ভ্রূণ ও ফিটাসের বিকাশ (Development of Embryo and Fetus)
মানব ভ্রূণের পরিস্ফুটন (Development of the Human Embryo)
নিষেকের পর জাইগোট (2n) যে প্রক্রিয়ায় পরিবর্তনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ শিশু বা লার্ভায় পরিণত হয় তাকে পরিস্ফুটন বলে। প্রতিটি সদস্যের পরিস্ফুটন প্রক্রিয়াকে ব্যক্তিজনিক পরিস্ফুটন (ontogenic development) বলা হয়। যে শাখায় জীবের ব্যক্তিজনিক পরিস্ফুটন অধ্যয়ন করা হয় তাকে ভ্রূণবিদ্যা (embryology) বলে। জাইগোট থেকে ভ্রূণ সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে বলা হয় এমব্রায়োজেনেসিস (embryogenesis)। ব্যক্তিজনিক পরিস্ফুটনের ধাপগুলো নিম্নরূপ:
ক্লিভেজ (Cleavage):
যে প্রক্রিয়ায় জাইগোট মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে বিভাজিত হয়ে অসংখ্য ভ্রূণকোষ সৃষ্টি করে তাকে ক্লিভেজ বা সম্ভেদ বলে। ক্লিভেজে সৃষ্ট ভ্রূণের প্রতিটি কোষকে বলে ব্লাস্ট্রোমিয়ার (blastormere)। ক্লিভেজ প্রক্রিয়ায় ক্রমাগত কোষ বিভাজনের ফলে জাইগোটটি বহুকোষী নিরেট গোলকে পরিণত হয়। এর নাম মরুলা (morula)। মরুলার কোষগুলো ক্রমশ একস্তরে সজ্জিত হয় এবং এর ভিতরে একটি তরল পূর্ণ গহ্বর সৃষ্টি হয়। ভ্রূণের এ দশাকে ব্লাস্টুলা (blastula) বলে। ব্লাস্টুলার প্রাচীরকে ব্লাস্টোডার্ম (blastoderm) এবং তরল পূর্ণ গহ্বরকে ব্লাস্টোসিল (blastocoel) বলে। ভ্রূণ ব্লাস্টুলায় পরিণত হওয়ার সাথে সাথে ক্লিভেজ দশার পরিসমাপ্তি ঘটে।
গ্যাস্ট্রুলেশন (Gastrulation):
ভ্রুণে আর্কেন্টেরন (archenteron) নামক প্রাথমিক খাদ্যগহ্বর বা আন্ত্রিকগহ্বর সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে গ্যাস্ট্রুলেশন বলে। পরিস্ফুটনের এ ধাপে ব্লাস্টোডার্ম দুই বা তিনটি কোষস্তর গঠন করে। এ প্রক্রিয়া শেষ হলে ভ্রূণ যে তাপ ধারণ করে তাকে গ্যাস্ট্রুলা (gastrula) বলে। এর ভিতরে যে গহ্বর থাকে তাকে আর্কেন্টেরন (archenteron) আর গহ্বরটি যে ছিদ্রপথে বাইরে উন্মুক্ত থাকে, তাকে ব্লাস্টোপোর (blastopore) বলে।
অর্গানোজেনেসিস (Organogenesis):
গ্যাস্ট্রলেশনে সৃষ্ট ভ্রুণীয় স্তরগুলো থেকে ভ্রূণের অঙ্গকুড়ি (organ rudiment) সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে অর্গানোজেনেসিস বলে। তিনটি ভ্রূণীয় স্তরেরই অভিন্ন কোষপিণ্ড ছোট ছোট কোষগুচ্ছে বিচ্ছিন্ন হয়। প্রত্যেক গুচ্ছ প্রাণিদেহের নির্দিষ্ট অঙ্গ বা অংশ নির্মাণ করে। এসব কোষগুচ্ছকে একেকটি অঙ্গের কুঁড়ি বলে। যেসব কুঁড়িতে ভ্রূণীয় স্তরগুলোর উপবিভক্তি ঘটে সেগুলোকে প্রাইমারি অঙ্গকুঁড়ি বলে। এদের কয়েকটি বেশ জটিল এবং এমন কতকগুলো কোষ নিয়ে গঠিত যারা একটি সম্পূর্ণ অঙ্গতন্ত্র গঠনেও সক্ষম। যেমন- সমগ্র স্নায়ুতন্ত্র কিংবা পৌষ্টিকতন্ত্র ইত্যাদি। প্রাইমারি অঙ্গকুঁড়ি আরও বিভক্ত হয়ে সেকেন্ডারি অঙ্গকুঁড়ি-তে পরিণত হয়। পরবর্তীতে অঙ্গকুঁড়ি আরও বিকশিত হয়ে প্রাণীর নির্দিষ্ট অঙ্গ গঠন করে।
