10 Minute School
Log in

মেন্ডেল-এর সূত্র (Mendel’s Law)

মেন্ডেল-এর সূত্র (Mendel’s Law)

১. প্রথম সূত্র (Mendel’s First Law):

সংকর জীবে বিপরীত বৈশিষ্টের ফ্যাক্টরগুলো (জিনগুলো) মিশ্রিত বা পরিবর্তিত না হয়ে পাশাপাশি অবস্থান করে এবং জননকোষ (গ্যামেট) সৃষ্টির সময় পরস্পর থেকে পৃথক হয়ে ভিন্ন ভিন্ন জননকোষে প্রবেশ করে।

এ সূত্রকে মনোহাইব্রিড ক্রস সূত্র (Law of Monohybrid cross) বা জননকোষ শুদ্ধতার সূত্র (Law of Purity of gametes) বা পৃথকীকরণ সূত্র (Law of Segregation)-ও বলা হয়।

২. দ্বিতীয় সূত্র (Mendel’s Second Law):

দুই বা ততোধিক জোড়া বিপরীত বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন জীবের মধ্যে ক্রস ঘটালে প্রথম সংকর পুরুষে (F_1) কেবলমাত্র প্রকট বৈশিষ্ট্যগুলোই প্রকাশিত হবে, কিন্তু জননকোষ (গ্যামেট) উৎপাদনকালে বৈশিষ্ট্যগুলো জোড়া ভেঙ্গে পরস্পর থেকে স্বতন্ত্র বা স্বাধীনভাবে বিন্যস্ত হয়ে ভিন্ন ভিন্ন জননকোষে প্রবেশ করবে।

এ সূত্রকে স্বাধীনভাবে মিলনের বা বন্টনের সূত্র (Law of Independent Assortment)-ও বলা হয়। এ ধরনের ক্রসে নতুন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন জীবের উৎপত্তি হয়।

মটরশুটি গাছ নিয়ে মেণ্ডেল-এর প্রথম সূত্রের গবেষণার ফলাফল (The results of Mendel’s first formulaic study of the bean plant)

Mendel's First Law Diagram

Mendel's First Law Explanation

ফলাফলে দেখা যায় যে, সংকর জীবে বিপরীত বৈশিষ্ট্য দুটি মিশ্রিত না হয়ে কেবল প্রকট বৈশিষ্ট্যই প্রকাশ পায় এবং গ্যামেট সৃষ্টির সময় প্রতিটি বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী জিন পৃথক পৃথক গ্যামেটে গমন করে। যেহেতু প্রতিটি গ্যামেট কেবল কোনো বৈশিষ্ট্যের একটি অ্যালিল (ফ্যাক্টর) গ্রহণ করে সেহেতু এটি বিশুদ্ধ প্রকৃতির হয়। এজন্য একে বিশুদ্ধ গ্যামেট এবং সূত্রটিকে জননকোষ বিশুদ্ধতার সূত্র বলে।

মেন্ডেলের দ্বিতীয় সূত্র বা স্বাধীনভাবে মিলনের সূত্র (Law of Independent Assortment)

দুটি শুদ্ধ লক্ষণযুক্ত (হোমোজাইগাস) মটরশুটি গাছ (Pisum sativum) নেয়া হলো যার একটি গোল ও হলুদ বর্ণের বীজ এবং অন্যটি কুঞ্চিত ও সবুজ বর্ণের বীজ উৎপাদনে সক্ষম।

ধরা যাক, বীজের গোল লক্ষণের প্রতীক R, কুঞ্চিত লক্ষণের প্রতীক r; হলুদ লক্ষণের প্রতীক Y (বড় অক্ষরের), সবুজ লক্ষণের প্রতীক y (ছোট অক্ষরের) প্রথম বংশধর F_1 জনু এবং দ্বিতীয় বংশধর F_2 জনু।

মেন্ডেল-এর মতে, প্রত্যেক বৈশিষ্ট্যের জন্য দুটি করে ফ্যাক্টর (জিন) দায়ী। অতএব, গোল ও হলুদ বর্ণের বীজযুক্ত উদ্ভিদের জিনোটাইপ হবে RRYY এবং কুঞ্চিত ও সবুজ বর্ণের বীজযুক্ত উদ্ভিদের জিনোটাইপ হবে rryy.

