10 Minute School
Log in

ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতিসমূহ ও দক্ষতা (Data Transmission Mode & Skills)

ডেটা ট্রান্সমিশন মোড কি? (Data Transmission Mode)

এক ডিভাইস হতে অন্য ডিভাইসে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ডেটা প্রবাহের দিককে Data Transmission Mode বলে। ট্রান্সমিশন মোড মূলত তিন প্রকার – 

  • Unicast Mode 
  • Broadcast Mode
  • Multicast Mode

Unicast Mode :

এই ট্রান্সমিশন ব্যবস্থায় শুধুমাত্র একজন প্রেরক ও একজন প্রাপকের মধ্যে ডেটা আদান-প্রদান হয় তাকে Unicast Mode বলে। এই ধরণের ট্রান্সমিশন মোড আবার তিন প্রকার – 

  • Simplex : এই ধরণের ট্রান্সমিশনে কেবলমাত্র একদিকে ডেটা পাঠানো যায়। অর্থাৎ একজন প্রেরক ডেটা প্রেরক শুধু ডেটা প্রেরণ করতে পারে এবং একজন প্রাপক সে ডেটাটি কেবল গ্রহণই করতে পারে। যেমন – টেলিভিশন, রেডিও ইত্যাদি।

ডেটা ট্রান্সমিশন মোড কি

  • Half Duplex : এই ধরণের ট্রান্সমিশনে প্রেরক ও প্রাপক উভয়দিকেই ডেটা পাঠানো কিন্তু তা একই সময়ে ট্রান্সমিট করা যায় না। যেমন – ওয়াকিটকি ।
  • Full Duplex : এই ধরণের ডেটা ট্রান্সমিশনে প্রেরক ও প্রাপক উভয়দিক থেকেই একই সময়ে যুগপৎ ডেটা স্থানান্তর করা যায়। যেমন – মোবাইল, টেলিফোন ইত্যাদি। 

ডেটা ট্রান্সমিশন মোড কি

Broadcast Mode : 

এই ট্রান্সমিশন মোডে একটি ডিভাইস থেকে ডেটা প্রেরণ করলে ঐ নেটওয়ার্কের অন্তর্গত সকল ডিভাইসই সে ডেটা গ্রহণ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় টেলিভিশন সম্প্রচার কেন্দ্র থেকে কোনো অনুষ্ঠান প্রচার করা হলে তা সকলেই উপভোগ করতে পারে। 

Multicast Mode :

এই ধরণের ট্রান্সমিশনে একটি ডিভাইস থেকে ডেটা প্রেরণ করলে নেটওয়ার্কের অধীনস্থ সকল ডিভাইস সে ডেটাটি গ্রহণ করতে পারে না। কেবলমাত্র একটি নির্দিষ্ট গ্রুপের সকল সদস্য ডেটা গ্রহণ করতে পারে। 

ডেটা ট্রান্সমিশন দক্ষতা (Data Transmission Skills)

ডেটা ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে প্রকৃত ডেটার পরিমাণ ও মোট ডেটার পরিমাণের অনুপাতকে ডেটা ট্রান্সমিশন দক্ষতা বলে। একে শতকরায় প্রকাশ করা হয়। 

অর্থাৎ, ডেটা ট্রান্সমিশন দক্ষতা =\frac{প্রকৃত\; ডেটা}{মোট\; ডেটা}\times ১০০%

এখানে, প্রকৃত ডেটা = যে পরিমাণ ডেটা বিট প্রেরণ করা হবে

মোট ডেটা = প্রকৃত ডেটা ও ওভারহেড ডেটা বিটের সমষ্টি 

Asynchronous Transmission : 

ধরি, ৫ কিলোবাইট ডেটা প্রেরণে ডেটা ট্রান্সমিশন দক্ষতা নির্ণয় করতে হবে।

অতএব, প্রকৃত ডেটা = ৫ কিলোবাইট =(\times১০০০) বাইট=(৫০০০\times৮) বিট=৪০০০০  বিট

এখন, এসিনক্রোনাস পদ্ধতিতে, প্রতি ৮ বিট ডেটা প্রেরণে ১টি স্টার্ট বিট ও ২টি স্টপ বিট যুক্ত করতে হয়।

অর্থাৎ, প্রতি ৮ বিট ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য ওভারহেড বিট প্রয়োজন = ৩ বিট

৪০০০০ বিট ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য মোট ওভারহেড বিট প্রয়োজন, ৪০০০০ \times \frac{৩}{৮}\\ =১৫০০০ বিট

অতএব, মোট ডেটা = প্রকৃত ডেটা + ওভারহেড ডেটা = ৪০০০০ + ১৫০০০ = ৫৫০০০ বিট

সুতরাং, এসিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশন দক্ষতা = \frac{৪০০০০}{৫৫০০০}\times ১০০%=৭২.৭৩%

Synchronous Transmission : 

ধরি, ৫ কিলোবাইট ডেটা প্রেরণে ডেটা ট্রান্সমিশন দক্ষতা নির্ণয় করতে হবে।

অতএব, প্রকৃত ডেটা = ৫ কিলোবাইট =(\times১০০০) বাইট=(৫০০০\times ৮) বিট=৪০০০০  বিট

এখন, সিনক্রোনাস পদ্ধতিতে ধরা যাক, ব্লক সাইজ =৮০ বাইট=(৮০\times৮) বিট=৬৪০ বিট

এবং প্রতি ব্লক ডেটা প্রেরণের জন্য ২ বাইট হেডার ও ২ বাইট ট্রেলার প্রয়োজন হয় 

অর্থাৎ, প্রতি ৬৪০ বিট ডেটা প্রেরণে ওভারহেড বিট প্রয়োজন = ৪ বাইট =(৪\times৮) বিট=৩২ বিট

৪০০০০ বিট ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য মোট ওভারহেড বিট প্রয়োজন, =৪০০০০ \times \frac{৩২}{৬৪০}=২০০০ বিট

অতএব, মোট ডেটা = প্রকৃত ডেটা + ওভারহেড ডেটা = ৪০০০০ + ০০০ = ৪২০০০ বিট

সুতরাং, সিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশন দক্ষতা =\frac{৪০০০০}{৪২০০০}\times ১০০%=৯৫.২৪%

 


 

এইচএসসি পরীক্ষার ICT বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো দেখে নাও এক নজরেঃ


 

HSC ICT নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলোর ভিজিট করো নিচের প্লে লিস্টটিতেঃ


 

এইচএসসি ও এডমিশন পরীক্ষার্থীদের জন্য আমাদের কোর্সসমূহঃ


 

আমাদের স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্সসমূহঃ


 

১০ মিনিট স্কুলের ক্লাসগুলো অনুসরণ করতে ভিজিট: www.10minuteschool.com