নামকরণ (Naming of organic compound)
নামকরণ
(Naming of organic compound)
অ্যামিন Group (Amine Group)
2- অ্যামিনো বিউটেন
বা, বিউটানামিন-2 বা, বিউটান-2-অ্যামিন
2-(N-মিথাইল অ্যামিনো) বিউটেন
N-মিথাইল বিউটানামিন-2
2-(N, N-ডাই-মিথাইলঅ্যামিনো) বিউটেন
CH3-CH2-NH-CH3
N-মিথাইলঅ্যামিনোইথেন
N-ইথাইল-N-মিথাইলঅ্যামিনোইথেন
ট্রাইমিথাইলঅ্যামিন
N, N-ডাই-মিথাইলঅ্যামিনোমিথেন
ট্রাইমিথাইলঅ্যামিন
ফিনাইল অ্যামিন
বা, অ্যামিনো বেনজিন
বা, অ্যানিলিন
3-মিথাইল-N, N-ডাইমিথাইলঅ্যামিনোপেন্টেন
3, N, N-ট্রাইমিথাইল পেন্টানামিন-2
3-মিথাইল-2(N-ইথাইলঅ্যামিনো) পেন্টেন/
N-ইথাইল-3-মিথাইল পেন্টানামিন-2
N হাইড্রক্সি-N-মিথাইল অ্যামিনো ইথেন
N, N ডাই মিথাইল অ্যামিনো বেনজিন
বা, N, N-ডাই মিথাইল অ্যানিলিন
N-হাইড্রক্সি-N-মিথাইলঅ্যামিনোবেনজিন
N-ইথাইল-N-মিথাইল অ্যামিনো বেনজিন
এদেরকে অ্যালকানামাইড রুপে নামকরণ করা হয়।
প্রোপানামাইড
N-মিথাইল ইথান্যামাইড
বা, N-মিথাইলঅ্যাসিটামাইড
N, N ডাইমিথাইল ইথান্যামাইড
N, N ডাইমিথাইলঅ্যাসিটামাইড
ইথান্যামাইড বা এসিটামাইড
N-হাইড্রক্সি-N-মিথাইল ইথান্যামাইড
N-ইথাইল, N-মিথাইলইথান্যামাইড
বেনজামাইড
N-ইথাইল-N-মিথাইলবেনজামাইড
N-ব্রোমো-N-হাইড্রক্সিইথান্যামাইড
সাইক্লোপেন্টেন কার্বাক্স অ্যামাইড
N, N ডাইমিথাইলবেনজামাইড
N-মিথাইল-N-ফিনাইলবেনজামাইড
নামকরণ
এস্টারের সাধারণ সংকেত
এদেরকে অ্যালকাইল অ্যালকানয়েট রূপে নামকরণ করা হয়।
ইথাইল প্রোপানয়েট
ইথাইল ইথানয়েট
বা, ইথাইল অ্যাসিটেট
ফিনাইল ইথানয়েট
ইথাইলবেনজোয়েট
মিথাইল মিথানয়েট
প্রোপাইল ইথানয়েট
এসিড অ্যানহাইড্রাইড এর নামকরণ (Naming of acid anhydride)
এদেরকে অ্যালকানয়িকঅ্যানহাইড্রাইড রূপে নামকরণ করা হয়।
অ্যানহাইড্রাইড
ইথানয়িকঅ্যানহাইড্রাইড
বা, অ্যাসিটিক অ্যানহাইড্রাইড
প্রোপানয়িকঅ্যানহাইড্রাইড
ইথানয়িকমিথানয়িকঅ্যানহাইড্রাইড
এটি একটি মিশ্র অ্যানহাইড্রাইড
মিথানয়িকঅ্যানহাইড্রাইড
বিউটানয়িকঅ্যানহাইড্রাইড
সায়ানাইড/নাইট্রাইল (Cyanide / Nitrile)
IUPAC পদ্ধতিতে এদেরকে অ্যালকেন নাইট্রাইল রূপে নামকরণ করা হয়।
CH3-CN
মিথাইলসায়ানাইড
বা, ইথেননাইট্রাইল
CH3-CH2-CN
প্রোপেননাইট্রাইল
বা,
ফিনাইলসায়ানাইড
বা, বেনজিনকার্বোনাইট্রাইল
সাইক্লোপ্রোপেনকার্বোনাইট্রাইল
বিভিন্ন সমগোত্রীয় শ্রেণির বা কার্যকরী মূলক কোন যৌগে একত্রে উপস্থিত থাকলে এদের নামকরণ পদ্ধতি এর তালিকাটি নিম্নরূপ
(The following is a list of the nomenclature of different homologous classes or functional compounds)
কার্যকরী মূলক | Prefix | Suffix |
– COOH | কার্বোক্সি | ওয়িক এসিড |
– COOR | অ্যালকক্সি কার্বনিল | ওয়েট |
– CONH2 | কার্বামোয়িল | অ্যামাইড |
– CN – | সায়ানো | নাইট্রাইল |
– CHO – | ফরমাইল/অ্যালকানোয়িল | অ্যাল |
– CO – | অক্সো | ওন |
– OH | হাইড্রক্সি | ওল বা অল |
– NH2 | অ্যামিনো | অ্যামিন |
– C = C – | ইন | |
– C C – | আইন |
(a)
3-হাইড্রক্সি 2-মিথাইলবিউটানয়িকএসিড
(b)
3-অ্যামিনো বিউটানল 2 বা, 3-অ্যামিনোবিউটান-2-অল
(c)
2-বিউটানয়িকএসিড/বিউট 2-ইন ওয়িক এসিড
(d)
3-পেন্টাইন্যাল বা, পেন্ট-3-আইন-1-অ্যাল
(e)
2-ব্রোমো-4-অক্সোহেক্সানয়িকএসিড
(f)
বিউট-2-আইন-1, 4-ডাই-অল
(g)
2 ইথাইল-5-ফরমালহেক্সানয়িক এসিড
(h)
(CH3)2 CHCCCH (CHO)C2H5
2-ইথাইল-5-মিথাইল-3-হেক্সাইন্যাল
(i)
(CH3)3CCH CH CH COOHC2H5
2-ইথাইল-5, 5-ডাই মিথাইল 3-হেক্সানয়িকএসিড
(j)
3-ইথাইল 2, 2-ডাই মিথাইল হেন্টেন
(k)
3-ব্রোমো 5-হেক্সিনয়িকএসিড
বা, 3-ব্রোমোহেক্স-5-ইন-1-অয়িক এসিড
(l)
CH3 C≡C-COOH
2-বিউটাইয়িক এসিড
2-বিউটাইনয়িক এসিড
বিউট-2-আইন-1-অয়িক-এসিড
3-অ্যামিনো-4-হাইড্রক্সিপেন্টেননাইট্রাইল
(m)
ফিনাইল ইথিন/স্ট্যারিন
(n)
CHCl2-CHO
2, 2-ডাইক্লোরোইথান্যাল
ট্রাই ক্লোরো নাইট্রো মিথেন
নাইট্রোক্লোরোফর্ম
ক্লোরোপিকরিন
কাঁদুনে গ্যাস/Tear গ্যাস
3 ফিনাইলপ্রোপিনিক এসিড
সিনামিক এসিড
Cl3-CCl3
ট্রাইক্লোরো ইথেন
2-হাইড্রক্সিপ্রোপানয়িক এসিড
ফরমাম্যাইড
4. CH≡C-CH2-CHO
8. CH2=CH-CH2-CN
9. CH2=CH-CH=CH-COOH
17. HOOC-CH2-CH2-COOH
18. HOOC-COOH
24. CH3CHCH3CH(CHO)C2H5
মিথাইল সাইক্লোহেক্সেন
ইথাইল সাইক্লোপেণ্টেন
মিথাইল সাইক্লোবিউটেন
1-ইথাইল-3-মিথাইল সাইক্লোপেণ্টেন
সাইক্লোপ্রপিন
সাইক্লোবিউটিন
সাইক্লোপেণ্টিন
সাইক্লোহেক্সিন
সাইক্লোবিউটা-1,3-ডাইন
সাইক্লোপেণ্টা-1,3-ডাইন
সাইক্লোহেক্সা-1,3-ডাইন
সাইক্লোহেক্সা-1,3,5-ট্রাইইন
3-মিথাইল সাইক্লোপ্রপিন
1-মিথাইল সাইক্লোপ্রপিন
1-ইথাইল সাইক্লো্পেন্টা-1,3-ডাইইন
2-ইথাইল সাইক্লোপেন্টা-1,3-ডাইইন
2-মিথাইল সাইক্লোহেক্সিন
সমাণুতা (Isomerism)
সমাণুতা (Isomerism): একই আণবিক সংকেত এবং ভিন্ন গাঠনিক সংকেতযুক্ত যৌগ যারা ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মে পরস্পর ভিন্ন তাদেরকে পরস্পরের সমাণু বলে। এই ধর্মকে সমাণুতা বলে।
সমাণুতা দু’প্রকার-
১। গাঠনিক সমাণুতা
২। স্টেরিওসমাণুতা।
গাঠনিক সমাণুতাঃ (Structural isomerism) যৌগের অনুস্থিত বিভিন্ন পরমাণুর সম্ভাব্য একাধিক অবস্থান বিন্যাসের পার্থক্য হেতু গাঠনিক সমাণুতার উদ্ভব ঘটে। গাঠনিক সমাণুতা পাঁচ প্রকার। যেমন-
১) চেইন সমাণুতা, ২) অবস্থান সমাণুতা, ৩) কার্যকরী মূলক সমাণুতা, ৪) মেটামারিজম, ৫) টটোমারিজম ।
১) চেইন সমাণুতা (Chain Isomerism): চেইন সমাণুগুলো একই সমগোত্রীয় শ্রেণীর সদস্য এবং এসব সমাণুর কার্বন কাঠামো শাখাবিহীন ও শাখাযুক্ত হয়ে থাকে। এদের রাসায়নিক ধর্ম একই কিন্তু ভৌত ধর্ম ভিন্ন। যেমন- বিউটেন (স্ফুটনাঙ্ক -0.500C এবং 2 মিথাইল প্রোপেন (স্ফুটনাঙ্ক – 10.20C) উভয় যৌগের আণবিক সংকেত হলো C4H10 কিন্তু এদের কার্বন শিকলের ভিন্নতা আছে। এদের গঠন নিম্নরূপঃ
CH3-CH2-CH2-CH3
বিউটেন
2-মিথাইল প্রোপেন
২) অবস্থান সমাণুতা (Position isomerism): জৈব যৌগের কার্বন শিকলে দ্বিবন্ধন, ত্রিবন্ধন বা কার্যকরী মূলকের অবস্থানের পার্থক্য হেতু অবস্থান সমাণুর উদ্ভব ঘটে। এ প্রকার সমাণুগুলো একই সমগোত্রীয় শ্রেণীর সদস্য হয়। এদের রাসায়নিক ধর্ম একই কিন্তু ভৌত ধর্ম ভিন্ন। যেমন-
(১) CH2=CH-CH2-CH3
বিউট-1-ইন (স্ফুটনাঙ্ক 6.5℃)
আণবিক সংকেত : C4H8
(২) CH3-CH2-CH2-OH
প্রোপানল -1 (স্ফুটনাঙ্ক 97°C)
আণবিক সংকেত : C3H8O
CH3-CH-CH-CH3
বিউট-2-ইন (স্ফুটনাঙ্ক 1.4℃)
প্রোপানল -2 (ফুটনাঙ্ক ৪1°C)
৩) কার্যকরী মূলক সমাণুতা (Functional group isomerism): যৌগের অনুস্থিত কার্যকরী মূলকের বিভিন্নতার কারণে উদ্ভূত সমাণুতাকে কার্যকরী মূলক সমাণুতা বলে। এদের ভৌত এবং রাসায়নিক উভয় ধর্ম ভিন্ন। যেমন- অ্যালকোহল ও ইথারের মধ্যে এবং অ্যালডিহাইড ও কিটোনের মধ্যে কার্যকরীমূলক সমাণুতা ঘটে।
CH3-CH2–OH CH3-O-CH3
ইথানল (স্ফুটনাঙ্ক 78.3°C) ডাইমিথাইল ইথার (স্ফুটনাঙ্ক -25°C)
CH3-CH2–CHO CH3-CO-CH3
প্রোপানল (স্ফুটনাঙ্ক 48.8°C) অ্যাসিটোন (স্ফুটনাঙ্ক 56°C)
আণবিক সংকেত CH3H8O.
CH3-CH2–CH2-OH → অ্যালকোহল/
CH3-O–C2H5 → ইথার/
৪) মেটামারিজম (Metamerism): একই সমগোত্রীয় শ্রেণীভূক্ত একাধিক যৌগের কার্যকরী মূলকের উভয় পার্শ্বে C পরমাণুর অসমতাজনিত কারণে এ ধরনের সমাণু পাওয়া যায়। এদের রাসায়নিক ধর্ম একই হলেও ভৌত ধর্মে পার্থক্য ঘটে। সাধারণত দ্বিযোজী কার্যকরীমূলক যুক্ত যৌগ যেমন: ইথার, কিটোন, 2° অ্যামিন যুক্ত যৌগসমূহ এ ধরনের সমাণুতা দেখায়। যেমন- C4H10O.
CH3-CH2–O-CH2-CH3→ ডাই ইথাইল ইথার /
CH3-0-CH2-CH2- CH3 → মিথোক্সি প্রোপেন
C5H10O
CH3-CO-C3H7 → পেন্টানোন -2
C2H5-CO-C2H5 → পেন্টান – 3 – ওন
৫) টটোমারিজম বা গতিশীল কার্যকরী মূলক সমাণুতা (Tautomerism): কোনো যৌগকে এর দ্রবণে রেখে দিলে এটি স্বতঃস্ফূর্তভাবে এক কার্যকরী মূলক যুক্ত যৌগ হতে আরেকটি কার্যকরী মূলক যুক্ত যৌগে পরিণত হয় এবং এদের মধ্যে একটি গতিশীল সাম্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। এই যৌগ দুটিকে পরস্পরের টটোমার এবং এই ধর্মকে টটোমারিজম বলে।
স্টেরিও সমাণুতা (Operational/Stereo Isomerism)
১। জ্যামিতিক সমাণুতা
২। আলোক সমাণুতা
প্রশ্ন : জ্যামিতিক সমাণুতা বা সিস-ট্রান্স সমাণুতা বলতে কী বোঝ? (Geometric isomerism)
উত্তরঃ একই আণবিক সংকেত ও গাঠনিক সংকেত বিশিষ্ট জৈব যৌগের কার্বন-কার্বন বন্ধনের অক্ষ বরাবর মুক্ত আবর্তন সম্ভব না হলে তখন ভিন্ন জ্যামিতিক গঠনের দুই ধরনের যৌগ তৈরি হয় যারা পরস্পরের সাথে ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মে পার্থক্য হয়। এ ধরনের যৌগগুলোকে পরস্পরের জ্যামিতিক সমাণু এবং ধর্মটিকে জ্যামিতিক সমাণুতা বলে। কার্বন-কার্বন বন্ধনের একই দিকে সদৃশ মূলক অবস্থান করলে তাদেরকে সিস-সমাণু এবং সদৃশ মূলক গুলো বিপরীত দিকে অবস্থান করলে তাকে ট্রান্স-সমাণু বলে। তাই একে সিস-ট্রান্স সমাণুতাও বলে।
যেমন- বিউটিন-2 যৌগটি এ ধরনের সমাণুতা দেখায়।
সিস-২-বিউটিন
ট্রান্স-২-বিউটিন
জ্যামিতিক সমাণুতার শর্ত (Conditions of Geometric isomerism):
১) অ্যালকিন তথা প্রতিস্থাপিত অ্যালকিনসমূহ এ ধরনের সমাণুতা দেখায়। কারণ দ্বিবন্ধনযুক্ত যৌগে কার্বন-কার্বন বন্ধনের অক্ষ বরাবর ঘূর্ণন প্রতিবন্ধকতা আছে।
২) প্রতিস্থাপিত অ্যালকিনসমূহ abc = c.ab (a≠b) এবং ab.c = c.ay (a ≠ b, b ≠ y). ধরনের
i) ab.c = c.ay ধরনের উদাহরণ হল। 2-ক্লোরো বিউটিন-2 এবং পেন্টিন-2 ইত্যাদি।
ট্রান্স-2 ক্লোরাবিউটিন-2
সিস-2 ক্লোরাবিউটিন-2
সিস- পেন্টিন-2
ট্রান্স- পেন্টিন-2
HOOC-CH=CH-COOH
ম্যালিক এসিড
বা সিস বিউটিন ডাই অয়িক এসিড
ফিউমারিক এসিড
বা ট্রান্স বিউটিন ডাই অয়িক এসিড
৩) দ্বি-প্রতিস্থাপিত চাক্রিক যৌগসমূহ এ ধরনের সমাণুতা দেখায়।
সাইক্লোপ্রোপেন এই চাক্রিক যৌগে C – C ঘূর্ণন প্রতিবন্ধকতা থাকলেও উভয় পাশে একই মূলক থাকার কারণে এটি জ্যামিতিক সমাণুতা দেখায় না। তবে H পরমাণুসমূহ কোন মূলক দ্বারা প্রতিস্থাপিত হলে উৎপন্ন দ্বি-প্রতিস্থাপিত চাক্রিক যৌগটি জ্যামিতিক সমাণুতা দেখায়। যেমন- 1, 2 ডাই মিথাইলসাইক্লোপ্রোপেন।
Cis-1,2 ডাইমিথাইল সাইক্লোপ্রোপেন
Trans-1,2 ডাইমিথাইল সাইক্লোপ্রোপেন
বি.দ্র. উল্লেখ্য যে জ্যামিতিক সমাণুর দুটি গঠন তথা সিস-ট্রান্স সমাণুর মধ্যে সিস গঠন অপেক্ষা ট্রান্স গঠন বেশি স্থিতিশীল কারণ ট্রান্স গঠনে বড় মূলকগুলোর বিপরীত দিকে থাকে। এতে মূলকগুলোর মধ্য পারস্পরিক বিকর্ষন কম হয়। ফলে স্থিতিশীলতা বেশি হয়। এই — কারণে ট্রান্স সমাণুর গলনাঙ্ক বেশি। সিস সমাণু স্থিতিশীলতা কম হওয়ায় এর অভ্যন্তরীণ শক্তি বেশি। তাই সিস সমাণুর দহন তাপ বেশি ।
Cis-1-ব্রোমোপ্রোপিন
trans-1-ব্রোমোপ্রোপিন
সিস-1,2-ডাইক্লোরোইথিন
ট্রান্স-1,2-ডাইক্লোরোইথিন
প্রশ্ন: জ্যামিতিক সমাণুতার কারণ ব্যাখ্যা কর। (Reasons for Geometric isomerism)
উত্তর : আধুনিক Orbital তত্ত্ব বা মতবাদ অনুযায়ী এটি ব্যাখ্যা করা যায় । দ্বিবন্ধনযুক্ত যৌগের ক্ষেত্রে প্রতিটি কার্বন পরমাণু একই সমতলে থেকে তিনটি করে ০-বন্ধন গঠন করে। অতঃপর উভয় C-পরমাণুর দুটি অসংকরিত 2pz অরবিটাল ওই সমতলের উপর লম্বভাবে অবস্থান করে প্রথম সমতলের উপর আরেকটি লম্বালম্বিতল গঠন করে। এই অবস্থায় দুটি p অরবিটাল পাশাপাশি অধিক্রমণ করে -বন্ধন গঠন করে। ফলে C = C বন্ধন বরাবর মুক্ত ঘূর্ণনে π বন্ধনের Orbital সমূহ বাধা প্রদান করে। এর ফলে দ্বিবন্ধনযুক্ত C-পরমাণুদ্বয়ে সদৃশ পরমাণু বা মূলক ভিন্নভাবে অবস্থান করে তাদের দুটি ভিন্ন ত্রিমাত্রিক জ্যামিতিক গঠন সম্ভব হয়। এর ফলে সিস, ট্রান্স সমাণুতা তৈরি হয়।
প্রশ্ন: আলোকে সক্রিয় সমাণুতার সংজ্ঞা ও উদাহরণ দাও। (Optical isomerism)
উত্তরঃ একই আণবিক সংকেত এবং গাঠনিক সংকেত বিশিষ্ট যৌগ যাদের দুই বা ততোধিক ভিন্ন কনফিগারেশনযুক্ত ভিন্ন সমাণু সম্ভব, এসব সমাণু ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মে একই কিন্তু এক সমতলীয় আলোর প্রতি ভিন্ন রূপ আচরণ করে। এসব যৌগকে আলোক সক্রিয় সমাণু বা আলোক সক্রিয় যৌগ বলে।
যে সমাণু এক সমতলীয় আলোর তলকে ডানদিকে ঘুরায় তাকে d বা (+) (dextrorotatory) যৌগ বলা হয় এবং যে সমাণু এক সমতলীয় আলোর তলকে বাম দিকে ঘুরায় তাকে বা (-) (laevorotany) যৌগ বলে।
আলোকে সক্রিয় সমাণুতার শর্তঃ (Conditions for Optical isomerism)
১) যৌগগুলোতে অপ্রতিসম কার্বন বা কাইরাল (CHIRAL) বা Assymmetric কার্বন পরমাণু থাকে। অথবা অপ্রতিসম তল থাকে।
২) সমাণু দুটি পরস্পরের দর্পন প্রতিবিম্ব হবে কিন্তু একে অপরের উপর সমাপতিত হয় না।
৩) উভয় সমাণু এক সমতলীয় আলোক প্রতি ভিন্ন ভিন্ন আচরণ করে বা এক সমতলীয় আলোর দিককে ভিন্ন দিকে ঘুরাতে পারে।
* আলোক সক্রিয়তার ক্ষেত্রে অপ্রতিসম কার্বন পরমাণু আবশ্যিক নয়, অণুর গঠন সামগ্রিকভাবে অপ্রতিসম হলেও আলোক সমাণুতা দেখায় ।
(অপ্রতিসম কার্বন পরমাণু নেই কিন্তু আলোক সক্রিয়)
1, 3 ডাইক্লোরাপ্রোপাডাইন
উদাহরণঃ ল্যাকটিক এসিড বা 2-হাইড্রক্সি প্রোপোনয়িক এসিড আলোক সক্রিয় সমাণুতা দেখাবে।
d বা, (+) ল্যাকটিক এসিড
l বা, (-) ল্যাকটিক এসিড
কোনো যৌগে n সংখ্যক কাইরাল কার্বন থাকলে তার 2″ সংখ্যক আলোকসক্রিয় সমাণু সম্ভব। গুকোজে ৬টি C পরমাণুর মধ্যে 4টি C পরমাণু হল কাইরাল C যুক্ত। তাই গুকোজে 24 সংখ্যক বা 16টি আলোকসক্রিয় সমাণু সম্ভব।
প্রশ্ন: আলোক সক্রিয় সমাণুতার ব্যাখ্যা। (Optical isomerism)
উত্তর: C এর সুষম চতুস্তলক কাঠামোর প্রতি কোনায় চারটি ভিন্ন পরমাণু বা মূলক যুক্ত থাকলে তখন C পরমাণুর চারদিকে যুক্ত চারটি মূলক বা পরমাণুর দুটি ভিন্ন কনফিগারেশন সম্ভব। এই বিন্যাস ডানহাত এবং বামহাত এর মত দর্পন প্রতিবিম্ব কিন্তু সমাপতিত নয়। এ ধরনের গঠনযুক্ত যৌগের মধ্য দিয়ে এক সমতলীয় আলো চালনা করা হলে একটি গঠন এক সমতলীয় আলোর তলকে ডানদিকে এবং আরেকটি গঠন এক সমতলীয় আলোর তলকে বামদিকে ঘুরায়।
এভাবে আলোকসক্রিয় সমাণুতা পাওয়া যায়।
এ ধরনের কাইরাল কার্বনযুক্ত যৌগের উদাহরণ হল-
2- ক্লোরোবিউটেন
2 মিথাইল বিউটানল -2
বিউটানল-2
এলানিন/ 2-অ্যামিনো প্রোপানয়িক এসিড
প্রশ্নঃ একটি অ্যালকেন কাইরাল কার্বন যুক্ত হতে হলে সর্বনিম্ন কতটি কার্বন প্রয়োজন হবে? (The minimum number of carbons required for an alkene chiral carbon to be added)
উত্তরঃ সাতটি
প্রশ্ন : অপ্রতিসম কার্বন বলতে কী বোঝ? (Asymmetric carbon)
উত্তর : একই কার্বন পরমাণুতে চারটি ভিন্ন পরমাণু বা মূলক যুক্ত থাকলে ওই কার্বন পরমাণুর সাপেক্ষে অণুটি অপ্রতিসম হয়। তাই ওই যৌগ অণুকে অপ্রতিসম যৌগ এবং ঐ যৌগের সাপেক্ষে ওই কার্বনকে অপ্রতিসম কার্বন বলে।