10 Minute School
Log in

কমিউনিকেশন সিস্টেমস (Communication Systems)

কমিউনিকেশন সিস্টেমস (Communication Systems)

Communication বা যোগাযোগ শব্দটির উৎপত্তি ল্যাটিন ‘Communicare’ থেকে, যার আদান-প্রদান। মূলত যে পদ্ধতিতে তথ্যকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বা এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে একটি নির্দিষ্ট মাধ্যমের সাহায্যে স্থানান্তর করা হয় তাকেই Communication System বা যোগাযোগ ব্যবস্থা বলে। এই তথ্য আদান-প্রদানের জন্য টেলিফোন, মোবাইল, কম্পিউটার, অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল ইত্যাদি বিভিন্ন Electronic Device সমূহ ব্যবহার করা হয়। 

কমিউনিকেশন সিস্টেমে Signal একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এক্ষেত্রে মূলত কোনো তথ্য Signal এর মাধ্যমে আদান-প্রদান হয়ে থাকে। Signal দুই ধরনের – 

  1. Analog Signal : যে সংকেতের মান সময়ের সাপেক্ষে নিরবিচ্ছিন্নভাবে পরিবর্তন হয় এবং যেকোনো মুহূর্তে যেকোনো মানে থাকতে পারে তাকে Analog Signal বলে। এই ধরণের সংকেত Sinewave তৈরি করে। 
  2. Digital Signal : যে সংকেতের মান সময়ের সাপেক্ষে ধাপে ধাপে পরিবর্তন হয় তাকে Digital Signal বলে। এই ধরণের সংকেত মূলত Square wave তৈরি করে। 
Communication Systems

Data Communication System

Signal Processing বা সংকেত প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে কোনো ডেটা এক ডিভাইস হতে অন্য ডিভাইসে স্থানান্তরের প্রক্রিয়াকেই Data Communication System বলে। এক্ষেত্রে দুটি ডিভাইসের মধ্যে ডেটা আদান-প্রদান করার জন্য পাঁচটি প্রধান উপাদান প্রয়োজন – 

  • Source : যে ডিভাইস হতে ডেটা পাঠানো হয় সেটি হলো Source বা উৎস। যেমন – কম্পিউটার, মোবাইল ইত্যাদি। 
  • Transmitter : Transmitter বা প্রেরক যন্ত্র মূলত উৎস হতে কোনো ডেটা নিয়ে তা কমিউনিকেশন মাধ্যমে পাঠায়। যেমন – মডেম। 
  • Transmission System : মূলত যে মাধ্যম দিয়ে ডেটা স্থানান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। একে Communication Medium ও বলা হয়। যেমন – অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল, মাইক্রোওয়েভ ইত্যাদি। 
  • Receiver : Transmission System এর মাধ্যমে ডেটা যেখানে পাঠানো হয় সেটি হলো Receiver বা গ্রাহক। এটি ডেটা গ্রহণ করে গন্তব্যস্থানে পাঠায়। যেমন – মডেম। 
  • Destination :  সর্বশেষ যে ডিভাইস প্রেরিত তথ্য গ্রহণ করে। যেমন – কম্পিউটার, সার্ভার ইত্যাদি।
Data Communication Systems

Data Transmission Speed

Data Transmission Speed হলো ডেটা স্থানান্তরের হার। অর্থাৎ একক সময়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে কিংবা এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে যে পরিমাণ ডেটা পরিবাহিত হয় তাকেই Data Transmission Speed বা Bandwidth বলে। Bandwidth সাধারণত bps বা Bit per Second এ হিসেব করা হয়।

Data Transmission Speed কে তিনভাবে ভাগ করা হয় – 

Narrow Band : 

একে Sub-Voice Band ও বলা হয়ে থাকে। মূলত ধীর গতিতে ডেটা স্থানান্তরের জন্য এই ব্যান্ড উপযোগী। এক্ষেত্রে এই ব্যান্ডের গতিসীমা 45 bps থেকে 300 bps পর্যন্ত হয়ে থাকে। তারের ব্যবহার বেশি হওয়ার জন্য টেলিগ্রাফিতে এই ব্যান্ড ব্যবহার করা হয়। 

