10 Minute School
Log in

মানবদেহ: (স্নায়ুতন্ত্র, পৌষ্টিক তন্ত্র, গ্রন্থি ও প্রাথমিক চিকিৎসা)

স্নায়ুতন্ত্র

স্নায়ুতন্ত্রের কাজ

  • সমন্বয়সাধন:- স্নায়ুতন্ত্র প্রাণীদেহের বিভিন্ন অঙ্গ ও তন্ত্রের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করে তাদের কাজের মধ্যে সমন্বয় ঘটায়।
  • উদ্দীপনায় সাড়া দান:- বিভিন্ন উদ্দীপনায় প্রয়োজনমতো সাড়া দিয়ে পরিবর্তনশীল পরিবেশের সঙ্গে প্রাণীকে খাপ খাইয়ে বা মানিয়ে নিতে স্নায়ুতন্ত্র সাহায্য করে। 
  • পেশি ও গ্রন্থির কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ:- স্নায়ুতন্ত্র প্রাণীদেহের বিভিন্ন পেশির সংকোচন ও গ্রন্থির ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে।
  • মানসিক ও প্রতিবর্ত ক্রিয়া পরিচালন:- মানসিক অনুভূতি, বুদ্ধি, বিচার, চিন্তা ইত্যাদি মানসিক ক্রিয়া ও প্রতিবর্ত ক্রিয়া পরিচালনা করা স্নায়ুতন্ত্রের অন্যতম প্রধান কাজ।

স্নায়ুতন্ত্রের গঠন

স্নায়ুতন্ত্র দুটি প্রধান অংশ নিয়ে গঠিত হয়:

  • কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র: এটি মস্তিষ্ক এবং সুষুম্নাকাণ্ডের সমন্বয়ে গঠিত।
  • পেরিফেরাল বা প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্র: পেরিফেরাল স্নায়ুতন্ত্রটি স্নায়ুতন্তু থেকে গঠিত যা মেরুদণ্ডের কর্ড থেকে ছড়িয়ে পড়ে এবং ঘাড়, বাহু, ধড়, পা, কঙ্কালের পেশি এবং অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোসহ শরীরের সমস্ত অংশে বিস্তৃত হয়।

নিউরনে প্রধানত দুটি অংশ থাকে। 

  • দেহকোষ: দেহ কোষের অংশ-
    • কোষ আবরণী
    • সাইটোপ্লাজম 
    • নিউক্লিয়াস 

দেহকোষে সক্রিয় সেন্ট্রিওল থাকে না এবং এরা বিভাজিত হয় না। 

  • প্রলম্বিত কোষ। প্রলম্বিত অংশের দুটি অংশ। যথা—
    • অ্যাক্সন
    • ডেনড্রন
  • স্নায়ুতন্ত্রের প্রধান অংশ মস্তিষ্ক।
  • প্রাপ্তবয়ষ্ক মানুষের মস্তিষ্কের ওজন ১.৩৬ কেজি।
  • মস্তিষ্কের আবরণীর নাম মেনিনজেস
  • মস্তিষ্কের সেরেব্রাম মানুষের চিন্তাশক্তি নিয়ন্ত্রণ করে।
  • হাইপোথ্যালামাস তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
  • করোটিক স্নায়ু ১২ জোড়া।
নার্ভ কাজ
অলফ্যাক্টরি নার্ভ ঘ্রাণ অনুভূতি
অপটিক নার্ভ দর্শন অনুভূতি
কুলোমোটর স্নায়ু চোখের বল এবং চোখের পাতার চলাচল
ট্রক্লিয়ার স্নায়ু চোখের চলাচল
ট্রাইজেমিনাল নার্ভ এটি বৃহত্তম ক্রেনিয়াল নার্ভ এবং অপথ্যালমিক, ম্যাক্সিলারি এবং ম্যান্ডিবুলার স্নায়ু সমন্বিত তিনটি শাখায় বিভক্ত। নিয়ন্ত্রিত ফাংশনগুলির মধ্যে মুখের সংবেদন এবং চিবানো অন্তর্ভুক্ত।
অবডুসেন্স নার্ভ চোখের চলাচল
ফেসিয়াল নার্ভ মুখের ভাব এবং স্বাদ অনুভূতি
অডিটরি স্নায়ু ভারসাম্য এবং শ্রবণ
গ্লোসোফেরেঞ্জিয়াল নার্ভ গেলা, স্বাদ অনুভূতি এবং লালা লুকানো
ভেগাস নার্ভ গলা, ফুসফুস, হার্ট এবং হজম সিস্টেমে মসৃণ পেশি সংবেদনশীল এবং মোটর নিয়ন্ত্রণ
স্পাইনাল অ্যাকসেসরি স্নায়ু ঘাড় এবং কাঁধের নড়াচড়া
হাইপোগ্লোসাল নার্ভ জিহ্বার সঞ্চালন

