মানবদেহ: (কঙ্কালতন্ত্র, রক্ত সংবহনতন্ত্র ও শ্বসনতন্ত্র)
কঙ্কালতন্ত্র (Skeletal system)
- বিশেষ ধরনের যোজক কলা বা টিস্যুনির্মিত অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে গঠিত যে তন্ত্র দেহের কাঠামো নির্মাণ করে, নরম অঙ্গগুলোকে সংরক্ষণ করে, দেহের ভার বহন করে এবং পেশী সংযোজনের জন্য উপযুক্ত স্থান সৃষ্টি করে তাকে কঙ্কালতন্ত্র বলে।
- মানবদেহ ২০৬ খানা হাড় বা অস্থি নিয়ে গঠিত। মানবদেহের কঙ্কালতন্ত্র ২টি প্রধান ভাগে বিভক্ত। যথা- (১) অক্ষীয় কঙ্কাল (২) উপাঙ্গীয় কঙ্কাল।
অক্ষীয় কঙ্কালে দুটি অংশ আছে,
যথা- (ক) করোটি
(খ) দেহকাণ্ড।
- করোটি ২৯টি অস্থি নিয়ে গঠিত।
- মেরুদন্ড ও বক্ষপিঞ্জর এই দুটির সমন্বয়ে দেহকাণ্ড গঠিত হয়। ৩৩টি অনিয়ত আকৃতির অস্থিখন্ড বা কশেরুকা নিয়ে মানুষের মেরুদণ্ড গঠিত।
- মানবদেহের সবচেয়ে বড় অস্থি হলো ফিমার (উরুর অস্থি) যা মানুষের উর্ধ্ব পা এর অস্থি।
- ফিমার এবং টিবিয়া এর মাঝখানে প্যাটেলা নামে একটি প্রায় ক্রিকোণাকৃতি অস্থি অবস্থিত, যা হাঁটুর হাড়ের একটি অংশ। মানুষের দেহে সবচেয়ে ছোট অস্থি হলো কানের ভেতরের অস্থি স্টেপিস।
- দুই বা ততোধিক অস্থির সংযোগস্থলকে অস্থিসন্ধি বলে। অস্থিগুলো পরস্পরের সাথে যোজক কলা দিয়ে যুক্ত থাকে।
- অস্থিসন্ধি সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে। যথা-
- তন্তুময় সন্ধি,
- তরুণাস্থিময় সন্ধি,
- সাইনোভিয়াল সন্ধি।
- অস্থিসন্ধি সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে। যথা-
- মানুষের চলনে পেশির সাথে অস্থি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। মানবদেহে কঙ্কালতন্ত্র এর কাঠামোর উপরে আচ্ছাদন হিসেবে পেশিতন্ত্র থাকে। এই পেশি অস্থির সাথে টেন্ডন দিয়ে যুক্ত থাকে।
রক্ত সংবহনতন্ত্র
- রক্ত এক ধরনের তরল যোজক কলা। রক্তের উপাদান দুইটি- রক্তরস (৫৫%) এবং রক্তকণিকা (৪৫%)।
- রক্তের হালকা হলুদ বর্ণের তরল অংশকে রক্তরস বা প্লাজমা বলে।
- রক্তে ৩ ধরনের কণিকা রয়েছে। যথা- লোহিত রক্ত কণিকা, শ্বেত রক্ত কণিকা এবং অণুচক্রিকা।
- মানুষের শরীরের ওজনের ৮% রক্ত থাকে। পূর্ণবয়স্ক মানুষের দেহে রক্তের পরিমাণ ৫-৬ লিটার । রক্ত সামান্য ক্ষারীয় , এর pH 7.35-7.45।
- মানুষের শরীরের তাপমাত্রা পরিবেশের সাথে উঠানামা করে না, তাই এদেরকে উষ্ণ রক্তবিশিষ্ট প্রাণী বলা হয়। যে প্রাণীর শরীরের তাপমাত্রা পরিবেশের সাথে উঠানামা করে, তাদের শীতল রক্তবিশিষ্ট প্রাণী বলে। যেমন: – ব্যাঙ।
- রক্তরসের কাজ
- ক্ষুদ্রান্ত্র হতে খাদ্যসার (গ্লুকোজ, অ্যামাইনো এসিড, ফ্যাটি এসিড) রক্তের মাধ্যমে বিভিন্ন কলায় পৌঁছে।
- কলা হতে উৎপন্ন কার্বন-ডাই-অক্সাইড রক্তরসের মাধ্যমে ফুসফুসে পৌঁছায়।
- কলা হতে উৎপন্ন বর্জ্য পদার্থ (ইউরিয়া, ইউরিক এসিড) রেচনের জন্য বৃক্কে নিয়ে যায়।
