বাংলাদেশ পরিচিতি (Introduction to Bangladesh)
এক নজরে বাংলাদেশ (Bangladesh at a Glance)
- বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ (ইংরেজিতে The People’s Republic of Bangladesh)
- রাজধানী: ঢাকা
- বাণিজ্যিক রাজধানী: চট্টগ্রাম।
- স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস: ২৬-শে মার্চ
বাংলাদেশের সীমান্ত ও ছিটমহল
- বাংলাদেশের ভূখণ্ডগত বা রাজনৈতিক সমুদ্রসীমা ১২ নটিক্যাল মাইল (২২.২২ কিমি) এবং উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল (৩৭০.৪০ কিমি) পর্যন্ত হলো অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা।
- বাংলাদেশের সাথে মিয়ানমারের Maritime boundary বিদ্যমান রয়েছে।
- বাংলাদেশের সাথে ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্য ৫টি। তন্মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ বাদে বাকি রাজ্যগুলো সেভেন সিস্টার্সের অন্তর্গত। সেভেন সিস্টার্স হলো ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ৭টি রাজ্য।
- ভারত ও মিয়ানমারের যৌথ সীমানা আছে রাঙ্গামাটি জেলার সাথে।
- মিয়ানমারের সাথে সীমান্তবর্তী জেলা- রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার।
- বাংলাদেশের সাথে ভারতের অমীমাংসিত সীমান্ত হলো ফেনীর মুহুরির চরের ২ কি.মি.।
- ভারতের সাথে সীমান্ত যোগাযোগ নেই বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের।
সেভেন সিস্টার্স সহজে মনে রাখার কৌশল
“আমেত্রিঅমিনাম”
আ- আসাম , মে- মেঘালয়, ত্রি- ত্রিপুরা, অ- অরুণাচল, মি- মিজোরাম, না- নাগাল্যান্ড, ম- মণিপুর
ছিটমহল
- বাংলাদেশ ও ভারতের মোট ছিটমহল ১৬২টি।
- ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ছিটমহল ৫১টি এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের ১১১টি ছিটমহল।
- তিন বিঘা করিডোর: তিন বিঘা করিডোর লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর তীরে অবস্থিত। এর ক্ষেত্রফল ১৭৮মি. X ৮৫ মি.।
- ভারতের অধিকাংশ ছিটমহল আছে লালমনিরহাটে- ৫৯ টি।
বাংলাদেশের বিভাগ ও জেলা
বাংলাদেশের প্রশাসনিক বিভাগ ৮টি। সর্বশেষ বিভাগ ময়মনসিংহ যা ২০১৫ সালের ১৩ অক্টোবর শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের জেলা রয়েছে ৬৪টি।
বিভিন্ন জেলার পূর্বনাম
বর্তমান নাম | পূর্ব নাম | বর্তমান নাম | পূর্ব নাম |
বরিশাল | চন্দ্রদ্বীপ/ বাকলা | যশোর | খলিফাতাবাদ |
নোয়াখালী | ভুলুয়া/ সুধারাম | খুলনা | জাহানাবাদ |
কুমিল্লা | ত্রিপুরা | বাগেরহাট | খলিফাবাদ |
ময়মনসিংহ | নাসিরাবাদ | দিনাজপুর | গন্ডোয়ানাল্যান্ড |
গাজীপুর | ভাওয়াল | কুষ্টিয়া | নদীয়া |
ভোলা | শাহবাজপুর | সিলেট | জালালাবাদ/ শ্রীহট্ট |
বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু
∙বাংলাদেশের জলবায়ু ক্রান্তীয় মৌসুমি ধরণের।
উষ্ণতম জেলা | রাজশাহী | সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত | শ্রীমঙ্গলের লালখানে |
উষ্ণতম মাস | এপ্রিল | সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাত | নাটোরের লালপুর |
শীতলতম জেলা | সিলেট | সর্বোচ্চ গড় বৃষ্টিপাত | ৩৮৮ সে.মি. |
শীতলতম মাস | জানুয়ারি | বার্ষিক গড় তাপমাত্রা | ২৬.৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস |
বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত | ২০৩ সে.মি. | সর্বনিম্ন গড় বৃষ্টিপাত | ১৫৪ সে.মি. |
সেচ প্রকল্প, বাঁধ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ
- বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সেচ প্রকল্প – তিস্তা সেচ প্রকল্প।
- বাংলাদেশের প্রথম সেচ প্রকল্প – (G-K Project) গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প।
- ডিএনডি প্রকল্প বলতে বুঝানো হয় – ঢাকা-নারায়নগঞ্জ-ডেমরা বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ।
- ফারাক্কা বাঁধ গঙ্গা নদীর উপর নির্মাণ করা হয়েছে।
- ভারত টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ করেছে বরাক নদীর উপর।
- বাকল্যান্ড বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে।
বাংলাদেশের নদ-নদী
- বাংলাদেশের আন্তঃসীমান্ত নদীর সংখ্যা- ৫৭টি
- বাংলাদেশ ও ভারতের অভিন্ন নদীর সংখ্যা- ৫৪টি
- বাংলাদেশ ও মায়ানমারের অভিন্ন নদীর সংখ্যা ৩টি (নাফ, মাতামুহুরী, সাঙ্গু)
বাংলাদেশের প্রধানতম নদ-নদী
পদ্মা |
|
ব্রহ্মপুত্র নদ ও যমুনা নদী |
|
মেঘনা |
|
কর্ণফুলী |
|
সাঙ্গু |
|
শাখানদী
(১) পদ্মা – মাথাভাঙা, কুমার, বড়াল, ভৈরব, মধুমতি, আড়িয়াল খাঁ, কপোতাক্ষ নদ
(২) যমুনা – ধলেশ্বরী
(৩) ব্রহ্মপুত্র – বংশী, শীতলক্ষ্যা, বানার, শ্রীকালী, সাতিয়া
উপনদী
(১) মেঘনা – ধনু, সোমেশ্বরী, কংস, গোমতী
(২) ব্রহ্মপুত্র – তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, করতোয়া, আত্রাই
(৩) কর্ণফুলী – হালদা, সাহনী, কাসালঙ, বোয়ালখালী
(৪) যমুনা – করতোয়া, ধরলা, তিস্তা, সুবর্ণশ্রী
(৫) পদ্মা- মহানন্দা, পুনর্ভবা
দীর্ঘতম ও প্রশস্ততম নদ-নদী
- বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদী- মেঘনা
- বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদ- ব্রহ্মপুত্র
- বাংলাদেশের প্রশস্ততম নদী- মেঘনা
- বাংলাদেশের গভীরতম নদী- মেঘনা
- দীর্ঘতম পথ অতিক্রমকারী নদ/নদী- ব্রহ্মপুত্র
জাতীয় প্রতীক ও রাষ্ট্রীয় মনোগ্রাম
- বর্তমান জাতীয় পতাকার রূপকার: কামরুল হাসান
- মানচিত্র খচিত প্রথম পতাকার ডিজাইনার: শিব নারায়ণ দাস
- জাতীয় সংগীত: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “আমার সোনার বাংলা” গানের প্রথম ১০ চরণ