10 Minute School
Log in

শ্বসননালির সমস্যা – লক্ষণ ও প্রতিকার | Problems, Symptoms and Remedy of Respiratory Tract Disease

সচল মানবদেহের জন্য সুস্থ অঙ্গতন্ত্র প্রয়োজন। বিভিন্ন অঙ্গতন্ত্রের মধ্যে শ্বসনতন্ত্রের শ্বসননালি অন্যতম প্রধান অঙ্গ। কিন্তু এটি প্রায়ই ভাইরাসে, মাঝে-মধ্যে ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সচল দেহকে প্রায় আধা-অচল করে দেয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা শ্বসননালির সংক্রমণকে দুভাগে ভাগ করে থাকেন। (১) উর্ধ্ব শ্বসননালিতে সংক্রমণ (ফলে না, কান, গলা, সাইনাস আক্রান্ত হয়) এবং (২) নিম্ন শ্বসননালিতে সংক্রমণ (ফলে শ্বাসনালি ও ফুসফুস আক্রান্ত হয়)। উর্ধ্ব শ্বসননালিতে সংক্রমণের উদাহরণ হিসেবে সিলেবাসভুক্ত সাইনুসাইটিসওটাইটিস মিডিয়া সৃষ্ট সমস্যা, লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

সাইনুসাইটিস (Sinusitis)

মাথার খুলিতে মুখমন্ডলীয় অংশে নাসাগহ্বরের দুপাশে অবস্থিত বায়ুপূর্ণ চারজোড়া বিশেষ গহ্বরকে সাইনাস বা প্যারান্যাসাল সাইনাস (paranasal sinus) বলে।  এগুলো হলো-

১. ম্যাক্সিলারি সাইনাস (Maxillary sinus) : ম্যাক্সিলারি অঞ্চলে গালে অবস্থিত।

২. ফ্রন্টাল সাইনাস (Frontal sinus) : চোখের উপরে অবস্থিত।

৩. এথময়েড সাইনাস (Ethmoid sinus) : দু’চোখের মাঝখানে অবস্থিত।

৪. স্ফেনয়েড সাইনাস (Sphenoid sinus) : এথময়েড সাইনাসের পেছনে অবস্থিত।

সাইনুসাইটিস

সাইনাস সাধারণত বায়ুপূর্ণ মিউকাস পর্দায় আবৃত এবং ক্ষুদ্র নালির মাধ্যমে নাসাগহ্বর তথা শ্বাসনালির সাথে যুক্ত থাকে। এসব সাইনাস যদি বাতাসের বদলে তরল পদার্থে পূর্ণ থাকে এবং এই তরল যদি ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাকে সংক্রমিত হয় তখন সাইনাসের মিউকাস পর্দায় প্রদাহের সৃষ্টি হয়। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাকের সংক্রমণে বা এলার্জিজনিতকারণে সাইনাসের মিউকাস পর্দায় যে প্রদাহের সৃষ্টি হয় তাকেই সাইনুসাইটিস বলেসাইনুসাইটিসের কারণে মাথা ব্যথা, মুখমন্ডলে ব্যথা, নাক দিয়ে ঘন হলদে বা সবুজাভ তরল ঝরে পড়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়।

স্থায়িত্বের উপর ভিত্তি করে সাইনুসাইটিস দুরকম:

১. অ্যাকিউট সাইনুসাইটিস (Acute sinusitis) : এর স্থায়িত্ব ৪ – ৮ সপ্তাহ।

২. ক্রনিক সাইনুসাইটিস (Chronic sinusitis) : এর স্থায়িত্ব ২ মাসের বেশি সময়।

রোগের কারণ (The cause of the disease)

১. সাইনাসগুলো বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস (Human respiratory syncytial virus, Parainflueza virus, Metapneumo virus), ব্যাকটেরিয়া (Streptococcus pneumoniae, Haemophilus influenzae) এবং কিছু ক্ষেত্রে ছত্রাকে আক্রান্ত হলে সাইনুসাইটিস হতে পারে।