- রক্তরসের বাই কার্বনেট রক্তের বাফার হিসেবে অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য রক্ষা করে।
- অন্তক্ষরা গ্রন্থি হতে উৎপন্ন হরমোন রক্তের মাধ্যমে বিভিন্ন অঙ্গে পৌঁছায়।
- মানুষের দেহকোষ রক্ত হতে অক্সিজেন ও খাদ্যসার গ্রহণ করে। পক্ষান্তরে রক্ত দেহকোষ হতে বর্জ্য পদার্থ গ্রহণ করে।
লোহিত রক্ত কণিকা
অস্থিমজ্জায় তৈরি হয় এবং এদের গড় আয়ু ১২০ দিন।
- লোহিত রক্তকণিকায় নিউক্লিয়াস থাকে না।
- হিমোগ্লোবিন নামক রঞ্জক পদার্থ থাকে যার কারণে রক্ত লাল দেখায়।
- এরা প্রধানত অক্সিজেন এবং সামান্য পরিমান কার্বন-ডাই-অক্সাইড পরিবহন করে। এরা বাফার হিসেবেও কাজ করে।
- রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ হ্রাস পাওয়াকে রক্তশূন্যতা বা Anaemia বলে। ভিটামিন বি-১২, ফলিক এসিড, আমিষ বা লৌহ স্বল্পতা হলে Anaemia হয়।
শ্বেত রক্ত কণিকা
শ্বেত রক্তকণিকা দুই ধরনের – দানাদার (নিউট্রোফিল, ইউসিনোফিল, বেসোফিল) এবং অদানাদার (লিম্ফোসাইট, মনোসাইট)। মানবদেহে শ্বেত ও লোহিত রক্তকণিকার অনুপাত ১ : ৭০০। শ্বেতকণিকা ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় রোগজীবাণু ধ্বংস করে।
অণুচক্রিকা
অণুচক্রিকা দেহের কোনো স্থানে কেটে গেলে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। রক্তে হেপারিন থাকায় দেহের অভ্যন্তরে রক্ত জমাট বাঁধতে বাঁধা প্রদান করে। ভিটামিন–কে রক্ত জমাট বাঁধার ফ্যাক্টর তৈরিতে সাহায্য করে। এই ফ্যাক্টরসমূহ হলো – ফিব্রিনোজেন, প্রোথ্রোম্বিন, থ্রোম্বোপ্লাস্টিন, ক্যালসিয়াম আয়ন ইত্যাদি।
রক্ত উপাদানের অস্বাভাবিক অবস্থা
রোগ | লোহিত রক্তকণিকা | শ্বেত রক্তকণিকা | অণুচক্রিকা |
পলিসাইথেমিয়া | বৃদ্ধি | ||
অ্যানিমিয়া | হ্রাস | ||
লিউকেমিয়া | অস্বাভাবিক বৃদ্ধি (৫০০০০-১০০০০০০ প্রতি ঘন মিলিমিটার এ) |
||
লিউকোসাইটোসিস | বৃদ্ধি (২০০০০-৩০০০০ প্রতি ঘন মিলিমিটার এ) |
||
থ্রম্বোসাইটোসিস | বৃদ্ধি | ||
পারপুরা | হ্রাস | ||
থ্যালাসেমিয়া | হিমোগ্লোবিন হ্রাস পায় |
রক্তে কোন জিনিসের আধিক্য কোন রোগের লক্ষণ
ইউরিক এসিড – গেঁটে বাত
শর্করা – ডায়াবেটিস
রক্তের গ্রুপ ও Rh ফ্যাক্টর
রক্তের গ্রুপ | অ্যান্টিজেন (লোহিত রক্ত কণিকায়) | অ্যান্টিবডি (রক্তরসে) |
A | A | b |
B | B | a |
AB | A,B | নেই |
O | নেই | a,b |
- Rh ফ্যাক্টর হলো রক্তের রেসাস ফ্যাক্টর, যা এক ধরনের অ্যান্টিজেন।
- রেসাস নামের বানরের লোহিত রক্তকণিকায় এই অ্যান্টিজেন রয়েছে। সেখান থেকেই এই নামকরণ।
- কারো রক্তে এই ফ্যাক্টর উপস্থিত থাকলে তাকে বলে পজিটিভ বা Rh+ আর না থাকলে তাকে বলে নেগেটিভ বা Rh-।
- রক্তের গ্রুপের সাথে যে প্লাস এবং মাইনাস চিহ্ন থাকে তা এই রেসাস ফ্যাক্টরের মাধ্যমেই নির্ণয় করা হয়। রেসাস ফ্যাক্টর অনুযায়ী রক্তের গ্রুপগুলো হলো A+, A-, B+, B-, AB+, AB-, O+ এবং O-।
