10 Minute School
Log in

সেমিকন্ডাক্টর, আপেক্ষিক তত্ত্ব, টিকা ও রোগ

সেমিকন্ডাক্টর (ডায়োড)

সেমিকন্ডাক্টর ডায়োড দিয়ে কারেন্ট শুধুমাত্র এক দিকে প্রবাহিত হয়, বিপরীত দিকে প্রবাহিত হয় না। অর্থাৎ ডায়োড দিয়ে কারেন্টের প্রবাহকে একমুখী (Rectify) করা হয়।

একটা p-n জাংশন ডায়োডে p type অংশে কিছু গতিশীল হোল থাকে এবং n type অংশে কিছু গতিশীল মুক্ত ইলেকট্রন থাকে।

যখন কোনো ডায়োডের দুই প্রান্তে ভোল্টেজ বা ব্যাটারিকে কানেক্ট করা হয় তখন সেই অবস্থাকে ডায়োডের Biasing বলে। দুই ধরণের বায়াস আছে।

১। Forward Bias 

২। Reverse Bias 

  • আলো যে ক্ষুদ্র শক্তির প্যাকেট রূপে নির্গত হয় তাকে ফোটন বলে।
  • ম্যাক্স প্ল্যাংক সর্বপ্রথম আলোর কোয়ান্টাম তত্ত্ব প্রদান করেন।

কোয়ান্টাম তত্ত্ব অনুসা‌রে- আলোকর‌শ্মি কো‌নো উৎস থে‌কে অবি‌চ্ছিন্ন তর‌ঙ্গের আকা‌রে না বে‌রি‌য়ে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শ‌ক্তিগুচ্ছ বা প্যা‌কেট আকা‌রে বের হয়। শ‌ক্তির সর্বনিম্নমা‌নের ক‌ণিকা‌কে ব‌লে কোয়ান্টাম বা ফোটনবিজ্ঞানী লুইস ১৯২৬ সালে এই কোয়ান্টাম এর নাম দেন ফোটন। 

কোয়ান্টাম তত্ত্বকে কা‌জে লা‌গি‌য়ে আলোক ত‌ড়িৎ ক্রিয়া ব্যাখ্যা ক‌রেন আইনস্টাইন (১৯০৫ সা‌লে)। আলোক ত‌ড়িৎ ক্রিয়া ব্যাখ্যার জন্য আইনস্টাইন নো‌বেল পুরস্কার পান ১৯২১ সা‌লে।

ফোটনের বৈশিষ্ট্যসমূহ 

  • শূন্যস্থানে আলোর গতিতে চলে।
  • ফোটনের দ্রুতি সকল প্রসঙ্গ কাঠামোর বেলায় একই।
  • ফোটনের নিশ্চল ভর ‘0’।
  • ফোটন তড়িৎ নিরপেক্ষ। তাই এর উপর তড়িৎ ক্ষেত্রের কোনো প্রভাব নেই।
  • ফোটনের শক্তি E = h × f ।

আপেক্ষিক তত্ত্ব ও স্বীকার্য

আলবার্ট আইনস্টাইনের বিখ্যাত আপেক্ষিকতা তত্ত্বের দুইটি রূপ আছে: 

  • বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব এবং 
  • সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব। 

১৯০৫ সালে বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন “On the Electrodynamics of Moving Bodies” পেপারে সর্বপ্রথম এই তত্ত্বটি উপস্থাপন করেন। এটি আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্ব (ইংরেজি ভাষায়: Special Theory of Relativity, সংক্ষেপে STR) নামেও পরিচিত। 

নিউটনীয় বলবিদ্যার সাথে ম্যাক্সওয়েলের তড়িৎ চুম্বকীয় সমীকরণের অসামঞ্জস্যতা দূর করতে এ তত্ত্বের উদ্ভাবন করা হয়।

স্বীকার্য

১। পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রসমূহ সকল জড় প্রসঙ্গ কাঠামোতে একই রূপে বলবৎ থাকবে।

২। আলোর গতিবেগ সকল জড় প্রসঙ্গ কাঠামোতে একই রূপে বলবৎ থাকবে।

E=mc^2 সমীকরণটি শক্তির সাথে ভরের একটি চমৎকার সম্পর্ক নির্দেশ করে। এটি থেকে বোঝা যায় যে, শক্তি এবং ভর আসলে একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। ভর থেকে শক্তি পাওয়া যায় এবং শক্তি থেকেও ভর পাওয়া যেতে পারে।

সাধারণ আপেক্ষিকতা বা আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব (ইংরেজিতে General Theory of Relativity তথা GTR নামে পরিচিত) বলতে বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন কর্তৃক ১৯১৫ সালে আবিষ্কৃত মহাকর্ষের জ্যামিতিক তত্ত্বকে বোঝায়। এটি বিশেষ আপেক্ষিকতা এবং নিউটনের মহাকর্ষ তত্ত্বকে একীভূত করেছে। এই তত্ত্ব অনুযায়ী, বস্তুদের মধ্যকার মহাকর্ষীয় আকর্ষণ বস্তুদ্বয় কর্তৃক স্থান ও কালের বিকৃতির জন্য হয়।

