ডেটা ট্রান্সমিশন দক্ষতা ও পদ্ধতিসমূহ (Data Transmission Skills & Mode)
ডেটা ট্রান্সমিশন দক্ষতা (Data Transmission Skills)
ডেটা ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে প্রকৃত ডেটার পরিমাণ ও মোট ডেটার পরিমাণের অনুপাতকে ডেটা ট্রান্সমিশন দক্ষতা বলে। একে শতকরায় প্রকাশ করা হয়।
অর্থাৎ, ডেটা ট্রান্সমিশন দক্ষতা =\frac{প্রকৃত\; ডেটা}{মোট\; ডেটা}\times ১০০%
এখানে, প্রকৃত ডেটা = যে পরিমাণ ডেটা বিট প্রেরণ করা হবে
মোট ডেটা = প্রকৃত ডেটা ও ওভারহেড ডেটা বিটের সমষ্টি
Asynchronous Transmission :
ধরি, ৫ কিলোবাইট ডেটা প্রেরণে ডেটা ট্রান্সমিশন দক্ষতা নির্ণয় করতে হবে।
অতএব, প্রকৃত ডেটা = ৫ কিলোবাইট =(৫\times১০০০) বাইট=(৫০০০\times৮) বিট=৪০০০০ বিট
এখন, এসিনক্রোনাস পদ্ধতিতে, প্রতি ৮ বিট ডেটা প্রেরণে ১টি স্টার্ট বিট ও ২টি স্টপ বিট যুক্ত করতে হয়।
অর্থাৎ, প্রতি ৮ বিট ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য ওভারহেড বিট প্রয়োজন = ৩ বিট
∴ ৪০০০০ বিট ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য মোট ওভারহেড বিট প্রয়োজন, ৪০০০০ \times \frac{৩}{৮}\\ =১৫০০০ বিট
অতএব, মোট ডেটা = প্রকৃত ডেটা + ওভারহেড ডেটা = ৪০০০০ + ১৫০০০ = ৫৫০০০ বিট
সুতরাং, এসিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশন দক্ষতা = \frac{৪০০০০}{৫৫০০০}\times ১০০%=৭২.৭৩%
Synchronous Transmission :
ধরি, ৫ কিলোবাইট ডেটা প্রেরণে ডেটা ট্রান্সমিশন দক্ষতা নির্ণয় করতে হবে।
অতএব, প্রকৃত ডেটা = ৫ কিলোবাইট =(৫\times১০০০) বাইট=(৫০০০\times ৮) বিট=৪০০০০ বিট
এখন, সিনক্রোনাস পদ্ধতিতে ধরা যাক, ব্লক সাইজ =৮০ বাইট=(৮০\times৮) বিট=৬৪০ বিট
এবং প্রতি ব্লক ডেটা প্রেরণের জন্য ২ বাইট হেডার ও ২ বাইট ট্রেলার প্রয়োজন হয়
অর্থাৎ, প্রতি ৬৪০ বিট ডেটা প্রেরণে ওভারহেড বিট প্রয়োজন = ৪ বাইট =(৪\times৮) বিট=৩২ বিট
∴ ৪০০০০ বিট ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য মোট ওভারহেড বিট প্রয়োজন, =৪০০০০ \times \frac{৩২}{৬৪০}=২০০০ বিট
অতএব, মোট ডেটা = প্রকৃত ডেটা + ওভারহেড ডেটা = ৪০০০০ + ২০০০ = ৪২০০০ বিট
সুতরাং, সিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশন দক্ষতা =\frac{৪০০০০}{৪২০০০}\times ১০০%=৯৫.২৪%
Data Transmission Mode
এক ডিভাইস হতে অন্য ডিভাইসে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ডেটা প্রবাহের দিককে Data Transmission Mode বলে। ট্রান্সমিশন মোড মূলত তিন প্রকার –
- Unicast Mode
- Broadcast Mode
- Multicast Mode
Unicast Mode :
এই ট্রান্সমিশন ব্যবস্থায় শুধুমাত্র একজন প্রেরক ও একজন প্রাপকের মধ্যে ডেটা আদান-প্রদান হয় তাকে Unicast Mode বলে। এই ধরণের ট্রান্সমিশন মোড আবার তিন প্রকার –
- Simplex : এই ধরণের ট্রান্সমিশনে কেবলমাত্র একদিকে ডেটা পাঠানো যায়। অর্থাৎ একজন প্রেরক ডেটা প্রেরক শুধু ডেটা প্রেরণ করতে পারে এবং একজন প্রাপক সে ডেটাটি কেবল গ্রহণই করতে পারে। যেমন – টেলিভিশন, রেডিও ইত্যাদি।
- Half Duplex : এই ধরণের ট্রান্সমিশনে প্রেরক ও প্রাপক উভয়দিকেই ডেটা পাঠানো কিন্তু তা একই সময়ে ট্রান্সমিট করা যায় না। যেমন – ওয়াকিটকি ।
- Full Duplex : এই ধরণের ডেটা ট্রান্সমিশনে প্রেরক ও প্রাপক উভয়দিক থেকেই একই সময়ে যুগপৎ ডেটা স্থানান্তর করা যায়। যেমন – মোবাইল, টেলিফোন ইত্যাদি।
Broadcast Mode :
এই ট্রান্সমিশন মোডে একটি ডিভাইস থেকে ডেটা প্রেরণ করলে ঐ নেটওয়ার্কের অন্তর্গত সকল ডিভাইসই সে ডেটা গ্রহণ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় টেলিভিশন সম্প্রচার কেন্দ্র থেকে কোনো অনুষ্ঠান প্রচার করা হলে তা সকলেই উপভোগ করতে পারে।
Multicast Mode :
এই ধরণের ট্রান্সমিশনে একটি ডিভাইস থেকে ডেটা প্রেরণ করলে নেটওয়ার্কের অধীনস্থ সকল ডিভাইস সে ডেটাটি গ্রহণ করতে পারে না। কেবলমাত্র একটি নির্দিষ্ট গ্রুপের সকল সদস্য ডেটা গ্রহণ করতে পারে।