10 Minute School
Log in

রুই মাছ (Labeo rohita)

রুই মাছ আমাদের দেশের অতি পরিচিত সুস্বাদু মাছ। রুই মাছ মেজর কার্প জাতীয় মাছ। রুই মাছের বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে Labeo rohita এবং ইংরেজি নাম হচ্ছে Rohu Carp। মিঠা পানির যেসব মাছের মাথায় আঁইশ থাকে না কিন্তু সারা দেহ সাইক্লয়েড (cycloid) আঁইশ দিয়ে আবৃত থাকে, দেহগহ্বরে পটকা থাকে তাদের কার্প (carp) জাতীয় মাছ বলে। কার্প জাতীয় মাছের মধ্যে যেগুলো আকৃতিতে বড়, দ্রুত বর্ধনশীল এবং বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ সেগুলোকে বলে মেজর কার্প

বাংলাদেশের তিনটি (রুই, কাতলা ও মৃগেল) বড় কার্প জাতীয় প্রজাতির মধ্যে রুই মাছ (Labeo rohita) স্বাদু পানিতে চাষযোগ্য, সুলভ, জনপ্রিয় ও প্রোটিনসমৃদ্ধ সুস্বাদু মাছ। রুই একটি দ্রুত বর্ধনশীল মাছ এবং স্বাভাবিক অবস্থায় খামারে বছরে ৩৫-৪৫ সেন্টিমিটার (১-১.৫ ফুট) লম্বা, ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনবিশিষ্ট হয়। কিন্তু হালদা নদীর রুইয়ের পোনার বৃদ্ধি ২-২ কেজি পর্যন্ত বাড়ে। 

এ কারণে হালদা নদীর রুইয়ের রেণু পোনা/ ডিম পোনা (৪ দিনের বয়সের পোনা) প্রতি কেজি সর্বনিম্ন ৬০-৬৫ হাজার টাকা (যখন বিপুল পরিমাণ ডিম পাওয়া যায়), সর্বোচ্চ এক লক্ষ টাকা। শুধু বৃদ্ধি হারের জন্যই নয়, বিভিন্ন চাষ বা লালন কেন্দ্রগুলোতে অন্তঃপ্রজননের ফলে বামনত্ব, বিকলাঙ্গতাসহ বিভিন্ন জিনগত সমস্যা দেখা দেওয়ায় হালদা-র প্রাকৃতিক ও বিশুদ্ধ জিনের পোনা এখন আরও দুর্মূল্য হয়ে উঠেছে। 

রুই মাছের বসতি (Habitat):

রুই মাছ ইন্ডিয়া (মূল ভূখন্ড), পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও মায়ানমারের নদীতন্ত্রের প্রাকৃতিক প্রজাতি। স্বাদুপানির পুকুর, নদী, হ্রদ ও মোহনায় পাওয়া যায়। বাংলাদেশে বিভিন্ন বড় নদীতে বিচরণ করে, ডিম ছাড়ার সময় প্লাবনভূমিতে প্রবেশ করে। স্বাদ, সহজ চাষপদ্ধতি, অর্থনৈতিক গুরুত্ব এবং পুষ্টি ঘাটতি মেটাতে শ্রীলংকা, নেপাল, চায়না, রাশিয়ান ফেডারেশন, জাপান, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া ও আফ্রিকান দেশগুলোতে রুই মাছের চাষ হচ্ছে। ইন্ডিয়ান আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের মিঠাপানির নদীতেও অনুপ্রবেশকৃত রুইয়ের সফল চাষ হচ্ছে।

রুই মাছের শ্রেণিবিন্যাসঃ

Phylum (পর্ব): Chordata (জীবনের কোনো না কোনো দশায় নটোকর্ড, পৃষ্ঠীয় স্নায়ুরজ্জু ও গলবিলীয় ফুলকা বন্ধ থাকে)
Sub-Phylum (উপপর্ব): Vertebrata/ ভার্টিব্রাটা (নটোকর্ড মেরুদণ্ড দিয়ে প্রতিস্থাপিত)
Class (শ্রেণি): Actinopterygii (রশ্মিযুক্ত পাখনা)
Order (বর্গ): Cypriniformes (পার্শ্বরেখা সংবেদী অঙ্গ লেজের শীর্ষ পর্যন্ত বিস্তৃত)
Family (পরিবার): Cyprinidae (ভোমার দাঁতবিহীন, গলবিলীয় কর্তন আল উপস্থিত)
Genus (গণ): Labeo
Species (প্রজাতি): Labeo rohita