সুষুম্নাকান্ড বা Spinal Cord 

  • ওজন ৩০ গ্রাম 
  • দৈর্ঘ্য ছেলেদের ৪৫ সেমি, মেয়েদের ৪৩ সেমি। 
  • মানুষের সুষুম্না স্নায়ু ৩১ জোড়া।

স্নায়বিক বৈকল্যজনিত রোগ

  • প্যারালাইসিস বা পক্ষাঘাতগ্রস্থতা 
  • এপিলেপসি বা মৃগী রোগ 
  • পারকিনসন রোগ

সংবেদী অঙ্গ

যে অঙ্গের সাহায্যে আমরা বাহিরের জগৎকে অনুভব করতে পারি, তাকে সংবেদী অঙ্গ বলে । চোখ, কান, নাক, জিহ্বা ও ত্বক- এ পাঁচটি হচ্ছে মানুষের সংবেদী অঙ্গ। সাধারণ ভাষায় এদের পঞ্চ-ইন্দ্রিয় বলে।

  • শ্রবণ ও দেহের ভারসাম্য রক্ষা করা কানের কাজ। মানুষের কান ৩টি অংশে বিভক্ত, যথা-
    • বহিঃকর্ণ
    • মধ্যকর্ণ
    • অন্তঃকর্ণ।
  • অন্তঃকর্ণের প্রধান অংশ মেমব্রেনাস ল্যাবিরিন্থ। এটি দুটি প্রকোষ্ঠ নিয়ে গঠিত :
    • ইউট্রিকুলাস (দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে)
    • স্যাকুলাস (শ্রবণ অঙ্গ রক্ষা করে)।
  • সাপের কান নেই তাই সাপ জিহবার সাহায্যে শোনে।
  • মানব দেহের সর্ববৃহৎ অঙ্গ ত্বক। ত্বকে মেলানিন নামে এক ধরনের রঞ্জক পদার্থ থাকে। মানুষের গায়ের রঙ মেলানিনের উপর নির্ভর করে

পৌষ্টিক তন্ত্র

মানুষের পরিপাক তন্ত্রের দুটি অংশ –

  • পৌষ্টিক নালী বা Alimentary Canal
  • আনুষঙ্গিক পরিপাক গ্রন্থি 

পৌষ্টিক নালী মুখ হতে পায়ু পর্যন্ত ৮-১০ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।  ক্ষুদ্রান্ত ৬-৭ মিটার এবং বৃহদান্ত্র ১.৫ মিটা। 

মুখগহ্বরের অংশসমূহ

  • মুখগহ্বর (Mouth Cavity / Oral Cavity) : এটি দুটি অংশে বিভক্ত-
    • বাইরের তুলনামূলক ছোট অংশ হলো ভেস্টিবিউল এবং 
    • ভেতরের তুলনামূলক বড় অংশ হলো প্রকৃত মুখ গহ্বর। ভেস্টিবিউল অংশটি মুখছিদ্র দ্বারা বাইরে উন্মুক্ত হয়। 
    • মুখগহ্বরের ছাদটিকে বলে তালু (Palate) – তালুর সামনের দিকের অংশটি অস্থি দিয়ে গঠিত একে বলে শক্ত তালু (hard palate) এবং তালুর পিছনের দিকের পেশিময় অংশকে বলে নরম তালু (soft palate)।
  • দাঁত (Teeth) : মানুষের ক্ষেত্রে দাঁত দুই প্রকারের– 
    • অস্থায়ী বা deciduous ও 
    • স্থায়ী বা permanent।

