10 Minute School
Log in

মানবদেহের প্রতিরক্ষা (ইমিউনিটি)

মানবদেহের প্রতিরক্ষা (Immunity)

যে প্রক্রিয়ায় দেহ ক্ষতিকর অণুজীব এবং বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থের সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে নিজেকে রক্ষা করে তাকে ইমিউনিটি (immunity) বা অনাক্রম্যতা বলে। ইমিউনিটি দুর্বল হলে ভ্যাক্সিন বা টিকা দিয়ে সবল করে তোলা হয়।

ইমিউন প্রতিরক্ষায় বিভিন্ন কোষের ভূমিকা 

(The role of different cells in immune defense)

ইমিউন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় (immune defense) অনেক ধরনের কোষ, অসংখ্য ও বৈচিত্র্যময় কাজের মাধ্যমে দেহকে সুস্থ-সবল রাখতে সদা তৎপর রয়েছে। নিচে এসব কোষের নাম, উৎপত্তিস্থল ও কাজের উল্লেখ করা হলো।

কোষের নাম উৎপত্তি কাজ
লিউকোসাইট (নিউট্রোফিল) অস্থিমজ্জা ফ্যাগোসাইটোসিস; প্রদাহকে ঘিরে প্রয়োজনীয় রাসায়নিক ক্ষরণ।
বেসোফিল অস্থিমজ্জা প্রদাহ সৃষ্টিতে হিস্টামিন ও অন্যান্য রাসায়নিক ক্ষরণ।
ইওসিনোফিল অস্থিমজ্জা বহুকোষী জীবাণু ধ্বংস; দ্রুত অতিসংবেদনশীল প্রতিক্রিয়ায় সাড়া দান।
মনোসাইট অস্থিমজ্জা ম্যাক্রোফেজের অনুরূপ (নিচে দেয়া আছে)।
লিম্ফোসাইট ভ্রুণীয় স্টেমকোষ নির্দিষ্ট ইমিউন সাড়ার শনাক্তকারী কোষ (recognition cells) হিসেবে কাজ করে।
B-কোষ নির্দিষ্ট অ্যান্টিজেনকে B-কোষের কোষঝিল্লির রিসেপ্টরে যুক্ত করে অ্যান্টিজেননির্ভর ইমিউন সাড়ার সূত্রপাত ঘটায়; নির্দিষ্ট অ্যান্টিজেনকে হেলপার কোষের সামনে তুলে ধরে।
সাইটোটক্সিক T-কোষ টার্গেট কোষের কোষঝিল্লিতে যুক্ত হয়ে সরাসরি কোষকে ধ্বংস করে।
হেলপার T-কোষ সাইটোকাইন (cytokines) ক্ষরণ করে B-কোষ, সাইটোটক্সিক T-কোষ, NK-কোষ ও ম্যাক্রোফেজকে সক্রিয় করে।
NK-কোষ ভাইরাস আক্রান্ত ও ক্যান্সার কোষের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ধ্বংস করে।
প্লাজমা কোষ প্লীহা, টনসিল, লসিকা গ্রন্থি অ্যান্টিবডি ক্ষরণ করে।
ম্যাক্রোফেজ সমস্ত টিস্যু ও অঙ্গ ফ্যাগোসাইটোসিস; বিষাক্ত রাসায়নিক ক্ষরণের মাধ্যমে বহিঃকোষীয় ধ্বংস কার্যক্রম: হেলপার T-কোষের কাছে অ্যান্টিজেন উপস্থাপন।
মাস্ট কোষ সমস্ত টিস্যু ও অঙ্গ প্রদাহের সঙ্গে জড়িত হিস্টামিন ও অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ ক্ষরণ।