রুই মাছের খাদ্যাভ্যাসঃ

  • জীবনের প্রাথমিক পর্যায়ে রুই মাছের পছন্দের আহার হচ্ছে প্লাংকটন জাতীয় (প্রাণিপ্লাংকটন ও উদ্ভিদপ্ল্যাংকটন) জীব।
  • আঙ্গুলিপোনা দশায় (fingerling stage) প্রধানত প্রাণিপ্ল্যাংকটন গ্রহণ করলেও ডেসমিড (desmids), ফাইটোফ্ল্যাজেলেট (phytoflagellate), শৈবাল রেণু প্রভৃতিও গ্রহণ করে।
  • তরুণ ও পূর্ণবয়স্ক রুই মাছ পানির মাঝস্তরের শৈবাল ও নিমজ্জিত উদ্ভিদ বেশি গ্রহণ করে (অর্থাৎ প্রধানত শাকাশী) পৌষ্টিকনালিতে পচনশীল জৈব পদার্থ ও বালু, কাদা প্রভৃতি দেখে তলদেশি খাদকও মনে হয়।
  • খুঁটে খাওয়ার উপযোগী নরম ঝালরযুক্ত ঠোঁট এবং মুখ-গলবিলীয় অঞ্চলে দাঁতের বদলে ধারাল কর্তন আল (edge) দেখে বোঝা যায় রুই মাছ নরম জলজ উদ্ভিদ আহার করে।
  • ফুলকায় সরু চুলের মতো ফুলকা রেকার (gill-raker) দেখে প্রমাণ পাওয়া যায় এ মাছ অতিক্ষুদ্র প্লাংকটনও ছেঁকে খায়।
  • রুই মাছের পোনাগুলো ঝাঁক বেঁধে চলে, বয়স্ক মাছ পৃথক জীবন অতিবাহিত করে।
  • রুই মাছ ১৪^{\circ} সেলসিয়াসের কম তাপমাত্রায় বাঁচতে পারে না।

রুই মাছের বাহ্যিক গঠনঃ

রুই (Labeo rohita) একটি অস্থিময় মাছ। এর দেহ অনেকটা মাকু আকৃতির অর্থাৎ মধ্যভাগ চওড়া ও দুই প্রান্ত ক্রমশ সরু। প্রস্থ অপেক্ষা উচ্চতা বেশি, প্রস্থচ্ছেদ ডিম্বাকার। রুই মাছ চলনের সময় পানির ভিতর গতি বাধাপ্রাপ্ত হয় না, তাই এ ধরনের আকৃতিকে স্ট্রিমলাইন্ড (streamlined) বলে। একটি রুই মাছ সর্বোচ্চ ২০০ সে.মি. পর্যন্ত লম্বা হতে পারে, সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে এবং ওজন সাধারণত ৪৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে বলে জানা গেছে। রুই মাছের দেহ তিন অংশে বিভক্ত, যথা-

  • মাথা
  • দেহকাণ্ড
  • লেজ

মাথা (Head):

এই মাছের দেহের অগ্রপ্রান্ত থেকে কানকোর পশ্চাৎপ্রান্ত পর্যন্ত অংশটি মাথা, যা ৪-৫ ইঞ্চি লম্বা ও পৃষ্ঠভাগ উত্তল কিন্তু উদর থেকে মস্তকের উপরিভাগ বেশি উত্তল।তুণ্ড (snout) হচ্ছে নাক, মুখ এবং চোয়াল সমন্বিত মুখের বর্ধিত অংশ, এটি ভোঁতা, নিচু, কিন্তু চোয়ালের সামনে বাড়ানো এবং কোনো পার্শ্বীয় খণ্ডবিহীন। এই মাছের রয়েছে অর্ধচন্দ্রাকার মুখ, যা নিচের দিকে উপপ্রান্তীয়ভাবে অবস্থিত ও মোটা ঝালরের মতো ঊর্ধ্ব, আড়াআড়ি বিস্তৃত ও নিম্নোষ্ঠ আবৃত। এর ঊর্ধ্বচোয়ালের পিঠের দিকে একজোড়া নরম ও ছোট ম্যাক্সিলারি বার্বেল (maxillary barbels) রয়েছে।

মাছের তুণ্ডের পৃষ্ঠদেশে দুচোখের একটু সামনে রয়েছে একজোড়া নাসারন্ধ্র (nostrils)। এদের প্রত্যেক নাসারন্ধ্রের পেছনে এবং মাথার দুপাশে একটি করে বড় গোল চোখ রয়েছে। চোখে পাতা থাকে না, কিন্তু কর্ণিয়া স্বচ্ছ ত্বকীয় আবরণে আবৃত। এর মাথা আঁইশবিহীন দেহকাণ্ড ও লেজ মিউকাসময় সাইক্লয়েড (cycloid) আঁইশে আবৃত।

  • মুখ: এই মাছের মুখ নিচের দিকে অবস্থিত, মুখের দুই কোনা পিছনের দিকে বাঁকা হওয়াতে মুখ অর্ধচন্দ্রাকার এবং থুঁতনি ভোঁতা, নিচু, কদাচিৎ স্ফীত। মুখের নিচে ও উপরে ঝালরের মত ঠোঁট আছে। থুঁতনির পৃষ্ঠদেশের চোখের সামান্য সম্মুখে একজোড়া নাসারন্ধ্র আছে।
  • চোখ: মাথার দুই পাশে ১ টি করে মোট ২ টি বড় বড় চোখ আছে। চোখে কোন পাতা নেই, কর্নিয়া স্বচ্ছ চামড়ার আবরণ দ্বারা আবৃত।