Voice Band :

এই ব্যান্ডের গতি 9600 bps পর্যন্ত হয়ে থাকে। সাধারণত টেলিফোন যোগাযোগ ব্যবস্থায় এই ব্যান্ড বেশি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া কম্পিউটার থেকে প্রিন্টার বা কার্ড রিডারে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে এই ব্যান্ড ব্যবহৃত হয়।

Broad Band :

সবচেয়ে দ্রুত গতির ডেটা স্থানান্তরে এই ব্যান্ড ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে গতি শুরু হয় 1 Mbps থেকে। স্যাটেলাইট ও মাইক্রোওয়েভ কমিউনিকেশনে এই ধরণের ব্যান্ড ব্যবহৃত হয়। 

Broad Band

Data Transmission Method

ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য প্রেরক ও প্রাপকের মধ্যে যে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে ডেটা স্থানান্তর করা হয় তাকেই Data Transmission Method বলে। প্রেরক হতে প্রাপকে প্রতিবারে একসাথে কত বিট ডেটা প্রেরণ করা হবে তার উপর ভিত্তি করে ডেটা ট্রান্সমিশনের দুইটি পদ্ধতি রয়েছে –

  1. Parallel Data Transmission
  2. Serial Data Transmission

Parallel Data Transmission : 

প্রেরক ও প্রাপকের মধ্যে সমান্তরালে ডেটা স্থানান্তর করলে তাকে সমান্তরাল ডেটা ট্রান্সমিশন বলে। অর্থাৎ একাধিক তারের মাধ্যমে একই সাথে ডেটা বিট প্রেরণ করা হয়, যেখানে প্রতিটি তার একই সময়ে একটি করে বিট বহন করে। 

সুবিধা : 

  • অনেক ডেটা একসাথে প্রেরণ করা যায়।
  • ডেটা দ্রুত প্রেরণ করা যায়।

অসুবিধা :

  • ব্যয়বহুল পদ্ধতি, কারণ n বিট ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য n টি পৃথক লাইনের প্রয়োজন হয়। 

ব্যবহার :

প্যারালাল প্রিন্টার পোর্ট ও ক্যাবল ব্যবহার করে কম্পিউটারের সাথে প্রিন্টারের সংযোগ।

Serial Data Transmission : 

প্রেরক ও প্রাপকের মধ্যে পর্যায়ক্রমে অর্থাৎ ধারাবাহিকভাবে একের পর এক ডেটা বিট প্রেরণ করা হলে তাকে অনুক্রম বা সিরিয়াল ডেটা ট্রান্সমিশন বলে। এক্ষেত্রে একটি ট্রান্সমিশন লাইনের মাধ্যমেই আট বিট ডেটা পর্যায়ক্রমে পাঠানো হয়। 

সুবিধা : 

  • অধিক দূরত্বে ডেটা প্রেরণের ক্ষেত্রে সুবিধাজনক।
  • ট্রান্সমিশন লাইন একটি হওয়ায় খরচ কম।

অসুবিধা :

  • ধীরগতি সম্পন্ন, কারণে একই সময়ে একটি করে বিট স্থানান্তরিত হয়।

ব্যবহার :

কম্পিউটারের সাথে মডেম কিংবা USB ব্যবহার করে যেকোনো ডিভাইসের সংযোগ। 

Bit Synchronization :

এক কম্পিউটার হতে অন্য কম্পিউটারে ডেটা পাঠানো হলে সেটি মূলত সিগন্যাল আকারে প্রেরিত হয়। আর ডেটা সিগন্যাল বিট আকারে এক কম্পিউটার হতে অন্য কম্পিউটারে যায়। তাই এক্ষেত্রে ডেটা ট্রান্সমিশনে বিটগুলোর সমন্বয় প্রয়োজন। অর্থাৎ বিটগুলো এমনভাবে সাজানো প্রয়োজন যাতে প্রাপক কম্পিউটার বিটের শুরু ও শেষ বুঝতে পারে। বিটের এই সমন্বয়কেই Bit Synchronization বলে।