তিনটি ভ্রুণীয় স্তরের পরিণতি | |
ভ্রুণীয় স্তর | পূর্ণাঙ্গ প্রাণিদেহে যে অংশ গঠিত হয় |
এক্টোডার্ম | ১. ত্বকের এপিডার্মাল অংশ এবং ত্বকীয় গ্রন্থি, চুল, পালক, নখ, ক্ষুর, এক ধরনের শিং ও আঁইশ।
২. চোখ ও অন্তঃকর্ণ। ৩. পায়ুর আবরণ। ৪. দাঁতের এনামেলসহ মৌখিক গহ্বর। ৫. সমগ্র স্নায়ুতন্ত্র ও কিছু পেশি। |
মেসোডার্ম | ১. ত্বকের এপিডার্মাল অংশ এবং ত্বকীয় গ্রন্থি, চুল, পালক, নখ, ক্ষুর, এক ধরনের শিং ও আঁইশ।
২. চোখ ও অন্তঃকর্ণ। ৩. পায়ুর আবরণ। ৪. দাঁতের এনামেলসহ মৌখিক গহ্বর। ৫. সমগ্র স্নায়ুতন্ত্র ও কিছু পেশি। |
এন্ডোডার্ম | ১. পৌষ্টিকনালির অন্তঃস্তর।
২. পাকস্থলি ও অন্ত্রের গ্রন্থিসমূহ। ৩. শ্বসনতন্ত্র, থাইরয়েড ও থাইমাস গ্রন্থি, যকৃত ও অগ্ন্যাশয়। ৪. মধ্যকর্ণের আবরণ (কখনও কখনও)। ৫. রেচন-জননতন্ত্রের কিছু অংশ (কখনও কখনও)। |
ভ্রূণ ও ফিটাসের বিকাশ (Development of Embryo and Fetus)
মায়ের জরায়ুতে ভ্রূণ সংস্থাপিত হওয়ার পর থেকে গর্ভকালীন ৮ম সপ্তাহের শিশুকে ভ্রূণ এবং এর পর থেকে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত শিশুকে ফিটাস বলে। মাতৃগর্ভে শিশু প্রায় ৯ মাস (৩৬-৪০ সপ্তাহ) এবং ধারাবাহিকভাবে বিকশিত হয়। এসময় যেসব পরিবর্তন ঘটে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেয়া হলো।
১ম সপ্তাহ: নিষেক, ক্লিভেজের ফলে নিষেকের ৪-৫ দিন পর ব্লাস্টোসিস্টের উৎপত্তি। কোষ সংখ্যা ১০০ এর অধিক। ৬-৯ দিন পর ইমপ্ল্যান্টেশন।
২য় সপ্তাহ: এক্টোডার্ম, এন্ডোডার্ম ও মেসোডার্ম গঠন। এ পর্যায়ের পর মানব ভ্রূণ নিয়ে গবেষণা নিষিদ্ধ।
৩য় সপ্তাহ: গর্ভবতীর মাসিক বন্ধ। গর্ভাবস্থায় এটিই প্রথম লক্ষণ। মেরুদণ্ড, মস্তিষ্ক এবং সুষমা স্নায়ুর উৎপত্তি শুরু। ভ্রূণ ২ মিলিমিটার।
৪র্থ সপ্তাহ: হৃৎপিণ্ড, রক্তনালি, রক্ত এবং অন্ত্রের উৎপত্তি শুরু। আমবিলিক্যাল কর্ড বৃদ্ধিরত। ভ্রূণ ৫ মিলিমিটার।
৫ম সপ্তাহ: মস্তিষ্ক বৃদ্ধিরত। পদকুঁড়ি (limb bud) এর উৎপত্তি যা থেকে হাত এবং পা তৈরি হবে।
৬ষ্ঠ সপ্তাহ: চোখ এবং কান গঠনের সূত্রপাত।
৭ম সপ্তাহ: মুখমণ্ডল তৈরি হয়। চোখে রঙ দেখা যায়।
১২তম সপ্তাহ: সকল অঙ্গ, পেশি, হাড়, হাত ও পায়ের আঙ্গুলসহ পরিণত ভ্রূণ। জনন অঙ্গ সুগঠিত।
২০তম সপ্তাহ: ভ্রু এবং অক্ষিপক্ষ (চোখের পাতার লোম) সহ লোমের উৎপত্তি শুরু। হাতের আঙ্গুলের রেখার বিকাশ।
২৪তম সপ্তাহ: চোখের পাতা খুলতে পারে।
২৬তম সপ্তাহ: অপ্রাপ্তকালে জন্ম হলে বেঁচে থাকার যথেষ্ট।
২৮তম সপ্তাহ: বলিষ্ঠভাবে নড়াচড়ায় সক্ষম। স্পর্শ ও অতিশব্দ অনুভব করে এবং মূত্র ত্যাগ করে।
৩০তম সপ্তাহ: মাথা নিচ দিকে, জন্মের জন্য প্রস্তুত।
৩৮তম সপ্তাহ: সাধারণত ৯ মাসের শিশু জন্মগ্রহণ করে।
শিশু প্রসব (Birth of a Baby)