২. ঠাণ্ডাজনিত কারণে; অ্যালার্জিজনিত কারণে; ব্যবধায়ক পর্দার অস্বাভাবিকতায় সাইনাস গহ্বর অবরুদ্ধ হয়ে; নাকে পলিপ (polyp) সৃষ্টি হলে; নাসাগহ্বরের মিউকোসা স্ফীতির ফলে নাসাপথ সরু হয়ে ক্রনিক সাইনুসাইটিস হতে পারে।

৩. দাঁতের ইনফেকশন থেকে বা দাঁত তুলতে গিয়েও সাইনাসে সংক্রমণ হতে পারে।

৪. যারা হাঁপানির সমস্যায় ভোগে তাদের দীর্ঘস্থায়ী সাইনুসাইটিস দেখা যায়।

৫. সাধারণত ঘরের পোকামাকড়, ধুলাবালি, পেস্ট, তেলাপোকা ইত্যাদি যেসব অ্যালার্জেন ধারণ করে তার প্রভাবে এ রোগের সংক্রমণ দেখা দিতে পারে।

৬. ইউস্টেশিয়ান নালির (eustachian tube) সামান্য অস্বাভাবিকতায় সাইনাস গহ্বর অবরুদ্ধ হয়ে এবং সংক্রমণের ফলে সাইনুসাইটিস হতে পারে।

৭. নাকের হাড় বাঁকা থাকলে অথবা মুখগহ্বরের টনসিল বড় হলে এ রোগ হতে পারে।

৮. সিস্টিক ফাইব্রোসিস এর কারণে এ রোগ হয়।

৯. অপুষ্টি, পরিবেশ দূষণ ও ঠান্ডা স্যাঁতসেঁতে পরিবেশের কারণেও এ রোগ হতে পারে।

রোগের লক্ষণ (Symptoms of the disease)

১. নাক থেকে হলদে বা সবুজ বর্ণের ঘন তরল বের হয়। এতে পুঁজ বা রক্ত থাকতে পারে।

২. দীর্ঘ ও বিরক্তিকর তীব্র মাথা ব্যথা লেগেই থাকে যা সাইনাসের বিভিন্ন অঞ্চলে হতে পারে।

৩. মাথা নাড়াচাড়া করলে, হাঁটলে বা মাথা নিচু করলে ব্যথার তীব্রতা আরো বেড়ে যায়।

৪. জ্বর জ্বর ভাব থাকে, কোন কিছু ভালো লাগে না বরং অল্পতেই ক্লান্ত লাগে।

৫. নাক বন্ধ থাকে, নিঃশ্বাসের সময় নাক দিয়ে বাজে গন্ধ বের হয়।

৬. মুখমন্ডল অনুভূতিহীন মনে হয়।

৭. মাথাব্যথার সাথে দাঁত ব্যথাও হতে পারে।

৮. কাশি হয়, রাতে কাশির তীব্রতা বাড়ে, গলা ভেঙ্গে যায়।

জটিলতা (Complications)

সাইনুসাইটিস সংক্রান্ত জটিলতা কেবল নাসিকাগহ্বর ঘিরেই অবস্থান করে না, বরং সাইনাসগুলোর অবস্থান চোখ ও মস্তিষ্কের মতো অত্যন্ত সংবেদনশীল অঙ্গের সংলগ্ন হওয়ায় জীবাণুর সংক্রমণ শুধু সাইনাসেই সীমাবদ্ধ না থেকে রক্তবাহিত হয়ে চোখ ও মস্তিষ্কে পৌঁছালে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি হয়। মস্তিষ্কে সংক্রমণের ফলে মাথাব্যথা, দৃষ্টিহীনতা থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। চোখে সংক্রমণের ফলে পেরিঅরবিটাল ও অরবিটাল সেলুলাইটিসসহ আরও অনেক জটিলতা দেখা দিতে পারে।