শিশুদের ক্ষেত্রে সর্বমোট দাঁতের সংখ্যা ২০টি কিন্তু প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে সর্বমোট ৩২টি দাঁত থাকে। দাঁতের এনামেল শরীরের সবচেয়ে কঠিন অংশ

  • জিভ বা জিহ্বা: মুখগহ্বরের মেঝেতে ঐচ্ছিক পেশি নির্মিত পরিপাকে সাহায্যকারী সঞ্চরণক্ষম সংবেদী অঙ্গটিকে জিভ বলে। জিহ্বার উপরিভাগ স্তরীভূত আঁইশাকার আবরণী কলা দ্বারা আবৃত থাকে। এতে ছোট ছোট গুটি বিন্যস্ত থাকে, যাদের প্যাপিলা বলে।
  • গলবিল বা ফ্যারিংক্স (Pharynx): মুখবিবরের ঠিক পরেই গ্রাসনালির সঙ্গে সংযোগ রক্ষাকারী সামান্য স্ফীত নলাকার অংশকে গলবিল বলে। সমগ্র গলবিলটি ১২.৫ সেমি লম্বা।
  • গ্রাসনালি বা ইসোফেগাস: গলবিলের পরবর্তী ,পাকস্থলি পর্যন্ত বিস্তৃত প্রায় ২৫ সে.মি. দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট পৌষ্টিকনালির নলাকার অংশটি হল গ্রাসনালি বা ইসোফেগাস
  • পাকস্থলি: এটি কার্ডিয়াক স্ফিংক্টার দ্বারা উপরের দিকে গ্রাসনালির সঙ্গে এবং পাইলোরিক স্ফিংক্টার দ্বারা নিচের দিকের ক্ষুদ্রান্ত্রের সঙ্গে যুক্ত। পাকস্থলি যখন খালি থাকে তখন যে অনুদৈর্ঘ্য খাঁজগুলি দেখা যায় তাদের  রুগি (rugae) বলে। পাকস্থলীতে তিন ধরনের গ্রন্থি দেখা যায়। যথা-
    • কার্ডিয়াক গ্রন্থি– মিউকাস ক্ষরণ করে।
    • পাইলোরিক গ্রন্থি– প্রণালিকা পাকস্থলিতে অবস্থিত এবং মিউকাস ক্ষরণ করে।
    • গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থি বা পাচক গ্রন্থি– এরা পাকস্থলির মিউকাস স্তরের অধিকাংশ স্থান জুড়ে অবস্থান করে। পাচক গ্রন্থিতে বিভিন্ন ক্ষরণকারী কোষ বর্তমান-
      • পেপটিক কোষ– নিষ্ক্রিয় পেপসিন বা পেপসিনোজেন ক্ষরণ করে।
      • প্যারাইটাল বা অক্সিনটিক কোষ– হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ক্ষরণ করে।
      • আরজেন্টাফিন কোষ– কিছু স্থানীয় হরমোন, গ্যাস্ট্রিন, এন্টারোগ্যাস্ট্রোন ইত্যাদি ক্ষরণ করে।
  • ক্ষুদ্রান্ত্র(Small Intestine): এটির দৈর্ঘ্য-৬-৭ মিটার, প্রস্থ ৩.৫ থেকে ৪.৫ সেমি। ডিওডেনাম, জেজুনাম ও ইলিয়াম এই তিনটি অংশ নিয়ে ক্ষুদ্রান্ত্র গঠিত। 
  • বৃহদন্ত্র: ইলিয়ামের শেষ প্রান্ত থেকে পায়ু পর্যন্ত বিস্তৃত মোটা খাঁজবহুল নলাকার অংশটি হলো বৃহদন্ত্র।
  • যকৃত (Liver): যকৃত হলো দেহের সর্ববৃহৎ গ্রন্থি যা একটি সুসজ্জিত জীব রসায়নাগারের সঙ্গে তুলনীয়। যকৃতের ওজন প্রায় ১৫০০ গ্রাম বা ১.৫ কেজি। ডান খন্ডকের নিচের তলে একটি খাঁজের মধ্যে ছোট্ট নাশপাতি আকারের (৩০-৩৫ মিলিমিটারের) একটি থলির উপস্থিতি দেখা যায়। একে পিত্তথলি বলে। যার মধ্যে পিত্ত বা পিত্তরস সঞ্চিত থাকে। 
  • অগ্ন্যাশয় বা প্যানক্রিয়াস: এটি অন্তঃক্ষরা ও বহিঃক্ষরা অংশের সমন্বয়ে গঠিত একটি মিশ্র গ্রন্থি। এটি ডিওডেনামের U আকৃতির খাঁজের মধ্যে অনুভূমিকভাবে বিস্তৃত। অগ্ন্যাশয় রসে শর্করা, আমিষ এবং চর্বি জাতীয় খাদ্য পরিপাকের এনজাইম থাকে।
খাদ্য  লালারসের এনজাইম  পাকস্থলী রসে অগ্ন্যাশয় রসে আন্ত্রিক রসে 
কার্বোহাইড্রেট টায়ালিন ও মলটেজ   আইসোমলটেজ ও মলটেজ অ্যামাইলেজ, মলটেজ, সুক্রেজ, ল্যাকটেজ
প্রোটিন   নিষ্ক্রিয় পেপসিনোজেন ও জিলেটিনেজ। পাকস্থলীরের HCl পেপসিনোজেনকে সক্রিয় পেপসিনে পরিণত করে।  নিষ্ক্রিয় ট্রিপসিনোজেন, কার্বোক্সিপেপটিডেজ A ও B, ইলাস্টেজ, কোলাজিনেজ অ্যামাইনো পেপটাইডেজ, ট্রাইপেপটাইডেজ
লিপিড   লাইপেজ বা ট্রাইবিউটারেজ লাইপেজ, ফসফোলাইপেজ ও কোলেস্টেরল এস্টারেজ আন্ত্রিক লাইপেজ, মনোগ্লিসারিডেজ, লেসিথিনেজ

