10 Minute School
Log in

কম্পিউটারের ইতিহাস, প্রকারভেদ ও অপারেটিং সিস্টেম (Computer history, types and operating systems)

HISTORY OF COMPUTER (কম্পিউটার আবিষ্কারের ইতিহাস)

  • কম্পিউটার(Computer) এমন একটি যন্ত্র যা তথ্য গ্রহণ করে এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা বিশ্লেষণ এবং উপস্থাপন করে।
  • গ্রিক শব্দ “Compute” (যার অর্থ গণনা করা) থেকে কম্পিউটার শব্দটি এসেছে।
  • পুনরাবৃত্তিক কাজ করার জন্য কম্পিউটার ব্যবহার অধিক সুবিধাজনক।

কম্পিউটারের জনক

  • ১৭৯১ সালের ২৬ ডিসেম্বর লন্ডনে জন্ম গ্রহন করেন ‘কম্পিউটার জনক‘ বলে খ্যাত গণিতবিদ চার্লস ব্যাবেজ
  • চার্লস ব্যাবেজ একাধারে একজন গণিতবিদ, দার্শনিক, আবিষ্কারক এবং যন্ত্রপ্রকৌশলী
  • তিনি ছিলেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক
  • তিনিই সর্বপ্রথম প্রোগ্রামযোগ্য কম্পিউটারের ধারণার সূচনা করেন।
  • প্রথম বেল ল্যাবরেটরীতে ১৮২২ সালে “ডিফারেন্স ইঞ্জিন” নামে তৈরি করেন বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার।
  • ১৮৩৩ সালে “এনালাইটিক্যাল ইঞ্জিন” নামক একটি গণনা যন্ত্র তৈরির পরিকল্পনা করেন এবং নকশা করেন

ADA প্রোগ্রামিং ভাষা

  • বিখ্যাত কবি লর্ড বায়রনের কন্যা অগাস্টা অ্যাডা বায়রন
  • ডাক নাম ছিল ‘কাউন্টেস অফ লাভলেস’ বা ‘অ্যাডা লাভলেস’
  • চার্লস ব্যাবেজ এর আবিষ্কৃত কম্পিউটারের বা ডিফারেন্স মেশিনের জন্য প্রথম প্রোগ্রাম লেখেন।
  • ADA হচ্ছে কম্পিউটার এর প্রথম প্রোগ্রামিং ভাষা।
  • লেডি অ্যাডা আগাস্টার নাম অনুসারে নামকরণ করা হয়।
  • বিশ্বের একমাত্র কম্পিউটার জাদুঘর অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায়।

ব্যাবিলনে অ্যাবাকাস আবিষ্কার

  • খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ অব্দে। 
  • পৃথিবীর প্রথম গণনাযন্ত্রের নাম হলো অ্যাবাকাস। ফ্রেমে সাজানো গুটির স্থান পরিবর্তনের মাধ্যমে এ যন্ত্রে গণনা করা হতো।

স্যালিসব্যারিতে স্টোনহেঞ্জ নির্মাণ

  • খ্রিস্টপূর্ব ২৭০০-২০০০

ইরাটথিনেস

  • খ্রিস্টপূর্ব ২৫০-২৩০
  • মৌলিক সংখ্যা খোঁজার বিশেষ উপায় উদ্ভাবন।

লগারিদম আবিষ্কার

  • ১৬১৪ সালে স্কটিশ গণিতবিদ জন নেপিয়ার গুণ ও ভাগ কাজে সহায়তার জন্য কাঠি দিয়ে এক ধরনের যন্ত্র আবিষ্কার করেন। এতে দাগ কাটা ও সংখ্যা বসানোর জন্য কাঠি ব্যবহার করা হয়।

প্যাস্কালেন 

  • প্রথম যান্ত্রিক যোগযন্ত্র।
  • ১৬৪২ সালে ব্লেইজ প্যাস্কেল (Blaise Pascal) নামের এক ফরাসি বিজ্ঞানী এই যান্ত্রিক গণনা যন্ত্রটি তৈরি করেন। এই যন্ত্রটির নাম ছিল প্যাস্কালেন

বিশ্বের প্রথম যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর

  • ১৬৭১ সালে এক জার্মান গণিতবিদ গটফ্রাইড ভন লিবনিৎস (Gottfried Von Leibniz) প্যাঙ্কালের যন্ত্রের ভিত্তিতে আরও উন্নত যান্ত্রিক গণনাযন্ত্র তৈরি করেন।