দেহকান্ড (Trunk):

কানকোর শেষ ভাগ থেকে পায়ু পর্যন্ত দেহের মধ্য অংশটি দেহকাণ্ড। এ অংশটি চওড়া এবং বিভিন্ন ধরনের পাখনা (fin) বহন করে। পাখনাগুলো পূর্ণ বিকশিত এবং অস্থিময় পাখনা-রশ্মি (fin rays) যুক্ত। দেহকান্ডের পশ্চাৎপ্রান্তের অঙ্কীয় দিকে ঠিক মাঝ বরাবর তিনটি ছোট ছিদ্র থাকে: প্রথমে পায়ুছিদ্র, মাঝে জননছিদ্র এবং সবশেষে রেচনছিদ্র।

রুই মাছের পাখনাসমূহ

চিত্র: মাছের বাহ্যিক গঠন (পার্শ্ব দৃশ্য)

 

রুই মাছের পাখনাসমূহ (Fins):

মাছের চলনাঙ্গকে পাখনা বলে। পাখনা সাধারণত চাপা ও পাখনা-রশ্মিযুক্ত। পাখনার ভিতরে অবস্থিত সমান্তরালভাবে সজ্জিত সূক্ষ্ম শলাকার অস্তঃকঙ্কালকে পাখনা রশ্মি (fin rays) বলে। রুই মাছে মোট পাঁচ ধরনের পাখনা দেখা যায়-

  • পৃষ্ঠপাখনা (Dorsal fin) : এই মাছের দেহকাণ্ডের মাঝ বরাবরের পিছনে বড়, কিছুটা রম্বস আকারের একটি মাত্র পৃষ্ঠ পাখনা রয়েছে । এর উপরের দিকের মধ্যভাগ অবতল এবং এখানে ১৪-১৬টি পাখনা-রশ্মি থাকে।
  • বক্ষ-পাখনা (Pectoral fin) : কানকোর ঠিক পেছনে দেহকান্ডের সম্মুখ পার্শ্বদিকে একজোড়া বক্ষ-পাখনা আছে। এবং প্রত্যেক পাখনাতে ১৭-১৮টি পাখনা রশ্নিযুক্ত থাকে।
  • শ্রোণি-পাখনা (Pelvic fin) : বক্ষপাখনার সামান্য পেছনে একজোড়া শ্রোণি পাখনা অবস্থিত এবং এটি ৯টি করে পাখনা-রশ্মিযুক্ত।
  • পায়ু-পাখনা (Anal fin) : পায়ুর ঠিক পিছনে দেহের অঙ্কীয়দেশের মধ্যরেখা বরাবর একটি পায়ু-পাখনা থাকে। এটি ৬-৭টি পাখনা-রশ্মিযুক্ত।
  • পুচ্ছপাখনা (Caudal fin) : লেজের পশ্চাতে অবস্থিত পাখনাটি পুচ্ছ-পাখনা। এতে আছে ১৯টি পাখনা-রশ্মি। পুচ্ছ-পাখনা রুই মাছের চলাচলে এবং অন্যান্য পাখনা দেহের ভারসাম্য রক্ষায় কাজ করে। দেহের দু’পাশে এক সারি ছোট গর্ত আছে যা আঁইশের নিচে অবস্থিত একটি লম্বা খাদের সঙ্গে যুক্ত। এ খাদ ও গর্তের সমন্বয়ে মাছের পার্শ্বরেখা অঙ্গ (lateral line organ) গঠিত হয়। এতে অবস্থিত সংবেদী কোষ পানির তরঙ্গ থেকে পানির গুণাগুণ সংক্রান্ত রাসায়নিক সংবেদ গ্রহণ করে।

লেজ (Tail) :

পায়ুর পরবর্তী অংশটি লেজ। এর শীর্ষে রয়েছে হোমোসার্কাল (homocercal) ধরনের পুচ্ছ-পাখনা। এটি উল্লম্বতলে (vertical plane) প্রসারিত এবং পিছনে, উপরে ও নিচে দুটি প্রতিসম বাহ্যিক খণ্ডে বিভক্ত। ডার্মাল রশ্মিগুলো উপরে ও নিচের খণ্ডে বড়, মাঝখানে ছোট।

রুই মাছের আঁইশের বৈশিষ্ট্য (Scales):

