10 Minute School
Log in

কম্পিউটারের পারফরমেন্স ও ব্যবহার

কম্পিউটারের পারঙ্গমতা (Computer Performance)

পারঙ্গমতা বা Performance

  • কম্পিউটারের পারঙ্গমতা বা Computer Performance বলতে এটির কাজ করার গতিকে বোঝায়।
  • একটি যোগ করতে কম্পিউটারের লাগে মাত্র ৫০ ন্যানো সেকেন্ড। 
  • সেই হিসেবে কম্পিউটার ১ সেকেন্ডে প্রায় ২ কোটি যোগ করতে পারবে।

কম্পিউটারের সুবিধাসমূহ:

  1. দ্রুতগতি
  2. সূক্ষ্মতা
  3. বিশ্বাসযোগ্যতা
  4. ক্লান্তিহীনতা
  5. বহুমুখিতা
  6. স্মৃতি
  7. যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত
  8. স্বয়ংক্রিয়তা
  9. নির্ভুলতা
  10. জীবনীশক্তি

কম্পিউটারের ব্যবহার (Use of Computer)

দৈনন্দিন জীবনে কম্পিউটারের ব্যবহার (Use of computer in everyday life:

  1. কৃষিক্ষেত্রে
  2. শিক্ষাক্ষেত্রে
  3. খেলাধুলা
  4. ই-কমার্স
  5. স্বাস্থ্যক্ষেত্রে
  6. যোগাযোগের ক্ষেত্রে

কৃষিক্ষেত্রে( Use of Computer in Agriculture)

গবেষণা: 

  • কৃষি গবেষণায় কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়। যেমন : আবাদ চর্চা, ফসল পরিবর্তন, রাসায়নিক সারের পরিমাণ ও রকম নির্ধারণ, মাটির গুণাগুণ পরীক্ষা, বীজের গুণাগুণ নির্ধারণ, উন্নত বীজ আবিষ্কার ইত্যাদি।

ই-কৃষি তথ্য:

  •  কৃষি সম্পর্কিত সব ধরনের তথ্য সম্বলিত এক ধরনের ডেটাবেজ তৈরি সম্ভব, যাতে করে কৃষক সহজেই তা পেতে পারে।

ইন্টারনেট:  

  • কৃষক কম্পিউটারের মাধ্যমে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হতে পারে। ফলে কৃষক তার কৃষি সম্পর্কিত সকল সমস্যার সমাধান পেতে পারে।

সচেতনতা:

  •  কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে কম্পিউটার অপরিহার্য । উপযুক্ত উপস্থাপনা সফটওয়্যারের মাধ্যমে কৃষকদের কৃষি সম্পর্কিত সকল বিষয়ে অবগত করা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা যায়।

ই-বাজার: 

  • কৃষকরা কম্পিউটারের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় ও লেনদেন করতে পারে।

আবহাওয়া: 

  • কৃষিক্ষেত্রের সাফল্য আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে। কম্পিউটারচালিত উপগ্রহ থেকে নেয়া তথ্য পর্যবেক্ষণ করে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়া যায়।

তথ্য সংরক্ষণ: 

  • কৃষিক্ষেত্রে সকল তথ্যের রেকর্ড থাকা জরুরি। যেমন : কৃষি বাজেট রেকর্ড, পশু-স্বাস্থ্য রেকর্ড, জমি মানচিত্র ইত্যাদি।

জিআইএস (Geographical Information System): 

  • নির্দিষ্ট কোনো এলাকা থেকে সেই এলাকার ম্যাপ, মডেল,অনুসন্ধান এবং অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করার কম্পিউটার চালিত পদ্ধতিকেই জিআইএস বলে।

যোগাযোগ: 

  • যোগাযোগ ব্যবস্থায় নিম্নলিখিত দিকগুলোতে কম্পিউটার কাজে লাগে: ইন্টারনেট; ই-মেইল; স্যোশাল নেটওয়ার্কিং; ফ্যাক্স; সার্ভার; টপোলজি; ভিডিও কনফারেন্সিং ইত্যাদি।

শাক সবজি চাষের জন্য ব্যবহৃত গ্রীনহাউজের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে:

  • সাধারণত কাচ বা প্লাস্টিক দিয়ে গ্রীনহাউজ তৈরি করা হয়, যেখানে সূর্যালোক প্রবেশ করলে চারিদিক আবদ্ধ থাকায় বায়ুপ্রবাহ থাকে না বলে তাপ গ্রীনহাউজ থেকে বেরিয়ে যেতে পারে না। শীতপ্রধান দেশে গ্রীনহাউজে কৃত্রিমভাবে উষ্ণ পরিবেশে শাকসবজি ও বিভিন্ন ফুলের চাষ করার জন্য তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।

শিক্ষাক্ষেত্রে ( Use of Computer in Education Sector)

নিম্নোক্ত ব্যবস্থা শিক্ষাক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনে-

  1. ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার;
  2. ওয়ার্ড প্রেডিকশন সফটওয়্যার;
  3. তথ্য সংরক্ষণ;
  4. দ্রুত ডাটা প্রসেসিং;
  5. অডিও-ভিজুয়াল এইড;
  6. তথ্যের অপেক্ষাকৃত ভালো উপস্থাপনা;
  7. পরীক্ষা গ্রহণ ও তার যাচাই;
  8. স্কুল প্রশাসনে;
  9. ওএমআর ব্যবস্থাপনায়;
  10. ইন্টারনেট;
  11. দূরশিক্ষণ;
  12. গবেষণা;
  13. কার্যকর শ্রেণীকক্ষ গড়ে তোলা;
  14. অনলাইন এডুকেশন;
  15. শিক্ষাক্ষেত্রে বিশ্বায়ন।

খেলাধুলা (Use of Computer in Sports)

  • ১৯৬০ সালে প্রথম খেলাধুলার কাজে কম্পিউটার ব্যবহার করাহয় এবং ২০০৪ সালে খেলাধুলাকে কম্পিউটারের একটি সেক্টর হিসেবে এনসাইক্লোপিডিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
  • ক্রিকেট DRS (Decision Review System), Hawk Eye, Snick-O-Meter, Ball spin RPM, Hot spot ইত্যাদি সবকিছুই কম্পিউটারচালিত।
  • খেলার স্কোরবোর্ড, বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ করতে কম্পিউটার কাজে লাগে।

স্বাস্থ্যক্ষেত্রে (Use of Computer in Health Sector)

  • স্বাস্থ্যক্ষেত্রে হাসপাতালে রোগীর ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কম্পিউটারের মাধ্যমে করা হয়।
  • ডায়াগনোসিস করতে CT Scan, ECG এবং অন্যান্য যেসব টেস্ট করতে হয় তা সবই কম্পিউটার-নির্ভর।
  • টেলিমেডিসিন ও মেডিকেল ট্রান্সক্রিপশন ব্যবস্থার মাধ্যমে রোগীর কেস হিস্ট্রি তৈরি ও সংরক্ষণ সম্ভব।

অন্যান্য ব্যবহার (Other Uses)

এছাড়া অন্যান্য যে সকল ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার রয়েছে-

  1. অফিস ব্যবস্থাপনা
  2. ব্যবসায়-বাণিজ্য
  3. ব্যাংকিং
  4. সংবাদপত্র
  5. আবহাওয়ার পূর্বাভাস
  6. প্রতিরক্ষা
  7. মহাকাশ গবেষণা
  8. তথ্য ব্যবস্থাপনা

কম্পিউটার সম্পর্কে আরও জানতে ক্লিক করুন