পাঞ্চকার্ড ব্যবহার শুরু

  • ১৮০১ সালে ফ্রান্সের জোসেফ মেরী জেকার্ড পাঞ্চকার্ড ব্যবহার শুরু করেন এর বহুল ব্যবহার হয় বস্ত্রশিল্পের নকশা প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণে।

অ্যারিথোমিটার

  • ১৮২০ সালে সর্বপ্রথম বাণিজ্যিক ক্যালকুলেটরের প্রবর্তন করেন টমান দ্য কলমার

ডিফারেন্স ইঞ্জিন ও অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন

  • ১৮২২ – ১৮৩৩ 
  • কাজ পরিচালনার জন্য থাকবে পর্যায়ক্রমিক প্রোগ্রাম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। চার্লস ব্যাবেজ ১৮২২ সালে বেল ল্যাবরেটরিতে লগারিদম হিসাবসহ গাণিতিক হিসাবের জন্য ডিফারেন্স ইঞ্জিন উদ্ভাবন করেন এবং ১৮৩৩ সালে‘অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন’ এর নকশা প্রণয়ন করেন।

প্রথম প্রোগ্রামিং এর ধারণা

  • ১৮৩৪ -১৮৪৩
  • অগাস্টা অ্যাডা বায়রন চার্লস ব্যাবেজ আবিস্কৃত কম্পিউটারের বা ডিফারেন্সমেশিনের জন্য প্রথম প্রোগ্রাম লেখেন।

সেন্সাস (Census) মেশিন

  • ১৮৮৭ –১৮৯০
  • ড. হারম্যান হলেরিথ ১৮৮৭ সালে মেশিনের সাহায্যে পাঠযোগ্য Concept-এর ভিত্তিতে ‘সেন্সস মেশিন’ নামে একটি যন্ত্রের নকশা প্রণয়ন করেন।

বায়ুশূন্য টিউব

  • ১৯০৪-১৯০৬
  • ভ্যাকুয়াম টিউব আবিষ্কার করেন জন ফ্লেমিং ও লি দ্যা ফরেস্ট

নন-প্রোগ্রামেবল নন-পারপাস ABC Computer 

  • ১৯৩৭
  • ইলেকট্রনিক কম্পিউটারের চিন্তা প্রথম শুরু করেন পদার্থবিদ্যা ও গণিতের অধ্যাপক ড. জন ভিনসেন্ট অ্যাটানাসফ। 
  • ১৯৩৭ সালের মধ্যে ইলেকট্রনিক কম্পিউটার তৈরি করেন। যন্ত্রটির নাম রাখা হয় Atanasoff-Berry Computer, সংক্ষেপে এবিসি (ABC)

MARK-1 আবিষ্কার ১৯৪৪

প্রথম পূর্ণাঙ্গ কম্পিউটার ENIAC

  • ১৯৪৬ পেনসেলভিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মুর স্কুল অব ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক জন মুসলি (John W. Mauchly) এবং তার ছাত্র প্রেসপার একার্ট ১৯৩৯ সাল থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত নিরলস পরিশ্রম করে এনিয়াক (Electronic Numerical Integrator and Computer-ENIAC) নামে একটি কম্পিউটার তৈরি করেন।

প্রথম বাইনারি কম্পিউটার EDVAC

  • ১৯৪৬ সালের মধ্যে মুর স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিজ্ঞানীরা এডভ্যাক EDVAC (Electronic Discrete Variable Automatic Computer) কম্পিউটার তৈরি করেন। এটি সংরক্ষিত প্রোগ্রাম বিশিষ্ট ইলেকট্রনিক কম্পিউটার

EDSAC নির্মাণ

  • ১৯৪৯
  • কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গাণিতিক গবেষণার অধ্যাপক মার্কস উইলকিস এর নেতৃত্বাধীন একদল বিজ্ঞানী এ্যাডস্যাক (EDSAC- Electronic Delay Storage Automatic Calculator) আবিষ্কার করেন।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ পূর্ণরূপ

  • ASSC (MARK-1) Automatic Sequence Control Calculator
  • ABC Atanasoff Berry Computer
  • ENIAC Electronic Numerical Integrator and Computer
  • EDVAC Electronic Discrete Variable Automatic Computer
  • EDSAC Electronic Delay Storage Automatic Calculator
  • UNIVAC Universal Automatic Computer 
  • IC Integrated Circuit

