Number System (সংখ্যা পদ্ধতি)
Number System (সংখ্যা পদ্ধতি)
- বিশেষ প্রতীক, মৌলিক চিহ্ন দ্বারা কোনো সংখ্যা প্রকাশ করার পদ্ধতিকে সংখ্যা পদ্ধতি বা number system বলে ।
অংক
- সংখ্যা প্রকাশ করার বিভিন্ন প্রতীক হচ্ছে অংক।
- Number System দুই প্রকার
- নন-পজিশনাল/ অস্থানিক
- পজিশনাল/ স্থানিক
- নম্বর সিস্টেমের ধরন (Types of Number System)
কম্পিউটারে ব্যবহৃত number system তিন ধরনের
- সংখ্যা
- ডিজিটাল লজিক
- কোড।
Number system চার ধরনের
- ডেসিমাল
- বাইনারি
- অকট্যাল
- হেক্সা-ডেসিমাল
বেস বা ভিত্তি
- কোনো সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত মোট অংকের সংখ্যাকে বলে বেস বা ভিত্তি
সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি ( Base of Number System)
- বাইনারি বা দ্বিমিক ২
- দশমিক ১০
- অকট্যাল ৮
- হেক্সাডেসিমাল ১৬
দশমিক | সমতুল্য বাইনারি মান | সমতুল্য অকট্যাল মান | সমতুল্য হেক্সাডেসিমাল মান |
0 | 0 | 0 | 0 |
1 | 1 | 1 | 1 |
2 | 10 | 2 | 2 |
3 | 11 | 3 | 3 |
4 | 100 | 4 | 4 |
5 | 101 | 5 | 5 |
6 | 110 | 6 | 6 |
7 | 111 | 7 | 7 |
8 | 1000 | 10 | 8 |
9 | 1001 | 11 | 9 |
10 | 1010 | 12 | A |
11 | 1011 | 13 | B |
12 | 1100 | 14 | C |
13 | 1101 | 15 | D |
14 | 111- | 16 | E |
15 | 1111 | 17 | F |
16 | 10000 | 20 | 10 |
17 | 10001 | 21 | 11 |
18 | 10010 | 22 | 12 |
19 | 10011 | 23 | 13 |
20 | 10100 | 24 | 14 |
বাইনারি সংখ্যার সুবিধা
- একটি সহজাত গণনা পদ্ধতি।
- কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এ বিভিন্ন ডেটা বা উপাত্ত (যথা: বর্ণ, অঙ্ক, সংখ্যা, চিহ্ন) সংরক্ষণ করা হয় বাইনারি কোডের মাধ্যমে।
- সরলতম সংখ্যা পদ্ধতি।
- বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ করা হয় বিভিন্ন ইলেকট্রনিক/ ইলেকট্রিক্যাল কম্পোনেন্ট এর মাধ্যমে।
- কম্পিউটার কাজ করে ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালের ভিত্তিতে ।
- বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি ব্যতীত অন্যান্য পদ্ধতিতে সার্কিট ডিজাইন তুলনামূলক জটিল ও ব্যয়বহুল ।
- কম্পিউটার সিস্টেমে ব্যবহৃত অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইস যথা-ডিজিটাল ক্যামেরা, ডিজিটাল ফোন ইত্যাদি বাইনারি মোডে কাজ করে । ফলে এগুলো খুব সহজে কম্পিউটারের সাথে ইন্টারফেসিং করা যায়।
অন্যান্য সংখ্যা পদ্ধতি
অকট্যাল
- এই সংখ্যা পদ্ধতিতে গণনার জন্য আটটি অংক বা প্রতীক ব্যবহার করা হয়।
ডেসিমাল
- সংখ্যা গণনার জন্য দশটি সংখ্যা ব্যবহার করা হয়
হেক্সাডেসিমাল
- ষোলটি প্রতীকের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে বলে এই সংখ্যা পদ্ধতিকে বলে হেক্সাডেসিমাল পদ্ধতি
চিহ্নযুক্ত সংখ্যা
- বাইনারি মেশিনগুলোতে অর্থাৎ কম্পিউটারে সংখ্যা আট বিটে বিন্যস্ত হয়।
- কোনো সংখ্যা ছোট হয় অর্থাৎ ৪ বিটের কম হয় তখন ডানদিক থেকে সংখ্যা বসে বামদিকের বাকি ঘর শূন্য (0) দিয়ে পূরণ করে।
- সংখ্যাটি ধনাত্বক নাকি ঋণাত্বক তা বুঝানোর জন্য সাধারণত সংখ্যা প্রকৃত মানের আগে একটি অতিরিক্ত বিট যোগ করা হয়।
- অতিরিক্ত বিটকে চিহ্ন বিট বলে।
- চিহ্ন বিট 0 হলে সংখ্যাটি ধনাত্মক এবং চিহ্ন বিট 1 হলে সংখ্যাটিকে ঋণাত্মক ধরা হয়।
- আর চিহুযুক্ত সংখ্যাকে চিহ্নিত সংখ্যা বা সাইনড নম্বর বলা হয়।
