পদার্থের জীববিজ্ঞান-বিষয়ক ধর্ম
জীববিজ্ঞান একটি প্রাচীন বিজ্ঞান। বিজ্ঞানী জ্যাঁ ব্যাপ্টিস্ট ল্যামার্ক Biology শব্দের প্রবর্তক।
Biology শব্দটি গঠিত হয়েছে গ্রিক Bios (জীবন) ও logos (জ্ঞান) শব্দ দুইটির সংযোগের মাধ্যমে। বিজ্ঞানের যে শাখায় জীবের গঠন, জৈবনিক ক্রিয়া এবং জীবনধারণ সম্পর্কে সম্যক বৈজ্ঞানিক জ্ঞান পাওয়া যায় তাকে জীববিজ্ঞান বলে।
- প্রাণিবিজ্ঞানের জনক অ্যারিস্টটল। জীব থেকে জীবের উৎপত্তি এর বিষয়ে তিনি নানা উপাত্ত ব্যাখ্যা করেন।
- রক্তের উপস্থিতি–অনুপস্থিতির ভিত্তিতে প্রাণিজগতের শ্রেণীবিন্যাস করেন।
- ৫২০টি প্রজাতি বর্ণনা করেন।
- প্রাণিদের জীবন ইতিহাস, অনুক্রম, অঙ্গসংস্থান ইত্যাদি ব্যাখ্যা করেন।
- লিখিত বই– On the generation of animals, History of Animalium, Parts of Animals etc.
জীববিজ্ঞানের যে শাখায় তত্ত্বীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়, সেই শাখাই হলো ভৌত জীববিজ্ঞান। এ শাখায় যেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয় তা হলো-
- কোষবিদ্যা (Cytology)
- অঙ্গসংস্থান (Morphology)
- শ্রেণিবিন্যাসবিদ্যা (Taxonomy)
- শারীরবিদ্যা (Physiology)
- টিস্যুবিদ্যা (Histology)
- ভ্রূণবিদ্যা (Embryology)
- বংশগতিবিদ্যা (Genetics)
- বিবর্তনবিদ্যা (Evolution)
- বাস্তুবিদ্যা (Ecology)
- হরমোনসংক্রান্তবিদ্যা (Endocrinology)
- জীবভূগোল ও অভিযোজনবিদ্যা (Biogeography)
জীববিজ্ঞানের যে শাখায় জীবন সংশ্লিষ্ট প্রায়োগিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়, সেই শাখাকে ফলিত জীববিজ্ঞান বলা। এ শাখায় যেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয় তা হলো-
- জীবাশ্মবিজ্ঞান (Paleontology)
- জীবপরিসংখ্যান বিদ্যা (Biostatistics)
- পরজীবীবিদ্যা (Parasitology)
- মৎস্যবিজ্ঞান (Fisheries)
- কীটতত্ত্ব (Entomology)
- অনুজীববিজ্ঞান (Microbiology)
- কৃষিবিজ্ঞান (Agriculture)
- চিকিৎসাবিজ্ঞান (Medical Science)
- জিনপ্রযুক্তি (Genetic Engineering)
- পরিবেশবিজ্ঞান (Environmental Science)
- সামুদ্রিক জীববিজ্ঞান (Marine Biology )
- জীবপ্রযুক্তি (Biotechnology)
- ফার্মেসি (Pharmacy)
- বন্যপ্রাণিবিদ্যা (Wildlife) ইত্যাদি।
- শ্রেণিবিন্যাসে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন সুইডিস প্রকৃতিবিদ ক্যারোলাস লিনিয়াস।
- ক্যারোলাস লিনিয়াস এর সময় থেকে বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি পর্যন্ত জীবজগৎকে উদ্ভিদজগৎ ও প্রাণীজগৎ হিসেবে বিবেচনা করে দু’টি রাজ্যে (Kingdom) এ শ্রেণিবিন্যাস করা হত।
- ১৯৬৯ সালে আর. এইচ. হুইটেকার (R. H. Whittaker) জীবজগৎকে পাঁচটি রাজ্যে বিভক্ত করার প্রস্তাবনা দেন।
- মারগুলিস (Margulis) ১৯৭৪ সালে Whittaker-এর শ্রেণিবিন্যাস এর পরিবর্তিত ও বিস্তারিত রূপ দেন। তিনি সমস্ত জীবজগতকে দুটি সুপার কিংডমে ভাগ করেন ও পাঁচটি রাজ্যকে এই দু’টি সুপারকিংডমের আওতাভুক্ত করেন।
- উদ্ভিদবিজ্ঞানের জনক থিওফ্রাস্টাস।
- উইলিয়াম হার্ভে: রক্তসংবহনতন্ত্রের আবিষ্কারক। শারীরবিদ্যার জনক। ডিম্বাণু থেকে জীবের সূত্রপাত– মতবাদের প্রবক্তা।
- অনুবীক্ষণযন্ত্রের আবিষ্কারক অ্যান্টনি ভ্যান লিউয়েনহুক। তিনি ব্যাকটেরিয়া, শৈবাল, রক্তকণিকা, শুক্রাণু ইত্যাদি আবিষ্কার করেন।
- চার্লস ডারউইন- প্রাকৃতিক নির্বাচন মতবাদের প্রবর্তক। লিখিত বই– On the origin of species by means of natural selection.
- গ্রেগর জোহান মেন্ডেল অস্ট্রিয়ার ধর্মযাজক, বংশগতিবিদ্যার জনক।
- লুই পাস্তুর রোগজীবাণু তত্ত্বের আবিষ্কারক।
- ওয়াটসন ও ক্রিক ডিএনএ অণুর ডাবল হেলিক্স গঠনের বর্ণনা প্রদান করেন।
- কোষ এর আবিষ্কারক রবার্ট হুক।
- নিউক্লিয়াসের আবিষ্কারক রবার্ট ব্রাউন।
- দ্বি–পদ নামকরণ করেন ক্যারোলাস লিনিয়াস।
- আলেকজান্ডার ফ্লেমিং পেনিসিলিন আবিষ্কার করেন।
- জোনাস সল্ক পোলিও টিকা আবিষ্কার করেন।
- ড. মাকসুদুল আলম ২০১৩ সালে দেশি পাটের জেনেটিক কোড/জীবন রহস্য উন্মোচন করেন।
- কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার রক্তের গ্রুপ আবিষ্কার করেন।
- এডওয়ার্ড জেনার ভাইরাস বিদ্যার জনক।
- রবার্ট কচ কলেরা, যক্ষা ইত্যাদি জীবাণু সনাক্ত করেন।
- হিপোক্রেটিস চিকিৎসাবিজ্ঞান।
- আঁদ্রে ভেসালিয়াস অ্যানাটোমির জনক।