10 Minute School
Log in

কম্পিউটার পেরিফেরালস ও কম্পিউটার আর্কিটেকচার(পর্ব- ৩)

পোর্ট (Port)

  • কম্পিউটারে পোর্ট হলো এক ধরনের পয়েন্ট বা সংযোগমুখ। কম্পিউটারের সিস্টেম ইউনিটের সাথে কী-বোর্ড, মাউস, স্পীকার, স্ক্যানার ইত্যাদি যন্ত্রের সংযোগ পয়েন্ট থাকে। এই সংযোগ পয়েন্টকে বলা হয় পোর্ট।

মেল প্লাগ (Male plug)

  • যে প্লাগে পিন লাগানো থাকে তাকে বলে মেল প্লাগ

ফিমেল প্লাগ (Female plug)

  • যে প্লাগে ছিদ্র থাকে তাকে বলা হয় ফিমেল প্লাগ (Female plug)

সংযোগের প্রকৃতি অনুসারে পোর্ট বিভিন্ন ধরনের :

  1. প্যারালাল পোর্ট,
  2. সিরিয়াল পোর্ট,
  3. ইউএসবি পোর্ট,
  4. মনিটর পোর্ট,
  5. কী-বোর্ড পোর্ট,
  6. নেটওয়ার্কিং পোর্ট,
  7. অডিও পোর্ট,
  8. ভিডিও পোর্ট,
  9. গেম পোর্ট
  10. মাউস পোর্ট ইত্যাদি।

প্যারালাল পোর্ট:

  • যে সমস্ত পোর্টে তথ্য সমান্তরালভাবে আদান-প্রদান করতে পারে তাকে প্যারালাল পোর্ট বলে।
  • এই পোর্টের সূচনা হয় প্রিন্টার ব্যবহারের জন্য।
  • এর নাম হয় প্রিন্টার পোর্ট
  • এর লজিক্যাল নাম LPT (Line Print Terminal)

এই ধরনের পোর্টে তিনটি পৃথক রেজিস্টার থাকে। যথা-

  1. ডেটা রেজিস্টার ;
  2. স্ট্যাটাস রেজিস্টার ;
  3. কন্ট্রোল রেজিস্টার ।

 সিরিয়াল পোর্ট :

  • যে পোর্টের মধ্য দিয়ে ডেটাসমূহ এক বিট এক বিট করে চলাচল করতে পারে তাকে সিরিয়াল পোর্ট বলে।
  • এটি কম্পিউটারের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ পোর্ট।
  • প্যারালাল পোর্টের তুলনায় এই পোর্টে ডেটা চলাচলের গতি কম।
  • যে সব ডিভাইসের মধ্য দিয়ে ডেটাসমূহ সিরিয়াল পদ্ধতিতে চলাচল করে তাকে সিরিয়াল কমিউনিকেশন ডিভাইস বলে।
  • আই.বি.এম. কম্প্যাটেবল কম্পিউটারে ২৫-পিন অথবা ৯-পিন-এর ডি-টাইপ কানেক্টর ব্যবহৃত হয়।

ইউএসবি পোর্ট :

  • U.S.B. Port-এর পূর্ণ অর্থ হচ্ছে Universal Serial Bus port সিস্টেম ইউনিটের সাথে ইউএসবি বাস ও ইউএসবি সাপোর্টেড ডিভাইসসমূহের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার জন্য মাদার বোর্ডের সাথে যে পোর্ট ব্যবহার করা হয় তাকে ইউএসবি পোর্ট বলা হয় ।

মনিটর পোর্ট :

  • মনিটর পোর্টের সাহায্যে কম্পিউটারে সিপিইউ-এর সাথে মনিটর যুক্ত করা হয়। 

কী-বোর্ড পোর্ট :

  • সিস্টেম ইউনিটের পেছনের প্রান্তে ৫-পিন বিশিষ্ট DIN পোর্টের মাধ্যমে কী-বোর্ডকে কম্পিউটারের সাথে সংযোগ দেওয়া হয়।
  • বর্তমানে PS/2 টাইপের কী-বোর্ড পোর্ট ব্যবহৃত হয়। এই জন্য মাদারবোর্ডে ৫-পিনের সিরিয়াল পোর্টের পাশাপাশি ৬-পিনের বিশেষ সিরিয়াল PS/2 পোর্টও থাকে। এতে ৬-পিন বিশিষ্ট DIN কালেক্টর ব্যবহৃত হয়।

নেটওয়ার্কিং পোর্ট:

  • পিসিতে নেটওয়ার্কিং-এর জন্য নেটওয়ার্কিং কার্ড ব্যবহার করা হয়। যেমন- LAN Card.