  • রুই মাছের দেহকাণ্ড ও লেজ মিউকাসময় সাইক্লয়েড (cycloid) ধরনের (কারণ গোলাকৃতি) আঁইশ দ্বারা আবৃত।
  • আঁইশ পাতলা, প্রায় গোল ও রূপালি চকচকে হয়ে থাকে।
  • পৃষ্ঠদেশীয় আঁইশের কেন্দ্র লালচে প্রান্ত কালো রংয়ের হয় এবং কেন্দ্রটি লালচে রং জনন ঋতুতে আরও গাঢ় ও উজ্জ্বল হয়।  এছাড়াও জলচর উদ্ভিদসমৃদ্ধ পরিবেশের এর পৃষ্ঠদেশের রং লালচে-সবুজ হতে পারে।
  • এখানে আঁইশে এককেন্দ্রিক বৃত্তাকার স্তরে স্তরে অস্থি-উপাদান  জমা হওয়ার কারণে আঁইশের উপরের অংশে বৃত্তাকার উঁচু  আল ও নিচু খাদ সৃষ্টি হয়। এই স্তরগুলোর কেন্দ্রটিকে ফোকাস (focus) বলে। এটি সাধারণত একপাশে থাকে।
  • উঁচু আলগুলোকে সার্কুলাস (বহুবচনে সার্কুলি) বা বৃদ্ধিরেখা বলে। এগুলোর সাহায্যে বাৎসরিক বৃদ্ধির এবং বিভিন্ন ঋতুতে বৃদ্ধি সম্বন্ধে প্রকৃত ধারণা পাওয়া যায়।
  • রুই মাছের আঁইশের বৃদ্ধি সাধারণত বসন্তকালে ও গ্রীষ্মে বেশি হয়। আঁইশের সম্মুখভাগ তন্তুময় যোজক টিস্যু-নির্মিত এবং ডার্মিসের পকেটের মধ্যে প্রবিষ্ট থাকে। পশ্চাৎভাগ ডেন্টিন- নির্মিত ও উন্মুক্ত। স্পষ্ট বৃদ্ধিরেখা ও অনেক রঞ্জক কোষ এই উন্মুক্ত অংশে থাকে। এছাড়া এই আঁইশগুলো পরস্পরকে আংশিক ঢেকে লম্বালম্বি ও কোণাকুণি সারিতে বিন্যস্ত থাকে।
  • আঁইশগুলো সবসময় মিউকাসের পাতলা পিচ্ছিল আস্তরণ দিয়ে আবৃত থাকে। এবং এর মাথার দুই পাশে ৪ জোড়া ফুলকা রয়েছে 
রুই মাছের আঁইশ

চিত্র: রুই মাছের আঁইশ

রুই মাছের রক্ত সংবহনতন্ত্রঃ

রক্তবাহিকা বিস্তৃত এবং হৃৎপিণ্ড নিয়ে নিয়ন্ত্রিত এ তন্ত্রের মাধ্যমে রক্ত দেহের বিভিন্ন অংশে সঞ্চালিত হয়। রুই মাছের রক্তের রঙ লাল। এটি রক্তরস (plasma) রক্তকণিকা নিয়ে গঠিত। রক্তকণিকা দু’ধরনের- লোহিতকণিকাশ্বেতকণিকা। লোহিতকণিকা প্রায় ডিম্বাকার ও নিউক্লিয়াসযুক্ত। শ্বেতকণিকা দেখতে অ্যামিবার মতো (amoeboid)। হৃৎপিন্ড, ধমনি, শিরা ও কৈশিকনালির সমন্বয়ে Labeo-র রক্ত সংবহনতন্ত্র গঠিত।

রুই মাছের হৃৎপিন্ড (Heart):

  • রুই মাছের ফুলকাদুটির পিছনে পেরিকার্ডিয়াল গহবর (pericardial cavity) নামে এক বিশেষ ধরনের গহ্বরে হৃৎপিন্ড অবস্থান করে।
  • পেরিকার্ডিয়াম (pericardium) নামক আবরণে হৃৎপিন্ডটি আবৃত থাকে।
  • অন্যান্য মাছের মতে রুই মাছের হৃৎপিন্ডটিও দুই প্রকোষ্ঠবিশিষ্ট একটি অলিন্দ বা অ্যাট্রিয়াম (atrium) এবং অন্যটি নিলয় বা ভেন্ট্রিকল (ventricle)
  • এছাড়া সাইনাস ভেনোসাস (sinus venosus) নামে একটি উপপ্রকোষ্ঠ রয়েছে।
রুই মাছের (Labeo Rohita) হৃৎপিন্ডের রেখাচিত্র