Mendel's 2nd Law Diagram

ফলাফল: গোল-হলুদ = ৯টি, গোল-সবুজ = ৩টি, কুঞ্চিত-হলুদ = ৩টি এবং কুঞ্চিত-সবুজ = ১টি

অনুপাত = ৯ : ৩ : ৩ : ১

প্রথম সূত্রের ব্যতিক্রম (The exception to the first formula)

১. অসম্পূর্ণ প্রকটতা (Incomplete Dominance) – ফলাফল ১ : ২ : ১

যখন একজোড়া বিপরীত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন দুটি জীবে সংকরায়ন (ক্রস) ঘটে কিন্তু প্রথম বংশধরে (F1 জনুতে) প্রকট ফিনোটাইপ পূর্ণ প্রকাশে ব্যর্থ হয় এবং উভয় বৈশিষ্ট্যের মাঝামাঝি এক বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ ঘটে তখন তাকে অসম্পূর্ণ প্রকটতা বলে। অসম্পূর্ণ প্রকটতার জন্য দায়ী জিনগুলোকে ইন্টারমিডিয়েট জিন (intermediate gene) বলে। অসম্পূর্ণ প্রকটতার কারণে মেন্ডেলের মনোহাইব্রিড ক্রসের অনুপাত ৩ : ১ এর পরিবর্তে ১: ২ : ১ হয়।

জিনতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা (Genetic explanation)

ধরা যাক- ফুলের লাল বর্ণের প্রতীক = R, সাদা বর্ণের প্রতীক = W

Genetic Explanation - 1

Genetic Explanation - 2

চিত্র : অসম্পূর্ণ প্রকটতা

ব্যাখ্যা: এখানে লাল ফুলের জন্য RR এবং সাদা ফুলের জন্য WW জিন দেখানো হয়েছে । R-এর সম্পূর্ণ প্রকটতা থাকলে F_1 উদ্ভিদের ফুল লাল রং-এর হতো এবং F_2 বংশধরের ফিনোটাইপিক অনুপাত হতো ৩ : ১। কিন্তু R-এর অসম্পূর্ণ প্রকটতার কারণেই F_1 হেটারোজাইগাস (RW)- এর বর্ণ গোলাপী (Pink) এবং F_2 বংশধরে ১ : ২ : ১ ফিনোটাইপিক অনুপাতের (লাল, গোলাপী, সাদা) সৃষ্টি হয়েছে।

প্রথম সূত্রের ব্যতিক্রম (The exception to the first formula)

২. সমপ্রকটতা (Co-dominance) – ফলাফল ১ : ২ : ১

সমসংস্থ ক্রোমোজোমের একই লোকাসে অবস্থিত বিপরীত বৈশিষ্ট্যের দুটি অ্যালিল হেটারোজাইগাস অবস্থায় যখন প্রকট-প্রচ্ছন্ন সম্পর্কের পরিবর্তে উভয়েই সমানভাবে প্রকাশিত হয়, তখন জিনের এ ধরনের স্বভাবকে সমপ্রকটতা বলে। 

Co-dominance Genetic Explanation

জিনতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা (Genetic explanation)

অনুপাত: ১:২:১

Picture

প্রথম সূত্রের ব্যতিক্রম (The exception to the first formula)

৩. মারণ জিন বা লিথাল জিন (Lethal Gene) – অনুপাত ২: ১

যেসব জিন হোমোজাইগাস অবস্থায় উপস্থিত থাকলে সংশ্লিষ্ট জীবের মৃত্যু ঘটে সেসব জিনকে লিথাল জিন বলে। 

লিথাল জিনের বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Lethal Gene): 

(i) লিথাল জিন একধরনের মিউট্যান্ট জিন (mutant gene) যা প্রকট বা প্রচ্ছন্ন অবস্থায় থাকে। 

(ii) প্রকট লিথাল জিন হোমোজাইগাস বা হেটারোজাইগাস উভয় অবস্থায়ই জীবের মৃত্যু কিংবা আঙ্গিক বৈকল্য ঘটাতে পারে। 

(iii) জাইগোট বা ভ্রূণ অবস্থায় জীব মারা যায় বলে লিথান জিনের প্রভাব চোখে পড়েনা, তবে কোনো ক্ষেত্রে জীবের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে এর প্রকাশ ঘটে। 

(iv) লিথাল জিনের প্রভাবে ৩ : ১ অনুপাতের পরিবর্তে ২ : ১ অনুপাত প্রকাশিত হয়।

জিনতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা (Genetic explanation):

ধরা যাক, ইঁদুরের গায়ের হলুদ বর্ণের লোমের জন্য দায়ী প্রকট জিন Y এবং অ্যাগাউটি বর্ণের লোমের জন্য দায়ী প্রচ্ছন্ন জিন y.