বাংলাদেশে কম্পিউটারের ইতিহাস(Computer history in Bangladesh)

  • ১৯৬৪ সালে প্রথম IBM-1620 মডেলের মেইনফ্রেম কম্পিউটার পরমাণু শক্তি কেন্দ্র, ঢাকাতে স্থাপন করা হয়।
  • ১৯৯১ সালে বাংলা ভাষায় প্রথম কম্পিউটার বিষয়ক মাসিক পত্রিকা *কম্পিউটার জগৎ* প্রকাশিত হয়।
  • ১৯৯৬ সালে প্রথম ইন্টারনেট চালু হয়।
  • বাংলাদেশে একমাত্র সুপার কম্পিউটার আছে কম্পিউটার কাউন্সিল ল্যাবে। এর মডেল IBM RS/6000 SP
  • বাংলাদেশে ইন্টারনেট ভিত্তিক প্রথম নিউজ এজেন্সি – বিডি নিউজ

কম্পিউটারের প্রকারভেদ

গঠন ও কাজের উপর ভিত্তিতে কম্পিউটার তিন ধরনের

  1. এনালগ কম্পিউটার
  2. ডিজিটাল কম্পিউটার
  3. হাইব্রিড কম্পিউটার

অ্যানালগ কম্পিউটার (Analog Computer)

  • অ্যানালগ শব্দটি এসেছে “Analogous” শব্দ থেকে যার আভিধানিক অর্থ হচ্ছে সদৃশ।
  • অ্যানালগ কম্পিউটারে বর্ণ এবং সংখ্যার ক্রমাগত বদলের কারণে এতে পরিবর্তনশীল সংকেত বা অ্যানালগ সিগন্যাল ব্যবহার করা হয়।
  • বৈদ্যুতিক তরঙ্গকে অ্যানালগ কম্পিউটারের ইনপুট হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
  • অ্যানালগ সংকেতের মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পর্যায়ক্রমিকভাবে উঠানামা করা।
  • এনালগ কম্পিউটারের ডেটা প্রক্রিয়াকরণের জন্য অপারেশনাল অ্যামপ্লিফায়ার (Operational Amplifier OP-AMP) ব্যবহৃত হয়। 

ডিজিটাল কম্পিউটার (Digital Computer)

  • ডিজিটাল কম্পিউটারের ডিজিটাল কথাটি Digit শব্দ হতে উৎপত্তি, যার অর্থ অংক।
  • বিদ্যুৎ প্রবাহ চালু হলে ‘1’ এবং বন্ধ হলে ‘O’ এ প্রক্রিয়ায় কার্য সম্পন্ন হয়ে থাকে।

হাইব্রিড কম্পিউটার (Hybrid Computer)

  • যে কম্পিউটার অ্যানালগ ও ডিজিটাল উভয় কম্পিউটারের নীতির সমন্বয়ে গঠিত তাকে হাইব্রিড কম্পিউটার বলে।
  • এই কম্পিউটারে সাধারণত উপাত্ত সংগৃহীত হয়।
  • অ্যানালগ প্রক্রিয়ায় এবং সংগৃহীত উপাত্ত সংখ্যায় রূপান্তরিত করে ডিজিটাল অংশে প্রেরণ করা হয়।

ডিজিটাল কম্পিউটারের প্রকারভেদ

মাইক্রো কম্পিউটার

  • বিশ্ববিখ্যাত আই.বি.এম. কোম্পানি 1981 সালে একক ব্যবহারকারীর উপযোগী মাইক্রো কম্পিউটার বাজারে ছাড়ে।
  • ক্ষুদ্রাকৃতির মাইক্রোপ্রসেসর দিয়ে তৈরি বলেই একে মাইক্রো কম্পিউটার বলা হয়।
  • মাইক্রো কম্পিউটারকে পার্সোনাল কম্পিউটার বা সংক্ষেপে পিসি বলা হয়।