অডিও পোর্ট :

  • মাল্টিমিডিয়া পিসিতে ফোন এবং মাইক্রোফোন উভয় ধরনের পোর্টই যুক্ত থাকে। অডিও ইন করার জন্য অডিও পোর্ট, অডিও আউট করার জন্য অডিও আউট বা স্পিকার পোর্ট ব্যবহার করা হয় ।

 ভিডিও পোর্ট:

  • মাল্টিমিডিয়া পিসিতে ভিডিও-এর জন্য আলাদা কার্ড ব্যবহার করা হয়। ভিডিও ইন বা আউটপুট পোর্ট ব্যবহার করা হয় ।

গেম পোর্ট :

  • কম্পিউটারে গেম যথার্থ উপভোগ করার জন্য ব্যবহার করা হয় জয়স্টিক নামে একটি ডিভাইস। এই ডিভাইস ব্যবহারের জন্য মাদারবোর্ডের সাথে যে পোর্ট থাকে তাকেই বলে গেম পোর্ট

মাউস পোর্ট : 

  • পার্সোনাল কম্পিউটারে ব্যবহৃত মাউস পোর্টসমূহ সাধারণত সিরিয়াল পোর্টের অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে। সাধারণত ৯-পিন-এর সিরিয়াল পোর্টের সাথে মাউসের সংযোগ দেওয়া হয়। পার্সোনাল কম্পিউটারে PS/2 টাইপের পোর্ট ব্যবহৃত হয়।
  • প্রাণীদেহের সাথে কম্পিউটারের তুলনা করলে বলা যায়, কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার হচ্ছে দেহ আর সফটওয়্যার হচ্ছে প্রাণশক্তি।
  • কম্পিউটার সফটওয়্যার বলতে একগুচ্ছ কম্পিউটার প্রোগ্রাম, কর্মপদ্ধতি ও ব্যবহারবিধিকে বোঝায়, যার সাহায্যে কম্পিউটারে কোনো নির্দিষ্ট প্রকারের কাজ সম্পাদন করা যায়।
  • অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকারের সফটওয়্যার চালানো ও সার্বিকভাবে কম্পিউটার পরিচালনার জন্য এক প্রকারের সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলিকে বলা হয় অপারেটিং সিস্টেম।

অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার

  • প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রকারের সফটওয়্যার তৈরি করা হয় যা অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার নামে পরিচিত।

সফটওয়্যার প্রধানত ২ প্রকার-

  1. সিস্টেম সফটওয়্যার/ অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার
  2. এপ্লিকেশন সফটওয়্যার
  • সিস্টেম সফটওয়্যার/ অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার/ OS।
  • সিস্টেম সফটওয়্যার একটি কম্পিউটার সফটওয়্যার যেটার নকশা করা হয়েছে কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারকে পরিচালনা করার জন্য এবং অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারগুলোকে কাজ করার উপযোগী পরিবেশ প্রদানের জন্য।

উদাহরণ:

  1. উইন্ডোজ
  2. ম্যাক
  3. ইউনিক্স
  4. লিনাক্স (মুক্ত অপারেটিং সিস্টেম) 

অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার

  • এপ্লিকেশন সফটওয়্যার তৈরি করা হয় ব্যবহারকরীর চাহিদা অনুযায়ী নির্দিষ্ট কাজ করার জন্যকম্পিউটারের আরও কিছু সফটওয়্যার-

BIOS (Basic Input/Output System) 

  • কম্পিউটার চালু করলে সর্বপ্রথম BIOS কাজ শুরু করে
  • কম্পিউটারের ROM এ BIOS সংরক্ষিত থাকে। BIOS কে ফার্মওয়্যারও বলা হয়। 