মেন্ডেলের সূত্র অনুযায়ী বিশুদ্ধ বা হোমোজাইগাস হলুদ বর্ণের ইঁদুরের জিনোটাইপ হবে YY এবং বিশুদ্ধ অ্যাগাউটি বর্ণের ইঁদুরের জিনোটাইপ হবে yy. কিন্তু প্রকৃতিতে যে সব হলুদ বর্ণের ইঁদুর পাওয়া যায় তার কোনটিই বিশুদ্ধ বা হোমোজাইগাস (YY) জিনোটাইপধারী নয়। কারণ Y জিন হোমোজাইগাস অবস্থায় লিথাল জিন হিসেবে কাজ করে ভ্রুণ অবস্থায় ইঁদুরের মৃত্যু ঘটায়। তাই প্রকৃতিতে যেসব হলুদ বর্ণের ইঁদুর পাওয়া যায় তারা সবাই হেটারোজাইগাস অর্থাৎ সংকর (Yy) প্রকৃতির।

Genetic explanation of rats

পিতা-মাতা : ফিনোটাইপ পুরুষ হলুদ ইদুর (সংকর) × স্ত্রী হলুদ ইদুর (সংকর)

নিষেকের ফলাফল চেকারবোর্ডের মাধ্যমে দেখানো হলো (The results of fertilization are shown through the checker board)

Lethal Gene

চিত্র : লিথাল জিন (Lethal Gene)

যে সব লিথাল জিনের প্রভাবে ৫০% এর বেশি জীব মারা যায় সেগুলোকে সেমিলিথাল জিন (semilethal gene) বলে। অন্যদিকে, যেসব লিথাল জিনের প্রভাবে ৫০% এর কম সংখ্যক জীব মারা যায় সেগুলোকে সাবভাইটাল জিন (subvital gene) বলে। মানুষে হিমোফিলিয়া রোগ সৃষ্টিকারী লিথাল জিন সেমিলিথাল ধরনের। ড্রসোফিলা মাছির লুপ্তপ্রায় ডানা সৃষ্টিকারী লিথাল জিন সাবভাইটাল ধরনের।

মেন্ডেলের দ্বিতীয় সূত্রের ব্যতিক্রম (The exception to Mendel’s second law)

১. পরিপূরক জিন (Complementary Gene) – ফিনোটাইপিক অনুপাত ৯:৭

ভিন্ন ভিন্ন লোকাসে অবস্থিত দুটি প্রকট জিনের উপস্থিতির কারণে যদি জীবের একটি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায় তখন জিনদুটিকে পরস্পরের পরিপূরক জিন বলে এবং এ অবস্থাকে সহপ্রকটতা বলা হয়।

নিচে জিনতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা দেয়া হলো

ধরা যাক, সাদা ফুলবিশিষ্ট স্ট্রেইন দুটির জিনোটাইপ যথাক্রমে AAbb এবং aaBB। এদের সংকরায়নের ফলাফল চেকার বোর্ডের মাধ্যমে দেখানো হলো। 

পিতা-মাতা (\mathbb{P}_{1}) : ফিনোটাইপ সাদা ফুলযুক্ত মিষ্টি মটর × সাদা ফুলযুক্ত মিষ্টি মটর 

Complementary Gene

\mathbf{F}_{\mathbf{1}} জনু : জিনোটাইপ 

ফিনোটাইপ                                         সবগুলো বেগুনি ফুলযুক্ত মিষ্টি মটর

\mathbf{F}_{\mathbf{1}} জনুর মধ্যে ক্রস (\mathbf{P}_{2}) : ফিনোটাইপ বেগুনি ফুল × বেগুনি ফুল 