বিবর্তন

বিবর্তন বা অভিব্যক্তি হলো এমন একটি জীববৈজ্ঞানিক ধারণা যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে জীবের গাঠনিক ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ক্রমপরির্তনকে বুঝায়।

নতুন প্রকরণ উৎপন্ন হয় দুটি প্রধান উপায়ে: 

  • জিনগত মিউটেশন বা পরিব্যক্তির মাধ্যমে এবং 
  • বিভিন্ন জীবগোষ্ঠী বা প্রজাতির মধ্যে জিনের স্থানান্তরের মাধ্যমে।

বিভিন্ন টিকার আবিষ্কারক

আবিষ্কার আবিষ্কারক আবিষ্কার আবিষ্কারক
পেনিসিলিন  আলেকজান্ডার ফ্লেমিং টাইফয়েড জীবাণু   ফিনলে
ব্যাকটেরিয়া লিউয়েন হুক কালাজ্বর   ইউ এন ব্রহ্মচারী
বসন্ত টিকা জেনার ভিটামিন-সি  ফ্রোলিচ
কৃত্রিম জিন হরগোবিন্দ খোরানা স্ট্রেপটোমাইসিন   ওয়াকম্যান
ডিপথেরিয়া প্রতিষেধক  ভন ভেহরিং জলাতঙ্ক রোগের টিকা   লুই পাস্তুর
রক্ত সঞ্চালন   উইলিয়াম হার্ভে কলেরা ব্যাসিলাস রবার্ট কচ
যক্ষ্মার জীবাণু রবার্ট কচ পোলিও টিকা জোনাস ই স্যাক
ডিপথেরিয়া জীবাণু   সিজচিক বিসিজি টিকা   ক্যালমেট ও গুয়েরিন
ক্লোরোফরম   সিম্পসন ও হ্যারিসন এন্টিসেপ্টিক লিস্টার লর্ড বেন্টিং
হামের টিকা এনভারস এবং জন পিবলস ম্যালেরিয়া জীবাণু রোনাল্ড রস
এক্সরে রন্টজেন প্লেগ জীবাণু ইয়োরসিন
ভিটামিন এ, বি ও ডি মেকুলাস গোদ রোগের জীবাণু ম্যানসন
পচন নিবারক অস্ত্রোপচার লিসার কুইনাইন রেভি
প্রথম হৃদপিন্ড সংযোজন ক্রিশ্চিয়ান বার্নার্ড পীত জ্বর রিড
এইডস রোগের জীবাণু (HIV) গ্যালো ভাইরাস দিমিত্রি ইভানোভস্কি

ভিটামিনের অভাবজনিত রোগ

খাদ্যে প্রোটিনের ঘাটতির পাশাপাশি মোট ক্যালরির ঘাটতির ফলে ১ বছরের কম বয়সী শিশুদের দেহে যে রোগ প্রকাশ পায়, তাকে মেরাসমাস বলে। এতে শিশুর মস্তিষ্কের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে।

অষ্টিওপোরোসিস ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত একটি রোগ। বয়স্ক ও বৃদ্ধলোকদের মধ্যে এ রোগ হয়ে থাকে। এই রোগে অস্থি ক্ষীণ ও দুর্বল হয়ে ভঙ্গুর হয়। 

রোগের নাম অভাবজনিত উপাদান রোগের নাম অভাবজনিত উপাদান
টিটেনি ক্যালসিয়াম ডায়াবেটিস  ইনসুলিন
হাইপোগ্লাইসেমিয়া রক্তের গ্লুকোজ গলগণ্ড আয়োডিন
বেরিবেরি ভিটামিন-বি-১ দাঁতের ক্ষয়রোগ  ফ্লোরাইড
প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস  ভিটামিন ই স্কার্ভি  ভিটামিন সি 
পেলেগ্রা  ভিটামিন বি-৩ জেরফথ্যালমিয়া  ভিটামিন এ
অধিক রক্তক্ষরণ ভিটামিন কে রিকেটস  ভিটামিন ডি
রাতকানা ভিটামিন এ বেরিবেরি ভিটামিন বি

দেহে রেটিন্যাল ও অপসিন নামক প্রোটিনের সাথে মিলিত হয়ে রডোপসিন তৈরি করে যা রড কোষে থাকে। যখন চোখে আলো পড়ে রডোপসিন ভেঙ্গে রেটিন্যাল ও অপসিন হয় তখন আমরা দেখতে পাই। দেহে ভিটামিন-এ এর অভাবে রডোপসিন পুনর্গঠনে ব্যাঘাত ঘটে ও স্বল্প আলোতে দেখা যায় না।

ভিটামিন বি (থায়ামিন) – এর অভাবজনিত রোগ বেরিবেরি। এ রোগ হলে শরীরে পানি জমতে পারে, হৃৎপিণ্ড বিকল হয়ে যেতে পারে

ভিটামিন ‘এ’ -এর অভাবজনিত রোগ হলো জেরফথ্যালমিয়া। রাতকানা হলো এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণ। পরিমাণমত ভিটামিন ‘এ’ না খাওয়ালে এই রোগে শেষপর্যন্ত চোখের কর্ণিয়া ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।