Bit Synchronization এর উপর ভিত্তি করে ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতিকে তিন ভাগে ভাগ করা যায় – 

  1. Asynchronous 
  2. Synchronous
  3. Isochronous

Asynchronous  Transmission :

যে ডেটা ট্রান্সমিশন মেথডে প্রেরক থেকে প্রাপকে ডেটা প্রেরণের ক্ষেত্রে ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার পাঠানো হয় তাকে Asynchronous Transmission বলে। 

সুবিধা :

  • যেকোনো সময় ডেটা আদান-প্রদান করা যায় এবং প্রাপক সে ডেটা গ্রহণ করতে পারে।
  • কোনো Primary Storage Device এর প্রয়োজন হয় না। 
  • ইনস্টলেশন ব্যয় অত্যন্ত কম।
  • রক্ষণাবেক্ষণ সহজ।

অসুবিধা :

  • ডেটা ট্রান্সমিশনে বেশি সময় লাগে।
  • দক্ষতা ও সিকিউরিটি কিছুটা কম।
  • ট্রান্সমিশন হার সমান থাকে না।

ব্যবহার :

কম্পিউটার থেকে প্রিন্টার, কী-বোর্ড হতে কম্পিউটার, পাঞ্চকার্ড রিডার হতে কম্পিউটার, কম্পিউটার হতে কার্ড পাঞ্চার ইত্যাদি ক্ষেত্রে এই ধরণের ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।

Synchronous Transmission :

এই ধরণের ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে ডেটাকে একটি প্রাথমিক স্টোরেজ ডিভাইসে সংরক্ষণ করে তারপর তা ব্লক আকারে ট্রান্সমিট করা হয়। একটি ডেটার ব্লক ৮০ থেকে ১৩২ ক্যারেক্টার বিশিষ্ট হয়। এক্ষেত্রে প্রতিটি ব্লকের শুরুতে একটি হেডার ইনফরমেশন এবং শেষে একটি ট্রেইলার ইনফরমেশন পাঠানো হয়। 

সুবিধা :

  • ব্লক আকারে ট্রান্সমিট হওয়ার কারণে ট্রান্সমিশন স্পীড অনেক বেশি।
  • ডেটা ট্রান্সমিশনের দক্ষতা বেশি।
  • তুলনামূলক সময় অনেক কম লাগে।
  • বেশি পরিমাণে ডেটা ট্রান্সমিট করা যায়।
  • কোনো স্টার্ট ও স্টপ বিটের প্রয়োজন নেই।

অসুবিধা :

  • Primary Storage Device এর প্রয়োজন হয়।
  • খরচ অনেক বেশি।
  • রক্ষণাবেক্ষণ কঠিন।

ব্যবহার :

কম্পিউটার থেকে কম্পিউটার, এক স্থান হতে দূরবর্তী কোনো স্থানে ডেটা প্রেরণ কিংবা অনেকগুলো ডিভাইসে একসাথে ডেটা ট্রান্সমিট করতে এই ধরণের ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড ব্যবহৃত হয়।

Isochronous Transmission :

এটি মূলত Synchronous ও Asynchronous ট্রান্সমিশনের সমন্বিত একটি পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে প্রেরক হতে প্রাপকে ব্লক আকারে কিন্তু অ্যাসিনক্রোনাস পদ্ধতিতে ডেটা স্থানান্তর হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ডেটা ট্রান্সমিশন ডিলে অর্থাৎ পর পর দুটি ব্লক ডেটা পাঠানোর মধ্যবর্তী সময় সর্বনিম্ন (প্রায় শূন্য) রাখা হয়। 

অসুবিধা :

  • সকল ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য নয়।
  • গ্রাহক ডেটা ঠিকমতো পেয়েছে কীনা তা বোঝার উপায় নেই।
  • কোনো ভুল সংশোধনের ব্যবস্থা নেই। 

ব্যবহার :

মাল্টিমিডিয়া ডেটা পাঠানোর ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত হয়। মূলত সুষম Bit rate পাওয়ার জন্য এই ধরণের ট্রান্সমিশন পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।