\mathbf{F}_{\mathbf{2}} জনু 

Complementary Gene - 2

পুংগ্যামেট

স্ত্রীগ্যামেট

AB Ab aB Ab
AB AABB

বেগুনি ফুল

AABb

বেগুনি ফুল

AaBB

বেগুনি ফুল

AaBb

বেগুনি ফুল

Ab AABb

বেগুনি ফুল

Aabb

সাদা ফুল

AaBB

বেগুনি ফুল

Aab

সাদা ফুল

aB AaBB

বেগুনি ফুল

AaBb

বেগুনি ফুল

aaBB

সাদা ফুল

aaBb

সাদা ফুল

AaBb AaBb

বেগুনি ফুল

Aabb

সাদা ফুল

aaBb

সাদা ফুল

Aabb

সাদা ফুল

ফিনোটাইপের অনুপাত = ৯টি বেগুনি ফুল : ৭টি সাদা ফুল

ব্যাখ্যা : এক্ষেত্রে প্রকট জিন A B একত্রে ক্রিয়া করে থাকে। উপরের চেকার বোর্ডে দেখা যায় যেসব জিনোটাইপে A B একত্রে আছে সেসব ক্ষেত্রেই ফিনোটাইপ বেগুনি হয়েছে এবং যেসব ক্ষেত্রে A বা B অর্থাৎ ঐ দুটি জিনের মাত্র একটি আছে বা কোনটিই নেই সেসব ক্ষেত্রে ফিনোটাইপ সাদা হয়েছে। পরিপূরক জিনের ক্রিয়ার ফলেই F_2 জনুর অনুপাত : : : এর ব্যতিক্রম ঘটে। এখানে : অনুপাত সৃষ্টি হয়েছে।

মেন্ডেলের দ্বিতীয় সূত্রের ব্যতিক্রম (The exception to Mendel’s second law)

২. এপিস্ট্যাসিস (Epistasis)

একটি জিন যখন অন্য একটি নন-অ্যালিলিক (non-allelic) জিনের কার্যকারিতা প্রকাশে বাধা দেয় তখন এ প্রক্রিয়াকে এপিস্ট্যাসিস বলে। যে জিনটি অপর জিনের বৈশিষ্ট্য প্রকাশে বাধা দেয় সে জিনকে এপিস্ট্যাটিক জিন (epistatic gene), আর যে জিনটি বৈশিষ্ট্য প্রকাশে বাধা পায় সে জিনটিকে হাইপোস্ট্যাটিক জিন (hypostatic gene) বলে।

ক. প্রকট এপিস্ট্যাসিস (Dominant Epistasis) – অনুপাত ১৩ : ৩

যখন একটি প্রকট জিন অন্য একটি নন-অ্যালিলিক প্রকট জিনের কার্যকারিতা প্রকাশে বাধা দেয় তখন এ প্রক্রিয়াকে প্রকট এপিস্ট্যাসিস বলে।

জিনতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা (Genetic Explanation)

ধরা যাক, সাদা লেগহর্ণের রঙিন পালকের জন্য দায়ী প্রকট জিন C এবং  সাদা লেগহর্ণের রঙিন পালকের বাধাদানকারী প্রকট জিন I। অতএব, সাদা লেগহর্ণের জিনোটাইপ হবে CCII এবং সাদা ওয়াইনডটের জিনোটাইপ হবে ecii। অর্থাৎ এক্ষেত্রে C হচ্ছে প্রকট হাইপোস্ট্যাটিক জিন এবং I প্রকট এপিস্ট্যাটিক জিন।

Dominant Epistasis

\mathbf{F}_{\mathbf{1}} জনুর মধ্যে ক্রস \left(P_{2}\right) : CcIi (সাদা) ×CcIi (সাদা)

\mathbf{F}_{\mathbf{2}} জনু 

পুংগ্যামেট

স্ত্রীগ্যামেট

CI Ci cI ci
CI CCII

সাদা

CCIi

সাদা

CcII

সাদা

CcIi

সাদা

Ci CCIi

সাদা

Ccii

রঙিন

CcIi

সাদা

Ccii

রঙিন

cI CcII

সাদা

CcIi

সাদা

ccII

সাদা

ccIi

সাদা

ci CcIi

সাদা

Ccii

রঙিন

ccIi

সাদা

ccii

সাদা

অনুপাত = ১৩ (সাদা) : ৩ (রঙিন)