জন্ডিস:

  • রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে (যার স্বাভাবিক পরিমাণ ০.২-০.৮ মি.গ্রা./ডেসিলিটার) জন্ডিস হয়।  
  • যকৃতের প্রদাহকে হেপাটাইটিস বলে। 
  • এটি পাঁচ ধরণের- A, B, C, D, E

রেচনতন্ত্র

রেচনতন্ত্র যা যা নিয়ে গঠিত:

  • বৃক্ক
  • ইউরেটার
  • মূত্রনালী
  • মূত্রথলি

রেচনতন্ত্র দ্বারা দেহের ৮০% রেচন পদার্থ নিষ্কাশিত হয়। বৃক্ক দেখতে অনেক শিমের বীচির মত, যার দৈর্ঘ্য ১০-১২ সে.মি., প্রস্থ ৫-৬ সে.মি. এবং স্থূলতা ৩ সে.মি.। সমগ্র বৃক্ক বোমানস ক্যাপসুল নামক তন্তুময় আবরণে বেষ্টিত। 

  • বৃক্কের বাইরের অংশকে বলে কর্টেক্স (কর্টেক্স অর্থ গাছের বাকল) এবং 
  • অন্তঃস্থ অংশকে বলে মেডুলা। মূত্রথলি প্রায় ৭০০-৭৫০ মি.লি. মূত্র ধারণে সক্ষম।

প্রতিটি বৃক্কের ওজন পুরুষের ক্ষেত্রে ১৫০-১৭০ গ্রাম এবং মহিলার ক্ষেত্রে ১৩০-১৫০ গ্রাম। 

