স্ক্রু গেজ | Screw gauge
একটি খুব ক্ষুদ্র দৈর্ঘ্য—যেমন কোনো তারের ব্যাস, পাতলা পাতের বেধ ইত্যাদি পরিমাপের জন্য স্ক্রু গেজ একটি সূক্ষ্ম পরিমাপ যন্ত্র। স্ক্রু গেজে একটি U-আকৃতির মোটা ধাতব নিরেট দণ্ড থাকে। এর বাম বাহুর ওপরের অংশের ভেতর দিকে একটি ছোট দণ্ড A দৃঢ়ভাবে আটকানো থাকে [চিত্র ১.৩] এবং অন্য বাটিতে একটি ফাপা চোং H আটকানো থাকে যার মধ্য দিয়ে একটি স্কু (S) সহজেই যাতায়াত করতে পারে। – S-এর B পৃষ্ঠটি সমতল। চোং H-এর
ওপরের পৃষ্ঠে একটি নির্দেশক রেখা reference line D থাকে। ওই রেখার ঠিক লম্বভাবে একটি রৈখিক মিলিমিটারের স্কেল \left(S_{1}\right) অংশ অঙ্কিত থাকে। স্ক্রু-এর মাথায় একটি চোঙাকার ঢাকনা D আটকানাে থাকে। D ঢাকনার বামদিকের প্রান্তে একটি সুষম চক্রাকার স্কেল \left(S_{2}\right) থাকে। এই স্কেলে 100টি বা 50টি সমদূরবর্তী দাগ কাটা থাকে। স্ক্রুটি এমনভাবে তৈরি করা হয় যেন এর একটি পূর্ণ আবর্তনে এটি রৈখিক ফেল বরাবর 1 mm সরে যায়। একেই স্ক্রু পিচ (screw pitch) বলা হয়।
সুতরাং স্ক্রু পিচ, \mathrm{P}=1 \mathrm{~mm}=0.1 \mathrm{~m}
ধরা যাক, চক্রাকার স্কেলের মোট দাগ সংখ্যা, \mathrm{N}=100
অতএব, গেজের লঘিষ্ঠ ধ্রুবক (L . C)=\frac{P}{N}=\frac{0.1}{100} \mathrm{~cm}=0.001 \mathrm{~cm}
সুতরাং স্কু গেজের সাহায্যে 0001 cm পর্যন্ত ক্ষুদ্র দৈর্ঘ্য সঠিকভাবে পরিমাপ করা যায়।
পরিমাপের পদ্ধতি (Method of measurement) :
প্রথমেই খেয়াল করতে হবে যে যন্ত্রটি ত্রুটিমুক্ত কি না। A ও B তলদ্বয় স্পর্শ করলে যদি রৈখিক এবং চক্রাকার উভয় স্কেলের পাঠ শূন্য হয় তবে যন্ত্রটিকে ত্রুটিহীন বলা হয়। যদি যন্ত্রটি ত্রুটিযুক্ত হয় তবে ওই ত্রুটির পরিমাণ নির্ণয় করে পরিমাপের সাথে হিসাব করতে হয়। এবার যে তারের ব্যাস বা ব্যাসার্ধ কিংবা যে পাতের বেধ মাপা হবে সেটিকে স্ক্রু গেজের A ও B-এর মাঝে এমনভাবে স্থাপন করা হয় যাতে A ও B প্রান্ত দুটি তার বা পাতটির পৃষ্ঠ স্পর্শ করে থাকে। এই অবস্থায় দুটি পাঠ নিতে হয়; যথা—
(i) রৈখিক স্কেলের পাঠ (a)
(ii) চক্রাকার স্কেলের পাঠ (b)
এখানে তারের ব্যাস বা পাতের বেধ,
d = রৈখিক স্কেলের পাঠ (a) + চক্রাকার স্কেলের পাঠ (b) লঘিষ্ঠ ধ্রুবক (c)
অর্থাৎ, d=a+b \times c