মানুষে গর্ভাবস্থা (pregnancy) কাল ৩৮ থেকে ৪০ সপ্তাহ। গর্ভাবস্থায় ১২তম সপ্তাহে প্লাসেন্টা নিঃসৃত প্রোজেস্টেরন হরমোনের প্রভাবে জরায়ুর সংকোচন বন্ধ থাকে। গর্ভাবস্থায় রক্তে প্রোজেস্টেরনের মাত্রা বাড়তে থাকে তবে ৩৮তম সপ্তাহে রক্তে প্রোজেস্টরনের মাত্রা হঠাৎ করেই কমে যায় ফলে জরায়ু সংকোচনের প্রতিবন্ধকতা দূর হয়। একই সাথে মাতার পশ্চাৎপিটুইটারি গ্রন্থি থেকে অক্সিটসিন (oxytocin) এবং প্লাসেন্টা থেকে প্রোস্টাগ্লান্ডিন (prostaglandin) হরমোন ক্ষরণ শুরু হয়। ৪০তম সপ্তাহে জরায়ুর সংকোচন ঘটে। সংকোচনের ফলে শিশু জরায়ু থেকে বাইরে আসতে পারে। এ প্রক্রিয়া তিনটি ধাপে সংঘটিত হয়, যথা:
১. জরায়ু মুখ (cervix) ১০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত প্রসারিত হয়।
২. ফিটাস জরায়ু থেকে বাইরে আসে এবং
৩. প্লাসেন্টা ও নাভীরজ্জু বা আমবিলিক্যাল কর্ড (umbilical cord, ফিটাস থেকে প্লাসেন্টা পর্যন্ত আমবিলিক্যাল ধমনি ও শিরা বনহকারী অঙ্গকে নাভীরজ্জু বলে) জরায়ুর অভ্যন্তর থেকে বাইরে নিক্ষিপ্ত হয়।
যমজ শিশু (Twin Babies)
কখনো কখনো একসাথে দুটি বা তার বেশি শিশু জন্মগ্রহণ করে। এদের জমজ শিশু বলে। যমজ দুধরণের, যথা – অভিন্ন ও ভিন্ন।
অভিন্ন জমজ (Identical twins) :
একটি জাইগোট ১ম বিভাজনের সময় দুটি পথক কোষে পরিণত হয়ে পরবর্তীতে উক্ত দুটি কোষ থেকে শিশুর জন্ম হয়। এরা একই লিঙ্গ বিশিষ্ট হয়; অর্থাৎ দুটি ছেলে বা দুটি মেয়ে হয় এবং উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত বৈশিষ্ট্যাবলি এবং চেহারা প্রায় এক রকম হয়।
ভিন্ন জমজ (Non-identical twins) :
দুটি পৃথক ডিম্বাণু নিষিক্ত হয়ে দুটি জাইগোট উৎপন্ন হলে এ দুটি জাইগোট থেকে দুটি শিশুর জন্ম হয়। এদের বৈশিষ্ট্যাবলি হুবহু একই হয় না। বরং যে কোন দুই (ছোট বড়ো) ভাই-বোনের মত বৈশিষ্ট্যাবলির মিল থাকতেও পারে, নাও থাকতে পারে । এরা দুই ভাই, দুই বোন অথবা একটি ভাই, একটি বোনও হতে পারে।
গর্ভাবস্থা ও পরিচর্যা (Pregnancy & Care during Pregnancy)
গর্ভে সন্তান ধারণকারী মাকে গর্ভবতী (pregnant) বলা হয়। গর্ভাবস্থায় মায়ের পরিচর্যায় পালনীয় বিষয়গুলো সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।
ক. চিকিৎসা সংক্রান্ত পরিচর্যা
গর্ভাবস্থার শুরুতে মাকে চিকিৎসক দিয়ে পরীক্ষা করানো ও তার পরামর্শমতো চলা দরকার । World Health Organization (WHO) অনুসারে গর্ভাবস্থায় কমপক্ষে ৪টি ডাক্তারি ভিজিট জরুরি সেগুলো হলো: 0 – ১৬ সপ্তাহে ১টি, ২৪ – ২৮ সপ্তাহে ১টি, ৩২ সপ্তাহে ১টি, ৩৬ সপ্তাহে ১টি এবং ৩৬ সপ্তাহের পর অর্থাৎ ৩৭ সপ্তাহ থেকে প্রসব না হওয়া পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে একবার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো উচিত। প্রথম পরীক্ষার সময় রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষা করাতে হবে । এ সময় রক্তের গ্রুপ, যৌনরোগ, রক্তে শর্করার পরিমাণ, হিমোগ্লোবিন এর পরিমাণ, জন্ডিস ভাইরাস ইত্যাদিও পরীক্ষা করাতে হবে।
