10 Minute School
Log in

ভৌত বিজ্ঞানের উন্নয়ন

  • ভৌত বিজ্ঞানের অন্যতম একটি মৌলিক শাখা পদার্থবিজ্ঞান। কারণ এর নীতিগুলো অন্যান্য শাখারসমূহের ভিত্তি রচনা করেছে।  
  • রসায়ন বিজ্ঞানের ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করেন মুসলিম বিজ্ঞানী জাবির ইবনে হাইয়ান ইবনে সিনা
  • তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ধারণাগুলি গাণিতিক যুক্তির মাধ্যমে প্রমাণিত হয়। তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের উন্নয়নে গণিতশাস্ত্র অন্যতম হাতিয়ার। গণিতশাস্ত্রের জনক আর্কিমিডিস
  • গ্যালিলিও যৌগিক অণুবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কার করেন।
  • X-ray এর ব্যবহার নিউক্লিক এসিডের গঠন জানতে সয়াহতা করেছে।
  • জীববিদ্যার জনক অ্যারিস্টটল
  • বড় বড় টেলিস্কোপে মাধ্যমে সৌরজগতের বিভিন্ন গ্রহ সম্পর্কে আমরা জ্ঞানার্জন করেছি। পদার্থবিজ্ঞানে উন্নত চিত্রগ্রহণ পদ্ধতি জ্যোতির্বিদ্যা জগতে বিরাট ভূমিকা পালন করেছে। 

ভৌত বিজ্ঞানের উন্নয়নে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিজ্ঞানী উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। 

আর্কিমিডিস

  • প্রাচীন গ্রিক গণিতবিদ।
  • তিনি ২৮৭ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে গ্রিসের সিসিলি দ্বীপে জন্মগ্রহণ করেন।
  • তিনি ধাতুর ভেজাল নির্ণয়ের সূত্র আবিষ্কার করেন যেটি প্লবতা সূত্র নামে পরিচিত। 
  • গোলীয় দর্পণের সাহায্যে সূর্যরশ্মিকে কেন্দ্রীভূত করে তিনি আগুন ধরানোর কৌশল আবিষ্কার করেন। 
  • আর্কিমিডিস জ্যামিতি ও বলবিদ্যা বিষয়ক কিছু তত্ত্ব ও সূত্র আবিষ্কার করেন। 

নিকোলাস কোপারনিকাস

  • পোল্যান্ডের একজন জ্যোতির্বিদ। 
  • তিনি প্রথম সৌরকেন্দ্রিক মতবাদ প্রদান করেন। তাঁর মতবাদটি হচ্ছে— “সূর্যই সৌরজগতের কেন্দ্র এবং পৃথিবী ও গ্রহগুলো তার চারদিকে ঘুরে চলেছে।” 

স্যার আইজ্যাক নিউটন

  • তিনি বলবিদ্যার জনক। 
  • সর্বকালের এই মহাবিজ্ঞানী ১৬৪৩ সালে ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন।
  • গতিসূত্র প্রদান করার জন্যে এবং ক্যালকুলাস নামক গণিতশাস্ত্র উদ্ভাবনের জন্য তিনি বিখ্যাত। 
  • পদার্থবিজ্ঞানে বল, ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া, গতির সূত্র, মহাকর্ষ সূত্র, আলোর বিচ্ছুরণ প্রভৃতি মৌলিক তত্ত্ব প্রদান করেন। 
  • কীভাবে মহাকর্ষ বলের প্রভাবে গ্রহগুলো নিজ নিজ কক্ষপথে থেকে সূর্যের চারদিকে ঘুরছে তিনি ব্যাখ্যা প্রদান করেন। তাঁকে তৎকালীন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী বলা হত।

আলবার্ট আইনস্টাইন

  • জন্ম ১৪ মার্চ, ১৮৭৯, মৃত্যু ১৮ এপ্রিল ১৯৫৫। জার্মান এই বিজ্ঞানী ১৯৩৫ সালে আমেরিকাতে স্থায়ী নিবাস গ্রহণ করেন। 
  • ১৯০৫ সালে তিনি আপেক্ষিক তত্ত্ব ‘Theory of Relativity’র প্রকাশ করেন। তত্ত্বের জন্যে তিনি জগৎ বিখ্যাত হন। 
  • তিনি বর্ণনা করেন যে, স্থান, কাল, দৈর্ঘ্য কোনোটিই পরম রাশি বা নিরপেক্ষ নয় বরং এগুলো পরিবর্তনশীল  
  • ভরসম্পন্ন কোনো বস্তুর আলোর চেয়ে বেশি বেগে চলা সম্ভব নয়। 
  • আইনস্টাইন তার ভর-শক্তির সমতা সূত্রে প্রমাণ করেন যে, বস্তুর ভরকে শক্তিতে রূপান্তর করা সম্ভব।
  • ১৯০৫ সালে তিনি কোয়ান্টাম তত্ত্বের সাহায্যে আলোক তড়িৎ ক্রিয়ার (Photo-electric Effect) ব্যাখ্যা করে তত্ত্ব প্রদান করেন। 
  • ১৯২১ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