- নেগেটিভ গ্রপের রক্তে যেহেতু রেসাস ফ্যাক্টর অ্যান্টিজেন নেই, তাই এটি পজিটিভ গ্রুপকে দেওয়া যাবে; কিন্তু পজিটিভ গ্রুপের রক্ত নেগেটিভ গ্রুপকে দেওয়া যাবে না।
হৃৎপিণ্ড
- হৃৎপিণ্ড দেহের গুরুত্বপূর্ণ পেশিবহুল একটি অঙ্গ।
- হৃৎপিণ্ড শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ কার্ডিয়া থেকে।
- একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দেহে প্রতি মিনিটে হৃৎপিণ্ড সংকুচিত ও প্রসারিত হয় ৭০ থেকে ৮০ বারএবং গড় হিসাবে ৭৫ বার।
- পূর্ণ বয়স্ক মানুষের হৃৎপিণ্ডের ওজন প্রায় ২৫০-৩৫০ গ্রাম।
- হৃৎপিণ্ড ৩ স্তর বিশিষ্ট পেশি দ্বারা গঠিত –
- এপিকার্ডিয়াম,
- মায়োকার্ডিয়াম এবং
- এন্ডোকার্ডিয়াম।
- পেরিকার্ডিয়াম নামের আরেকটি পর্দায় ঢাকা থাকে পুরো হৃৎপিণ্ড।
- প্রকোষ্ঠ (Closet) – মানুষের হৃৎপিণ্ডে প্রকোষ্ঠের সংখ্যা চারটি। যথা-
- ডান অলিন্দ (Right atrium)
- ডান নিলয় (Right ventricle)
- বাম অলিন্দ (Left atrium)
- বাম নিলয় (Left ventricle)
হৃৎপিণ্ড যেভাবে কাজ করে
(ক) ডান অলিন্দ (Right Atrium)– ডান অলিন্দে ঊর্ধ্ব মহাশিরা ও নিম্ন মহাশিরা যুক্ত থাকে। ইহার মাধ্যমে দূষিত রক্ত ডান অলিন্দে প্রবেশ করে।
(খ) ডান নিলয় (Right Ventricle)- ইহার সাথে ফুসফুসীয় ধমনী যুক্ত থাকে। এর মাধ্যমে কার্বন ডাই অক্সাইড যুক্ত দূষিত রক্ত ফুসফুসে প্রবেশ করে।
(গ) বাম অলিন্দ (Left Atrium)- এই অলিন্দে চারটি ফুসফুসীয় শিরা যুক্ত থাকে। এর মাধ্যমে বিশুদ্ধ রক্ত বাম অলিন্দে প্রবেশ করে। ইহা হৃৎপিণ্ডের প্রেরক প্রকোষ্ঠ। ইহার অন্তঃ প্রাচীর পেশি বহুল খাঁজ যুক্ত। এই খাঁজগুলোকে কলামনি কারনি বলে। নিলয় দুটি পরস্পর আন্ত নিলয় প্রাচীর দ্বারা বিভেদিত।
(ঘ) বাম নিলয় (Left Ventricle)- ইহার সাথে যুক্ত থাকে মহা ধমনী, যার মাধ্যমে অক্সিজেন পূর্ণ বিশুদ্ধ রক্ত সজীব কোষে পৌঁছায়।
- একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ ব্যক্তির গড় নাড়ির স্পন্দন ৭৫/মিনিট, সিস্টোলিক চাপ ১২০ মি.মি. পারদ এবং ডায়াস্টোলিক চাপ ৮০ মি.মি. পারদ।
- রক্তবাহিকা তিন প্রকার। যথা- ধমনী, শিরা, কৈশিক জালিকা।
- ধমনী অক্সিজেনযুক্ত রক্ত হৃৎপিণ্ড হতে দেহের বিভিন্ন স্থানে পরিবহন করে। শিরা কার্বন-ডাই-অক্সাইডযুক্ত রক্ত দেহের বিভিন্ন অংশ হতে হৃৎপিণ্ড এ পরিবহন করে।
- করোনারী ধমনীতে চর্বি জমাট বেঁধে গেলে হৃৎপিণ্ড-এ রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে হৃৎপিণ্ড-এর কিছু টিস্যু মরে যায়।
হৃদরোগের পরীক্ষা
- Coronary Angiography
- Echo Cardiography (শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে করা হয়)
- Exercise Tolerance Test
চিকিৎসা
১। Coronary Angioplasty: বন্ধ শিরা বেলুনের সাহায্য ফুলানো