খ. গর্ভাবস্থায় অন্যান্য পালনীয় বিষয়
১. খাদ্য : গর্ভবতী মায়ের পুষ্টির উপরই নির্ভর করে গর্ভস্থ শিশুর বৃদ্ধি, বিকাশ ও ভবিষ্যৎ জীবনে ভালো থাকা। তাই সুষম সহজপাচ্য ও সঠিক পরিমাণ আহার প্রয়োজন। গর্ভাবস্থায় সুষম আহার বলতে বোঝায় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বেশি পরিমাণ প্রোটিন, সঠিক পরিমাণ শর্করা ও কম পরিমাণ চর্বি জাতীয় খাদ্যের সঙ্গে উপযুক্ত পরিমাণ লৌহ, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ও অন্যান্য পদার্থ, যথা- জিঙ্ক, ফলিক এসিড, পটাসিয়াম, সেলেনিয়াম প্রভৃতি। সম্ভব হলে দিনে ১ লিটার দুধ, ১ বা ২ টুকরা মাছ বা মাংস, ১টি ডিম, ১টি বা ২টি ঋতুকালীন ফল, টাটকা শাকসজি এবং ভাত ও ডাল পেট ভরে খাওয়া উচিত। নিরামিষভোজীদের দুধের পরিমাণ বাড়াতে হবে। তা ছাড়া অঙ্কুরিত ছোলাও খাদ্য তালিকায় যোগ করা উচিত। প্রতিদিন ৬-৮ গ্লাস ফোটানো পানি খাওয়া প্রয়োজন ।
২. কোষ্ঠকাঠিন্য : গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রবণতা থাকে। এর সমাধানকল্পে বেশি পরিমাণ শাকসজি খাওয়া দরকার। তা ছাড়া শুকনো খেজুর ও বীট খাবার তালিকায় রাখা উচিত।
৩. দাঁত : গর্ভাবস্থায় দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা থাকে। তাই এ সময় দাঁত না তোলাই ভাল।
৪. বিশ্রাম : গর্ভাবস্থায় পরিমিত বিশ্রাম দরকার । দুপুরে দুঘন্টা, রাতে আটঘন্টা বিশ্রাম নেয়া উচিত। সব সময় বা পাশে কাত হয়ে শোয়া উচিত। এতে শিশুর বিকাশ স্বাভাবিক হয়।
৫. কাজকর্ম : স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা নেই, তবে ভারী কাজকর্ম করা একেবারেই উচিত নয় ।
৬. গোসল : রোজ গোসল করে শরীর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। গোসল করার সময় যেন পিছলে পড়ে না যায় সেদিকে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে।
৭. কাপড় : গর্ভাবস্থায় ঢিলেঢালা কাপড় পড়া উচিত। বাংলাদেশের মতো গ্রীষ্মপ্রধান দেশে আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে সুতির কাপড়-চোপড় পড়া স্বাস্থ্যসম্মত।
৮. ভ্রমণ : ঝাঁকুনিযুক্ত ক্লান্তিকর ভ্রমণ গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস ও শেষ দুমাস না করাই ভালো। বাসের চেয়ে রেল ও বিমানে ভ্রমণ-ঝুঁকি অনেক কম।
৯. ধুমপান ও মদ্যপান : গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ধূমপান ও মদ্যপান অনুচিত। তা না হলে কম ওজনের শিশু কিংবা বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম হতে পারে।
১০. যৌনমিলন : গর্ভের প্রথম তিন মাস ও শেষ দেড় মাস যৌন মিলন থেকে বিরত থাকা উচিত। এতে গর্ভপাত, অকাল প্রসব ও সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে।