রাসায়নিক শক্তির ব্যবহার (Uses of Chemical Energy)
রাসায়নিক শক্তির ব্যবহার (Uses of Chemical Energy)
১. পদার্থের অণুর পরমাণুর মধ্যে রাসায়নিক শক্তি সঞ্চিত থাকে তা থেকে পরবর্তীতে এই শক্তি ব্যবহৃত হয়।
২. কয়লা পেট্রোলিয়াম প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি মূলত জ্বালানির কাজে ব্যবহার করা হয়। তাই তখন রাসায়নিক শক্তি তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। আবার যখন এই পেট্রোলিয়াম মোটর গাড়ির ইঞ্জিন এ ব্যবহৃত হয় তখন তা যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে যায়।
৩. উদ্ভিদ যখন সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় খাদ্য তৈরি করে তখন সেই শর্করা খাদ্যে রাসায়নিক শক্তি সঞ্চিত থাকে এবং বিভিন্ন প্রাণী যখন সেটি খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে তখন তা যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
জ্বালানি বিশুদ্ধতার গুরুত্ব ও রাসায়নিক শক্তির প্রভাব (Importance of Fuel Purity and Effect of Chemical Energy)
জ্বালানি বিশুদ্ধতার গুরুত্ব অপরিসীম তা না হলে পরিবেশে যেসব ক্ষয়ক্ষতি হবে তা নিচে উল্লেখ করা হলো-
১. জ্বালানি অবিশুদ্ধ হলে বায়ু দূষণ হয়।
২. জ্বালানি বিশুদ্ধ না হলে তা পোড়ালে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাসের সাথে কার্বন মনোঅক্সাইড বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত গ্যাস বায়ুতে মিশ্রিত হয়ে এসিড তৈরি হয় যার ফলে এসিড বৃষ্টি হয়।
৩. মূলত এ জ্বালানি পুড়িয়ে ২১.৩ বিলিয়ন টন কার্বন ডাইঅক্সাইড তৈরি হচ্ছে।
৪. কার্বন মনোঅক্সাইড, নাইট্রাস অক্সাইড, মিথেন ইত্যাদি গ্যাস সূর্যের আলোর উপস্থিতিতে বিভিন্ন বিষাক্ত গ্যাসের ধোঁয়া তৈরি করে। এদেরকে ফটোকেমিক্যাল বলে।
৫. এর ফলে বায়ুর ওজোনস্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এই ওজোনস্তর সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করে। এই অতিবেগুনী রশ্মি খুবই ক্ষতিকর মানবদেহের জন্য। এর ফলে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।
৬. এর ফলে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বৃদ্ধি পাচ্ছে ও পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে।
৭. সমুদ্রে পানির উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে।
৮. গাছপালা আগের মতো কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করতে পারছে না।
ইথানল (Ethanol):
ইথানল (Ethanol) এর অপর নাম ইথাইল অ্যালকোহল যার রাসায়নিক সংকেত CH3–CH2-OH জীবাশ্ম জ্বালানির মত ইথানল কে ও ইঞ্জিনে ব্যবহার করা হয়। পেট্রোল ও অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানির সাথে ইথানল মিশ্রিত করে ব্যবহার করলে প্রাকৃতিক সম্পদের সঞ্চয় হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পেট্রোল এর সাথে শতকরা দশভাগ ইথানল মিশিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।