গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থি (Gastric gland)
গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থি এক ধরনের নলাকার গ্রন্থি এবং চার ধরনের কোষ নিয়ে গঠিত। সম্মিলিতভাবে গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থির (Gastric gland) রসকে গ্যাস্ট্রিক জুস (Gastric juice) বলে। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দিনে প্রায় ২ লিটার গ্যাস্ট্রিক জুস তৈরি করে থাকে। গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থির কোষগুলোর নাম ও কাজ নিম্নরূপ-
গ্যাস্ট্রিক জুসের উপাদান
১. পানি : ৯৯.৪৫%।
২. অজৈব পদার্থ : ০.১৫%; HCl সোডিয়াম ক্লোরাইড, পটাশিয়াম ক্লোরাইড, ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড, ক্যালসিয়াম ফসফেট, ম্যাগনেসিয়াম ফসফেট ইত্যাদি।
৩. জৈব পদার্থ : ০.৪০%; মিউসিন, ইনট্রিনসিক ফ্যাক্টর; এনজাইম (পেপসিন, রেনিন, লাইপেজ ইত্যাদি)।
আন্ত্রিক রসের কাজ
১. আন্ত্রিক রসের মিউকাস অন্ত্র তাদেরকে বিভিন্ন এনজাইমের ক্রিয়া থেকে রক্ষা করে।
২. এতে উপস্থিত সক্রিয়ক এন্টেরোকাইনেজ নিষ্ক্রিয় ট্রিপসিনোজেনকে ট্রিপসিনে পরিণত করে।
গ্যাস্ট্রিক জুস এর কাজ
১. গ্যাস্ট্রিক জুসে বিদ্যমান HCl পাকস্থলীতে অম্লীয় পরিবেশ সৃষ্টি করে, ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং নিষ্ক্রিয় এনজাইমকে সক্রিয় করে।
২. গ্যাস্ট্রিক জুসের বিদ্যমান পেপসিন এনজাইম HCl এর সাথে মিশে প্রোটিনকে পেপটোনে পরিণত করে।
৩. গ্যাস্ট্রিক জুসে বিদ্যমান রেনিন এনজাইম দুধের ক্যাসিনোজেনকে ক্যাসিনে পরিণত করে।
৪. গ্যাস্ট্রিক জুস পাকস্থলীর প্রাচীর সুরক্ষা করে।