ল্যাপটপ কম্পিউটার

  • ওজনে হালকা, ছোট আকারের, সহজে বহনযোগ্য কম্পিউটার হলো ল্যাপটপ কম্পিউটার
  • এতে এসি বিদ্যুতের পাশাপাশি ব্যাটারিতে চলার উপযোগী ব্যবস্থা আছে।
  • ইচ্ছে করলে সাথে আলাদা মনিটর, কী বোর্ড, মাউস ইত্যাদি সংযোগ দেয়া যায়।
  • ১৯৮১ সালে “Epson” কোম্পানি প্রথম Laptop Computer প্রবর্তন করে।
  • ডেস্কটপের চেয়ে অনেক বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। 
  • মাউসের পরিবর্তে টাচ-প্যাড ব্যবহার করা হয়।

পামটপ কম্পিউটার

  • হাতের তালুতে রেখে ব্যবহারযোগ্য সীমিত ক্ষমতার ছোট আকারের কম্পিউটার হলো পামটপ কম্পিউটার
  • টাচ স্ক্রিনে ব্যবহারের জন্য মাউসের পরিবর্তে বিশেষ কলম বা টাচ পেন ব্যবহার করা হয়

ট্যাবলেট পিসি বা ট্যাব

  • বড় স্ক্রীনযুক্ত মোবাইলের ন্যায় বহনযোগ্য কম্পিউটার।
  • ট্যাবলেট পিসিতে ভয়েস ইনপুট ব্যবস্থা থাকে যার সাহায্যে ব্যবহারকারী কথা বলার মাধ্যমে কম্পিউটারে নির্দেশ বা ডেটা ইনপুট করতে পারেন।

Desktop Computer

  • টেবিলে স্থাপন করা হয়। ব্যবহারের সময় বিদ্যুৎ Supply থাকতে হয়। কোন ব্যাটারি থাকে না। অফিস আদালতে এই ধরনের কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।

ওয়ার্ক স্টেশন

  • মাইক্রো কম্পিউটারের চেয়ে অপেক্ষাকৃত দ্রুততর কম্পিউটার হলো ওয়ার্ক স্টেশন
  • সার্ভারের সাথে সংযুক্ত কম্পিউটারকে বলা হয় ওয়ার্ক স্টেশন
  • ভিডিও সম্পাদনা, এনিমেশন তৈরি, সিমুলেশন প্রভৃতি কাজে ওয়ার্ক স্টেশনের ব্যবহার দেখা যায়।
  • সান Ultra-60 একটি জনপ্রিয় ওয়ার্ক স্টেশন মডেল।

মিনি কম্পিউটার

  • মিনি কম্পিউটারে কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অংশের জন্য সাধারণত একক বোর্ড বিশিষ্ট বর্তনী ব্যবহার করা হয়।
  • মাইক্রোকম্পিউটারের তুলনায় মিনি কম্পিউটার অনেক বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন এবং এই জন্য মিনি কম্পিউটার বিভিন্ন ধরনের জটিল কাজে ব্যবহার করা যায়।
  • মিনি কম্পিউটারকে বলা হয় মধ্যম সারির কম্পিউটার।
  • প্রথম মিনি কম্পিউটার- পিডিপি-১। ট্রানজিস্টার ভিত্তিক প্রথম মিনি কম্পিউটার- পিডিপি-৮।

মেইনফ্রেম কম্পিউটার

  • মেইনফ্রেম কম্পিউটারে সব ধরনের পেরিফেরাল ব্যবস্থা, সব রকম হাই লেভেল ভাষা ও সব ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করা যায়।
  • এগুলো I/O ব্যবস্থায় প্রতি সেকেন্ডে কয়েক লক্ষ বাইট ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে।
  • মেইনফ্রেম কম্পিউটার পরিচালনা করতে বিশেষজ্ঞ অপারেটর প্রয়োজন হয়।

সুপার কম্পিউটার 

  • সুপার কম্পিউটার সবচেয়ে দ্রুতগতি সম্পন্ন কম্পিউটার।
  • এক একটি সুপার কম্পিউটার প্রতি সেকেন্ডে এক ট্রিলিয়ন হিসাব করতে পারে।

কম্পিউটার প্রজন্ম বা জেনারেশন

  • কম্পিউটার জেনারেশন বা প্রজন্ম বলতে এর প্রযুক্তিগত বিবর্তনকেই বোঝানো হয়।
  1. প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটার (১৯৪৬-১৯৫৯)
  2. দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার (১৯৫৯-১৯৬৫)
  3. তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার (১৯৬৫-১৯৭১)
  4. ৪র্থ প্রজন্মের কম্পিউটার (১৯৭১- বর্তমান)
  5. পঞ্চম ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কম্পিউটার (১৯৮২-বর্তমান)