চিত্র : রুই মাছের (Labeo Rohita) হৃৎপিন্ডের রেখাচিত্র

 
  • সাইনাস ভেনোসাস: এটি পাতলা প্রাচীরবিশিষ্ট উপপ্রকোষ্ঠ যা হৃৎপিণ্ডের পৃষ্ঠদেশে অবস্থিত এবং সাইনো-অ্যাট্রিয়াল (sino-atrial) ছিদ্রপথে অ্যাট্রিয়ামের সাথে যুক্ত। এ পথে শিরা থেকে সংগৃহীত \mathrm{C}_{2} সমৃদ্ধ রক্ত অ্যাট্রিয়ামে প্রবেশ করে।
  • ভেন্ট্রিকল (নিলয়): এটি হৃৎপিন্ডের সর্বশেষ প্রকোষ্ঠ। পেরিকার্ডিয়াল গহ্বরের অঙ্কীয়দেশে অবস্থিত এ প্রকোষ্ঠটির প্রাচীর পুরু ও মাংসল এবং সম্মুখে বাল্বাস আর্টারিওসাস (bulbus arteriosus)-তে উন্মুক্ত। 
  • বাল্বাস আর্টারিওসাস: রুই মাছের হৃৎপিণ্ডে কোনাস আর্টারিওসাস (conus arteriosus) নেই। তার পরিবর্তে বাল্বাস আর্টারিওসাস নামক একটি গঠন দেখা যায় যা মূলত ডেট্রাল অ্যান্ডর্টার ক্ষীত গৌড়াদেশীয় অংশ। এটি হৃৎপিন্ডের কোন অংশ নয়। এটি হৃৎপিণ্ড থেকে ভেন্ট্রাল অ্যাওর্টায় রক্ত চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে।

রুই মাছের হৃদপিন্ডের কপাটিকাসমূহ (Valves):

হৃৎপিন্ডের উপপ্রকোষ্ঠ প্রকোষ্ঠগুলোর সংযোগ ছিদ্রে কপাটিকা (valve) থাকে। কপাটিকাগুলো শুধু সামনের দিকে খুলে, ফলে রক্তের পশ্চাৎগতি রুদ্ধ হওয়ায় রক্তের প্রবাহ থাকে একমুখী। বিপরীত প্রবাহে কপাটিকাগুলো বাধা দেয়। রুই মাছের হৃৎপিন্ডে নিচে বর্ণিত কপাটিকাগুলো পাওয়া যায়

  • সাইনো-অ্যাট্রিয়াল কপাটিকা (sino-atrial valve): সাইনাস ভেনোসাস ও অ্যাট্রিয়ামের মাঝে অবস্থিত ছিদ্রপথে এ কপাটিকা থাকে।
  • অ্যাট্রিও ভেন্ট্রিকুলার কপাটিকা (Atrio-ventricular valve): অ্যাট্রিয়াম ও ভেন্ট্রিকলের মাঝে অবস্থিত অ্যাট্রিও-ভেন্ট্রিকুলার ছিদ্রপথে এ কপাটিকা অবস্থান করে।
  • ভেন্ট্রিকুলো-বাল্বাস কপাটিকা (Ventriculo-bulbus valve): এটি ভেন্ট্রিকল ও বাল্বাস অ্যাওর্টার মাঝে অবস্থিত কপাটিকা।
হৃৎপিন্ডের মাধ্যমে রক্ত সংবহন

চিত্র: হৃৎপিন্ডের মাধ্যমে রক্ত সংবহন

হৃৎপিণ্ডের মাধ্যমে রক্ত সংবহন (Blood circulation through heart):

সংকোচন ও প্রসারণের মাধ্যমে হৃৎপিণ্ড রক্ত পরিবহন করে। কপাটিকাসমূহের নিয়ন্ত্রণের ফলে হৃৎপিণ্ডের প্রকোষ্ঠগুলোর মধ্যে রক্ত সংবহনের একমুখিতা দেখা যায় এবং এ ধরনের হৃৎপিণ্ডকে এক চড় হৃৎপিণ্ড (single circuit than) বলে। হৃৎপিণ্ডের মধ্য দিয়ে কেবল \mathrm{C}_{2} -সমৃদ্ধ রক্ত বাহিত হয় বলে রুই মাছের হৃৎপিণ্ডকে ভেনাস হার্ট (venous heart) বা শিরা হৃৎপিণ্ড বলা হয়ে থাকে।

হৃৎপিণ্ড থেকে \mathrm{C}_{2} -সমৃদ্ধ রক্ত একমুখী প্রবাহে \mathrm{O}_{2} -সমৃদ্ধ হওয়ার জন্য ফুলকায় প্রেরিত হয়। একটি ছন্দময় তালে হৃৎপিণ্ডের বিভিন্ন অংশ নির্দিষ্ট সময় অন্তর সংকুচিত হয়। প্রথমে সাইনাস ভেনোসাসে সঙ্কোচন ঘটে। পরে ক্রমে অ্যাট্রিয়াম, ভেন্ট্রিকল ও বাল্বাস আর্টারিওসাস সংকুচিত হয়।

হৃৎপিণ্ডের প্রতিবার সঙ্কোচনকে সিস্টোল (systole) বলে। সিস্টোলের পরপরই হৃৎপিণ্ড প্রসারিত হয়ে পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। হৃৎপিণ্ডের প্রসারণ প্রক্রিয়াকে বলে ডায়াস্টোল (diastole)। হৃৎপিণ্ডের বিভিন্ন কপাটিকা রক্তের একমুখী প্রবাহ নিশ্চিত করে । রক্তের গতিপথ-