স্টিফেন হকিং

  • স্টিফেন হকিং একজন বৃটিশ তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞানী লেখক। 
  • সাধারণ আপেক্ষিকতার অবকাঠামোর আওতায় অভিকর্ষজ অনন্যতা (Gravitational singularity) সূত্রসমূহ এবং ব্লাকহোল থেকে আলো নিঃসরিত হয়এই তাত্ত্বিক ভবিষ্যৎ বাণীর উপর তিনি কাজ করেছেন। 
  • এই আলোকরশ্মি গুলোকে প্রায়ই হকিং এর আলোকরশ্মি (Hawking’s radiation) বলা হয়। 
  • রয়াল সোসাইটি অব আর্টস এর একজন (Honorary) ফেলো, বিজ্ঞান বিষয়ক Pontifical একাডেমির আজীবন সদস্য, এবং প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম পুরস্কারে ভূষিত। 
  • ১৯৭৯ এবং ২০০৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিষয়ে Lucasian প্রফেসর ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার  ফর থিওরেটিক্যাল কসমোলজি একজন সদস্য  ছিলেন।  
  • “কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস” (A Brief History of Time: From the Big Bang to Black Holes) সর্বাধিক জনপ্রিয় বই। গ্রন্থে মহাবিশ্ব সৃষ্টির  “বৃহৎ বিস্ফোরণতত্ত্বের পক্ষে যুক্তি ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন
  • হকিংস মোটর নিউরন (Motor Neurone Disease) রোগে ভুগেছেন জীবনের শেষ বছরগুলোতে তিনি প্রায় অচল ছিলেন, স্পিচ জেনারেশন যন্ত্রের মাধ্যমে যোগাযোগের কাজটা সম্পন্ন করে থাকতেন। তিনি ২০১৮ এর ১৪ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন।

জোহান কেপলার

  • কোপারনিকাসের সৌরকেন্দ্রিক মতবাদ ব্যাখ্যা করে তিনটি গাণিতিক সূত্র প্রদান করেন।

গ্যালিলিও

  • পদার্থ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী গ্যালিলিও ইতালির পিসা শহরের অধিবাসী ছিলেন।  
  • পড়ন্ত বস্তুর সূত্রাবলি, সরল দোলকের সূত্রাবলি, দূরবীক্ষণ যন্ত্র এবং বায়ু থার্মোস্কোপ যন্ত্র আবিষ্কার করেন। 
  • কোপারনিকাসের সৌরকেন্দ্রিক মতবাদ সমর্থনের কারণে তিনি যাজকদের অশেষ নির্যাতন ভোগ করেন।

পিথাগোরাস

  • পিথাগোরাস বিজ্ঞান, গণিত, ধর্ম, সঙ্গীত, ভেষজবিজ্ঞান, বিশ্বতত্ত্ব, শরীর, মন আত্না সবকিছুকেই গাণিতিক সূত্রের সাহায্য ব্যাখা করতে চেয়েছিলেন। 

আলেকজান্ডার ফ্লেমিং

  • তিনি যুক্তরাজ্যের অধিবাসী ছিলেন।
  • আলেকজান্ডার ফ্লেমিং এর মহান আবিষ্কার পেনিসিলিন। 

ব্লেইজ প্যাসকেল

  • ফ্রান্সের এই বিজ্ঞানী প্রথম গণনাযন্ত্র তৈরি করতে সমর্থন হন। 
  • তরল নিয়ে পরীক্ষা করার সময় তিনি চাপ সংক্রান্ত একটি সূত্র উদ্ঘাটন করেন যা ‘প্যাসকেলের সূত্র’ নামে পরিচিত।
  • চাপের একক তাঁর নাম অনুসারে করা হয়।