প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটার (১৯৪৬-১৯৫৯)

  • আকারে খুবই বড়।
  • বায়ুশূন্য টিউবের ব্যবহার।
  • সীমিত তথ্য ধারণ ক্ষমতা।
  • উচ্চ শব্দ ও উত্তাপ সমস্যা।
  • প্রথমে মেশিন ভাষা, তারপর এ্যাসেম্বলি ভাষার ব্যবহার।
  • আইবিএম ১৯৪৪ সালে মার্ক-১ নামে পৃথিবীর প্রথম স্বয়ংক্রিয় গণনাযন্ত্র বাজারজাত করে।

দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার (১৯৫৯-১৯৬৫)

  • আকৃতির সংকোচন।
  • ভ্যাকুয়াম টিউবের পরিবর্তে ট্রানজিস্টরের ব্যবহার।
  • প্রথম ডিস্ক ড্রাইভ কম্পিউটার তৈরি (আইবিএম কোম্পানি)।
  • প্রধান স্মৃতি হিসেবে চৌম্বক কোর স্মৃতি ব্যবহার। 
  • টিউবের তাপ সমস্যার অবসান ।
  • হাই লেভেল ভাষা FORTRAN, COBOL ভাষার প্রচলন শুরু হয়।

তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার (১৯৬৫-১৯৭১)

  • একীভূত বর্তনী বা IC এর ব্যবহার । IC Si (সিলিকন) দ্বারা তৈরি;
  • IC চিপ দিয়ে তৈরি প্রথম ডিজিটাল কম্পিউটার হলো IBM 360।
  • অর্ধপরিবাহী স্মৃতির ব্যবহার (RAM, ROM এর ব্যবহার শুরু)।
  • উচ্চতর ভাষার ব্যাপক ব্যবহার। সেমিকন্ডাক্টর মেমোরির ব্যবহার।
  • ১৯৬৮ সালে বারোস কোম্পানি IC ভিত্তিক কম্পিউটার B2500 এবং B3500 এর উপস্থাপন করেন।

৪র্থ প্রজন্মের কম্পিউটার (১৯৭১- বর্তমান)

  • মাইক্রো প্রসেসর ব্যবহার, কম্পিউটারের আকার হ্রাস এবং তথ্য ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি।
  • প্যাকেজ প্রোগ্রামের ব্যবহার।
  • প্রথম মাইক্রোপ্রসেসর ইনটেল-৪০০৪। 
  • মাইক্রো কম্পিউটারের জনক হলেন এডওয়ার্ড রবার্ট ।
  • বহুমুখী ইনপুট ও আউটপুট যন্ত্রের ব্যবহার।
  • VLSI (Very Large-Scale Integration) এবং LSI (Large-Scale Integration) টেকনোলজির ব্যবহার শুরু।
  • মাল্টিপ্রসেসর সিস্টেমের আবির্ভাব।

পঞ্চম ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কম্পিউটার (১৯৮২-বর্তমান)

  • তথ্য ধারণ ক্ষমতার ব্যাপক উন্নতি।
  • উন্নত মানের Operation System.
  • VLSI এর ব্যাপক ব্যবহার, কিছু ক্ষেত্রে VLSI পরিবর্তিত হয়ে ULSI (Ultra Large Scale Integration) হয়েছে। 
  • এর ফলে মাইক্রোপ্রসেসরে দশ মিলিয়নের বেশি ইলেক্ট্রিক্যাল কম্পোনেন্ট ইন্ট্রিগেশন করা সম্ভব হয়েছে। 
  • SOFTWARE এর উন্নতি।
  • শ্ৰবণযোগ্য শব্দ দিয়ে কম্পিউটারের সাথে সংযোগ, কণ্ঠস্বর সনাক্তকরণ এবং সফল ভাষায় কম্পিউটিং।
  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এর ব্যবহার।
  • লজিক সার্কিটগুলোতে ফাইবার অপটিক Cable ব্যবহার ।
  • উচ্চ গতি সম্পন্ন মাইক্রোপ্রসেসরের ব্যবহার।
  • সব হাই-লেভেল ল্যাঙ্গুয়েজ যেমন C, C++, Java ইত্যাদি এর ব্যবহার।