মেন্ডেলের দ্বিতীয় সূত্রের ব্যতিক্রম (The exception to Mendel’s second law)

২. এপিস্ট্যাসিস (Epistasis)

খ. দ্বৈত প্রচ্ছন্ন এপিস্ট্যাসিস (Duplicate Recessive Epistasis)- অনুপাত ৯ : ৭

দুটি ভিন্ন লোকাসে অবস্থিত দুটি প্রচ্ছন্ন অ্যালিল যখন পরস্পরের (একে অপরের) প্রকট অ্যালিলকে নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য প্রকাশে বাধা দেয়, তখন তাকে দ্বৈত প্রচ্ছন্ন এপিস্ট্যাসিস বলে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে কেবল হোমোজাইগাস প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে।

মানুষে জন্মগত মূক-বধিরতা দ্বৈত প্রচ্ছন্ন এপিস্ট্যাসিসের অন্যতম উদাহরণ। 

জিনতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা (Genetic Explation):

মনে করি d ও e দুটি প্রচ্ছন্ন জিন। অতএব ddEE ও DDee জিনোটাইপধারী ব্যক্তি মূকবধির হবে। এক্ষেত্রে এপিস্ট্যাটিক প্রচছন্ন জিন d ও e হোমোজাইগাস অবস্থায় থাকায় প্রকট হোমোজাইগাস জিন EE ও DD বৈশিষ্ট্য প্রকাশে বাধা পায়। তাই মূকবধিরতা প্রকাশ পায়। 

Duplicate Recessive Epistasis

\mathbf{F}_{\mathbf{2}} জনু 

পুংগ্যামেট

স্ত্রীগ্যামেট

DE De dE de
DE DDEE

স্বাভাবিক

DDEe

স্বাভাবিক

DdEE

স্বাভাবিক

DdEe

স্বাভাবিক

De DDEe

স্বাভাবিক

Ddee

মুকবধির

DdEe

স্বাভাবিক

Ddee

মুকবধির

dE DdEE

স্বাভাবিক

DdEe

স্বাভাবিক

ddEE

মুকবধির

ddEe

মুকবধির

de DdEe

স্বাভাবিক

Ddee

মুকবধির

ddEe

মুকবধির

Ddee

মুকবধির

ফলাফল : ৯ সন্তান স্বাভাবিক বাক-শ্রবণক্ষম এবং ৭ সন্তান মুকবধির

পলিজেনিক ইনহেরিট্যান্স (Polygenic Inheritance) বা বহুজিনীয় উত্তরাধিকার

ভিন্ন ভিন্ন লোকাসে অবস্থিত নন-অ্যালিলিক জিনের একটি গ্রুপ সম্মিলিতভাবে কোন জীবের একটি পরিমাণগত বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করলে তখন সেই জিন-গ্রুপকে পলিজিন (polygene) বলে। পলিজিনে নিয়ন্ত্রিত পরিমাণগত বৈশিষ্ট্যের বংশগতিকে পলিজেনিক ইনহেরিট্যান্স বলা হয়।

পলিজেনিক ইনহেরিট্যান্স-এর জিনতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা (Genetic explanation of polygenic inheritance)

Genetic explanation of polygenic inheritance

সকলেই মিউল্যাটো (নিগ্রো ও শ্বেতাঙ্গের মাঝামাঝি বর্ণ)।

মিউল্যাটো

\mathbf{F}_{\mathbf{2}} জনুর ফলাফল চেকার বোর্ডের মাধ্যমে দেখানো হলো

\mathbf{F}_{\mathbf{2}} জনু 

পুংগ্যামেট

স্ত্রীগ্যামেট

\mathbf{B}_{1} \mathbf{B}_{2} \mathbf{B}_{1} \mathbf{b}_{2} \mathrm{b}_{1} \mathrm{~B}_{2} \mathrm{b}_{1} \mathrm{~b}_{2}
 

\mathbf{B}_{1} \mathbf{B}_{2}

\mathbf{B}_{1} \mathbf{B}_{1} \mathbf{B}_{2} \mathbf{B}_{2}

নিগ্রো

\mathbf{B}_{\mathbf{1}} \mathbf{B}_{\mathbf{1}} \mathbf{B}_{\mathbf{2}} \mathrm{b}_{\mathbf{2}}