রুই মাছের ধমনিতন্ত্র (Arterial System):

  • রুই মাছের ধমনিতন্ত্র প্রধানত অন্তর্বাহী (afferent) বহির্বাহী (efferent) ব্রাঙ্কিয়াল ধমনি নিয়ে গঠিত।
  • হৃৎপিণ্ডের ভেন্ট্রিকল থেকে ভেন্ট্রাল অ্যাওর্টা (অঙ্কীয় মহাধমনি) সৃষ্টি হয়ে সামনের দিকে বিস্তৃত। এ ধমনির গোড়া স্ফীত হয়ে NOTE আর্টারিওসাস গঠন করে। এটি হৃৎপিন্ড থেকে ভেন্ট্রাল অ্যাওর্টায় রক্তের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে। ভেন্ট্রাল অ্যাওটা থেকে যেসব পার্শ্বীয় রক্তনালি পথে \mathrm{C}_{2}-সমৃদ্ধ রক্ত দুপাশের ফুলকায় বাহিত হয় সেগুলো অন্তর্বাহী ব্রাঙ্কিয়াল ধমনি
  • ফুলকা \mathrm{C}_{2}-সমৃদ্ধ রক্ত \mathrm{O}_{2}-সমৃদ্ধ হওয়ার পর যে পার্শ্বীয় নালিগুলো দিয়ে ঐ রক্ত ডার্সাল অ্যাওটা (পৃষ্ঠায় মহাধমনি) তে বাহিত হয় সেগুলো বহির্বাহী ব্রাঙ্কিয়াল ধমনি

ক. অন্তর্বাহী ব্রাঙ্কিয়াল ধমনি (Afferent Branchial Anery):

বাল্বাস অ্যার্টারিওসাস থেকে সৃষ্ট ভেন্ট্রাল অ্যাওর্টা বা অঙ্কীয় মহাধমনির প্রতিপাশ থেকে ৪টি করে মোট ৪ জোড়া অন্তর্বাহী ব্রাঙ্কিয়াল ধমনি বের হয়। ১ম জোড়া ধমনি প্রথম ফুলকা-জোড়ায় প্রবেশ করে। অনুরূপভাবে, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ জোড়া ধমনি যথাক্রমে ২য়, ৩য় ও ৪র্থ ফুলকা-জোড়ায় \mathrm{C}_{2}-সমৃদ্ধ রক্ত বহন করে।

খ. বহির্বাহী ব্রাঙ্কিয়াল ধমনি (Efferent Branchial Artery):

চার জোড়া ফুলকা থেকে চার জোড়া বহির্বাহী ব্রাঙ্কিয়াল ধমনির সৃষ্টি হয়। প্রথম বহির্বাহী ধমনি অঙ্কীয়দেশে হাইঅয়েড আর্চের সিউডোব্রাঙ্কে রক্ত বহন করে এবং সিউডোব্রায়ের সম্মুখে অপথ্যালমিক ধমনি (ophthalmic artery) হিসেবে বিস্তৃত হয়। প্রতি পাশের ১ম ও ২য় বহির্বাহী ব্রাঙ্কিয়াল ধমনি মিলে লম্বালম্বি পার্শ্বীয় ধমনি বা ল্যাটেরাল অ্যাওর্টা (lateral aorta) গঠন করে।

৩য় ও ৪র্থ বহির্বাহী ব্রাঙ্কিয়াল ধমনি ল্যাটেরাল আওর্টায় উন্মুক্ত হওয়ার আগে একত্রে মিলিত হয়। ল্যাটেরাল অ্যাওর্টা সম্মুখে ক্যারোটিড ধমনিরূপে বিস্তৃত হয় এবং করোটিকার অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। দুপাশের ল্যাটেরাল অ্যাওর্টা পশ্চাতে একীভূত হয়ে ডর্সাল অ্যাওর্টা (dorsal aorta) গঠন করে এবং পেছন দিকে বিস্তৃত হয়। দুই পাশের ল্যাটেরাল অ্যাওর্টা ও ক্যারোটিড ধমনি মিলে গলবিল অঞ্চলের পৃষ্ঠীয়দেশে একটি ডিম্বাকার ধমনি বলয় সৃষ্টি করে। এর নাম সারকিউলাস সেফালিকায় (circulus cephalicus)

রুই মাছের অন্তর্বাহী ও বহির্বাহী ব্রাঙ্কিয়াল ধমনি

চিত্র: রুই মাছের অন্তর্বাহী ও বহির্বাহী ব্রাঙ্কিয়াল ধমনি

ডার্সাল অ্যাওর্টা মেরুদণ্ডের নিচে মধ্যরেখা বরাবর লেজ পর্যন্ত প্রসারিত। যাত্রাপথে এটি নিম্নোক্ত প্রধান নালিকাগুলো সৃষ্টি করে:

  • সাবক্ল্যাভিয়ান ধমনি (Subclavian artery) : বক্ষপাখনা ও বক্ষচক্রের দিকে বিস্তৃত হয়।
  • সিলিয়াকো-মেসেস্টারিক ধমনি (Coeliance-mesenteric artery) : পাকস্থলি, অস্ত্র, যকৃত, অগ্ন্যাশয়, মলাশয় প্রভৃতি আন্ত্রিক অঙ্গে রক্ত পরিবহন করে।
  • প্যারাইটাল ধমনি (Parietal artery) : দেহ প্রাচীরে রক্ত সরবরাহ করে। 

রুই মাছের ডিম:

স্ত্রী রুই মাছ অপেক্ষাকৃত কম গভীর জলে ও স্রোতের টানে নদীর পাড়ে ডিম ছাড়ে৷ এছাড়াও কৃত্রিম উপায়ে বাঁধ বা পুকুরে স্রোতের সৃষ্টি করা হলে সেখানেও নির্বিঘ্নে ডিম ছাড়তে পারে।

  • প্রতিটি পূর্ণবয়স্ক রুই মাছে প্রায় ১ঌ লক্ষ করে ডিম থাকে। ৪-১০ কেজি ওজনের রুই মাছে ৬ লক্ষ থেকে ৩৫ লক্ষ ডিম থাকে৷
  • রুই মাছ সাধারণত নদীতেই ডিম পাড়ে। আবার বাঁকুড়া, মেদিনীপুর অঞ্চলের কিছু সংখ্যক বিশেষ ধরনের বাঁধেও ডিম পাড়ে।
  • বাজারে যে রুইয়ের পোনা পাওয়া যায় তা নদী থেকে ধরা মাছের ডিম পোনা।
  • পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় লালগোলা, মালদহ মাণিকচক এবং ধুলিয়ান অঞ্চলে নদী থেকে মাছের ডিম পোনা ব্যাপক ভাবে ধরা হয়।

রুই মাছের শিরাতন্ত্র (Venous System of Labeo rohita):

কৈশিক জালিকা (blood capillaries) থেকে উৎপন্ন হয়ে, যেসব রক্তনালি দেহের বিভিন্ন অংশ থেকে অক্সিজেনবিহীন (deoxygenated) রক্ত সংগ্রহ করে হৃৎপিণ্ডের সাইনাস ভেনোসাসে নিয়ে আসে, সেগুলোই সম্মিলিতভাবে শিরাতন্ত্র গঠন করে। রুইমাছের শিরাতন্ত্রকে প্রধান দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা-

  • সিস্টেমিক শিরাতন্ত্র এবং
  • পোর্টাল শিরাতন্ত্র

নিচে এদের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয়া হলো

১. সিস্টেমিক শিরাতত্ত্ব (Syntemic Venus System):

যেসব শিরার মাধ্যমে দেহের বিভিন্ন অঙ্গ বা তন্ত্র থেকে রক্ত সরাসরি হৃৎপিন্ডে ফিরে আসে সেগুলোকে সিস্টেমিক শিরা বলে। সিস্টেমিক শিরার সমন্বয়ে গঠিত হয় সিস্টেমিক শিরাতন্ত্র। এক জোড়া সম্মুখ কার্ডিনাল শিরা, এক জোড়া জুগুলার শিরা ও এক জোড়া পশ্চাৎ কার্ডিনাল শিরা রুই মাছের সিস্টেমিক শিরাতন্ত্রের প্রধান অংশ গঠন করে। শরীরের সম্মুখ অংশ থেকে সম্মুখ কার্ডিনাল শিরা ও জুগুলার শিরা রক্ত সংগ্রহ করে সে পাশের ডাক্টাস ক্যুভিয়ে (ductus cuvieri)-তে উন্মুক্ত হয়।

পশ্চাৎ কার্ডিনাল শিরা দেহের পশ্চাদ্ভাগ থেকে রক্ত সংগ্রহ করে এবং সে পাশের ডাক্টাস ক্যুভিয়েতে উন্মুক্ত হয়। উভয় পশ্চাৎ কার্ডিনাল শিরা সেগমেন্টাল শিরা, রেনাল শিরা, জেনিটাল শিরা ইত্যাদি থেকেও রক্ত গ্রহণ করে। উভয় ডাক্টাস ক্যুভিয়ে হৃৎপিণ্ডের সাইনাস ভেনোসাসে মুক্ত হয়। প্রতি পাশের বক্ষ-পাখনা ও শ্রোণি-পাখনা থেকে সাবক্ল্যাভিয়ান শিরা রক্ত সংগ্রহ করে ডাক্টাস ক্যুভিয়ে-এর মাধ্যমে সাইনাস ভেনোসাসে প্রেরণ করে। এছাড়া ডান ও বাম পশ্চাৎ কার্ডিনাল শিরা কতিপয় অনুপ্রস্থ শিরা দ্বারা সংযুক্ত থাকে। এদের অনুগ্রন্থ অ্যানাস্টোমোসিস (transverse annitomosis) বলে।

২. পোর্টাল শিরাতন্ত্র (Portal system) :

