ই-কমার্স (E-commerce) ও দৈনন্দিন জীবনে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
ই-কমার্স (E-Commerce):
- ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবসায়িক লেনদেন ও সুবিধা ব্যবহার করাকে ই-কমার্স ( E-commerce) বলে।
- ইন্টারনেট কমার্স-কে সংক্ষেপে ই-কমার্স বলা হয়।
- অনলাইন শপিং: পণ্য অনলাইনে বেচাকেনা ই-কমার্সের জনপ্রিয় একটি উদাহরণ। এখানে বিক্রেতারা অনলাইনে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন দেয়। যেমন- Amazon.com এরকম অন্যতম একটি ওয়েবসাইট।
- অনলাইন নিলাম: অনলাইন নিলামে আপনি স্বল্প সময়ে অসংখ্য মানুষের কাছে কোনো কিছু নিলাম করতে পারবেন। যেমন- eBay
- ইন্টারনেট ব্যাংকিং: ইন্টারনেট ব্যাংকিং-এ ব্যাংকের কোনো অফিসে শারীরিকভাবে না গিয়েও ব্যাংকের যাবতীয় কার্যক্রম সেরে ফেলা যায় এবং ক্রেডিট কার্ডও নেয়া যায়।
- অনলাইন টিকেটিং: কাউন্টারে গিয়ে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করা ছাড়াই বিমান, ট্রেন, খেলা বা সিনেমা হলের টিকেট এখন অনলাইনে খুব সহজেই কিনে ফেলা যায়। যেমন- www.esheba.cnsbd.com থেকে ট্রেনের টিকেট কেনা যায়।
ই-কমার্স এর ধরন (Types of E-commerce):
ই-কমার্সে অংশ নেয়া ক্লায়েন্টের ভিত্তিতে একে তিন ভাগে ভাগ করা হয়
- Business to Business (B2B): B2B হল এমন এক ক্ষেত্র যেখানে গ্রাহক গ্রহীত পণ্যের উৎপাদক, খুচরা বা পাইকারি বিক্রেতা কিংবা শুধু ব্যবসার জন্য লেনদেন করে। যেমন: Sindabad.com
- Business to Consumer (B2C): যখন ব্যবসায়ীরা কাস্টমার বা ভোক্তাদের কাছে পণ্য বিক্রির জন্য অনলাইনে অবতীর্ণ হয় তখন তাকে B2C বলে।যেমন- rokomari.com
- Consumer to Consumer (C2C): একজন ভোক্তা নিজেই বিক্রেতা হয়ে অন্য ভোক্তার কাছে নিজের পণ্য বা সেবা বিক্রি করার প্রয়াসকে C2C বলে। যেমন- bikroy.com
ই-কমার্স এর সুবিধা (Benefits of E-commerce):
- ই-কমার্স সময় ও ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতা দূর করে।
- অনেক ক্ষেত্রে এটি সহজে পণ্য বা সেবার প্রত্যাশিত মূল্য নির্ধারণ করে দেয়।
IoT বা Internet of Things:
- মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই ওয়ারলেস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ডেটা বা তথ্য সংগ্রহ এবং নিজেদের মাঝে তথ্য আদান প্রদান করতে সক্ষম এক সিস্টেমকে ইন্টারনেট অফ থিংস বোঝানো হয়।
- এলেক্সা, গুগোল অ্যাসিস্ট্যান্ট, স্মার্ট কফি মেশিন, স্মার্ট থার্মোস্ট্যাট ইত্যাদিতে ইন্টারনেট অফ থিংস ব্যবহৃত হয়।