আন্ত্রিক গ্রন্থি (Intestinal glands)
অন্ত্র প্রাচীরের মিউকোসা স্তরে কতগুলো এককোষী গ্রন্থি খাদ্য পরিপাককারী এনজাইম ক্ষরণ করে। এগুলো হচ্ছে-
- শোষণক্ষম কোষ।
- গবলেট কোষ।
- আর্জেন্ট্যাফি কোষ।
- লবারক্যুন-এর গ্রন্থি।
- ব্রুনার-এর গ্রন্থি।
আন্ত্রিক রসের উপাদান
১. পানি : ৯৮.৫% ।
২. অজৈব পদার্থ : ০.৮%;সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম এর লবণ।
৩. জৈব পদার্থ : ০.৭% সক্রিয়ক- এন্টেরোকাইনেজ; এনজাইম- ট্রিপসিনোজেন, পেপটাইডেজ, অ্যামাইলেজ, মল্টেজ, ল্যাক্টেজ, সুক্রেজ, লাইপেজ ইত্যাদি।
আন্ত্রিক রসের কাজ
১. আন্ত্রিক রসের মিউকাস অন্ত্র প্রাচীরকে বিভিন্ন এনজাইমের ক্রিয়া থেকে রক্ষা করে
২. এতে উপস্থতি সক্রিয়ক এন্টেরোকাইনেজ নিস্ক্রিয় ট্রিপসিনোজেনকে ট্রিপসিনে পরিণত করে।
৩. এ রসের সুক্রেজ ও ল্যাক্টোজ এনজাইম যথাক্রমে মলটোজ, সুক্রোজ ও ল্যাকটোজ শর্করাকে গ্লুকোজে পরিণত করে।
৪. এতে অবস্থিত পেপটাইড এনজাইম পলিপেপটাইডকে অ্যামিনো এসিডে পরিণত করে।
এনজাইম ও পিত্তরসের মধ্যে পার্থক্য
এনজাইম ও পিত্তরসের মধ্যে পার্থক্য | |
এনজাইম | পিত্তরস |
১. এনজাইম নালিশযোগ্য গ্রন্থি নিঃসৃত জৈব রাসায়নিক পদার্থ। | ১. পিত্তরস যকৃৎ নিঃসৃত মিশ্র পদার্থ। |
২. এনজাইম পানি ও প্রোটিন জাতীয় জৈব পদার্থ। | ২. পিত্তরস পানি জৈব ও অজৈব পদার্থ। |
৩. এনজাইম গ্রন্থি থেকে তাৎক্ষণিক উৎপন্ন হয় এবং কোথায় সঞ্চিত থাকে না। | ৩.পিত্তরস যকৃত থেকে উৎপন্ন হয়ে পিত্তথলিতে সঞ্চিত থাকে। |
৪. এনজাইমের সমগ্র কার্যক্ষেত্র দেহের বিভিন্ন অঙ্গে। | ৪. পিত্তরসের কার্যক্ষেত্র কেবল পরিপাক নালিতে সীমাবদ্ধ। |
৫. এনজাইম রাসায়নিক বিক্রিয়ার গতিকে ত্বরান্বিত করে। | ৫. পিত্তরস খাদ্য পরিপাকে ক্ষারীয় মাধ্যম তৈরি করে। |
৬. এনজাইম কার্য শেষে অপরিবর্তিত থাকে। | ৬. পিত্তরস কাজ শেষে বর্জ্য হিসেবে দেহ থেকে নিষ্ক্রান্ত হয়। |