্রোফোন:
- মাইক্রোফোন একটি ইনপুট ডিভাইস যা শব্দ রেকর্ডিং এবং voice recognition এর জন্য ব্যবহার করা হয়।
- প্রথম আবিষ্কার করেন Emile Berliner, ১৮৭৭ সালে।
জয়স্টিক:
- একটি ইনপুট ডিভাইস যাতে আয়তাকার বেসের উপর একটি দন্ড বসানো থাকে। বেসের সাথে কম্পিউটারের সংযোগ থাকে।
- সাধারণত কম্পিউটারে গেম খেলতে জয়স্টিক ব্যবহৃত হয়।
- আবিষ্কারক C.B Mirick, ১৯২৬ সালে।
স্ক্যানার:
স্ক্যানারের সাহায্যে যেকোনো ডকুমেন্টকে ইমেজ আকারে কম্পিউটারে সেভ করা যায়।
গ্রাফিক্স ট্যাবলেট:
- বিশেষ কলম দিয়ে স্লেট বা প্যাডের উপর ছবি বা কোনো অলংকরণ-এর কাজ করা যায়।
- এটি কার্যত মাউসের বিকল্প যন্ত্র।
ওয়েবক্যাম:
ওয়েবক্যাম হলো একটি ভিডিও ক্যামেরা যা কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে রিয়েল টাইম ইমেজ বা ভিডিও আদান-প্রদান করে।
ডিজিটাল ক্যামেরা:
- চলন্ত এবং স্থির ছবি তুলে তা কম্পিউটারে দেওয়ার জন্য ডিজিটাল ক্যামেরা ব্যবহৃত হয়।
- ডিজিটাল ক্যামেরার প্রকারভেদ: Compact digital camera, Digital single-lens reflex camera (DSLR), Bridge camera, Mirrorless interchangeable lens camera, Line scan camera system, Integrated camera.
ওএমআর:
- OMR বা optical mark reader এমন এক যন্ত্র যা পেন্সিল বা কালির দাগ বুঝতে পারে।
- অবজেক্টিভ প্রশ্নের উত্তর পত্র, পরীক্ষা, বাজার সমীক্ষা, জনগণনা ইত্যাদি কাজে OMR ব্যবহৃত হয়।
MICR-রিডার:
- MICR-এর পূর্ণরূপ হল Magnetic Ink Character Recognition.
- যে মেশিন MICR লেখা পড়তে পারে তাকে MICR রিডার বলে।
- এ পদ্ধতিতে ব্যাংকের চেক নাম্বার লেখা ও পড়া হয়।
বারকোড রিডার:
- বারকোড বলতে কম-বেশি চওড়াবিশিষ্ট পর্যায়ক্রমে কতগুলো বার বা রেখার সমাহারকে বুঝায়।
- দোকান থেকে বিক্রিত জিনিসের প্যাকেটের উপর বার কোডের সাহায্যে জিনিসের নাম মূল্য ইত্যাদি লেখা থাকে।
- বারকোড রিডার এর সাহায্যে কম্পিউটার বিক্রিত জিনিসের নাম ও দাম লিখে বিল তৈরি করে এবং সাথে সাথে বিক্রিত জিনিসের স্টক আপডেট করে।
এ পর্বে আমরা কম্পিউটার পেরিফেরাল এর input device সম্পর্কে জেনেছি। কম্পিউটার পেরফেরালস এর output device সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা থাকছে পরবর্তী পর্বে।