ওটাইটিস মিডিয়া (Otitis media) – মধ্যকর্ণের সংক্রমণ

কানের ভিতরে বা বাইরে যে কোন অংশে সংক্রমণজনিত প্রদাহকে ওটাইটিস (otitis) বলে। কানের মধ্যকর্ণে সংক্রমণজনিত প্রদাহকে বলা হয় ওটাইটিস মিডিয়া (otitis media/middle ear infection)। গলবিলের সাথে মধ্যকর্ণের সংযোগ স্থাপনকারী ইউস্টেশিয়ান নালি (eustachian tube) টি অধিকাংশ সময়ই বন্ধ থাকে, শুধু ঢোকগেলার সময় খোলা থাকে। কোনো কারণে কোনো জীবাণু এ নালি দিয়ে এসে মধ্যকর্ণে প্রদাহ সৃষ্টি করলে তাকে ওটাইটিস মিডিয়া বলে। বয়স্কদের তুলনায় শিশুরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়।

শিশুদের ওটাইটিস মিডিয়া দুধরনের হয়ে থাকে। যথা- স্বল্পস্থায়ী ও দীর্ঘস্থায়ী।

১. স্বল্পস্থায়ী বা অ্যাকিউট ওটাইটিস মিডিয়া (Short-term or acute otitis media): এক্ষেত্রে ইউস্টেশিয়ান নালির প্রতিবন্ধকতার কারণে উর্ধ্ব শ্বাসনালি আক্রান্ত হয় এবং মধ্যকর্ণ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত হয়। দু থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে এ রোগ নিরাময় হয়।

ওটাইটিস মিডিয়া

 

২. দীর্ঘস্হায়ী বা ক্রনিক ওটাইটিস মিডিয়া (Chronic otitis media): এক্ষেত্রে দু থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে রোগ নিরাময় হয় না। রোগ দীর্ঘস্হায়ী হয়। এ রোগে কানের পর্দা ছিদ্র হয়ে পুঁজ বা তরল পদার্থ বেরিয়ে আসে। শ্রবণে ব্যাঘাত ঘটে।

রোগের কারণ (The cause of the disease)

১. প্রধানত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া কিংবা ছত্রাকের সংক্রমণে এ রোগ হয়। Respiratory syncytial virus (RSV), Influenza virus, Rhinovirus এবং Streptococcus pneumoniae, Haemophilus influenzae, Moraxella catarrhalis ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটলে।

২. মধ্যকর্ণের সাথে নাকের সংযোগস্থল (eustachian tube) ফুলে বন্ধ হয়ে গেলে।

৩. কোন কারণে অ্যাডিনয়েড (adenoid; নাসাগলবিলে অবস্থিত একধরনের লসিকাগ্রন্থি) ফুলে গেলে ।

৪. মাতৃদুগ্ধ পান না করালে বা কম করালে।

৫. শিশুদের রোগ প্রতিরোধ, ক্ষমতা কম থাকার কারণে ঠান্ডা লাগলে এবং কানের সংক্রমণ হলে।

ওটাইটিস মিডিয়া কাদের বেশি হয় (Who has more otitis media)

যাদের ওটাইটিস মিডিয়া হওয়ার ঝুঁকি বেশি রয়েছে তারা হলো-

১. চার মাস থেকে চার বছর বয়সি শিশুদের।

২. ডে কেয়ার সেন্টারগুলোর মতো জায়গাতে যেখানে একসাথে অনেক শিশু বেড়ে উঠে সেসব শিশুদের।

৩. যেসব শিশুদের নিচু অবস্থানে শুইয়ে বোতলে দুধ খাওয়ানো হয়।

৪. যেসব শিশুরা ধুমপানযুক্ত ও বায়ু দূষণপূর্ণ এলাকায় বাস করে।

৫. পরিবারের অন্য কারো কানে সংক্রমণ হলে শিশুদেরও কানের সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

রোগের লক্ষণ (Symptoms of the disease)

শিশুদের ক্ষেত্রে (In the case of children)

১. কানে ব্যথা হয় এবং কান টানতে থাকে।

২. মাথা ব্যথা হয় ফলে অতিরিক্ত কান্নাকাটি করে।

৩. দেহে বেশি তাপসহ (104°F+) জ্বর থাকে তাই ঘুমাতে পারে না।

৪. নাক দিয়ে পানি ঝরে, কান থেকে দুর্গন্ধযুক্ত তরল পদার্থ বের হয়।

বয়স্কদের ক্ষেত্রে (In the case of the elderly)