বুট (Boot) 

  • এ সময় কম্পিউটারের প্রধান মেমোরি থেকে অপারেটিং সিস্টেমকে RAM এ নিয়ে আসে

Assembler

  • কম্পিউটারের নির্দেশকে 0 এবং ১ এ পরিণত করে।  

কম্পিউটার আর্কিটেকচার 

IPOS cycle= Input, Processing, Output and Storage

কম্পিউটার সিস্টেমের কাজ ৪টি

  1. ইনপুট
  2. প্রসেসিং
  3. আউটপুট
  4. স্টোরেজ

কম্পিউটারে ব্যবহৃত সকল ভৌত যন্ত্রপাতি ও ডিভাইস তিন ভাগে বিভক্ত-

সিপিইউ (CPU)

  • কম্পিউটারের যে অংশ ডেটা প্রক্রিয়াকরণের কাজ করে থাকে, তাকে সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট বলে।
  • কম্পিউটারের কেন্দ্রীয় অংশ হলো সিপিইউ।
  • কম্পিউটারের কাজ করার গতি ও ক্ষমতা সিপিইউ’র উপর নির্ভরশীল।
  • স্মৃতি, ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইসগুলোর কাজ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
  • সিপিইউ কম্পিউটারের ‘ব্রেইন’ ও ‘হৃদপিন্ড’ স্বরূপ।

সিপিইউ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত-

  1. নিয়ন্ত্রণ অংশ বা কন্ট্রোল ইউনিট 
  2. গাণিতিক যুক্তি অংশ বা Arithmetic Logic Unit (ALU)
  3. রেজিস্টার সেট 

নিয়ন্ত্রণ অংশ (Control Unit)

  • এটি রেজিস্টারসমূহ এবং গাণিতিক যুক্তি অংশের মধ্যে ডেটার আদান-প্রদান তদারকি করে এবং গাণিতিক অংশ কী কাজ করবে তার ইন্সট্রাকশন প্রদান করে

গাণিতিক যুক্তি অংশ  (Arithmetic Logic Unit)

  • এটি কম্পিউটারের ইন্সট্রাকশনগুলোর নির্বাহ (Execution) কাজ করার জন্য মাইক্রোঅপারেশনগুলো পালন করে।

রেজিস্টার সেট

  • প্রক্রিয়াকরণের সময় অস্থায়ীভাবে ডেটা সংরক্ষণের জন্য সিপিইউ এর ভিতরে ইলেকট্রনিক সার্কিট দিয়ে গঠিত রেজিস্টারসমূহ প্রয়োজন হয়।

মাইক্রোপ্রসেসর

  • আইসি প্রযুক্তির উন্নতির ধারায় কম্পিউটারের কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অংশের সকল উপাদানকে একটি মাত্র চিপে কেন্দ্রীভূত করা হয়েছে। একে মাইক্রোপ্রসেসর বলে।

VLSI (Very Large Scale Integration)

  • মাইক্রো কম্পিউটারের সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট VLSI প্রযুক্তির মাধ্যমে একীভূত করে মাইক্রো প্রসেসর তৈরি করা হয়
  • মাইক্রো কম্পিউটারের ক্ষমতা মূলত প্রসেসরের উপর নির্ভরশীল।
  •  সি.পি.ইউ এর এই অংশই মূলত কম্পিউটারের ব্রেইন।

মাদারবোর্ড

কম্পিউটারের প্রধান প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ডকে বলা হয়। মাদারবোর্ডকে অনেকে Mainboard বা সিস্টেমবোর্ড ও বলে থাকে।

পাওয়ার সাপ্লাই

মাদার বোর্ডে যুক্ত থাকে যা কেসিং এর সাথেই সংযুক্ত করা হয়ে থাকে। 

  • এটি প্রাপ্ত AC current কে DC current এ পরিণত করে এবং কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। 

অ্যাডাপ্টর

  • Sound Card
  • LAN Card/ Network Interface Card
  • Fax Modem
  • VGA/AGP Card
  • TV Tuner Card/ Tv card
  • Capture Card
  • Jack card
  • USB card