- ধনাত্মক সংখ্যার ক্ষেত্রে চিহ্ন বিট ছাড়া বাকি অংকটি সংখ্যার মান জ্ঞাপন করে।
চিহ্নযুক্ত সংখ্যার গঠন
ঋণাত্মক সংখ্যার ক্ষেত্রে তিনটি গঠন দেখা যায়-
- প্রকৃত মান গঠন
- ১ এর পরিপূরক/1’s complement
- ২ এর পরিপূরক/2’s complement
প্রকৃত মান গঠন
- কোনো সংখ্যার চিহ্নবিট সহ বাইনারি মানকেই প্রকৃত মান বলে।
১ এর পরিপূরক/1’s complement:
- কোনো বাইনারি সংখ্যার ১ এর পরিপূরক বা ১ এর কমপ্লিমেন্ট বলতে ঐ সংখ্যার ১ এর পরিবর্তে ০ এবং ০ এর পরিবর্তে ১ প্রতিস্থাপনকে বোঝায়।
২ এর পরিপূরক/2’s complement:
- ১ এর পরিপূরকের সাথে ১ যোগ করলেই ২ এর পরিপূরক পাওয়া যায়।
লজিক গেট (Logic Gate)
- যেসব ডিজিটাল সার্কিট যুক্তিমূলক সংকেতের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে তাদেরকে লজিক গেট বলে।
মৌলিক লজিক গেট
- OR gate (এখানে আউটপুট ইনপুটগুলোর যৌক্তিক যোগের সমান)
- AND gate (এখানে আউটপুট ইনপুটগুলোর যৌক্তিক গুণফলের সমান)
- NOT gate (এখানে আউটপুট ইনপুট এর বিপরীত মান)
যৌগিক লজিক গেট
সার্বজনীন
- NAND gate (AND gate ও NOT gate এর সমন্বয়ে তৈরি)
- NOR gate (OR gate ও NOT gate এর সমন্বয়ে তৈরি)
বিশেষ
- X-OR gate (Exclusive OR gate)
- X-NOR gate (XOR gate ও NOT gate এর সমন্বয়ে তৈরি)
কোডিং
বর্ণ, অঙ্ক, প্রতীক ও চিহ্নসমূহকে বাইনারিতে রূপান্তরের এ প্রক্রিয়াকে বলা হয় এনকোডিং।
কোড
- কম্পিউটার সিস্টেমে ব্যবহৃত প্রতিটি বর্ণ, অঙ্ক, সংখ্যা, প্রতীক বা বিশেষ চিহৃকে আলাদাভাবে সিপিইউ কে বোঝানোর জন্য বাইনারি বিটের (0 বা 1) বিভিন্ন বিন্যাসের অদ্বিতীয় সংকেত তৈরি করা হয়। এ অদ্বিতীয় সংকেতকে কোড বলা হয়
ডিকোডিং
- কোডের সাহায্যে প্রক্রিয়াকরণ সম্পন্ন করার পর প্রাপ্ত বাইনারি ফলাফলকে মানুষের বোধগম্য করার লক্ষ্যে আবার বর্ণ, অঙ্ক, সংখ্যা ও বিশেষ চিহ্নে রূপান্তর করা হয়। রূপান্তরের এ প্রক্রিয়াকে ডিকোডিং বলে।
- ASCII (American Standard Code for Information Interchange)
বিভিন্ন ধরণের কোড
- BCD Code (Binary Coded Decimal)
- কেবলমাত্র দশমিক প্রতীকগুলোকে কোড করা হয়, এরা 4 বিটের binary কোড।
- Alphanumeric Code
- ২৬ টি অক্ষর A-Z , দশটি অংক 0-9, সাতটি বিরাম চিহ্ন, গাণিতিক চিহ্ন এবং অন্যান্য চিহ্ন যেমন !, @, #, $ ইত্যাদি
- EBCDIC Code (Extended Binary Coded Decimal Information Code)
- ৮ বিটের কোড যা দিয়ে ২৫৬টি অংক, অক্ষর বা চিহ্ন প্রকাশ করা যায়। প্রাথমিকভাবে এটি IBM 360 & IBM 370 সিরিজের কম্পিউটারে ব্যবহার করা হতো।
- ASCII Code (American Standard Code for Information Interchange)
- ১৯৬৫ সালে রবার্ট বিমার ৭বিটের ASCII কোড উদ্ভাবন করেন। মিনি ও মাইক্রো কম্পিউটারে এর অধিক প্রচলন রয়েছে। এটি দ্বারা মোট ১২৮টি Unique চিহ্ন নির্দিষ্ট করা যায়। এর ৭ বিটের প্রথম ৩টিকে জোন বিট এবং পরের ৪ টিকে নিউমেরিক বিট বলে। ৮ বিটের আসকি কোডকে ASCII-8 বলে।
- Unicode (Universal Code)
- এটি ১৬ বিট বা ২ বাইটের সার্বজনীন কোড। এর মাধ্যমে ৬৫৫৩৬টি unique চিহ্ন প্রকাশ করা যায়। ১৯৯১ সালে Apple Computer Co. এবং Xerox Co. যৌথভাবে ইউনিকোড উদ্ভাবন করেন।
Unicode এর সুবিধাসমূহ হলো-
- এটি ১৬ বিটবিশিষ্ট কোড, এর মাধ্যমে ৬৫৫৩৬টি unique চিহ্ন প্রকাশ করা যায়
- বিশ্বের সকল ভাষাকে কম্পিউটারের কোডভুক্ত করা যায়
- ইউনিকোড থেকে অন্যান্য স্ট্যান্ডার্ড কোডে সহজে রূপান্তর করা যায়