১. কানে ব্যথা হয়, কানে চাপ অনুভূত হয় এবং কান ভোঁ ভোঁ করে।

২. মাথা ঝিম ঝিম করে এবং প্রচন্ড মাথা ব্যথা হয়।

৩. কাশি হয় ও নাক দিয়ে পানি ঝরে।

৪. কানে কম শোনে, খাবারে রুচি থাকে না।

উপদেশ (Advice)

i .অপ্রয়োজনে কান চুলকানো এড়িয়ে চলা।

ii. গোসলের পূর্বে তুলা তেলে ভিজিয়ে কানে দিয়ে গোসল করা।

iii. ঠান্ডা না লাগানো।

iv. সাঁতার না কাটা।

v. কান পরিস্কার রাখা।

vi. কানে পানি ঢুকতে না দেয়া।

ওটাইটিস মিডিয়ার জটিলতা (Otitis media complications)

১. কানের পর্দা বা টিমপেনিক পর্দায় ছিদ্র হয়।

২. ছিদ্রপথে মধ্যকর্ণ থেকে গাঢ় তরল পদার্থ গড়িয়ে পড়ে।

৩. কানে কম শোনে।

৪. কানে কম শোনার কারণে শিশুরা সহজে কথা বলা শিখতে পারেনা।

প্রতিরোধ (Prevention)

১. শিশুর আশেপাশে ধুমপান না করা। কারণ ধূমপানকারীদের শিশুরা ঠান্ডা ও কানের সংক্রমণে বেশি ভুগে থাকে।

২. কানের সংক্রমণ প্রতিরোধে জন্মের পর শিশুকে অন্তত প্রথম ছয়মাস বুকের দুধ খেতে দেয়া। বুকের দুধে রয়েছে রোগ প্রতিরোধক উপাদান। তা ছাড়া ধারণা করা হয় মায়ের দুধে এমন কোনো উপাদান রয়েছে যা পান করার সময় গলার উপর দিকের মিউকাস পর্দা বা ঝিল্লিতে আটকে থাকা ব্যাকটেরিয়াকে নিচের দিকে পাকস্হলিতে নিয়ে আসে। ফলে ব্যাকটেরিয়া উপর দিকে ইউস্টেশিয়ান নালিতে প্রবেশের সুযোগ পায় না।

৩. বুকের দুধ বা অন্য কোনো তরল খাওয়ানোর সময় শিশুর মাথাটি পিঠের সঙ্গে ৪৫ ডিগ্রি কোণে উঁচুতে রাখতে হবে। তা না হলে তরল খাবার ইউস্টেশিয়ান নালি হয়ে কানে ঢুকে সংক্রমণ সৃষ্টি করে।

৪. অ্যালার্জি সৃষ্টি করে এমন কিছু এড়িয়ে চলা। কারণ অ্যালার্জিজনিত প্রতিক্রিয়ার কারণে ইউস্টেশিয়ান নালি বন্ধ হয়ে সংক্রমণ ঘটতে পারে।

৫. গোসলের সময় কানে যাতে পানি প্রবেশ না করে সেদিকে খেয়াল রাখা ও বায়ু দূষণ থেকে দূরে থাকা।

৬. বার বার সর্দি হতে থাকলে এবং নাকের ছিদ্রপথ লালাভ রং এর হলে; শিশু মুখ দিয়ে শ্বাস নিলে এবং রাতে হাঁ করে ঘুমালে শীঘ্রই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া।

৭. শিশুকালে নিউমোকক্কাল কনজুগেট ভ্যাক্সিন গ্রহণ করে (Pneumococcal conjugate vaccine) Streptococcus pneumoniae সৃষ্ট ওটাইটিস মিডিয়া রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা যেতে পারে।

প্রতিকার (Remedy)

১. চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সম্পূর্ণ কোর্সের অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করা। প্রয়োজনে কানের ড্রপ এবং অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।

২. অল্প সময়ের জন্য ব্যথানাশক কোন ওষুধ যেমন- প্যারাসিটামল জাতীয় ওষধ ব্যবহার করা যেতে পারে।