ইউরিয়া মানবদেহের প্রধান নাইট্রোজেনঘটিত বর্জ্য পদার্থ। প্রতিদিন দু’বৃক্কের গ্লোমেরুলাসে ১৭০ লিটার পানি পরিশ্রুত হয়, (প্রতি বৃক্কে ৮৫ লিটার করে) যার ১৬৮.৫ লিটারই আবার পুনঃশোষিত হয়, বাকি ১.৫ লিটার মূত্ররূপে নির্গত হয়। মূত্রে ৯৫% পানি থাকে। মূত্রের pH 5.0-6.5, কিছুটা অম্লীয়

গ্রন্থি 

গ্রন্থি এক ধরনের রূপান্তরিত আবরণী কলা বা টিস্যু। গ্রন্থি দুই প্রকার-  

  • অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি– যেমন- পিটুইটারি, থাইরয়েড, থাইমাস, অ্যাড্রেনাল , শুক্রাশয়, ডিম্বাশয় ইত্যাদি।
  • বহিঃক্ষরা গ্রন্থি- যেমন- সিবেসিয়াস, সেরুমিনাস, স্তন গ্রন্থি, লালা গ্রন্থি, অশ্রু গ্রন্থি, যকৃত ইত্যাদি। মানুষের শরীরের সর্ববৃহৎ গ্রন্থি হল যকৃত।

পিটুইটারী গ্রন্থিকে প্রভু গ্রন্থি বা গ্রন্থি রাজ বলা হয়। কারণ পিটুইটারী গ্রন্থি নিঃসৃত হরমোনের সংখ্যা বেশি এবং অন্যান্য গ্রন্থির উপর এর প্রভাব বেশি।

হরমোন উৎস  কাজ 
গ্রোথ  পিটুইটারী বৃদ্ধি
ক্যালসিটোনিন  থাইরয়েড রক্তে ক্যালসিয়াম নিয়ন্ত্রণ করে 
ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন ডিম্বাশয়  রজঃচক্র নিয়ন্ত্রণ করে 
টেস্টোস্টেরন শুক্রাশয়  পুরুষ সেক্স হরমোন 
গ্লুকাগন  অগ্নাশয়ের অভ্যন্তরের আইলেটস অফ ল্যাঙ্গারহ্যান্স  যকৃতের গ্লাইকোজেনকে গ্লুকোজে পরিণত করে। 
ইনসুলিন অগ্নাশয়ের অভ্যন্তরের আইলেটস অফ ল্যাঙ্গারহ্যান্স রক্তের গ্লুকোজকে গ্লাইকোজেনে পরিণত করে যকৃতে জমা রাখে
অ্যাডরিনালিন অ্যাডরেনাল  আপদকালীন বা সংকটকালীন হরমোন। 

প্রাথমিক চিকিৎসা (First Aid)

  • সাপের কামড়ের ক্ষেত্রে দেখা যায়, ৯৫ শতাংশ সাপই বিষধর নয়। বিষধর সাপের কামড়ের লক্ষণ হলো, 
    • রোগীর শরীর অবশ হয়ে আসবে কিংবা হাত-পা নাড়াতে পারবে না এবং 
    • ক্ষতস্থান থেকে অনবরত রক্ত ঝরতে থাকবে।
  • সাপে কামড়ালে কাপড়ের টুকরো দিয়ে এমনভাবে বাঁধতে হবে, যেন বাঁধনের ভেতর দিয়ে দুটি আঙুল ঢোকানো যায়।
  • হাড় ভাঙলে ভাঙ্গা স্থান কাঠ বা বাঁশ দিয়ে বেঁধে হাসপাতালে নিতে হবে।
  • ওরাল স্যালাইন/ ওরস্যালাইন– পানিশূন্যতা রোধে কার্যকর। এর উপাদান হল– সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্লোরাইড এবং গ্লুকোজের সঙ্গে অল্প পরিমাণ বাইকার্বনেট। আর নরমাল স্যালাইন সোডিয়াম ক্লোরাইডের ০.৯% জলীয় দ্রবণ।