আবদুস সালাম

  • ১৯২৬ সালে পাকিস্তানে জন্মগ্রহণ করেন। 
  • Electroweak Force তত্ত্ব প্রদানের জন্যে তিনি ১৯৭৯ সালে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।
  • মৌলিক বল মূলত চার প্রকার। যথা-তড়িৎ মহাকর্ষ বল, তাড়িৎচৌম্বক বল, দুর্বল নিউক্লিয় বল ও সবল নিউক্লিয় বল। অন্যান্য সকল ধরনের বল এ মৌলিক বলগুলো থেকে উদ্ভূত। ১৯৭৯ সালে শেলডন গ্লাসো, স্টিভেন ওয়েনবার্গ ও আবদুস সালাম প্রমাণ করেন যে, তড়িৎচৌম্বক বল এবং দুর্বল নিউক্লিয়  বল মূলত একই প্রকার বলের ভিন্ন রূপ। এই বলকে তারা Electroweak Force হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

টলেমি

  • প্রাচীন মিশরীয় বিজ্ঞানী টলেমি ছিলেন একজন জ্যোতির্বিদ।
  • টলেমির বিখ্যাত গ্রন্থ আলমাজেস্ট।

আল মাসুদী 

  • প্রকৃতির ইতিহাস (History of Nature) বিষয়ে একটি ৩০ খণ্ড বিশিষ্ট একটি এনসাইক্লোপিডিয়া লেখেন। এ গ্রন্থে প্রথম বায়ুকলের ধারণা পাওয়া যায়।

অন্যান্য 

  • হাকেমাইট অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল টেবিল তৈরি করেন ইবনে ইউনুস। 
  • ভারতের বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ 
  • বাংলাদেশের বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা, জগদীশ চন্দ্র বসু। 
  • মুসলিম বিজ্ঞানী জাবির ইবনে হাইয়ান ও ইবনে সিনা রসায়ন বিজ্ঞানের ভিত প্রতিষ্ঠা করেন।
  • গ্রিক গণিতবিদ আর্কিমিডিস ধাতুর ভেজাল নির্ণয়ের কৌশল আবিষ্কার করেন
  • ভারতের বিখ্যাত দার্শনিক কণাদ পদার্থের ক্ষুদ্রতম অবিভাজ্য কণা বা পরমাণুর নাম দেন এটম।
  • গণিতের ক্যালকুলাস শাখার প্রবর্তন করেন স্যার আইজাক নিউটন।
  • প্রাচীন পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ জ্যোতির্বিদ হলেন অ্যারিস্টার্কাস।
  • জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল আলোর তড়িৎ চুম্বকীয় তত্ত্বের আবিষ্কারক।
  • আর্নেস্ট রাদারফোর্ড পরমাণু বিষয়ক নিউক্লিয় তত্ত্বের আবিষ্কারক।
  • আলবার্ট আইনস্টাইন আপেক্ষিক তত্ত্বের আবিষ্কারক।
  • বীজগণিত ও ত্রিকোণমিতির জনক আবু আব্দুল্লাহ ইবনে মুসা আল-খোয়ারিজমি।
  • জ্যামিতির জনক ইউক্লিড। তিনি ১৩ খণ্ডের ‘The Elements’ বইটি রচনা করেন।
  • ‘0’ (শূন্য) সংখ্যাটির জনক আর্যভট্ট
  • পাটিগণিতের জনক আর্যভট্ট
  • বিদ্যুৎ আবিষ্কার করেন উইলিয়াম গিলবার্ট।
  • পারদ থার্মোমিটার আবিষ্কারক ড্যানিয়েল গ্যাব্রিয়েল ফারেনহাইট
  • অণুবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কারক বিজ্ঞানী লিউয়েন হুক।
  • উড়োজাহাজ আবিষ্কারক অরভিল রাইট ও উইলবার রাইট। 
  • এক্সেরে আবিষ্কার করেন রন্টজেন।
  • টেলিভিশন আবিষ্কার করেন জন বেয়ার্ড পূর্ণ নাম জন লগি বেয়ার্ড ১৯২৬ সালে। 
  • টেলিফোন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী অ্যালেকজান্ডার গ্রাহামবেল ১৮৭৭ সালে আবিষ্কার করেন। 
  • টেলিগ্রাম এফ বি মোর্স ইতালির বিজ্ঞানী। 
  • বাষ্পচালিত ইঞ্জিন আবিষ্কার করেন জেমস ওয়াট। 
  • বেতার যন্ত্র আবিষ্কার করেন জি. মারকনি।
  • বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কার করেন টমাস আলভা এডিসন।  
  • পারমাণবিক বোমা: ওপেন হেইমার ১৯৪৫ সালে পারমাণবিক বোমা তৈরি করেন। 
  • চার্লস ব্যাবেজ আধুনিক কম্পিউটারের জনক।