৩. সতর্কতার সঙ্গে ২/৩ ফোঁটা উষ্ণ মিনারেল অয়েল কানে দেয়া যেতে পারে।

৪. সহনীয় মাত্রায় গরম পানির বোতল চেপে ধরে কানে গরম সেঁক দেয়া। বেশি গরম হলে কাপড়ে বা তোয়ালে পেঁচিয়ে সেঁক দেয়া যেতে পারে।

৫. কোন দিয়ে সবসময় পুঁজ পড়ার মতো অবস্থা বার বার ঘটলে নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ (ENT (Specialist) চিকিত্সকের মাধ্যমে টিম্পেনোস্টোমি টিউব (Tympanostomy tube) নামে বিশেষ নলের সাহায্যে অধুনিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

৬. কানের পর্দা ছিদ্র হয়ে গেলে Myringoplasty করা যেতে পারে ।

ফুসফুসের এক্স-রে চিত্রের তুলনা:

                                                    ফুসফুসের এক্স-রে চিত্রের তুলনা
অধূমপায়ী ফুসফুসের এক্স-রে ধূমপায়ী ফুসফুসের এক্স-রে

 

চিত্র : অধুমপায়ীর ফুসফুসের এক্স-রে ফিল্ম চিত্র : ধুমপায়ীর ফুসফুসের এক্স-রে ফিল্ম
১. ফুসফুস আকৃতিগতভাবে স্বাভাবিক থাকে। ১. সার্বিকভাবে ফুসফুসের আকার বৃদ্ধি পায়।
২. এক্স-রে ফিল্মটি কালো থাকবে, আর ফুসফুসের সকল অঞ্চল স্বচ্ছ ও পরিষ্কার থাকবে। ২. এক্স-রে ফিল্মটি সম্পূর্ণ কালো হয় না বরং এর সকল অঞ্চলেই বিভিন্ন ধরনের অসংখ্য ছোপের মতো চিহ্নযুক্ত ঝাপসা অংশ দেখা যায়।
৩. অ্যালভিওলাসের সংখ্যা স্বাভাবিক থাকে এবং এতে সুষম স্বচ্ছতা দেখা যায়। ৩. অ্যালভিওলাসের সংখ্যা কমে যায় (নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে) এবং সুষম স্বচ্ছতা দেখা যায় না।
৪. অ্যালভিওলাস প্রাচীরের সিলিয়া থাকে স্বাভাবিক। ৪. সিলিয়া বিনষ্ট অবস্থায় দেখা যায়।
৫. এমফাইসেমা-র কোন বৈশিষ্ট্য দেখা যায় না। ৫. এমফাইসেমা হলে তার চিহ্ন দেখা যায়।
৬. ক্যান্সার টিউমারের মতো কোন উপবৃদ্ধি থাকেনা। ৬. ক্যান্সার টিউমার থাকলে এক্স-রে ফিল্মে সেটি ঘন সাদা আঁশের মতো দেখায়।
৭. এক্স-রে ফিল্মে ফুসফুসে পানি জমা (pleural effusion) শনাক্ত করা যায় না। ৭. এক্স-রে ফিল্মে অনেক সময় পানি জমা শনাক্ত করা যায়।
৮. ফুসফুস ও হৃৎপিণ্ডের প্রচ্ছায়া (shadow) স্বাভাবিক ও সমানুপাতিক হয়। ৮. হৃৎপিণ্ডের প্রচ্ছায়া ফুসফুসের তুলনায় ছোট হয়।

এমফাইসেমা (Emphysema) : 

শ্বাসকষ্টজনিত এক ধরনের জটিলতা যাতে অ্যালভিওলাসের আয়তন বৃদ্ধি পায় এবং কোন কোন স্থান ফেটে গিয়ে ফুসফুসে ফাঁকা জায়গার সৃষ্টি করে।

ধূমপান এবং শ্বসনতন্ত্রের উপর এর প্রভাব নিচের চিত্রের মাধ্যমে দেখানো হলো

ধুমপান জনিত কয়েকটি রোগ