কৈশিক নালিকা থেকে উৎপন্ন হয়ে অক্সিজেনবিহীন রক্ত নিয়ে হৃৎপিণ্ডে যাওয়ার পথে যে সব শিরা অন্য কোনো অঙ্গে প্রবেশ করে আবার কৈশিক নালিতে পরিণত হয়, সেগুলোকে পোর্টাল শিরা বলে। পোর্টাল শিরাগুলো নিয়ে পোর্টাল শিরাতন্ত্র গঠিত হয়।

হেপাটিক পোর্টালতন্ত্র ও রেনাল পোর্টালতন্ত্র নিয়ে রুই মাছের পোর্টালতন্ত্র গঠিত।

  • হেপাটিক পোর্টালতন্ত্র (Hepatic portal system) : যকৃত পোর্টাল শিরা পরিপাকতন্ত্র থেকে রক্ত সংগ্রহ করে যকতে প্রবেশ করে সেখানে শাখায় বিভক্ত হয়ে রক্ত জালক সৃষ্টি করে। যকৃত শিরা (hepatic vein) এই রক্ত জালক থেকে রক্ত সংগ্রহ করে সরাসরি সাইনাস ভেনোসাসে উন্মুক্ত হয়।
  • রেনাল পোর্টাল তন্ত্র (Renal portal Bystem) : দেহের লেজ অঞ্চল থেকে কডাল শিরা (caudal vein) রক্ত সংগ্রহ করে দেহকাণ্ডে প্রবেশ করে এবং দুটি শাখায় বিভক্ত হয়। ডান শাখাটি ডান পশ্চাৎ কার্ডিনাল শিরা হিসেবে সম্মুখে অগ্রসর হয়, বাম শাখাটি বৃক্কে প্রবেশ করে বিভক্ত হয়ে জালিকা সৃষ্টি করে। একে রেনাল পোর্টাল শিরা বলে। বৃক্ক থেকে রক্ত বাম পশ্চাৎ কার্ডিনাল শিরা সংহাস ক্যুভিয়ের মাধ্যমে সাইনাস ভেনোসাসে পৌঁছায়।
রুই মাছের শিরাতন্ত্র

চিত্র: রুই মাছের শিরাতন্ত্র

রুই মাছ চাষের পদ্ধতি:

এই মাছ দেশি এবং কার্প জাতীয় মাছের সাথে মিশ্রভাবে চাষ করা যায়। এরা পানির মধ্যস্তরে থাকার কারণে পানি উপরের স্তরের মাছ যেমন- কাতল ও নিচের স্তরের মাছ যেমন- কালো কার্পের সাথে চাষ করা হয়। এছাড়াও এতে খাদ্য খরচ কম হয়।

  • মাছ চাষের পূর্বে পুকুর প্রস্তুত করে নিতে হয়।পুকুর প্রস্তত করার পর পুকুরে পানি মজুদ করে একটি নির্দিষ্ট আকারের রুই মাছের পোনা সেখানে ছাড়তে হয়।
  • পানির গুণাগুণ ঠিক রেখে এবং এদের মোট ওজনের ৩-৫ শতাংশ সম্পূরক খাবার দৈনিক ২-৩ বারে দিতে হয়।
  • সম্পূরক খাবার তৈরির জন্য সাধারণত চালের কুড়া, ফিসমিল, সরিষার খৈল,ফিস গ্রোয়ার সহ বিভিন্ন ধরনের উপকরণ ব্যবহার করা হয়।
  • রুইয়ের বাজারে বেশ চাহিদা আছে, এই মাছ ৬ মাসের পর থেকেই খাওয়া ও বাজারজাত করা যায়।

রেফারেন্স:


টেন মিনিট স্কুলের ৯ম-১০ম শ্রেণি ও এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতির ক্লাসগুলো দেখতে ভিজিট করুনঃ

 
 
 
 
 
৯ম-১০ম শ্রেণির অনলাইন ব্যাচ






৯ম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা প্রস্তুতি কোর্স + মডেল টেস্ট – ২০২২
৯ম শ্রেণিঃ পদার্থবিজ্ঞান ব্যাচ
৯ম শ্রেণিঃ রসায়ন ব্যাচ
৯ম শ্রেণিঃ উচ্চতর গণিত ব্যাচ
৯ম শ্রেণিঃ জীববিজ্ঞান ব্যাচ
৯ম শ্রেণিঃ সাধারণ গণিত ব্যাচ
১০ম শ্রেণিঃ পদার্থবিজ্ঞান ব্যাচ
১০ম শ্রেণিঃ রসায়ন ব্যাচ
১০ম শ্রেণিঃ উচ্চতর গণিত ব্যাচ
১০ম শ্রেণি জীববিজ্ঞান ব্যাচ
১০ম শ্রেণিঃ সাধারণ গণিত ব্যাচ
স্পেশাল ক্র্যাশ কোর্স SSC 2022 শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি কোর্স