EMBEDDED COMPUTER

  • এমবেডেড সিস্টেম হলো এমন একটি কম্পিউটার ব্যবস্থা যা মেকানিক্যাল বা ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেমে কোন বিশেষ কাজ সম্পাদন করার জন্য বিশেষভাবে নিয়োজিত একটি প্রোগ্রাম চালনা করে।
  • Embedded system এ ব্যবহৃত Hardware হলো Micro chips, integrated circuit অথবা অন্য কোন পেরিফেরাল ইন্টারফেস।

ব্যবহার

  • দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে, শিল্প ক্ষেত্রে চিকিৎসা ক্ষেত্রে,ব্যবসায়িক এবং সামরিক ক্ষেত্রে এমবেডেড সিস্টেম এর বহুল ব্যবহার রয়েছে। 
  • ১৯৬৬ সালের অ্যাপোলো-৭ ও ১৯৬৯ সালের অ্যাপেলো-১১ এর চন্দ্র পৃষ্ঠে অবতরণ পূর্ণ মডিউলে এমবেডেড কম্পিউটার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল।

OPERATING SYSTEM

  • কম্পিউটারের ক্ষেত্রে অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে ব্যবহারকারীর নির্দেশ অনুযায়ী কম্পিউটারের অভ্যন্তরে হার্ডওয়্যার বা এপ্লিকেশন প্রোগ্রামগুলোর মধ্যে কাজের সমন্বয় সাধন করে সমগ্র কাজ পরিচালনার জন্য তৈরি প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার।
  • পিসিতে অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার শুরু হয় ১৯৭১ সালে।

MS-DOS

  • Microsoft Disk Operating System MS-DOS এটি হচ্ছে IBM ও IBM পিসি কম্পাটিবল কম্পিউটারের একক ব্যবহারকারীদের জন্য আদর্শ অপারেটিং সিস্টেম।

Mac-OS

  • এটি একটি অপারেটিং সিস্টেম । Macintosh Operating System বা Mac OS।
  • কেবল Apple Computer Inc. এর তৈরি Apple Macintosh কম্পিউটারগুলোতেই ব্যবহৃত হয়। এটি একটি চিত্রভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম।

Mac OS/2

  • Macintosh Operating System/2 2009 MS-DOS এর উন্নত সংস্করণ যা আইবিএম এর নতুন প্রজন্মের কম্পিউটার পার্সোনাল সিস্টেম-২ এর জন্য তৈরি করা হয়। এটি একটি মাল্টিটাস্কিং (Multitasking) বা একসঙ্গে একাধিক কাজের উপযোগী প্রোগ্রাম

উইন্ডোজ:

  • উইন্ডোজ হলো বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম। MS-DOS এর সহায়তায় পরিচালিত উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমটির জনপ্রিয়তার কারণ হচ্ছে এর সুন্দর graphical ইন্টারফেস এবং ব্যবহারকারীর সাথে বন্ধুভাবাপন্নতা (User friendly)।
  • উইন্ডোজ ৯৫/৯৮ সিস্টেমটি ১৯৯৫ সালের ২৪ আগস্ট মাইক্রোসফট কোম্পানী, বাজারজাত করে।
  • এটি একটি ৩২ বিটের স্বয়ংসম্পূর্ণ অপারেটিং সিস্টেম।
  • উইন্ডোজ ৯৫/৯৮ চালানোর জন্য DOS এর প্রয়োজন হয়।
  • উইন্ডোজের ১ম ভার্সন ১৯৮৫ সালের ২০ নভেম্বর বের হয় ।

লিনাক্স

  • লিনাক্সকে মুক্ত সোর্স ও মুক্ত সফটওয়্যার ধারার একটি আদর্শ উদাহরণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  • লিনাক্স সম্পূর্ণ ফ্রী একটি কার্নেল।
  • প্রায় সকল কম্পিউটিং সিস্টেমের জন্যই আলাদা ডিস্ট্রো রয়েছে।
  • লিনাক্সের অনেকগুলো সুবিধা থাকলে ও এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এটি খুবই নিরাপদ।
  • লিনাক্স ডিস্ট্রোগুলো সম্পূর্ণ ফ্রী ব্যবহার করতে পারবেন।
  • লিনাক্সের যেকোনো সমস্যা এমনিতেই সমাধান করা সম্ভব, এতে একদমই আপনার কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম রি-ইন্সটল করতে হবে না।