২। Coronary Bypass: করোনারী ধমনীর সরু অংশে ইনটারনাল ম্যামারী ধমনী বা স্যাফেনাস শিরা দ্বারা বাইপাস তৈরি করা হয়।
লসিকা
- লসিকা এক ধরনের ঈষৎ ক্ষারধর্মী স্বচ্ছ কলারস যা লসিকা বাহিকার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং দেহের প্রতিটি, কোষকে সিক্ত রাখে।
- এটি ঈষৎ ক্ষারীয় এবং এর আপেক্ষিক গুরুত্ব ১.০১৫১ ।
- এতে লোহিত রক্তকণিকা ও অনুচক্রিকা অনুপস্থিত কিন্ত প্রচুর পরিমাণে শ্বেতকণিকা বিদ্যমান।
- লসিকায় ৯৪% পানি ও ৬% কঠিন পদার্থ থাকে। লসিকা নালীর মাধামে লসিকা রক্ততন্ত্রে প্রত্যাবর্তন করে।
শ্বসনতন্ত্র
শ্বসনতন্ত্রকে দু’ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
১। পরিবহনকারী অংশ
২। শ্বসনকারী অংশ
- Pharynx হলো গলবিল। এবং Larynx হলো স্বরযন্ত্র।
- ট্রাকিয়া তরুণাস্থি নির্মিত ১২ সেমি লম্বা ও ২ সেমি ব্যাসবিশিষ্ট ফাঁপা নল।
- ট্রাকিয়া বক্ষ গহবরে প্রবেশ করে ৪র্থ বা ৫ম থোরাসিক বা বক্ষদেশীয় কশেরুকার লেভেলে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যে দু’টি শাখার সৃষ্টি করে, তাদের ব্রঙ্কাই বলা হয়।
- প্রথম ডান ও বাম শাখাকে বলা হয় মুখ্য ব্রঙ্কাই, পরে এটি অসংখ্য ক্ষুদ্রতর শাখা-প্রশাখায় বিস্তার লাভ করে, যাদের ব্রঙ্কিওল বলে।
- ব্রঙ্কাই এর ডান শাখাটি অপেক্ষাকৃত চওড়া বাম শাখাটির চেয়ে, কিন্তু বাম শাখাটি অপেক্ষাকৃত লম্বা।
- ব্রঙ্কিওলের ক্ষুদ্রতম প্রান্তে ফুসফুসের শ্বসন অঞ্চল অবস্থিত। এটি অসংখ্য বায়ুপূর্ণ থলি বা অ্যালভিওলার থলি এবং অ্যালভিওলাস নিয়ে গঠিত।
- ডান ফুসফুস তিন খণ্ডবিশিষ্ট এবং বাম ফুসফুস দুই খণ্ডবিশিষ্ট। (যেমন হৃদপিণ্ডের ডানে ট্রাইকাসপিড ও বামে বাইকাসপিড)।
- ফুসফুস অনেকগুলো কার্যকরী ফুসফুসীয় এককে বিভক্ত যাদের লোবিউল বলা হয়।
- ডান ফুসফুসে ১০ টি এবং বাম ফুসফুসে ৮টি লোবিউল থাকে।
- ফুসফুসের বাইরের তল দ্বিস্তরী ভিসেরাল প্লুরা নামক পাতলা ঝিল্লী দ্বারা আবৃত। (হৃদপিণ্ড যেমন পেরিকার্ডিয়াম দ্বারা আবৃত)
- অ্যালভিওলার থলি ও অ্যালভিওলার নালীর মধ্যবর্তী অংশকে অ্যাট্রিয়াম বলে। অ্যালভিওলার থলিতে ২-৪ বা তারও বেশি অ্যালভিওলি থাকে।
- প্রত্যেক অ্যালভিওলাস (বহুবচনে অ্যালভিওলাই)-এর ব্যাস ০.২-০.৩ মিমি যারা পালমোনারী ধমনী থেকে উৎপন্ন কৈশিক জালিকার সাথে নিবিড় সান্নিধ্যে থেকে গ্যাসীয় বিনিময়ে অংশ নেয়। পূর্ণবয়স্ক মানুষে ৩০০-৪০০ মিলিয়ন অ্যালভিওলি পাওয়া যায়।
- শ্বসন প্রক্রিয়াকে দু’টি ভাগে ভাগ করা যায়:
- বহিঃশ্বসন: বহিঃশ্বসনে দু’পর্যায়ে সম্পন্ন হয়। যথা :
-
- প্রশ্বাস বা শ্বাসগ্রহণ
- নিঃশ্বাস বা শ্বাসত্যাগ
-
- অক্সিজেন পরিবহন
- খাদ্যবস্তুর জারণ
- কার্বন ডাই অক্সাইড পরিবহন
- পূর্ণ-বয়স্ক সুস্থ মানুষ বিশ্রামকালে প্রতি মিনিটে ১৪-১৮ বার শ্বসন ঘটে। (৭০-৮০ বার হৃদস্পন্দন হয়)। নবজাত শিশুতে ৪০ বার সংগঠিত হয়।