গাঢ় বর্ণ

\mathbf{B}_{\mathbf{1}} \mathrm{b}_{\mathbf{1}} \mathbf{B}_{\mathbf{2}} \mathbf{B}_{\mathbf{2}}

গাঢ় বর্ণ

\mathbf{B}_{\mathbf{1}} \mathrm{b}_{\mathbf{1}} \mathbf{B}_{\mathbf{2}} \mathrm{b}_{\mathbf{2}}

মিউল্যাটো

\mathbf{B}_{1} \mathbf{b}_{2} \mathbf{B}_{\mathbf{1}} \mathbf{B}_{\mathbf{1}} \mathbf{B}_{\mathbf{2}} \mathbf{b}_{\mathbf{2}}

গাঢ় বর্ণ

\mathbf{B}_{\mathbf{1}} \mathbf{B}_{\mathbf{1}} \mathbf{b}_{\mathbf{2}} \mathbf{b}_{\mathbf{2}}

মিউল্যাটো

\mathbf{B}_{\mathbf{1}} \mathrm{b}_{\mathbf{1}} \mathbf{B}_{\mathbf{2}} \mathrm{b}_{\mathbf{2}}

মিউল্যাটো

\mathrm{B}_{1} \mathrm{~b}_{1} \mathrm{~b}_{2} \mathrm{~b}_{2}

হালকা বর্ণ

\mathrm{b}_{1} \mathrm{~B}_{2} \mathbf{B}_{1} \mathrm{~b}_{1} \mathbf{B}_{2} \mathbf{B}_{2}

গাঢ় বর্ণ

\mathbf{B}_{\mathbf{1}} \mathrm{b}_{\mathbf{1}} \mathbf{B}_{\mathbf{2}} \mathrm{b}_{\mathbf{2}}

মিউল্যাটো

\mathrm{b}_{1} \mathrm{~b}_{1} \mathrm{~B}_{2} \mathrm{~B}_{2}

মিউল্যাটো

\mathrm{b}_{1} \mathrm{~b}_{1} \mathrm{~B}_{2} \mathrm{~b}_{2}

হালকা বর্ণ

\mathrm{b}_{1} \mathrm{~b}_{2} \mathbf{B}_{\mathbf{1}} \mathrm{b}_{\mathbf{1}} \mathbf{B}_{\mathbf{2}} \mathrm{b}_{\mathbf{2}}

মিউল্যাটো

\mathrm{B}_{1} \mathrm{~b}_{1} \mathrm{~b}_{2} \mathrm{~b}_{2}

হালকা বর্ণ

\mathrm{b}_{1} \mathrm{~b}_{1} \mathrm{~B}_{2} \mathrm{~b}_{2}

হালকা বর্ণ

\mathrm{b}_{1} \mathrm{~b}_{1} \mathrm{~b}_{2} \mathrm{~b}_{2}

শ্রেতাঙ্গ

নিগ্রো =১জন : গাঢ় = ৪ জন : মিউল্যাটো = ৬ জন : হালকা বর্ণ = ৪ জন : শ্রেতাঙ্গ =১ জন অর্থাৎ ১ : ৪ : ৬ : ৪ : ১

চেকার বোর্ডটির ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, এখানে ১৬ জনের মধ্যে 

৪টি বর্ণ সৃষ্টিকারী জিনবিশিষ্ট (১ নং ছকে) ১ জন নিগ্রো ;

৩টি বর্ণ সৃষ্টিকারী জিনবিশিষ্ট (২, ৩, ৫, ৯ নং ছকে) ৪ জনের গায়ের রং গাঢ় বর্ণ ;

২টি বর্ণ সৃষ্টিকারী জিনবিশিষ্ট (৪, ৬, ৭, ১০, ১১, ১৩ নং ছকে) ৬ জন মিউল্যাটো বা মাঝারি বর্ণ ;

১টি বর্ণ সৃষ্টিকারী জিনবিশিষ্ট (৮, ১২, ১৪, ১৫ নং ছকে) ৪ জনের গায়ের রং হালকা বর্ণ।

বর্ণ সৃষ্টিকারী জিনবিশিষ্ট (১৬ নং ছকে) ১ জন শ্রেতাঙ্গ